আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

৪৩ পৌরসভার আধুনিকায়নে মিলছে না কুয়েতি ফান্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

উন্নয়নের মাপকাঠিতে এখনো বেশ পিছিয়ে দেশের পৌরসভাগুলো। পর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত অধিকাংশ পৌরবাসী। সড়ক যোগাযোগসহ জীবনমান উন্নয়নে জরুরি অনেক সেবাই অপ্রতুল। এসব বিবেচনায় বেশি পিছিয়ে থাকা পৌরসভাগুলোর উন্নয়নে প্রাথমিকভাবে ২৮১ পৌরসভা নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান করে সরকার। চলমান প্রকল্পের আওতায় আরও ৪৩টি পৌরসভা যুক্ত করা হয় কুয়েতি ফান্ডের আশ্বাসে। শেষ পর্যন্ত ১৫ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার (৫শ কোটি টাকার বেশি) না পাওয়ায় পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে সরকার। চেষ্টা চলছে ভিন্ন কোনো উপায়ে কাজটি সম্পন্ন করার। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও প্রকল্প সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল খালেক সরকার বলেন, উন্নয়নের দরকার আছে বিধায় আমরা আরও ৪৩টি পৌরসভা চলমান প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। মৌখিকভাবে ১৫ মিলিয়ন কুয়েতি দিনারের প্রস্তাবও পেয়েছিলাম। তবে এখন ইআরডি (অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ) থেকে জানতে পেরেছি এই ফান্ড পাচ্ছি না। তাহলে নতুন যুক্ত পৌরসভার কী হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ৪৩টি পৌরসভা হয়তো নতুন কোনো প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পৌরসভার অনেকগুলো প্রকল্প হচ্ছে। নতুনগুলো বাস্তবায়ন করা হবে সরকারি অর্থায়নে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার এবং কুয়েত ফান্ডের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। এই প্রকল্পের সঙ্গেই কুয়েতের আশ্বাসে আগের ২৮১টির সঙ্গে ৪৩টি যুক্ত করা হয়েছিল। এলজিইডি সূত্র জানায়, শুরুতে প্রকল্পটির মোট ব্যয় ছিল ৮৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৪৬৭ কোটি ৪৭ লাখ এবং কুয়েতি ঋণ ৩৯৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ১০ এপ্রিল ২০১৮ সালে একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। বাস্তবায়নকাল ধরা হয় জুন ২০২২ পর্যন্ত। পরবর্তীসময়ে ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট পরিকল্পনা কমিশন ব্যয় বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর, অর্থাৎ জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ায়।

বর্তমানে প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ১ হাজার ৪০১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৪৫ কোটি ২৬ লাখ এবং বৈদেশিক অর্থায়ন (ঋণ) ৮৫৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। অনুমোদিত ব্যয় থেকে ৬২ দশমিক ০২ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। জুন ২০২২ তারিখ পর্যন্ত প্রকল্পটির ক্রমপুঞ্জিত অগ্রগতি ৩৫০ কোটি ২২ লাখ, যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৪০ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং ক্রমপুঞ্জিত বাস্তব অগ্রগতি ৪২ শতাংশ।

প্রকল্পের প্রথম সংশোধন প্রস্তাবের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক কাজী সাইফুল কবীর বলেন, প্রকল্পের কাজ চলমান। তবে কিছু কাজের জন্য প্রকল্পটি সংশোধন করা হবে। কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (কেএফএইডি) থেকে ১৫ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার অতিরিক্ত অর্থায়নের আশ্বাসে নতুনভাবে ৪৩টি পৌরসভা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রকল্পের আওতায় কতিপয় কার্যক্রম জমির অপ্রাপ্যতার কারণে বাস্তবায়ন করা সম্ভব না হওয়া, পৌরসভার চাহিদা অনুযায়ী এইচবিবি সড়ক এবং সিসি সড়ক নির্মাণ করার জন্য খাতগুলোর আন্তঃঅঙ্গ সমন্বয় করার প্রয়োজনে সংশোধন প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

কুয়েত ফান্ডের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থায়নের বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে ৪৩টি পৌরসভাকে আলোচ্য প্রকল্পে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে প্রস্তাব পাওয়া যায়। পরে কুয়েত ফান্ডকে ইআরডি থেকে চিঠি দেওয়া হয়। কুয়েত ফান্ড নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত ৪৩টি পৌরসভার সম্ভাব্যতা সমীক্ষার প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে জানুয়ারি ২০২২ এ কুয়েত ফান্ডকে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন পাঠানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত অতিরিক্ত অর্থায়নের বিষয়ে কুয়েত ফান্ড থেকে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।

