বর্তমানে বলিউডে
যে ক’জন তারকা সন্তান
অভিনয় করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম শ্রীদেবীকন্যা জাহ্নবী কাপুর। ইতোমধ্যে পায়ের নিচের
মাটি খানিকটা শক্ত করেছেন তিনি। শুরু থেকেই মা শ্রীদেবীর সঙ্গে তুলনা টানা হতো জাহ্নবীর।
এমনকি তাঁকে নানাভাবে কটাক্ষও করা হতো। সে সময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়তেন তিনি। তবে এখন
তিনি এসব নিয়ে বাঁচতে শিখেছেন। ‘মিলি’, ‘বাওয়াল’, ‘গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কারগিল গার্ল’, ‘গুডলাক জেরি’র মতো
ছবিতে অভিনয়ের পর তাঁর কদর আরও বেড়েছে। নিজের প্রতিভা প্রমাণের সুযোগ পেয়েছেন।
কিছুদিন আগেই
এক বিবৃতিতে মায়ের সঙ্গে তুলনা প্রসঙ্গে জাহ্নবী বলেন, ‘মাম্মার [শ্রীদেবী] মতো কেউ বৈচিত্র্যময়
হয়ে উঠতে পারবেন না। তাঁর যা উচ্চতা, সেই উচ্চতায় কেউ পৌঁছাতে পারবেন বলে আমি মনে করি
না। তাই দয়া করে আমাকেও রেহাই দিন।’
ক্যারিয়ারের
শুরুতে মানুষের কটু কথায় মন খারপ হতো জাহ্নবীর। তবে এখন অনেকটাই সামলে নিতে শিখেছেন।
এর পরও মাঝেমধ্যে যে মন খারাপ হয় না, তা নয়। এ অভিনেত্রী বলেন, ‘এত পরিশ্রমের পরও কটু কথা আমাকে
কষ্ট দেয়। আমার রক্ত, ঘাম ঝরানো পরিশ্রম অর্থহীন বলে মনে হয়। কিছু মানুষের তির্যক মন্তব্য
শুনে মন অশান্ত হয়ে ওঠে। তবে ইতিবাচক সমালোচনাকে সব সময় সম্মান জানাই।’
আগামী শুক্রবার
মুক্তি পাচ্ছে এই অভিনেত্রীর নতুন সিনেমা ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’। শরণ শর্মা পরিচালিত এই সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন রাজকুমার রাওয়ের সঙ্গে। এই ছবিতে এক উঠতি ক্রিকেটারের চরিত্রে
অভিনয় করেছেন জাহ্নবী। সম্প্রতি ছবির ট্রেলার প্রকাশ্যে এসেছে। অনুরাগীদের মধ্যে সাড়া
ফেলেছে এই ট্রেলার। এই চরিত্রের জন্য বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে জাহ্নবীকে।
জাহ্নবী বলেন,
‘এই ছবির
জন্য আমি প্রচুর পরিশ্রম করেছি। ‘মিলি’ ছবির প্রচারণার
সময় এই ছবির জন্য ক্রিকেটের প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করে দিয়েছিলাম। প্রায় দুই বছর প্রশিক্ষণ
নিয়েছি। শরণ (পরিচালক) এই ছবিতে কোনো ভিএফএক্স ব্যবহার করেননি। তিনি চেয়েছিলেন ক্রিকেটের দৃশ্যগুলো
বাস্তব দেখাতে। পর্দায় যেন আমাকে প্রকৃত ক্রিকেটারের মতো দেখতে লাগে তাই টানা পরিশ্রম
করেছি। ট্রেনিংয়ের সময় অনেক চোট পেয়েছি। আমার দুই কাঁধের হাড় সরে গিয়েছিল। এতটাই
কষ্ট হয়েছিল মাঝেমধ্যে ভেবেছিলাম ছবিটি ছেড়ে দেই।’
নিজের সম্পর্কে
খুব বেশি খোলামেলা কথা বলেন না অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর। তবে বলিউডে কান পাতলেই শোনা
যায়, শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন শ্রীদেবীকন্যা। আকারে-ইঙ্গিতে অবশ্য জাহ্নবী
নিজেও বুঝিয়েছেন, শিখরের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ তিনি।
তবে সম্প্রতি
এক সাক্ষাৎকারে শিখরকে নিয়ে জাহ্নবী বললেন, ‘আমার যখন ১৫-১৬ বছর বয়স, তখন থেকে ও আমার সঙ্গে আছে। আমার স্বপ্নগুলো
ও নিজের করে নিয়েছে। ওর স্বপ্নগুলোও আমি আমার নিজের স্বপ্ন করে তুলেছি। আমরা পরস্পরের
খুব কাছের। আমরা সব সময় পরস্পরের পাশে এমনভাবে থেকেছি যেন আমরাই পরস্পরকে বড় করে তুলেছি।’