আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

যমুনা নদীতে ১৪ জেলে আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার যমুনা নদীতে ইলিশ ধরার দায়ে ২১ জেলেকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৪ জেলেকে কারাদণ্ড এবং সাতজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেন উপজেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মা ইলিশ সংরক্ষণে সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত অভিযান পারিচালনা করে ২১ জেলেকে আটক করা হয়। এ সময় আটকদের কাছ থেকে ৫ কেজি মা ইলিশ উদ্ধার এবং ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।

তিনি আরও বলেন, উদ্ধার হওয়া মা ইলিশ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। আর আটকদের মধ্যে সাতজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় দেওয়া হয়। ১৪ জেলেকে এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

 

নিউজ ট্যাগ: জেলে আটক

আরও খবর



সাড়ে তিন বছর পর দলে ফিরে যা বললেন আমির

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

প্রায় এক বছর আগে থেকেই তারকা পেসার মোহাম্মদ আমিরের পাকিস্তান দলে ফেরার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। তবে নানান কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি। সব বাধা টপকে আবারও অবসর ভেঙে ফেরার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

এদিকে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে পাকিস্তানের ট্রেনিং ক্যাম্পেও ডাক পড়ে তারকা এই পেসারের। আমিরকে দলে ফেরাতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বৈঠকে বসেন। এতে তার জাতীয় দলে ফেরা অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিল। এরপরই অবসর ভেঙে দলে ফেরার ঘোষণা দেন আমির। এর আগে, একই প্রক্রিয়ায় ইমাদ ওয়াসিমকে দলে ফিরিয়েছে পিসিবি।

শেষমেশ এই দুই তারকা ক্রিকেটারকে নিয়েই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৭ জনের দল ঘোষণা করেছে পিসিবি।

আমির ও ইমাদকে ফেরানোর বিষয়ে নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজের ভাষ্য, ইমাদ ও আমিরকে দলে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজই ছিল। তারা খেলার জন্য প্রস্তুত আর হারিস রউফের চোট এবং মোহাম্মদ নেওয়াজের বর্তমান ফর্মও ছিল বিবেচনায়। আমির ও ইমাদ যে ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়, সেটা অস্বীকারের সুযোগ নেই। আমরা বিশ্বাস করি, দলের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য পূরণে তারা বলিষ্ঠ পারফরম্যান্স করবেন।

এর আগে, ২০২০ সালে তৎকালীন প্রধান কোচ মিসবাহ-উল-হক ও বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন বাঁহাতি এই পেসার। জাতীয় দলের খেলা বাদ দিলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলছেন আমির। সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল) খেলেছেন তিনি। দ্য গ্রিন ম্যানদের হয়ে সব মিলিয়ে ১৪৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন আমির।

দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) জাতীয় দলে জার্সি পরিহিত একটি ছবি শেয়ার করেছেন আমির।

ছবির ক্যাপশনে তার ভাষ্য, বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম। এর বাংলা অর্থ-পরম করুণাময় অতিশয় দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নতুন শুরুর ইঙ্গিতই দিয়েছেন তারকা এই পেসার।

২০১০ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৬ সালে জাতীয় দলে ফিরেছিলেন এই পাকিস্তানি পেসার। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ভারতকে হারানোর অন্যতম নায়ক ছিলেন আমির।

উল্লেখ্য, আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে। একই ভেন্যুতে ২০ ও ২১ এপ্রিল হবে পরের দুটি ম্যাচ। এ ছাড়া ২৫ ও ২৭ এপ্রিল শেষ দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে লাহোরে।

পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড : বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), সাইম আইয়ুব, উসমান খান, ইফতেখার আহমেদ, আজম খান (উইকেটরক্ষক), ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আমির, আব্বাস আফ্রিদি, আবরার আহমেদ, ফখর জামান , ইরফান খান নিয়াজী, উসামা মীর ও জামান খান।

রিজার্ভ : হাসিবুল্লাহ, মোহাম্মদ আলী, আগা সালমান, সাহেবজাদা ফারহান, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।

 


আরও খবর
বৃষ্টিতে বন্ধ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




৯ মাসে মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি টাকা

দৃঢ় নেতৃত্বে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে বিগত বছরগুলোর প্রতিকূলতা কাটিয়ে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। চলতি বছর ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যার প্রেক্ষিতে চলতি হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ওয়ালটন হাই-টেকের মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা বা ২০৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ব্যাপক বৃদ্ধিসহ আর্থিক প্রায় সব সূচকেই উন্নতি হয়েছে।  

ওয়ালটন হাই-টেকের চলতি হিসাববছরের জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৮তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাববছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬২.৩৪ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৪৯.৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০৫ শতাংশ।

এদিকে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৪) ওয়ালটনের মুনাফা হয়েছে ৪২১.৯৮ কোটি টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৩৫.৫৫ কোটি টাকা।

