আজঃ মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

তিস্তার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই, বন্যার পূর্বাভাস

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমে ভারী বৃষ্টির প্রভাবে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। ইতোমধ্যে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং চরাঞ্চলে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ, তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য বলছে, আজ শনিবার সকাল ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচে। ডালিয়া পয়েন্টেও মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নদীর পানি প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই দিন সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কাউনিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে তিস্তার পানি বাড়ায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি, খুনিয়াগাছ, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, গোবর্ধন, সর্দারপাড়া, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, পাটিকাপাড়া, সিংগীমারী এবং সিন্দুর্না ইউনিয়ন এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নবাসী জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা হলে নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এতে চিনাবাদাম ও বিভিন্ন শাকসবজিসহ ফসলেরও ক্ষতি হবে। আর কাউনিয়ার চরগনাই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার ভোর থেকে পানি বাড়ছে এবং আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। আমরা আতঙ্কে আছি। ঈদের আগে যদি আমাদের ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়, তাহলে আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়ব। বড় কষ্ট হবে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, আগামী ৫ দিনে দেশের উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী এবং কিছু স্থানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ইত্যাদি নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তিস্তা নদীর কিছু পয়েন্টে স্বল্প মেয়াদে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।


আরও খবর



আজ ৬৯ ট্রেনে ঢাকা ছাড়বে দেড় লাখ মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ যাত্রার চতুর্থ দিনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২টি স্পেশালসহ মোট ৬৯টি ট্রেন ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার। এসব ট্রেনে এক থেকে দেড় লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়তে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আজ (শনিবার) ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ১২ জুন থেকে এবারের ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। গত তিন দিনে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের গন্তব্যে যেসব ট্রেন আমরা পরিচালনা করেছি সেসব ট্রেনের যাত্রীরা তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে নিরাপদে এবং ভোগান্তিহীনভাবে পৌঁছাতে পেরেছেন। আজ সকাল থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেন ঢাকা ছেড়ে গেছে। সবগুলো ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশন ত্যাগ করেছে। যাত্রীরা আমাদের ব্যবস্থাপনায় অনেকটা আনন্দিত হয়েছে। আমরা এবার বিনা টিকিটে ভ্রমণ করার প্রবণতাটা একটু কম দেখেছি। যাত্রীরা সচেতন হয়েছেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী, জিআরপি, ডিএমপি, র‌্যাব এবং বাংলাদেশের অন্যান্য সব বাহিনী সম্মিলিতভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর, ভোগান্তিহীন নিরাপদ ঈদ যাত্রা উপহার দিতে পেরেছি। এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের শিডিউল বিপর্যয়  এড়িয়ে অত্যন্ত নিরাপদে মানুষ নির্দিষ্ট সময়ে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আমরা ৩৩ হাজার ৫০০ আন্তঃনগর টিকিট বিক্রি করতে পেরেছি। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের ছিল না। কিন্তু এই ৩৩ হাজার ৫০০ টিকিটের বিপরীতে চাহিদা ছিল ব্যাপক। প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়তে চেয়েছিল। বেশিরভাগ যাত্রী হয়তো অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেননি। এখন এই টিকিটগুলো পাওয়ার জন্য এই যে ব্যাপক চাওয়া এই চাহিদাকে পুঁজি করে এক শ্রেণির প্রতারক চক্র টিকিট প্রিন্ট আউট করে, এডিট করে বিভিন্নভাবে অনেককে প্রতারিত করেছেন। তাদের র‌্যাব ধরেছে।  

তিনি বলেন, আজকে সারা দিনে ২টা স্পেশাল ট্রেনসহ মোট ৬৯ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। আশা করছি এই ট্রেগুলোর মাধ্যমে এক থেকে দেড় লাখ মানুষ ছাকা ছাড়তে পারবেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের সকল পর্যায়ের একটি মনিটরিং টিম কাজ করছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে যে সমস্যায় পড়বেন নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সম্ভাব্য গ্রেফতারি পরোয়ানাকে নজিরবিহীন অপমান বলে বর্ণনা করেছে ইসরাইল। তবে আইসিসির এ সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও স্লোভেনিয়া।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরাইলের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ আপত্তিকর

এর আগে সোমবার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান বলেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালেন্টকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় নিতে হবে। এ জন্য তিনি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে আইসিসির জুরি প্যানেলের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি হামাস নেতার বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন। তারা হলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার, ইসমাইল হানিয়া ও মোহাম্মদ দাইফ।

এর আগে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ইসরাইল কেবল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, যারা গণহত্যাকারী সন্ত্রাসী সংগঠন। আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খানকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে নেতানিয়াহু বলেন, তিনি আধুনিককালে সবচেয়ে বড় ইহুদিবিদ্বেষী। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালেন্টও।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়, ইসরাইল ও হামাসের নেতাদের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা চলতি সপ্তাহেই জারি হতে পারে। তবে এটি কোনো নিশ্চিত সময়সীমা নয়। করিম খান তার আবেদন বিচারিক প্যানেলের কাছে পাঠিয়েছেন। তারা পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত নেবেন। এ পরোয়ানা জারি হলে নেতানিয়াহু আইসিসির ১২৪ সদস্য দেশে সফর করতে বাধার মুখে পড়বেন। এসব দেশে তিনি গ্রেফতারের মুখোমুখি হতে পারেন। তবে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া আইসিসির সদস্য দেশ নয়। এর আগে ইউক্রেনের যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের দায়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি।

