আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

১০ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার বিশ্বরেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আইল অব ম্যান, এই নামে একটি দেশ আছে হয়তো অনেকেই জানে না। এরা আবার ক্রিকেটও খেলে। তবে মাঠে নেমে লজ্জার এক রেকর্ড গড়ল দলটি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন স্কোর করেছে তারা। স্পেনের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১০ রানে অলআউট হয়ে গেল আইল অব ম্যান!

স্বীকৃত যেকোনো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসেও এটা কোনো দলের সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড। গতকাল সিরিজের ষষ্ঠ ও শেষ টি-টোয়েন্টিতেই এই বাজে রেকর্ডটি হলো দলটির।

এত দিন স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি সবচেয়ে কম রানের দলীয় ইনিংসটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশের দল সিডনি থান্ডারের। গত বছর অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ১৫ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। তবে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটি তুরস্কের। চেক প্রজাতন্ত্রের কাছে ২০১৯ সালে রোমানিয়া কাপে ২১ রানে অলআউট হয়েছিল তারা।

আইল অব ম্যান অবশ্য ১০ রান করার জন্য ৮.৪ ওভার খেলেছে। এত অল্প রানে তাদের আটকে দিতে হ্যাটট্রিকসহ ৪ উইকেট নিয়েছেন স্পেনের মোহাম্মদ কামরান। ৪ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ৪টি। ৪ ওভার বল করে ৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন স্পেনের আরেক বোলার আতিফ মেহমুদও। ৪ বল করে কোনো রান না দিয়ে ২ উইকেট লর্ন বার্নসের।

যেখানে রান তাড়া করতে নেমে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে একদমই সময় নেয়নি স্পেন। ০.২ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা। ওপেনার আওয়াইস দুটি ছয়ে করেছেন ১২ রান।

২০০৪ সালে আইল অব ম্যান আইসিসির অধিভুক্ত হয়েছে আর সহযোগী সদস্যপদ পায় তারা ২০১৭ সালে। দেশটির অবস্থান ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের মাঝামাঝিতে। বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টির ইউরোপের উপ-আঞ্চলিক বাছাইপর্বে খেলে আইল অব ম্যান। তবে তারা বৈশ্বিক বাছাইপর্বে উঠতে পারেনি এখনও।


আরও খবর



বড় চমক রেখে দল ঘোষণা করলো বিসিবি

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টানা তিন জয়ে ইতোমধ্যেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। প্রথম তিন ম্যাচ চট্টগ্রামে হলেও সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মিরপুরে। উক্ত সিরিজের জন্য প্রথম তিন ম্যাচের দল ঘোষণা করেছিল বিসিবি। বুধবার (৮ মে) বাকি দুই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে বিসিবি।

নতুন ঘোষিত দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার এবং মুস্তাফিজুর রহমান। দলে নেই আফিফ হোসেন, পারভেজ হোসেন ইমন ও পেসার শরিফুল ইসলাম।

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে বাজে সময় পার করা লিটন দাসকে বাকি দুই ম্যাচের দলেও রেখেছে বিসিবি। সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাজেভাবে আউট হয়ে চরম সমালোচনার শিকার হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ধারণা করা হচ্ছিল, বাকি দুই ম্যাচের দলে হয়তো রাখা হবে না লিটনকে।

১০ মাস পর দলে ফিরেছেন তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। চোটের পুনর্বাসনের কারণে দলে ছিলেন না সৌম্য সরকার। বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে টাইগারদের সর্বশেষ সিরিজে তারা ফিরেছেন। আগামী ১০ ও ১২ মে মিরপুর শের-ই বাংলায় চতুর্থ ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, সৌম্য সরকার, তানভীর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।


আরও খবর



বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আমরা সরকারে ছিলাম না। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। আমাদের দেশের মানুষ প্রাথমিক যে স্বাস্থ্যসেবা পাবে সেই সুযোগটা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে আমাদের জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে আসে।

