আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

যুদ্ধ শুরুর পর প্রথম শস্যবাহী জাহাজ ইউক্রেন ছাড়ল

প্রকাশিত:সোমবার ০১ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাশিয়া হামলা শুরু করার পর ইউক্রেনের বন্দর দিয়ে শস্যবোঝাই জাহাজের প্রথম চালান বন্দর ছেড়েছে। 

তুরস্ক এবং ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সোমবার ভোরের দিকে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওডেসা বন্দর ছাড়ে শস্যবাহী প্রথম জাহাজ।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের বন্দরগুলো অবরুদ্ধ করে রাখে রাশিয়া। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে বিশ্বের অন্যতম দুই প্রধান খাদ্য রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে চলমান যুদ্ধে ফলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

গত ২২ জুলাই জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া-ইউক্রেন খাদ্যশস্য পরিবহনে একটি চুক্তি সই করে। এরপর ইউক্রেন খাদ্যশস্য পরিবহনে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির ফলে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট এবং খাদ্যশস্যের দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র: আল জাজিরা


আরও খবর



চাঁদপুর ১৮ কেজি গাঁজাসহ আটক এক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

১৮ কেজি গাজা সহ একজন মাদক কারবারিকে আটক করেছে কোস্টগার্ড স্টেশন চাঁদপুর। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের একটি দল আজ ৩০ এপ্রিল ভোর ৬টায় চাঁদপুর জেলার সদর থানাধীন চাঁদপুর লঞ্চঘাট এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালীন রাজদূত প্রাইম নামক একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের অভ্যন্তরে এক ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে কোস্ট গার্ডের অভিযানিক দল উক্ত ব্যক্তিকে থামার সংকেত প্রদান করে। অতঃপর উক্ত ব্যক্তির সাথে থাকা ২টি ব্যাগ তল্লাশি করে ১৮ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, জব্দকৃত গাঁজা ও আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চাঁদপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর



ইরানে পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার জবাবে পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধাকালীন মন্ত্রিসভা। তবে সেই হামলা কখন এবং কোন মাত্রায় হবে তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি রয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার বিকালে ইসরায়েলের পাঁচ সদস্যের মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান ও খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক ও কৌশলগতভাবে চিন্তা করার পরামর্শ দেন। এর প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্তগুলো স্থগিত রেখেছে। তবে তারা সংক্ষিপ্ত সময়ের নোটিসেই তা কার্যকর করতে পারবে বলে চ্যানেল ১২ এর খবরে বলা হয়েছে।

ইসরায়েল হায়ুম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা বলেছেন- জবাব দেওয়া হবে।

আর এনবিসি নেট্য়ার্ক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর অফিসের একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিকল্প পন্থাগুলো উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে এবং এটা পরিষ্কার যে ইসরায়েল জবাব দেবে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ইরানের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার পক্ষে। তবে জবাবের সময় এবং মাত্রা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত রয়েছে।

যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকটি হয় ইরানি হামলার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে। শনিবার রাতে ইরান নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েলে। এ সময় তারা প্রায় ৩৫০টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে ইসরায়েলে। ইসরায়েল দাবি করেছে, এগুলোর ৯৯ শতাংশই সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে।

বেশ কয়েকটি হিব্রু মিডিয়ায় বলা হয়েছে, এই ব্যাপক হামলার প্রেক্ষাপটে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্তজ এবং তার ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টির সহকর্মী গাদি আইজেনকট (যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার পর্যবেক্ষক) উভয়ে ইরানে পাল্টা হামলার প্রস্তাব করেন।

তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট, আইডিএফ প্রধান হারজি হ্যালেভি এবং অন্যরা প্রস্তাবটির দৃঢ় বিরোধিতা করেন। তারা মনে করেন, একইসাথে এত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে গেলে প্রচুর চাপের সৃষ্টি হবে।