গাজায় ৭ অক্টোবরের পর এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৬৪৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি। হতাহত অধিকাংশই নারী ও শিশু। অবরুদ্ধ উপত্যকাটির ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত।


আরও খবর



বেনজীরের পুকুরে চুরির সময় ৬০০ কেজি মাছ জব্দ

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জে জব্দ হওয়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সাভানা ইকো রিসোর্ট থেকে চুরি করার সময় প্রায় ৬০০ কেজি মাছ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

শুক্রবার (৮ জুন) রাতে এসব মাছ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাছ বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকা জমা দেয়া হয়েছে।

গত ২৭ মে বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি জব্দ (ক্রোক) এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে তাঁদের নামে থাকা ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। এর মধ্যে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক রয়েছে। এরপর ২৬ মে একই আদালত বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ের স্থাবর সম্পদ ক্রোক, তাদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব এবং বিভিন্ন কোম্পানিতে তাদের নামে থাকা শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, উক্ত সম্পদের রিসিভার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান থাকাবস্থায় ক্রোককৃত সম্পত্তির মধ্যে সাভানা ইকো রিসোর্টে অবস্থিত পুকুরের মাছসহ বিভিন্ন সম্পদ চুরি হচ্ছে বলে দুদক কর্মকর্তারা খবর পান। বিষয়টি দুদকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেন। এরপর দুদকের একটি টিম শুক্রবার সাভানা ইকো রিসোর্টে যান। এ সময় রিসোর্টের ভেতরে ২০ একরের একটি পুকুরে মাছ ধরতে দেখেন তারা। দুদক টিম আসার খবর পেয়ে আসামিসহ অন্যরা পালিয়ে যান। এ সময় ৫৫৫ কেজি তেলাপিয়া ও ৩৭.৫০ কেজি কাতলা মাছ জব্দ করা হয়। পরে তা নিলামে তুলে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকায় বিক্রি করা হয়।

মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রিসোর্টের মৎস হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের নির্দেশে তারা মাছ ধরছেন। বিষয়টি দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর গোপালগঞ্জে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সোহরাব হোসেন সোহেল সদর থানায় মামলা করেন। এতে রিসোর্টের মৎস হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামকে আসামি করা হয়।

সার্ভার জটিলতার কথা বলে গত ৩ জুন থেকে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বন্ধের ঘোষণা করে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত র‍্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক থাকার সময়ে বেনজীর আহমেদ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামে গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক।


আরও খবর



বন্ধুর ছকে এমপি আনার খুন, ৫ কোটি টাকার চুক্তি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। দিনভর নানান গুঞ্জনের পরে জানা গেলো, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী তারই ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার আক্তারুজ্জামান শাহীন।

তিনি ঝিনাইদহের বাসিন্দা ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। শাহীনের ভাই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর মেয়র। এই হত্যার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আরেক বন্ধু ও চরমপন্থি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে।

আনারকে হত্যার জন্য পাঁচ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিলেন আক্তারুজ্জামান শাহীন। হত্যাকাণ্ডের আগে আমানকে কিছু টাকা দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের পর বাকি টাকা দেওয়ার কথা ছিল। তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, কলকাতায় বসে হত্যার চূড়ান্ত ছক এঁকে বাংলাদেশে চলে আসেন শাহীন। পরে আমানসহ ছয়জন মিলে এমপি আজীমকে সঞ্জীবা গার্ডেন নামের একটি ফ্ল্যাটে ট্র্যাপে ফেলে ডেকে আনেন। এরপর তাকে জিম্মি করে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ কেটে টুকরো টুকরো করে ট্রলি ব্যাগে ভরে ফেলা হয় অজ্ঞাত স্থানে।

মিশন সফল হওয়ার পর আনারের মরদেহের টুকরোগুলো গুম করার জন্য সিয়াম ও জিহাদ নামের দুজনকে দায়িত্ব দিয়ে ঢাকায় চলে আসেন আমান। ঢাকায় এসে আক্তারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে দেখা করেন। তবে শাহীন পরবর্তীতে আমানকে কত টাকা দিয়েছেন সেটা জানা যায়নি।

এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগ। তারা হলেন- হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া চরমপন্থি দল পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আমানউল্লাহ আমান, মোস্তাফিজ ও ফয়সাল।

গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আমান জানিয়েছে, এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার জন্য পাঁচ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিলেন আক্তারুজ্জামান শাহীন। হত্যাকাণ্ডের আগে তাকে কিছু টাকা পরিশোধ করা হয়। বাকি টাকা দেওয়ার কথা ছিল হত্যাকাণ্ডের পর।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, ঢাকায় এসে মোহাম্মদপুরের বোনের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন আমান। সেখান থেকেই তাকে আটক করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি তার ভারতীয় ঘনিষ্ঠ বন্ধু পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার মলপাড়া লেনের বাসিন্দা স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। পরদিন ১৩ মে দুপুরে চিকিৎসককে দেখানোর উদ্দেশে বেরিয়ে যান। কিন্তু সন্ধ্যায়় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। উল্টো দিল্লি গিয়ে সেখান থেকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে জানান, তাকে আর ফোন করতে হবে না। দরকার হলে তিনি তাকে (গোপাল বিশ্বাস) ফোন করবেন। কিন্তু এরপর থেকে আর কোনোভাবেই তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকভাবে উৎকণ্ঠা ছড়ায় তার বাংলাদেশের বাসায়। পাশাপাশি গোপাল বিশ্বাসও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এরপরই কোনও উপায় না দেখে গত ১৮ মে শনিবার বরানগর থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন গোপাল বিশ্বাস।

জিডিতে গোপাল বিশ্বাস লিখেছেন, গত ১৩ মে দুপুর দেড়টার পর ডাক্তার দেখানোর কথা বলে আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যান আনোয়ারুল আজীম আনার। যাওয়ার সময় বলে যান, দুপুরে খাবো না, সন্ধ্যায় ফিরে আসবো। যাওয়ার সময় নিজে গাড়ি ডেকে বরাহনগর বিধান পার্ক কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে গাড়িতে উঠে চলে যান। এরপর তিনি সন্ধ্যায় বরাহনগর থানার অন্তর্গত মণ্ডলপাড়া লেনে বাড়িতে না ফিরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেন, আমি বিশেষ কাজে দিল্লি যাচ্ছি। গিয়ে ফোন করবো, তোমাদের ফোন করার দরকার নেই।

গোপাল বিশ্বাস মিসিং ডায়েরিতে আরও লিখেছেন, গত ১৫ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে জানান, আমি দিল্লি পৌঁছালাম, আমার সঙ্গে ভিআইপিরা আছে, ফোন করার দরকার নেই।

এদিকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার ঘটনায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (২২ মে) অপহরণের অভিযোগে মামলাটি করেন এমপি আনারের মেয়ে মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন। তবে এতে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। সন্ধ্যায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আহাদ আলী।


আরও খবর



জবিতে ইমামকে অব্যাহতি: প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে প্রশাসনের বাধা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমামকে অব্যাহতির প্রতিবাদে বুধবার (২৯ মে) জোহরের নামাজের পর ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও মিছিলের চেষ্টা করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডি ও শিক্ষকদের বাধার মুখে পন্ড হতে যায় মিছিলটি।

জানা যায়, বিক্ষোভ মিছিলের খবর পেয়ে ইমামকে অব্যাহতির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য এ এন এম আসাদুজ্জামান ফকির সেখানে হাজির হন। তিনি মানববন্ধন ও মিছিল করতে নিষেধ করেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ এন এম আসাদুজ্জামান ফকির বলেন, আমরা আসলে শৃঙ্খলার বিষয়ে সেখানে গিয়েছি। শিক্ষার্থীদের বুঝিয়েছি, এখন এ বিষয়ে মানববন্ধন হলে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা হতে পারে। এছাড়া দেখা গেছে ইমামের পক্ষে থাকতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়ে ইমামের আরও ক্ষতি হতে পারে।

শিক্ষার্থীরা দাবী করেন, বিক্ষোভ শুরু করার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে তাদের বিক্ষোভ করতে নিষেধ করে। পরবর্তীতে একাধিক শিক্ষক এসে তাদের বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলেন। এতে তারা সাময়িকভাবে বিক্ষোভ মিছিলটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মসজিদ একটা সেনসিটিভ ইস্যু। এখানে আমরা মেয়েলি কোনো ইস্যু খুঁজিনি। কিন্তু অবান্তর ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। আমি বিশ্বাস করি, মেয়েটা অসুস্থ ছিল, ইবাদত করতে গেছে। কিন্তু একটা মেয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত মসজিদে ঘুমাবে কেন? সেটা ইমাম জানবে না?

এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আমি শুনেছি একটা মেয়ে মসজিদে ঘুমিয়ে গেছে। আমার তো অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব আছে। সে ঘুমিয়ে গেছে, লাইট জ্বালানো ছিল, পরে সেটা অফ হয়ে গেছে বলে শুনেছি।

ইমামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে বলে ছাত্রী গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, মেয়ে যে ভাষ্য দিয়েছে হয়তো সে ভয় পেয়ে এমন কিছু বলছে।

উল্লেখ্য গত ১৮ মে রাতে শারীরিক অসুস্থতা থাকায় ভুলবশত এশার নামাজ আদায় শেষে ওই ছাত্রী জবির কেন্দ্রীয় মসজিদের মেয়েদের রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে মসজিদের পাহারাদার তালা লাগাতে গেলে ওই মেয়েকে দেখতে পান। এসময় মসজিদের ওই পাহারাদারের স্ত্রী তাকে বের করে নিয়ে আসেন। তবে ইমাম বা পাহারাদার কেউই ভেতরে প্রবেশ করেননি। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ইমামকে অব্যাহতি দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


আরও খবর