এলজিইডি জানায়, প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনীতে সরকারি ৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন ৪৫৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বাড়িয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে। জিওবি (বাংলাদেশ সরকার) অর্থ না বাড়িয়ে প্রকল্পটি সংশোধন করা যায় কি না তা বিবেচনার জন্য অর্থ বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি শুরুর পর প্রায় পাঁচ বছরে ৩৫০ কোটি ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। জুন ২০২৪ এর মধ্যে প্রকল্পটির অনুমোদিত ব্যয়ের অবশিষ্ট ৫১৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকাসহ অতিরিক্ত ৫৩৬ কোটি ৪৮ লাখ অর্থাৎ মোট ১ হাজার ৫১ কোটি ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পেতে যাচ্ছে।

পৌরবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে অবকাঠামো উন্নয়ন করতে ৬৪ জেলার ২৮১টি পৌরসভা নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান করা হয়। এতে পৌরসভাগুলোর পরিবেশ উন্নয়নসহ পৌরবাসীর জীবনযাত্রার মান বাড়বে। দেশের বড় শহরগুলোর জনসংখ্যার চাপ কমানো ও তৃণমূল পর্যায়ের পৌরসভাগুলোতে জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে স্থানীয় সরকার বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন নামে প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। মাস্টারপ্ল্যানের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, ৩ হাজার ৬১৫ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ, ৪ হাজার ২০০ মিটার ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ এবং ২৮১ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করা। নতুন করে ৪৩টি প্রকল্প মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় ছিল।

নিউজ ট্যাগ: এলজিইডি

আরও খবর



বেনজীর দম্পতির আরও সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে থাকা ঢাকায় আটটি ফ্ল্যাট, উত্তরা আবাসিক এলাকায় তিন কাঠার একটি প্লট, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছয় কাঠা করে চারটি প্লট ও বান্দরবানে ২৫ একর জমির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রিসিভার নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানকারী টিমের প্রধান উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম এ সম্পত্তিতে রিসিভার নিয়োগের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, রিসিভার নিয়োগ হওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে, বেনজীরের স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে আদাবর পিসি কালচার হাউজিংয়ে থাকা ছয়টি ফ্ল্যাট, বাড্ডায় ১৪ তলা বিশিষ্ট রূপায়ন মিলেনিয়াম স্কয়ার বিল্ডিংয়ে কার পার্কিংসহ দুটি অফিস স্পেস, উত্তরা আবাসিক এলাকায় তিন কাঠার একটি প্লট, রূপগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্টে ছয় কাঠা করে চারটি প্লট এবং বান্দরবান সদরে ২৫ একর জমি। এর আগে ১২ জুন এসব সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।

এর আগে দুই দফায় ২৩ ও ২৬ মে দুই দফায় বেনজীর, তার স্ত্রী ও তিন কন্যার নামে থাকা প্রায় ৬১২ বিঘা সম্পত্তি ও গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট ক্রোক ও বেশ কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার আদেশ দেন আদালত। ৬ জুন এসব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রিসিভার নিয়োগের আদেশ দেন আদালত। 


আরও খবর



ভোগান্তি ছাড়াই ট্রেনে বাড়ির পথে ঈদ যাত্রীরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে তৃতীয় দিনের মত শুরু হয়েছে ট্রেনে ঈদযাত্রা। এই যাত্রায় আজ শুক্রবার সকালে সাধারণ মানুষের কোনো ভোগান্তি নেই বললেই চলে। নির্দিষ্ট সময় মেনেই দূরপাল্লার উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

এদিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকে নীলসাগর এক্সপ্রেস, তূর্না এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল, সুন্দরবন এক্সপ্রেসসহ বেশ কয়েকটি ট্রেন শিডিউল মতো ছেড়ে গেছে।

পূর্বের ঈদযাত্রার মতো এবারও প্ল্যাটফর্মে যেন টিকিটবিহীন ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্লাটফর্ম এলাকায় প্রবেশের মুখে ‍তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি পার হয়ে যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশ করতে হচ্ছে।

এদিকে সড়ক আর নৌপথের মতো ট্রেনেও উপচেপড়া ভিড়। গত ৪ জুন যারা অগ্রিম টিকিট ক্রয় করেছিলেন তারা আজ ভ্রমণ করতে পারছেন। এছাড়া ট্রেনের সাধারণ শ্রেণির মোট আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট স্টেশন থেকে দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গত বুধবার থেকে ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। যারা গত ২ জুন টিকিট ক্রয় করেছিলেন তারা সেদিন ভ্রমণ করতে পেরেছিলেন। এবার টিকিটবিহীন যাত্রী ঠেকাতে কমলাপুর রেলস্টেশনে বেশ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন করে রেলমন্ত্রী মো.জিল্লুল হাকিম বলেন, আমরা সফলতার সঙ্গে গতকাল বুধবার যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছি। যা সম্ভব হয়েছে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায়। আমরা চেষ্টা করছি যে সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেই যাত্রীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে।

