আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

২০ প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি সোনালী ব্যাংক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শীর্ষ ২০ খেলাপি প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক। ঋণের অর্থও আদায় হচ্ছে না, আবার অর্থ আদায়ে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থাও নিতে দেখা যাচ্ছে না। ফলে মন্দ ঋণের বোঝা চেপে বসেছে ব্যাংকটির ঘাড়ে। দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নানা অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে দেওয়া এসব ঋণ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারলে অনিয়ম কিছুটা কমে আসবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, এটা অনেক পুরোনো এবং পাতানো খেলা। এর সঙ্গে ব্যাংকের পর্ষদ, ব্যাংকার ও সরকার জড়িত। সব জায়গায় একটা অসাধু চক্র থাকে। তারাই এই অপকর্ম করে। শুধু সোনালী ব্যাংক নয়, পুরো ব্যাংকিং খাতে এ চিত্র। ঋণ পুনঃতপশিলের পাশাপাশি অর্থঋণ আদালতেও আটকে আছে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ। যদিও সব সময় বলে থাকি প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৪ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু মামলা চলমান থাকায় এসব টাকাকে খেলাপি বলা যাচ্ছে না। পুরো টাকাই বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। এ টাকা আদায়ের সম্ভাবনা নেই। তবুও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে এসব টাকা আদায়ের চেষ্টা করতে হবে।

সোনালী ব্যাংকের হালনাগাদ এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৭২১ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ২০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এর মধ্যে শীর্ষ ২০ খেলাপির কাছেই পাওনা ৪ হাজার ৮৩ কোটি টাকা, যা মোট খেলাপির ৩৮ শতাংশ। চলতি বছরে এসব বড় খেলাপির কাছ থেকে ঋণ আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ২৩২ কোটি টাকা। কিন্তু জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত শীর্ষ ১৬ খেলাপি প্রতিষ্ঠান থেকে এক টাকাও আদায় হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে হলমার্ক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মেসার্স টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের ৪৯০ কোটি টাকা, মেসার্স হলমার্ক গ্রুপের ৪৮৪ কোটি টাকা, তাইপে বাংলা ফেব্রিক্সের ৩৩২ কোটি টাকা, মেসার্স ফেয়ার অ্যান্ড ফেব্রিক্সের ৩১৬ কোটি টাকা, মেসার্স রহমান গ্রুপের ৩১৪ কোটি টাকা, মেসার্স লীনা গ্রুপের ২১৫ কোটি টাকা, রতনপুর স্টিল রিরোলিং মিলসের ১৮২ কোটি টাকা, মেসার্স মেঘনা কনডেন্স মিল্কের ১৩১ কোটি টাকা, মেসার্স সোনালী জুট মিলের ১২৭ কোটি টাকা, মেসার্স এ কে জুট ট্রেডিংয়ের ১১৭ কোটি টাকা, মেসার্স ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ১১৬ কোটি টাকা, মেসার্স সুপ্রিম জুট অ্যান্ড নিটেক্সের ১০৬ কোটি টাকা, মেসার্স ইস্টার্ন ট্রেডার্স ৯৩ কোটি টাকা, ফারুক ডাইং নিটিং অ্যান্ড ম্যানুফেকচারিংয়ের ৯০ কোটি টাকা, মেসার্স সানবীম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ৮৬ কোটি টাকা এবং মেসার্স সাইয়ান করপোরেশনের ৭৬ কোটি টাকা। তবে এ সময়ে বাকি চার খেলাপি প্রতিষ্ঠান থেকে আদায় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ০.৪৩ শতাংশ মাত্র।

এদিকে ঋণ অবলোপন থেকে আদায় পরিস্থিতি আরও খারাপ। সোনালী ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী শীর্ষ ২০ গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের ঋণ অবলোপন করা হয়েছে ২ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে গত ৮ মাসে ১৮ প্রতিষ্ঠান এক টাকাও ফেরত দেয়নি। বাকি দুই প্রতিষ্ঠান থেকে আগস্ট পর্যন্ত আদায় হয়েছে মাত্র ১৮ কোটি টাকা, যা বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ৬.৮৬ শতাংশ।

