বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা মো. জহিরুল ইসলাম ওরফে হাতকাটা মামুনকে (৪৭) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ।
আজ সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ইছাপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মামুন উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের সোনাপুরা গ্রামের মালেক হাওলাদারের ছেলে। তিনি ফরিদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দফাদার আব্দুর রহিম বলেন, ইছাপুরা গ্রামের ছোট বটতলা থেকে বাড়িতে যাচ্ছিলেন ইউপি সদস্য মামুন। এ সময় ৫-৭ জনের একটি দল তার ওপর হামলা করে। তিনি দৌড়ে সড়কের পাশে বাগানের মধ্যে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়ে তার মাথা দুই ভাগ করে ফেলে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি।
তিনি বলেন, হামলকারীরা গুলি করলেও তা মামুনের গায়ে লাগেনি। এলাকার আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। প্রতিপক্ষরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
ফরিদপুর ইউপির চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সিকদার বলেন, ‘৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মামুনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডের দফাদার আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। আমি পুলিশকে জানিয়েছি।’
বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেচুর রহমান বলেন, ফরিদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন সিকদার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামুনকে যুবলীগের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, ‘দুষ্কৃতিকারীরা ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। দুটি হত্যাসহ বেশ কিছু মামলার আসামি ছিলেন হত্যার শিকার ইউপি সদস্য মামুন।’