আজঃ শনিবার ২৯ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বেনজীরের ৭ পাসপোর্টের সন্ধান পেল দুদক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানে পাসপোর্ট অধিদফতরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঐ জিজ্ঞাসাবাদে বেনজীর আহমেদের ৭টি পাসপোর্টের সন্ধান পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার সকালে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল পাসপোর্ট অধিদফতরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে তিনি সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করেন। পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও নজিরবিহীন জালিয়াতির আশ্রয় নেন। কিন্তু নবায়নের সময় ধরা পড়লে আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদফতর।

সাবেক এই আইজিপি পাসপোর্টে পুলিশ পরিচয় আড়াল করেছেন। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে বিশেষ পাসপোর্ট নেননি বলেও জানা গেছে।


আরও খবর



অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন পি কে হালদার

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

মায়ের শেষকৃত্যে অংশ নিতে ১৪ দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার। প্যারোলে (অন্তর্বর্তী জামিন) মুক্তি পাচ্ছেন তার ভাই এবং এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত প্রাণেশ হালদারও।

এই মুহূর্তে তারা কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে বন্দি। সূত্র জানিয়েছে, আজ বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে তারা ছাড়া পেতে পারেন।

মায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য মানবিক কারণে পি কে হালদার ও প্রাণেশ হালদারের পক্ষে গত সোমবার (৩ জুন) ১৫ দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না। এর বিরোধিতা করে মাত্র চারদিনের প্যারোলের দাবি জানান ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী। মঙ্গলবার ফের তার শুনানি ছিল।

এদিন দুপক্ষের আইনজীবীদের কথা শোনার পর কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ ইডি কোর্ট-১র বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় তাদের দুই ভাইকে ১৪ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন দেন।

এ প্রসঙ্গে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, আদালত জানিয়ে দিয়েছেন, অভিযুক্তরা প্যারোলে মুক্তি পেলেও কলকাতা পুলিশ কমিশনারেট এবং বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেটের এখতিয়ারের বাইরে বেরোতে পারবেন না। তারা সারাক্ষণ জেল কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে থাকবেন। ১৪ দিনের প্যারোলের মেয়াদ শেষে আগামী ১৮ জুন আদালতে এসে তাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে।

পি কে হালদারের মা প্রয়াত লীলাবতী হালদারের বিরুদ্ধেও দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন রোগে ভোগার পর গত ২৮ মে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় লীলাবতী দেবীর। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট থেকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আপাতত লীলাবতীর মরদেহ সংরকক্ষণ করা রয়েছে কলকাতার পিস ওয়ার্ল্ডে।

কিন্তু তার দুই সন্তান এই মামলার অন্যতম দুই অভিযুক্ত পি কে হালদার এবং প্রাণেশ কুমার হালদার কারাগারে বন্দি থাকায় এখন পর্যন্ত মায়ের সৎকার সম্ভব হয়নি। ফলে হিন্দু ধর্মমতে প্রয়াত মায়ের অন্ত্যেক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আদালতের কাছে অন্তর্বর্তী জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন অভিযুক্তদের আইনজীবী।


আরও খবর



আজকের তরুণরাই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারিগর: চবি উপাচার্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চিটাগং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ এন্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটির (সিইউআরএইচএস) উদ্যোগে একটি নতুন আগামী শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হলো টেডএক্স চিটাগাং ইউনিভার্সিটি আন্তর্জাতিক বক্তৃতা।

মঙ্গলবার সকালে চবি মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদের অডিটরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেব বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ঠ বিজ্ঞানী ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. হাসিনা খান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম ও আবুল খায়ের গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার এ এন এম ওয়াজেদ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিইউআরএইচএস এর মডারেটর ও চবি জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের প্রফেসর ড. আদনান মান্নান, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিইউআরএইচএস এর উপদেষ্টা এবং চবি ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. অলক পাল এবং সংগঠনের সভাপতি মাহমুদ শরীফ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লিড অর্গানাইজার এবং কিউরেটর নুসরাত আফরিন এবং সিলভিয়া নাজনীন। অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব অংশগ্রহণ করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে টেডএক্স চিটাগাং ইউনিভার্সিটি আন্তর্জাতিক বক্তৃতার আয়োজন করায় চিটাগং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ এন্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটির নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান চবি উপাচার্য। তিনি বলেন, দেশের বিখ্যাত ব্যাক্তিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক বক্তৃতার আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের তরুণ শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্বদের কাছ থেকে সরাসরি অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য শোনার সুযোগ পায়। যা থেকে তরুণরা নিজেদের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা পাবে।

তিনি আরও বলেন, আজকের তরুণরাই আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারিগর। দেশের দিকপালদের বর্ণাঢ্য জীবনাদর্শ অনুসরণ করে তরুণরা যুগোপযোগী আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে নতুন নতুন আইডিয়া উদ্ভাবনের মাধ্যমে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি প্রয়োগ করে মানব কল্যাণে ছড়িয়ে দিয়ে দেশ-জাতির উন্নয়ন-অগ্রগতিতে অগ্রণী ভুমিকা রাখতে হবে।