বিক্রয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কস্ট অব গুড্স সোল্ড উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির মোট মুনাফার শতকরা হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেকের। তাছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.১৭ টাকা; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮.২৫ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির এনএভিপিএস পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত দাঁড়িয়েছে ২৫৮.২২ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫৯.৬৮ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২২.৮৮ টাকা।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। প্রথম নয় মাসে বিক্রয়ের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে ৬.১৪ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪.৭৯ শতাংশ।

এ ছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি ৩৯২.৭৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়ে মাত্র ৪১.৬০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এদিকে জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৩.০৭ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬০৪.৭৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া, শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন ২০২৪) কোম্পানির মুনাফা আরো দৃঢ় অবস্থানে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওয়ালটন ম্যানেজমেন্ট। 


আরও খবর



ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, দূষণের শীর্ষে কাঠমান্ডু

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে বাড়ছে রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ। মাঝে শহরটির বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হলেও কিছুদিন যাবত বৃষ্টি না হওয়ায় ঢাকার বাতাসের মান আবারও দূষণের দিকে যাচ্ছে।

আজ শনিবার সকাল ১০ টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৬১ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৩ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। আজ ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর

দূষিত শহরের তালিকায় ১৯০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু; ১৬৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়, ১৬৪ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এ ছাড়া ১৫৫ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে চীনের বেইজিং।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে দিনের পর দিন ঢাকায় বায়ু দূষণ বেড়েই চলেছে। এর তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বিশ্বে বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়ছে।

নিউজ ট্যাগ: বায়ুদূষণ

আরও খবর



সব রেকর্ড ভেঙে যশোরে তাপমাত্রা ৪৩.৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

চলতি মৌসমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে ১৯৮৯ সাল থেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪৩.৭ ডিগ্রি বিরাজ করছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা রেকর্ড করা হয় ১২ শতাংশ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ৫৭%। এরপর দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১৪%।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর জানান, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের ৩৫ বছরের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ। আরো দু'একদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

এর আগে গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এ মওসুমের দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ছিল তাপমাত্রা ৪৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ২৬%। সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৪৯%। দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১৬ %।

কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা ঠিকমতো কাজে বের হতে পারছেন না। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরী প্রয়োাজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। তবে রোদের এতো উত্তাপ যে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। হিট স্ট্রোকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।


আরও খবর



টিসিবি পণ্য বিক্রির জন্য স্থায়ী দোকান করা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

টিসিবি পণ্য বিক্রির জটিলতা কাটাতে স্থায়ী দোকান করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির আয়োজনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, টিসিবির পণ্যগুলো এতদিন বিভিন্ন জায়গায় টেম্পোরারিভাবে বিক্রি হতো। আমরা চেষ্টা করছি আগামী দুই এক মাসের মধ্যে টিসিবির দোকানগুলোকে একটি স্থায়ী জায়গায় নিয়ে আসার। যাতে মানুষের একটি দিন নষ্ট না হয়। তারা যাতে সেখানে যেয়ে ন্যায্যমূল্যে তাদের পণ্য নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে, সেটার একটা কার্যক্রম আমরা চলমান রেখেছি।

ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ।

টিটু বলেন, টিসিবি সাধারণত একত্রে চার থেকে পাঁচটি পণ্য সরবরাহ করে। কিন্তু অনেক সময় এমন হয় যে একটি পণ্য পৌঁছাতে দেরি হলে ডিসি সাহেবরা বাকি পণ্যগুলোকেও আটকে রাখেন। সবগুলো পণ্য একত্রে দেবেন বলে। কিন্তু আমি যখন ফিক্সড দোকান করে দেব তখন যে মাল যখনই দোকানে চলে যাবে তখনই সেই মাল বিক্রি শুরু হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাফার স্টক না থাকায় আমাদের পণ্য কিনেই বিক্রি করতে হচ্ছে। বিভাগীয় পর্যায়েও আমাদের বাফার স্টক নেই। এছাড়া আমাদের যেসব ডিলার রয়েছে তাদেরও পণ্য এক মাস সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। আমাদের পর্যাপ্ত স্টোরেজ না থাকাটাই প্রধান সমস্যা হচ্ছে।

তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে পণ্য সরবরাহ ও সেবা নিশ্চিত করতে টিসিবি শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে এটাকে একটা কাঠামোতে নিয়ে আসতে আমরা কাজ করতেছি। আমাদের নিজস্ব কোনো গুদাম ছিল না। যেকোনো পণ্যের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ রাখতে সেটার বাফার স্টক থাকা দরকার। বাফার স্টকের জন্য আমাদের গুদাম দরকার। চট্টগ্রামে আমরা ৪০ হাজার স্কয়ারফিটের একটি নতুন গুদাম করেছি। বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে গুদাম করছি। আমরা চেষ্টা করব অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাফার স্টক তৈরি করতে পারি।

সারা বছর টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এক কোটি পরিবারকে টিসিবিব মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য দিয়েছি। সেটা ১২ মাসই দেওয়ার করব। এতদিন জরুরি ভিত্তিতে ট্রাক সেলের মাধ্যমে করেছি। টিসিবির পণ্য স্থায়ী দোকানে নিয়ে এসেছি।


আরও খবর