আজঃ বুধবার ২৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

‘আগুন নিয়ে খেলতে গেলে পরিণাম হবে ভয়াবহ’

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিএনপিসহ তাদের সমমনা দলগুলোর উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা তো রাজপথে নতুন এসেছে। আমরা রাজপথের পুরনো লোক। রাজপথ আমরা কাউকে ইজারা দেইনি। আমরা রাজপথে ছিলাম, রাজপথে আছি। আসুন রাজপথে মোকাবিলা হবে। ফয়সালা হবে। তবে আগুন নিয়ে খেলতে গেলে পরিণাম হবে ভয়াবহ।

সোমবার (০৮ আগস্ট) সকালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিনের উপলক্ষে বনানীতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা তো রাজপথে নতুন এসেছে। আমরা রাজপথের পুরনো লোক। রাজপথের সংগ্রাম আন্দোলন করেই বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন। রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম করেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতির পিতা হয়েছেন। রাজপথের সংগ্রাম করেই আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় এসেছে।

তিনি বলেন, রাজপথ আমরা কাউকে ইজারা দেইনি। আমরা রাজপথে ছিলাম, রাজপথে আছি। আসুন রাজপথে মোকাবিলা হবে। ফয়সালা হবে। তবে আগুন নিয়ে খেলতে গেলে পরিণাম হবে ভয়াবহ।

বঙ্গমাতা সম্পর্কে বলেন, তিনি একজন আদর্শ নারীর রোল মডেল। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সহযোদ্ধা সহকর্মী। সংকটে সংগ্রামে বেগম মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সবচাইতে বিশ্বস্ত সহযোদ্ধা।

তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব যদি সংকটে সংগ্রামে বিশ্বস্ত সহযাত্রী হিসেবে পাশে না থাকতেন, সংকটে তিনি পরিবার ও দলকে সামাল না দিতেন তাহলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বঙ্গবন্ধু হওয়া, জাতির পিতা হওয়া অনেক দূরের বিষয়। বাংলাদেশের জন্ম হত না, যদি বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হত। তাহলে একথা বলতে হয় জাতির পিতা শেখ মুজিব জাতির পিতা হয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধু হয়েছিলেন বেগম মুজিব সংকটে সংগ্রামের পাশে ছিলেন বলেই।

এ সময় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।


আরও খবর



বাজেট: শিশুদের পার্কের রাইডে চড়তে দিতে হবে দ্বিগুণ ভ্যাট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও থিম পার্কে প্রবেশ এবং রাইডে চড়তে আরোপ করা ভ্যাট দিগুণ করা হয়েছে। আগে এই ভ্যাটের পরিমাণ ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে এটি বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

এটা অর্থমন্ত্রী আবুল হাসানের প্রথম ও স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট। নানা সংকটের মধ্যেও নতুন অর্থমন্ত্রী স্বপ্ন দেখছেন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে। এজন্য এবারের বাজেট প্রতিপাদ্য সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি কম ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। তবে, অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে দুই লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী অর্থবছর চার হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।


আরও খবর



সাত নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারী বৃষ্টিতে দেশের ৭ নদীর পানি এখন বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এরমধ্যে সুরমা নদীর পানি সর্বোচ্চ বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এদিকে আগামী দুইদিন ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে কয়েকটি পয়েন্টে বিপদসীমায় পৌঁছাতে পারে। এদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীগুলোর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

জানা যায়, সুরমা ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পার্শ্ববর্তী উজানে মাঝারি থেকে ভারী এবং আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও উজানে ভারি থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নেত্রকোনা জেলার কয়েকটি নিম্নাঞ্চলে ও সিলেট, সুনামগঞ্জ জেলায় চলমান বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। অপরদিকে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু-খোয়াই নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের চলমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর জেলার কয়েকটি নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি স্বল্পমেয়াদে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।

বিপদসীমার ওপরে থাকা নদীগুলোর মধ্যে আছে তিস্তা, সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, পুরাতন সুরমা এবং সোমেশ্বরী।

