উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় আবারো পণ্যের দাম বাড়িয়েছে নেসলে। চলতি বছরের প্রথমার্ধে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ দাম বাড়িয়েছে সুইস ফুড জায়ান্টটি। জ্বালানি, কর্মীদের বেতন, বিভিন্ন উপাদানের দাম বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় ভুগছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তাছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্রমবর্ধমান রয়েছে মূল্যস্ফীতিও। যুক্তরাষ্ট্রের এ হার গত ৪০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে।
২০২১ সালের শেষ তিন মাসে ৩ দশমিক ১ শতাংশ দাম বাড়িয়েছিল কিটক্যাট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি। নেসলের প্রধান নির্বাহী মার্ক স্নাইডার বলেন, দাম বাড়ানোর বিষয়টি দায়িত্বশীলভাবে আরোপ করা হয়েছে। সুশৃঙ্খল খরচ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালন দক্ষতার মাধ্যমে আমরা প্রান্তিক উন্নয়নে নজিরবিহীনভাবে দাম বেড়ে যাওয়ার চাপ এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধতার প্রভাব সীমিত করার চেষ্টা করছি। সবচেয়ে বেশি দাম বাড়ার ঘটনা ঘটেছে উত্তর আমেরিকায়। অঞ্চলটিতে নেসলের পণ্যের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ, যেখানে ইউরোপে বেড়েছে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। নেসলে জানিয়েছে, মুদ্রা বিনিময় হার ও অধিগ্রহণ বাদ দিয়ে বছরের প্রথমার্ধে প্রতিষ্ঠানটির আয় বেড়েছে ৮ দশমিক ১ শতাংশ। এ সময়ে নেসলে পুরো বছরের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও ৭ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশে উন্নীত করেছে।
তবে এ সময়ে মোট মুনাফা ১১ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ৫২০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত মার্চে রাশিয়ায় বিনিয়োগ স্থগিত করে নেসলে। এমনকি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর কারণে সেখান থেকে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলো সরিয়ে নিয়ে আসে। তবে এখনো সেখানে বেবি ফর্মুলা বা মেডিকেল পুষ্টির মতো কিছু পণ্যের বিক্রি অব্যাহত রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাবারের দাম বেড়েছে অনেকাংশে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে আবার কর্মীদের ধরে রাখা ও নতুন কর্মী পাওয়ার জন্য বেতনও বাড়াতে হয়েছে। যদিও বেতন বৃদ্ধি ঠিকমতো জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে না। তাতেই দাম বৃদ্ধির দিকে যেতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। চলতি সপ্তাহে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ম্যাকডোনাল্ড’স এবং কোকা-কোলাও।