এদিকে পৃথক একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে চ্যানেল ১২ দাবি করেছে, ইসরায়েলি হামলার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেবে না। তবে বিষয়টি তাদেরকে আগে জানাতে হবে এবং সমন্বিত হামলা চালাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য সরকারিভাবে জানিয়েছে- তারা ইরানে ইসরায়েলের কোনও পাল্টা হামলায় অংশ নেবে না।

চ্যানেল ১২ আরও দাবি করেছে, ইসরায়েল এখন সংযত থাকার বিনিময়ে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কৌশলগত চুক্তি করতে চাচ্ছে এবং তা করতে চাচ্ছে ফিলিস্তিন ইস্যুতে কোনও ধরনের প্রতিশ্রুতি না দিয়েই।


আরও খবর



বনের জমিতে দেড় শতাধিক কারখানা, উচ্ছেদে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা কী

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি এলাকার বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম লিমিটেড (বিবিএস) কেবলের বার্ষিক বিক্রির পরিমাণ এক হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি। ২০১৭ সালে কারখানা নির্মাণের জন্য গাছপালা কেটে সাতখামাইর ফরেস্ট বিটের তেলিহাটি মৌজার আরএস ২৯২৩, ২৯২৪ ও ২৯২৫ দাগের ১.৬১ একর সংরক্ষিত বনের জমি দখল করে নামি এই কেবল প্রতিষ্ঠানটি। দখল করা ওই জমির বর্তমান বাজারমূল্য অন্তত আড়াই কোটি টাকা। বন বিভাগ দখল করা ওই জমি এখনো উদ্ধার করতে পারেনি। এরই মধ্যে নতুন করে কারখানার মূল ফটকের সামনে প্রতিষ্ঠানটির  প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হাসনাইন ওরফে হাসান বনের জমি দখল করে নির্মাণ করেছেন মার্কেট। ওই মার্কেট থেকে মাসে ভাড়া তুলছেন ৩০ হাজার টাকা।

অন্যদিকে, গাজীপুর সদরের নলজানী এলাকার অভিজাত ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার মাসিক আয় কোটি টাকার বেশি। শীত, গ্রীষ্ম এমনকি হরতাল-অবরোধেও এই রিসোর্টের ভিলা খালি থাকে না। ৯-১০ বছর আগে নির্মাণের সময় ভাওয়াল রিসোর্টের পাশে থাকা সংরক্ষিত বনের বাড়ইপাড়া মৌজার এসএ সিএস ৩, ২৭৯ ও ২৭১ দাগের ৩.৬৮ একর জমি দখল করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। এ ঘটনায় বন বিভাগ গ্রিনটেক রিসোর্টের দখল থেকে জমি উদ্ধারের জন্য গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে উচ্ছেদ মামলা করে। কিন্তু সেই জমি এখনো উদ্ধার হয়নি। এভাবে গাজীপুরে সংরক্ষিত বনের জমিতে কারখানা, খামার, আলিশান রিসোর্ট, পিকনিক ও শুটিং স্পট নির্মাণ করে বছরে শতকোটি টাকার বাণিজ্য করছে পৌনে দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান।

ব্যক্তিগত প্রভাব এবং অসাধু বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ব্যক্তিগত জমির সঙ্গে থাকা বনের জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠান। সংরক্ষিত বনে বা বন ঘেঁষে তৈরি করা এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকের নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। বন বিভাগের তালিকা অনুযায়ী, গাজীপুরের শ্রীপুর, কালিয়াকৈর ও সদর উপজেলায় ১২ হাজার ৩২১ একর বনের জমি অবৈধ দখল হয়ে গেছে। এর মধ্যে ১৭৪টি প্রতিষ্ঠানের দখলে রয়েছে ৫০০ একর জমি। গত এপ্রিল মাসে বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসন শ্রীপুর ও গাজীপুর সদর উপজেলায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে মাত্র ৮.৭৯ একর বনভূমি। অবশিষ্ট ভূমি রিসোর্ট, বাড়িঘর-দোকানপাট, হাটবাজার ও কৃষিজমি হিসেবে দখল করা হয়েছে। ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়িঘর তৈরি করে ২৩ হাজার ব্যক্তি দখল করেছে ১০ হাজার একরের বেশি বনভূমি। এতে বনভুমি উজাড় হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। অথচ এই আগ্রাসন ঠেকাতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই বন বিভাগের। বরং নানা ফন্দিতে নতুন করে দখল হচ্ছে বনভূমি।