বুধবার (১৫ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আইসিপিডি থার্টি গ্লোব্যাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভলডমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতির পিতার নেওয়া পদক্ষেপ অনুসরণ করে সবার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নতুন জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করি। বিশেষ করে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর জন্য সারা দেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন কাজ শুরু করি। সেই সময় জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে আমরা বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করি। নারী শিক্ষা বিস্তার এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে ছিল আমাদের আন্তরিক প্রয়াস।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার নিদের্শে ৭৩-৭৮ সাল পর্যন্ত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল কাউন্সিল কমিশন গঠন করেন। জাতির পিতাকে হত্যা করার পরে এদেশে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর আমরা আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনের ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি ২০১২ প্রণয়ন করি। মাতৃমৃত্যু ও নবজাতক মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু-কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প আবারও চালু করি। বর্তমানে সারা দেশে সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এগুলোর মাধ্যমে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০টি অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার ক্লিনিকে স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্স সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন ৩ হাজার ২৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র/পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক হতে মা, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২০০টি কেন্দ্র থেকে সার্বক্ষণিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রসূতিসেবা প্রদানের জন্য এসব কেন্দ্রে চারজন করে ধাত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমি ৩০ হাজার ধাত্রী নিয়োগের অঙ্গীকার করেছিলাম। এর ধারাবাহিকতায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে আমি আশা করি।

শেখ হাসিনা বলেন, মাতৃ স্বাস্থ্যসেবায় জরুরি প্রসূতি সেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। মা টেলিহেলথ সার্ভিস’-এর মাধ্যমে প্রসূতি মায়ের গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৩ লাখ উপকারভোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা, শপিংমল, রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি কর্মস্থলে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র’ স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে এসব উদ্যোগের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যু হার প্রতি হাজারে ২১ জন; যা ২০০৬ সালে ছিল হাজারে ৮৪ জন। একইভাবে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ২০০৬ সালের ৩৭০ জন থেকে ১৩৬ জনে হ্রাস পেয়েছে।


আরও খবর



বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় চেতনানাশক দিয়ে দুর্ধর্ষ চুরি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বেমরতা ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন টগরের বাসায় চেতনা নাশক স্প্রে দিয়ে দুর্ধর্ষ চুরি ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) গভির রাতে বাগেরহাট শহরের আমলাপাড়া এলাকার বাসায় এই চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা ঘরের জানালার গ্রীল ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। খবর পেয়ে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

স্থানীয়রা জানান, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বেমরতা ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন টগরের স্ত্রী মুক্তা খানম আমলাপড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাকতা করেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হলে শিক্ষকরা তার বাসায় গিয়ে দেখে দরজা খোলা অবস্থায় আছে। পরে তারা স্থানীয়দের সহায়তায় চেয়ারম্যান দম্পতিকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন।

মনোয়ার হোসেন টগর জানান, প্রতিদিনের মত তারা রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কোন এক সময় চোরেরা চেতনা নাশক স্প্রে দিয়ে ঘরের জানালার গ্রীল ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় তারা বিভিন্ন আসবাবপত্র তছনছ করে আলমিরাতে থাকা নগদ ২ লক্ষ টাকা এবং প্রায় ৩ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মোঃ সাইদুর রহমান জানান, ঘটনাটি জানার পর পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দারের বৃদ্ধাশ্রমে ‘টর্চার সেল’ আবিষ্কার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মানুষের দানের টাকায় নির্মাণ করা বৃদ্ধাশ্রমের মধ্যেই তিন কক্ষ বিশিষ্ট টর্চার সেল গড়ে তুলেছেন মিল্টন সমাদ্দার। চাইল্ড এন্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের প্রতিষ্ঠানের ভবনের ওই টর্চার সেলে মানুষকে ধরে নিয়ে পেটানো হয় নির্মমভাবে। টর্চার সেলের মধ্যে মানুষ পেটানোর জন্য রয়েছে নানা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। সেলের মধ্যে নির্যাতনের একাধিক ঘটনা উঠে এসেছে অনুসন্ধানে। সেখানে কিভাবে নির্যাতন চালানো হয় সেই বর্ণনা দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার হওয়া একাধিক ব্যক্তি।