উজানের বৃষ্টির বিষয়ে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কোচবিহারে ১৩৬ মিলিমিটার। এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্য দিকে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

শনিবারের পূর্বাভাসেও দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে পঞ্চগড়ে ১৫৩ মিলিমিটার। এর বাইরে সিলেট ও হবিগঞ্জে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় অঞ্চলে ৩ লাখ ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপকূলীয় অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রায় ৩ লাখ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) গ্রাহক ফিক্সড ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। একইসঙ্গে প্রচণ্ড ঝড়ে ক্যাবলের ক্ষয়ক্ষতির কারণে ১০০টিরও বেশি আইএসপি অপারেটরের নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) বিকেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ইমারজেন্সি রেসপন্স টিমের রিপোর্টে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিটিআরসি মহাপরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপরাশেনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ঘূর্ণিঝড় রেমালকে কেন্দ্র করে রোববার (২৬ মে) আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনে এ মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছিল।

আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত হালনাগাদ করা ওই সেলের আইএসপি অপারেটরদের স্ট্যাটাস রিপোর্ট বলছে, উপকূলীয় এলাকাগুলোতে গাছপালা ভেঙে পড়া, বিদ্যুৎ না থাকা এবং ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ইন্টারনেট ক্যাবলের ক্ষয়ক্ষতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর ১০০ এর অধিক আইএসপি অপারেটরের নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপকূলীয় এলাকাগুলোতে আইএসপি অপারেটরদের প্রায় ৩২০টি ইন্টারনেট গেটওয়ে পপ (পয়েন্ট অব প্রেজেন্স) রয়েছে। ঝড়ের কারণে বর্তমানে প্রায় ২২৫টি পপ (পয়েন্ট অব প্রেজেন্স) অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। সবমিলিয়ে উপকূলীয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রায় ৩ লাখ আইএসপি গ্রাহক ফিক্সড ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। তবে যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে, সেসব জায়গায় বিভিন্ন পোর্টেবল জেনারেটর দিয়ে পরিষেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

অপরদিকে ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) কোম্পানির মধ্যে সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেডের বরিশাল, চট্টগ্রাম, পটুয়াখালী, খুলনা, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, সাতক্ষীরা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, ফেনী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর জেলার মোট ১৬৮টি পপ (পয়েন্ট অব প্রেজেন্স) পাওয়ার ইস্যুর কারণে বন্ধ রয়েছে।

আর ফাইবার এট হোম লিমিটেড কোম্পানির খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকার সর্বমোট ১ হাজার ৬৯০টি কো-লোকেশনের মধ্যে ব্যাটারি ব্যাকআপ শেষ হওয়ায় কারণে বর্তমানে ৬টি কো-লোকেশন বন্ধ আছে। তবে বাহন লিমিটেড কোম্পানির কোনো পপ (পয়েন্ট অব প্রেজেন্স) বর্তমানে বন্ধ নেই।

নিউজ ট্যাগ: ঘূর্ণিঝড় রেমাল

আরও খবর



ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।

দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে গত শনিবার রাতে ভারত থেকে ঢাকায় ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২১ জুন ভারতে গিয়েছিলেন তিনি। সফরে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১০টি সমঝোতা স্মারক সই করেছে দুই দেশ। এর মধ্যে ৩টি সমঝোতা নবায়ন করা হয়েছে। সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল পার্টনারশিপ, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ গ্রিন পার্টনারশিপ, সমুদ্র সহযোগিতা ও সুনীল অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও ওষুধ সংক্রান্ত পুরনো সমঝোতা নবায়ন, ভারতের ইন-স্পেস এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা, দুই দেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সংযোগ সংক্রান্ত সমঝোতা, সমুদ্র বিষয়ক গবেষণায় সমঝোতা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমনে ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি ও বাংলাদেশ ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান সমঝোতা নবায়ন, মৎস্যসম্পদের উন্নয়নে বিদ্যমান সমঝোতা নবায়ন, কৌশলগত ও অপারেশনাল খাতে সামরিক শিক্ষা সহযোগিতায় ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ, ওয়েলিংটন-ইন্ডিয়া এবং মিরপুর ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের মধ্যে সমঝোতা।