প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, বহুল আলোচিত হলমার্ক গ্রুপের ১ হাজার ২২৯ কোটি টাকা অবলোপন করেছে সোনালী ব্যাংক। তবে গত ৮ মাসে আদায় হয়নি এক টাকাও। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল করপোরেট শাখা থেকে জালিয়াতি হওয়া এসব টাকার পুরোটাই এখন আদায় অনিশ্চিত। নারায়ণগঞ্জ করপোরেট শাখার গ্রাহক মেসার্স নিউ রাখী টেক্সটাইল মিলসের ১২৩ কোটি টাকা অবলোপন করা হয়েছে। এর বিপরীতে কোনো টাকাই ফেরত আসেনি। কাগজে-কলমে রয়ে গেছে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা। চলতি বছরে এই গ্রাহক থেকে ১২ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল সোনালী ব্যাংক। কিন্তু ৮ মাস পার হয়ে গেলেও আদায়ের তালিকা শূন্য। এছাড়া আগ্রাবাদ করপোরেট শাখার গ্রাহক মেসার্স জাসমির ভেজিটেবল অয়েলের অবলোপন ১০৬ কোটি টাকা। ১০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত কোনো টাকা আদায় হয়নি। একই অবস্থা ৯৬ কোটি টাকা অবলোপন করা রমনা করপোরেট শাখার গ্রাহক মেসার্স ফেয়ার এক্সপোর। কোনো টাকা ফেরত নেই। অবলোপনের এক টাকাও ফেরত না দেওয়া গ্রাহকের তালিকায় আরও রয়েছে মেসার্স আলফা টোবাকো। যশোর করপোরেট শাখার এই গ্রাহকের অবলোপনের পরিমাণ ৯৬ কোটি টাকা। ঢাকার স্থানীয় কার্যালয়ের গ্রাহক মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলসের অবলোপন করা হয়েছে ৯৪ কোটি টাকা। কিন্তু ফেরত আসেনি এক টাকাও। ফরিদপুর শাখা মেসার্স রোকেয়া টেক্সটাইল মিলসের ৮৩ কোটি টাকা অবলোপন করা হলেও তিনি কোনো টাকা ফেরত দেননি গত ৮ মাসে। নারায়ণগঞ্জ করপোরেট শাখার গ্রাহক মেসার্স সাহিল ফ্যাশন লিমিটেড। ১৮ কোটি টাকা অবলোপনের বিপরীতে ৮ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত কোনো টাকা আদায় নেই। আগ্রাবাদ করপোরেট শাখার অপর গ্রাহক মেসার্স ইমাম ট্রেডার্স। ৮০ কোটি টাকা অবলোপন করা হয়েছে এই গ্রাহকের। তবে আদায় হয়নি কোনো টাকা। এছাড়া মেসার্স সুমিস সোয়েটার, মেসার্স ইউনিটি নিটওয়্যার, মেসার্স সিদ্দিক ট্রেডার্স, মেসার্স কেপিএফ টেক্সটাইল, মেসার্স মুন নিটওয়্যার, মেসার্স এআর খান সাইজিং অ্যান্ড ফেব্রিক্স, মেসার্স সাহিল নিটওয়্যার, যাদু স্পিনিং মিলস এবং মাস্ক সোয়েটার অবলোপন করা ঋণের কোনো টাকা ফেরত দেয়নি। তবে মেসার্স ইম্পেরিয়াল ডাইয়িং অ্যান্ড হোসিয়ারি লিমিটেড এবং মেসার্স রিভারসাইড লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার লিমিটেড ফেরত দিয়েছে ১৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আতাউর রহমান প্রধান বলেন, ছোট গ্রাহকের ঋণ ফেরত আসছে। এছাড়া বড়দের মধ্যে একটি অংশ ভালো। এর বাইরে নতুন ঋণও নিয়মিত আছে। কিন্তু পুরোনো এবং ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা সবচেয়ে বিপজ্জনক। এটি সবাই জানেন। তবে ঋণ আদায়ে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির সংজ্ঞা নির্ধারণ নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর হয়তো কোনো একটা সমাধান বেরিয়ে আসবে।


আরও খবর



গাজায় নিহতদের ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

জাতিসংঘ বলছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের অন্তত ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। বুধবার (১৫ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

জাতিসংঘ বলছে, গাজা যুদ্ধে নিহত হাজার হাজার মানুষের মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলের নিরলস আগ্রাসনে অন্তত ৩৫ হাজার ১৭৩ জন নিহত হয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ, ২০ শতাংশ নারী এবং ৩২ শতাংশ শিশু এবং ৮ শতাংশ বয়স্ক মানুষ রয়েছেন।

মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, নতুন এই পরিসংখ্যাটি এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা তথ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক’।

তিনি জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের ক্ষেত্রে একই অনুপাত প্রয়োগ করলে এবং নিহত বয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক নারী হলে এটা আশা করা যেতেই পারে যে, নিহত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু’ রয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান বলেছেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ১৯০ জনেরও বেশি জাতিসংঘ কর্মী নিহত হয়েছেন।