বন বিভাগের তথ্যানুযায়ী, শ্রীপুরে ধনুয়া মৌজায় আরএকে সিরামিকস চার একর, রশোওয়া স্পিনিং মিল চার একর, ডিবিএল সিরামিকস আট একর, অটো স্পিনিং মিলস ২.২০ একর, সাতখামাইর মৌজায় আকন্দ গার্ডেন ১৬ একর, রিফাত ব্যাগ ২৫ শতক, পটকা মৌজায় ট্রেড ম্যানেজমেন্ট করপোরেশন ৭.৬৪ একর, কেওয়া মৌজার মিতা টেক্সটাইল ২.২০ একর, মেঘনা কম্পোজিট ৪০ শতাংশ, জোবায়ের স্পিনিং এক একর, ওমেগা সুয়েটার এক একর, সোলার সিরামিকস ৯০ শতাংশ, ইকো কটন ৪.৮৬ একর, ভাওয়াল ইন্ডাস্ট্রিজ দুই একর, অনটেক লিমিটেড ৪.৯৪ একর, হাউআর ইউ টেক্সটাইল এক একর, অরণ্যকুটির ২.২২ একর, উইষ্টেরিয়া টেক্সটাইল ৫.৩৩ একর, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল দুই একর, এপেক্স নিট কম্পোজিট ১১.৬২ একর, গ্রেটওয়াল সিরামিকস ৭.৩৮ একর, টেপিরবাড়ি মৌজায় ডিবিএল গ্রুপ ছয় একর, তেলিহাটি মৌজায় কুঞ্জু বিথি এক একর, আলিফ অটো ব্রিকস ৭০ শতাংশ, টেপিরবাড়ী মৌজায় চায়না বাংলা প্যাকেজিং এক একর, প্রাইম ফার্মাসিউটিক্যালস ৭৬ শতাংশ, এইচ এস অ্যাগ্রো দেড় একর, রেক্স অটো ব্রিকস এক একর ৭০ শতাংশ, টেংরা মৌজায় শিশুপল্লী প্লাস সাড়ে ১২ একর, মম পোলট্রি ৭০ শতাংশ ও ওয়ারবিট স্টিল বিল্ডিং দুই একর বনের জমি দখল করেছে। পেলাইদ মৌজায় সিসিডিভি পাঁচ একর, সাইটালিয়া জামান পোলট্রি দুই একর, মাওনা মৌজার মনো ফিড ২.২৫ একর, এইচ পাওয়ার লিমিটেড ৩৩ শতাংশ, হোম ডিজাইন ১.২২ একর ছাড়াও বিবিএস কেবল, দি সোয়েটার, ইকো কটন মিলস, সিটিসেল লিমিটেডও বনের জমি দখল করেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলায় বনভূমি দখলে সবচেয়ে এগিয়ে পারটেক্স গ্রুপ। পারটেক্স কটন লিমিটেড সদর উপজেলার ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান রেঞ্জের বাহাদুরপুর মৌজায় সিএস ২৫৪, ২৮৯, ২৯৪ ও ৩০০ নম্বর দাগে ১১.৬৭ একর, পারটেক্স হোল্ডিংস লিমিটেড একই মৌজার সিএস ২০৮, ৫৮৫, ২০৮ ও ৫৮৬ নম্বর দাগে ৫.০৯ একর, আম্বার ডেনিম লিমিটেড আড়াইশ প্রসাদ মৌজায় আরএস ৮ থেকে ১৮ এবং ২৮ থেকে ৩২ নম্বর দাগে ২৬.২৪ একর মিলিয়ে ৪৩ একর বনভূমি দখলে রেখেছে। তবে এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি পারটেক্স গ্রুপের কোনো কর্মকর্তা। মণিপুর এলাকায় বোকরান মণিপুর মৌজায় সিএস ৪২৮ ও ৫৯৮  নম্বর দাগে ৬.৫৭ একর সংরক্ষিত বনভূমি দখল করেছে সান পাওয়ার সিরামিকস লিমিটেড। এসব বনভূমি উদ্ধার করতে ২০০৭, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে উচ্ছেদ মামলা করা হয়।