মন্ত্রী আরও বলেন, সব প্রস্তুতি আছে। ঢাকা থেকে প্রতিদিন ৬৪টি ট্রেন ছেড়ে যায়। আজ দু-একটা ট্রেন বাদে ৩০টা ট্রেন সময়মতো ছেড়ে গেছে। নিরাপদ ঈদযাত্রার লক্ষ্যে রেলওয়ে কাজ করে যাচ্ছে।


আরও খবর



বাংলাদেশ-ভারত

অংশীদারত্ব এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার প্রশংসা জয়শঙ্করের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ভারত বিশেষ অংশীদারত্ব আরো এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। দুই দিনের সফরে ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে এ বার্তা দেন জয়শঙ্কর।

শুক্রবার (২১ জুন) ড. এস জয়শঙ্করের এক্স হ্যান্ডেল বার্তায় বলা হয়, সন্ধ্যায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমি আনন্দিত। ভারতে তার রাষ্ট্রীয় সফরের মধ্য দিয়ে আমাদের ঘনিষ্ঠ ও চিরস্থায়ী সম্পর্ক আরো গুরুত্ববহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ এ অংশীদারত্ব আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার দিকনির্দেশনামূলক ভূমিকার প্রশংসা জানাচ্ছি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে আজ ২১ জুন নয়াদিল্লী অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিপাক্ষিক সফর উপলক্ষে ২১-২২ জুন নয়াদিল্লীতে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গী দল।


আরও খবর



আদালতে লোহার খাঁচায় থাকা অত্যন্ত অপমানজনক: ড. ইউনূস

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আদালতে শুনানি চলাকালে একজন নিরপরাধ নাগরিকের লোহার খাঁচার ভেতরে দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়টি অত্যন্ত অপমানজনক বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে সবাই মিলে একটু আওয়াজ তুলুন, যাতে বিষয়টা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। একটা সভ্য দেশে কেন এ রকম হতে যাবে!  আদালতে শুনানিকালে কেন একজন নাগরিককে খাঁচার ভেতরে পশুর মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। যেখানে এখনও বিচার শুরুই হয়নি, যেখানে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়ার কোনো সুযোগই হয়নি। নিরপরাধ নাগরিককে কেন খাঁচার ভেতরে থাকতে হবে এ প্রশ্নটা তুললাম।

আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।

ড. ইউনূস বলেন, আমি আগেও প্রশ্নটা তুলেছি, আবারও সবার জন্য তুলছি। আমার বিষয় না, যেকোনো আসামি; যার বিরুদ্ধে একটা করতে যাচ্ছে, তাকে খাঁচায় নিয়ে যাওয়া। আমি যতটুকু জানি, যত দিন আসামি অপরাধী প্রমাণিত না হচ্ছে, তত দিন তিনি নির্দোষ-নিরপরাধ। একজন নিরপরাধ নাগরিককে একটা লোহার খাঁচার ভেতরে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে আদালতে শুনানি চলাকালে, এটা আমার কাছে অত্যন্ত অপমানজনক। অত্যন্ত গর্হিত কাজ বলে মনে হয়েছে।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, অনেক হয়রানির মধ্যে আছি। সেটারই অংশ, এটা চলতে থাকবে।

আজকে সারাক্ষণ খাঁচার মধ্যে ছিলাম, আমরা সবাই মিলে ছিলাম। যদিও আমাকে বলা হয়েছিল যে, আপনি থাকেন। আমি বললাম, সবাই যাচ্ছে, আমিও সঙ্গে থাকি। সারাক্ষণই খাঁচার ভেতরে ছিলাম। যোগ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।


আরও খবর



জাজিরা উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন ঘোষণা করা হবে ১১ জুন

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাওন মিয়া (জাজিরা) শরীয়তপুর

Image

শরীয়তপুরের জাজিরায় ৫ম  ধাপে আশ্রয়ণের ঘর পাচ্ছে ১৩০টি অসহায় ও গৃহহীন পরিবার। আগামী মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের মতো জাজিরার এসব ঘর বরাদ্দের উদ্বোধন করবেন। সেইসঙ্গে জাজিরা উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন ঘোষণা করা হবে।

রবিবার (১০ জুন) বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ইউএনও সাদিয়া ইসলাম লুনা ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরিফুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: সোহাগ মিয়া।

ইউএনও সাদিয়া ইসলাম লুনা আরও জানান, ২০২০ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি জেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ খাসজমি বন্দোবস্তসহ টিনশেড সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে সারাদেশে ২ লক্ষ ৪২ হাজার ৩১১ টি ঘর উপকারভোগী পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি উল্লেখ করে বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় এপর্যন্ত জাজিরা উপজেলায় ৮৩৭ টি পরিবার ভূমিসহ ঘর পেয়েছেন। এছাড়া প্রকল্পটির ৫ম পর্যায়ের ২য় ধাপে আগামীকাল (১১ জুন) জাজিরা উপজেলায় ১৩০ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ভূমিসহ ঘর প্রদান করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: জাজিরা

আরও খবর
জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপরে

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