ক্যাথরিন রাসেল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, সেবা করার সময় মানবতাবাদীদের অবশ্যই সবসময় সুরক্ষিত রাখতে হবে।’


আরও খবর



ডোমারে রেললাইনে কাটা পড়লো নেশাগ্রস্থ যুবক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

নীলফামারীর ডোমারে বাড়ির পাশে রেললাইনে বসে মাদক সেবনরত অবস্থায় সাদ্দাম হোসেন(২৩) নামের এক যুবক ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছে।

মরদেহের পাশে পড়ে রয়েছে নেশার সরঞ্জাম সলিউশন আঠাঁর কৌটা। সাদ্দাম ওই এলাকার তেলিপাড়ার মৃত আবু হানিফার ছেলে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ডোমার রেল স্টেশনের তিন কিলোমিটার উত্তরে হাজিপাড়া রেলক্রসিং এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রাতে চিলাহাটি হতে খুলনাগামী সীমান্ত ট্রেনে কাটা পড়ে সাদ্দাম হোসেন ঘটনাস্থলে মারা যায়। সে সময় সে রেললাইনে বসে ক্যামিক্যাল আঠা(ডান্ডি) নেশা করেছিল। নেশার কারণে আগে থেকেই মানষিক ভারসাম্যহীন ছিলো সাদ্দাম।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা ওসি নুরুল ইসলাম জানান, নিহত সাদ্দাম মানষিক ভারমাস্যহীন ছিল। আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



মেহেরপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

আজ মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুর ১২ টার দিকে মেহেরপুর ও মুজিবনগর নির্বাচন অফিস থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯৪ টি কেন্দ্রে ২ লাখ ১৮ হাজার ৮শ' ৪ চারজন ভোটার রয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আনারুল ইসলাম (মোটরসাইকেল), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন (কাপ পিরিচ),আব্দুল মান্নান (ঘোড়া) ও মোঃ হাসেম আলী (আনারস) প্রতীক পেয়েছেন।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম (চশমা) ও মোহাম্মদ শাহিন (টিউবওয়েল), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপচেলা চেয়ারম্যান লতিফন নেছা লতা (বৈদ্যুতিক পাখা), সামিউন বাশিরা পলি (হাঁস) এবং রোমানা আহমেদ (কলস) প্রতীক পেয়েছেন।

এদিকে মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৫ টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ৮৫ হাজার ২শ' ৫৯ ভোটার রয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন রফিকুল ইসলাম তোতা (কাপ পিরিচ), আমাম হোসেন মিলু (আনারস), উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুল হাসান চাদুঁ (ঘোড়া), এবং মাহবুবুর রহমান (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বিএম জাহিদ হাসান (টিউবওয়েল) ও মতিউর রহমান (চশমা), মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন (ফুটবল) ও যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী তকলিমা খাতুন (কলস) প্রতীক পান।

মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসার মো: ওয়ালি উল্লাহ জানান, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচন এ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে আশা করছি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সট-মোঃ শামিম হাসান, জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মেহেরপুর।


আরও খবর



এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (৫ মে) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ভবনটির উদ্বোধন করেন তিনি।

উদ্বোধন শেষে প্যাথলজি ঘুরে ঘুরে দেখেন। এর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম সেনা প্রাঙ্গণ’ ভবনের উদ্বোধন করেন তিনি।


আরও খবর



জয়পুরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই সমর্থককে কুপিয়ে জখম

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের দুই সমর্থকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের বারইল নলপুকুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, বারইল নলপুকুর গ্রামের মৃত বাদেশ সাখিদারের ছেলে পলাশ সাখিদার (৩৮) এবং একই গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে নাসির হোসেন (৩২)। তারা দুজনই চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বারইল নলপুকুর গ্রামে চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে এশার নামাজ চলাকালীন সময় প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী তাইফুল ইসলাম তালুকদার ও বকুল মণ্ডলের লোকজন পটকা ফাটায়। এ নিয়ে দুলাল মিয়া সরদারের সমর্থক পলাশ তাদের নিষেধ করলে তারা পলাশকে মারধর করে। পরে পলাশ তার বাড়ির সামনে গিয়ে তাদের উপর আঘাত করতে চাইলে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জখম করে।

এ সময় নাসির হোসেন নামে আরও একজন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার বলেন, আমি আহতদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদারকে কয়েকবার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আমি হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের খোঁজখবর নিয়ে নিজে ঘটনাস্থলে এসেছি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। তবে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।


আরও খবর