সর্বশেষ গত ঈদুল ফিতরের আগের দিন ১০ এপ্রিল সাভারের কমলাপুর এলাকার বাহেরটেকে নিজের কেনা জমি দেখতে গিয়ে বেধড়ক মারধরের স্বীকার হন মো. সামসুদ্দিন চৌধুরী নামের ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মেয়ে এবং মেয়ের জামাই। বাধা দিতে গিয়ে মারধরের স্বীকার হন তারাও। মারধরে মেয়ের জামাই ফয়েজ আহমেদের হাতের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায় এবং সামসুদ্দিন চৌধুরীর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। সামসুদ্দিনের মেয়ে সেলিনা বেগমও মারধর থেকে রক্ষা পাননি। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে প্রায় এক ঘণ্টা পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে ভুক্তভোগী সেলিনা বেগম জানান, আমাদের জমি সে কম দামে ক্রয় করতে চেয়েছে। জমি না বিক্রি করায় সে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। মিল্টন সরকারি রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছে। যে কারণে আমাদের গাড়ি যাচ্ছিল না। পরে সরকারি রাস্তায় বেড়া দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করে। এরপর আমার বাবা আর স্বামীকে মিল্টনের আশ্রমের ভেতরে নিয়ে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখে। ওখানে ৩টা রুম পাশাপাশি, একটা দিয়ে আরেকটায় যাওয়া যায়। রুমের মধ্যে অনেক লাঠিসোঁটা, পাইপ ও ছুরি ছিল। পাইপ দিয়ে একজনের পর একজন করে পেটাতে থাকে। মিল্টন নিজেও একটু পরপর এসে মারধর করে। আমি তখন মিল্টনের পায়ে ধরে আমার স্বামী ও বাবাকে ছেড়ে দিতে বললে আমাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে লোকজন এগিয়ে এলে আমাদের ছেড়ে দেয়।

মিল্টন সমাদ্দার নিজেকে মানবতার ফেরিওয়ালা এবং বয়স্কদের সেবা করার দাবি করলেও নিজের হাতেই বৃদ্ধদের নির্যাতন চালান তিনি। এমনকি হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকেও কোনো দয়া দেখায়নি এ কথিত মানবতার ফেরিওয়ালা।

মিল্টনের হাতে মারধরের শিকার ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ বলেন, আমার হার্টে রিং বসানো; আমার স্ত্রী এটা বারবার তাদের বলে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা আমার বুকে দফায় দফায় লাথি মারে। আমার স্ত্রী মিল্টনের হাতে-পায়ে ধরলেও কাজ হয়নি।

মানবসেবার নামে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানে মানুষকে নির্যাতনের জন্য মিল্টন সমাদ্দারের রয়েছে বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী। যাদের মানুষের দানের টাকা দিয়ে পেলেপুষে রাখেন মিল্টন সমাদ্দার। জমি দখল ও নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে এই বাহিনীকেই ব্যবহার করেন তিনি।

ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ আরও জানান, মিল্টন সমাদ্দার নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। যাদের মাসিক ভাতাও দেওয়া হয়। এই সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন জমি দখল ও আধিপত্য বজায় রাখে।

আরেক ভুক্তভোগী হেমন্ত রোজারিও জানান, আমি গরিব মানুষ। মিল্টন আমার জমি কিনতে চাইছে। আমি বেচি নাই। আমার জমি জোর করে দখল করে একটা ঘর বানাইছে। বাধা দেওয়ায় আমারে ধইরা মারছে। পরে আমারে বলছে, তুই ওই জমিতে আসবি না। এলে তোরে মাইরালামু।