বনভূমি দখল প্রসঙ্গে সান পাওয়ারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম ভূঞা বলেন, কারখানার জমির এসএ ও আরএস রেকর্ড আমাদের নামে। কিন্তু শুধু গেজেটে নাম থাকায় বন বিভাগ ওই জমি তাদের দাবি করছে। কারখানাটি বিদেশি বিনিয়োগে স্থাপিত। বনের দাবি করা জমির সমপরিমাণ জমি অন্যত্র কিনে বনায়ন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।’

বোকরান মণিপুর মৌজায় সিএস ৫৯৮ নম্বর দাগে ফু-ওয়াং সিরামিক ও ফু-ওয়াং ফুডের দখলে রয়েছে ৪.৪০ একর সংরক্ষিত বনভূমি। ২০০৭ সালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উচ্ছেদ মামলা করে বন বিভাগ। কিন্তু ওই সময় দায়সারা মামলা করায় আজও জমি উদ্ধার হয়নি। এ প্রসঙ্গে ফু-ওয়াং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে বনের কোনো জমি নেই।’

এ ছাড়া প্যানাস অটোক্রিয়েশ গার্মেন্টস, ম্যাগডোনালস বাংলাদেশ, হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, এনএজেড গার্মেন্টস বাংলাদেশ, ওয়ান্ডার ল্যান্ড টয়েস, বেন্টলী সুয়েটার, ওয়ান ডেনিম, ওয়ান স্পিনিং মিলস, এমআই ইয়ার্ন ডাইং, শরীফ বাড়ি খামার ও রেস্ট হাউস, ইপিলিয়ন স্টাইল, এটলাস ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, এবি সিদ্দিক পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ, বেন ফিক্সস্টীল বিল্ডিং ডেভেলপমেন্ট, এসএম নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ, বিডি কালেকশন, বাংলাদেশ মেইজপ্রডাক্ট, ইভিল টেক্স, তিতাস স্পিনিং, বেঙ্গল গার্মেন্টস, মালা পোলট্রি ফার্ম, মাসকাত পোলট্রি ফার্ম, টিএস ট্রান্সফরমার, ন্যাশানাল ফিড, মডার্ন ফিড, লিথি গ্রুপ, প্যারাগন পোলট্রি, স্কিন গ্রাফ, গর্ডন স্টিল মিলস, মোশারফ কম্পোজিট, প্যাকলাইন, আর্টিসান সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বিটি লিমিটেড, মিলেনিয়াম স্টিল মিলস লিমিটেড, কুইন্স পোলট্রি ফার্ম লিমিটেড, অমনী অ্যাগ্রো কমপ্লেক্স, ঢাকা ফিশারিজ, রেডিয়াম এক্সেসরিজ, নির্জনা অ্যাপারেলস, গোলাম কিবরিয়া মৎস্য খামার, ইনডেক্স কনস্ট্রাকশন, সাহাবা ইয়ার্ন, এটিআই সিরামিক, গিভেন্সি ডেনিমস, খোরশেদ আলম অ্যাগ্রো কমপ্লেক্স, বেঙ্গল হরিকেন ডাইং প্রিন্টিং লিমিটেড, নেসলে বাংলাদেশ এবং আদি অ্যাগ্রো ফার্মের দখলে রয়েছে কোটি কোটি টাকার বনভূমি।