আরও খবর



ফের জলাবদ্ধতার কবলে সিলেট

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

বৃষ্টির পানিতে আবারও ডুবল সিলেট মহানগরীর শতাধিক এলাকা। শনিবার (৮ জুন) রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার রেকর্ড ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কবলে পড়ল সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকা। এ নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুইবার জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাতে হলো নগরের বাসিন্দাদের।

এর আগে ২ জুন রাতে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরজুড়ে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তখন অধিকাংশ এলাকার পানি পরদিন নেমে গেলেও অন্তত ১২টি এলাকার পানি নামতে বেশ কিছুদিন সময় লেগেছিল। এ অবস্থায় গতকাল আবার ডুবল শহর।

গতকাল রাত ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত সরেজমিন দেখা গেছে, নগরের দরগামহল্লা, পায়রা, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, কাজলশাহ, মেডিকেল রোড, বাগবাড়ি, কালীবাড়ি, হাওলাদারপাড়া, সোবহানীঘাট, উপশহর, যতরপুর, তেরোরতন, সোনারপাড়া, কেওয়াপাড়া, সাগরদিঘিরপার, পাঠানটুলা, মিয়া ফাজিলচিশত, জালালাবাদ, হাউজিং এস্টেট, শাহি ঈদগাহ, ঘাসিটুলা, হাওয়াপাড়া, মীরাবাজার, শিবগঞ্জ, মাছিমপুর, জামতলা ও তালতলা এলাকায় পানি থইথই করছে। ঘরমুখী মানুষেরা যানবাহনের অভাবে পানি মাড়িয়ে হেঁটেই ফিরছিলেন।

ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা বলেন, পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে গত ২৯ মে মধ্যরাত থেকে সিলেটের ১০টি উপজেলা ও নগরে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তবে পানি নামতে শুরু করায় কয়েক দিন ধরে বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হলেও সুরমা নদী টইটম্বুর। এতে নগরে ভারী বৃষ্টি হলে নগর দিয়ে প্রবাহিত ছড়া ও খাল দিয়ে পানি নদীতে মিশতে পারছে না। এ কারণে গতকাল বৃষ্টি হলে নগর মুহূর্তেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে।

বাগবাড়ি বর্ণমালা পয়েন্ট এলাকায় ঊরুসমান পানি জমে। এখানকার বাসিন্দা অরিন্দম রায় বলেন, টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে প্রচুর পানি মূল রাস্তায় জমে যায়। রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। এতে ওই এলাকায় প্রচণ্ড যানজট দেখা দেয়। এ ছাড়া অনেক বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকে পড়েছে।

একাধিক বাসিন্দা বলেন, নগরের ৪২টি ওয়ার্ডের সব নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। অনেকে রাতের খাবার প্রস্তুত করার আগেই রান্নাঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন। এ ছাড়া অনেক বাসাবাড়িতে বৃষ্টির পানির সঙ্গে ভেসে ময়লা-আবর্জনাও ঢুকে পড়েছে। সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তি পোহান লোকজন। অথচ জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন গত দেড় দশকে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।

উপশহর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এক সপ্তাহ না পেরোতেই আবার ভারী বৃষ্টিতে উপশহর এলাকা ডুবেছে। মুহূর্তেই এই এলাকার বিভিন্ন ব্লক কোমরসমান পানিতে তলিয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই উপশহর এলাকা ডুবে যায়, এটাই যেন রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ এই উপশহর এলাকাই নগরে সবচেয়ে অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত।

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাও পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

জলাবদ্ধতার বিষয়ে জানতে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানের যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর গতকাল গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লিখেছেন, বৃষ্টির পানি দ্রুত নামার জন্য কাজ করছে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।

সিলেট আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারি আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত মাত্র ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে রাত ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।


আরও খবর