নন্দন রোজারিও নামের আরেক ব্যক্তি জানান, ওকে এখানে আশ্রম বানাতে আমরাই সাহায্য করেছি। আমার জায়গায় জিনিসপত্র রেখে আশ্রমের কাজ করেছে। ভালো কাজ করে বলে আমরা কিছু বলিনি। পরে দেখি এসবের আড়ালে তার অন্য উদ্দেশ্য। তিনি এখানকার খ্রিস্টানদের জমি দখলের উদ্দেশ্যে এসেছে। কেউ জমি বেচতে না চাইলেই তার ওপরে নেমে আসে নির্যাতন। ওর লোকজন তাকে মারধর করে।

মিল্টনের মারধরের হাত থেকে রক্ষা পায়নি তার জন্মদাতা পিতাও। ২০০১ সালে নিজের পিতাকে বেধড়ক মারধর করে মিল্টন। সেই ঘটনার জেরে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল বলে এলাকাবাসীরা জানান।

মিল্টন সমাদ্দারের গ্রামের শাহাদাত হোসেন পলাশ নামে একজন জানায়, মিল্টন সমাদ্দার তার বাবাকে বেধড়ক মারধর করে। এ কারণে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে সে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে ওঠে। এখন শুনতাছি, ও না কি মানবতার ফেরিওয়ালা। এটা শুনে আমরা আশ্চর্য হয়েছি।

বরিশালে চন্দ্রকোনা খ্রিস্টান মিশনারি চার্চ’ দখল চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে। দখলের উদ্দেশ্যে তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিল-স্বাক্ষর জাল করে চার্চের নতুন কমিটি গঠন করে বরিশাল জেলা প্রশাসকে একটি চিঠি দেন। ওই কমিটিতে সভাপতি করা হয় মিল্টন সমাদ্দারকে। কমিটির বাকি সদস্যদের প্রায় সবাই মিল্টনের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না চার্চের দায়িত্বরত যাজকরা। পরে তারা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে মন্ত্রণালয় থেকে তাদের জানানো হয়, এ ধরনের কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি। এরপর তারা কোর্টে মামলা করলে কোর্ট জালিয়াতি করে চার্চ দখল করতে চাওয়া ব্যক্তিদের ওই চার্চের সীমানায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন।

হেনসন দানিল হাজরা নামে এক সহকারী যাজক বলেন, চার্চ দখল করার জন্য আমাকে গুম করে যাজকদের নামে মামলা দিয়েছিল মিল্টন। মামলায় আমি গুম হয়ে গেছি দেখানো হয়। আসামি করা হয় আমার সহকর্মীকে। আমার বাবাকে ম্যানেজ করে মিল্টন এ কাজ করে। তারা আমাকে গুম করে ফেলতে চেয়েছিল; কিন্তু পারেনি। পরে আমি পালিয়ে এসপি অফিসে হাজির হয়ে জানাই, আমি গুম হইনি।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিল্টন ও তার বড় ভাই মোল্লা বাড়ির ব্রিজের ওপরে মসজিদের পাশে আমাকে একবার বেধড়ক মারধর করেন।

অন্য আরেক যাজক বলেন, এই চার্চ দখল করার জন্য মিল্টন সমাদ্দার আমাদের শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করেছে। মারধর করেছে। আমাদের নামে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। যদিও সব মামলাই কোর্টে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



বাগেরহাটে বজ্রপাতে দুই শ্রমিক নিহত, আহত ৬

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটে বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও ছয় শ্রমিক। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি এলাকায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-মোস্তফা (৫৫) এবং মিলন (৩৫)। তাদের বাড়ি বাগেরহাট ও পিরোজপুরে।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস জানান, বজ্রপাতে আহত মোট আটজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরমধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বজ্রপাতের পর ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্য আহত ছয়জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা শঙ্কামুক্ত।

শরণখোলা থানার ওসি বলেন, বজ্রপাতের ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬ জন। আহতদের শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।


আরও খবর