কালিয়াকৈর সোহাগ পল্লী রিসোর্ট, চন্দ্রা বিটের কালামপুর এলাকার রাঙ্গামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট ও চন্দ্রার শিল্পী কুঞ্জ, কোকোলা ফুড প্রডাক্টস, কৌচাকুড়ি মৌজায় সিএস ৯৪২ নম্বর দাগে ১৫.০৫ একর বনভূমিতে ঘরবাড়ি বানিয়ে দখল করে রাখা হয়েছে। এসব বনভূমি উদ্ধার করতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে উচ্ছেদ মামলার প্রস্তাব দেওয়া হয়। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, গাজীপুরে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে হাজার হাজার একর বনভূমি জবরদখল হয়েছে। বন বিভাগ উচ্ছেদ মামলা করলেও নানা কারণে অভিযান এগোয়নি। বন বিভাগের পক্ষ থেকেও জোরালো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। গত ১৭ এপ্রিল থেকে উচ্ছদ অভিযান শুরু হয়েছে। শ্রীপুর ও সদর উপজেলায় ৮.৭৯ একর বনভূমি উদ্ধার হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

বন বিভাগের বক্তব্য

বিবিএস কেবলের বনভূমি দখল প্রসঙ্গে শ্রীপুর ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান বলেন, বনভূমি দখলে বন বিভাগের নতুন যে তালিকা করা হয়েছে সেটিতে বিবিএস কেবলসও রয়েছে। সেখানে উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই উচ্ছেদ করে জমি পুনরুদ্ধার করা হবে।’

বনভূমি দখল প্রসঙ্গে ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুল হোসেন বলেন, এসব জমি অনেক আগে দখল হয়েছে। গত কয়েক বছরে নতুন করে কোনো দখল হয়নি। এরই মধ্যে বন বিভাগ নিজস্ব উদ্যোগে শতাধিক বিঘা জমি উদ্ধার করে বনায়ন করেছে। তা ছাড়া দখল করা জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। যৌথভাবে উচ্ছেদ অভিযানও শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব জমি উদ্ধার করে বনায়ন করা হবে।’

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমীন আক্তার বলেন, দখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে উচ্ছেদ মামলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তালিকা ধরে উচ্ছদ কার্যক্রম চলছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’


আরও খবর



পশ্চিমবঙ্গের ৭ জায়গায় তাপমাত্রা ছাড়াল ৪০ ডিগ্রি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের সাত জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কোথাও তাপমাত্রা উঠেছে ৪২ ডিগ্রির বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড়ে। সোমবার ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে।

অধিদপ্তর জানায়, পানাগড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পানাগড় ছাড়াও আরও ছয় জায়গায় দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছিল। মেদিনীপুরে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বর্ধমানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ব্যারাকপুর ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়ায় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কলাইকুণ্ডায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনের তাপমাত্রা।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুষ্ক পশ্চিমা এবং উত্তর-পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। ১৫ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে। আগামী চার-পাঁচ দিন পশ্চিমবঙ্গে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে।

এছাড়া উপকূলবর্তী অঞ্চলে বাতাসে আর্দ্রতা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ থাকতে পারে।


আরও খবর



টানা ছয় দফা কমলো সোনার দাম

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

টানা ছয় দফা সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবশেষ ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১১৫৫ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ক‌মে হ‌চ্ছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোনার ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৩, ২৪, ২৫, ২৭ ও ২৮ এপ্রিল সোনার দাম কমায় বাজুস। ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা ও ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা কমানো হয়।

তার আগে অবশ্য টানা তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল। গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দা‌ম বা‌ড়িয়ে‌ছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা।


আরও খবর