টেডএক্স চিটাগাং ইউনিভার্সিটি অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের এবং দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনপ্রিয় আটজন দিকপাল বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপি অনুষ্ঠানে নিজেদের জীবনের স্মৃতিচারণ করে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, শিক্ষক এবং উদ্ভাবক প্রফেসর ড. হাসিনা খান, বিশিষ্ট মিডিয়া কর্মী ও বিতার্কিক ডাঃ আবদুন নুর তুষার, প্রখ্যাত গীতিকার ও কর্পোরেট প্রফেসনাল আসিফ ইকবাল, প্রখ্যাত শিশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ বাসনা মুহুরী, প্রখ্যাত লেখক, ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক আনিসুল হক, প্রখ্যাত পরিবেশ এক্টিভিস্ট চবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ মনজুরুল কিবরীয়া, এভারেস্ট পর্বত আরোহী ডাঃ বাবর আলী এবং মডেল, অভিনেতা, উদ্যোক্তা ও আইনজীবি জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বক্তারা উদ্ভাবনী ধারণার অনুপ্রেরণামূলক গল্প এবং সৃজনশীল আলোচনা করেন। এ বৈচিত্র্যময় কথোপকথনে বিজ্ঞানের আলোচনা থেকে শুরু করে বিনোদন জগতের বিষয় উঠে আসে। একটি নতুন আগামী প্রতিপাদ্যে বিজ্ঞান, গবেষণা, পরিবেশ, অটিজম, বাকস্বাধীনতা, সঙ্গীত, সাহিত্য, পর্বত আরোহণ, নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন বক্তারা।

চিটাগাং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ এন্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটির ডেপুটি মডারেটর ড. সুমন গাঙ্গুলি, ড. শাহনেওয়াজ চৌধুরী, ড. মোঃ মাহবুব হাসান, ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষক ড. অনুপম দাশ গুপ্ত এবং আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ড. ফারজানা ইয়াসমিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কাবেরী দাশ, টেড-এক্স এর আতকিয়া সুবাত ও আল আমিন উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজনের মূল পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলো আমা কফি। পাশাপাশি সহযোগিতায় ছিলো এমবিএ এসোসিয়েশন চিটাগং ইউনিভার্সিটি, কনফিডেন্স সল্ট, স্টেলার ও হাবিব তাজকিরাজ। বেভারেজ পার্টনার হিসেবে ছিলো পুষ্টি, হোয়াইট রেবিট, লোণস্টার স্টেক হাউজ, চিলক্স। সহযোগিতায় একাডেমিক পার্টনার হিসেবে ছিলো দি ইংলিশ একাডেমী এবং ক্রিয়েটিভ আইটি ইন্সটিটিউট, হেলথকেয়ার পার্টনার হিসেবে এসপেরিয়া হেলথকেয়ার, ট্রাভেল পার্টনার হিসেবে ইউএস বাংলা এয়ারওয়েজ। এছাড়া মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলো সময় টিভি, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর, দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস এবং দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে চিটাগং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্ট্যাডি সোসাইটি (সিইউআরএইচএস) গবেষণা ও উচ্চশিক্ষামূলক বিভিন্ন সেশন, সেমিনার, কর্মশালা, প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য জাতীয়, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্যক্তিত্বদের সাথে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছে সংগঠনটি। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের টেডএক্স চিটাগং ইউনিভার্সিটির আয়োজন করা হয়। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে।


আরও খবর



তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে যে আশ্বাস দিলেন মোদি

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

নতুন সরকার গঠনের পর এই প্রথম বিদেশি অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে ৭টি নতুন এবং পুরানো ৩টি নবায়নসহ ১০টি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এ সময় কথা হয় তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়েও।

মোদি আশ্বস্ত করে জানান, তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা করতে দ্রুতই ভারতের একটি কারিগরি দল বাংলাদেশ সফর করবে।

এর আগে স্থানীয় সময় বেলা ১২টার কিছু আগে হায়দরাবাদ হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানান ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ফটোসেশনের পর হায়দরাবাদ হাউজের নিলগিরি বৈঠক কক্ষে একান্ত বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা। আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে নিজেদের মধ্যে একান্তে কথা বলেন দুই সরকারপ্রধান।

এরপর হায়দরাবাদ হাউজের গার্নার হলে দুই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বসে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক। যেখান থেকে দুই দেশের মধ্যে ১০টি সমঝোতা স্মারক সই হয়। যেগুলোর মধ্যে ৭টি নতুন আর পুরানো তিনটি সমঝোতা স্মারক নতুন করে নবায়নের সিদ্ধান্ত হয়।

এরপর কৈলাস হলে দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথ সংবাদ বিবৃতি দেন। ২০২২ সালের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং শেখ হাসিনার একাধিকবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা হলেও দুই দেশেই নতুন সরকার গঠনের পর আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এটিই প্রথম।


আরও খবর



লোকসভা নির্বাচন: চূড়ান্ত ফলে বিজেপি ২৪০, কংগ্রেস ৯৯

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে একটি বাদে সবগুলোর চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুন) মধ্যরাতে দেশটির নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ৫৪২টি আসনের মধ্যে ২৪০টিতে জয় পেয়েছে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। আর ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছে প্রধান বিরোধীদল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস।

অন্য দলগুলোর মধ্যে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ৩৭টি, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি, ডিএমকে ২২টি, তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ১৬টি, জনতা দল (জেডি-ইউ) ১২টি, শিবসেনা (উদ্ভব) নয়টি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপিএসপি) সাতটি ও শিবসেনা (এসএইচএস) সাতটি আসনে জয় পেয়েছে।

পাঁচটি আসন পেয়েছে লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস)। চারটি করে আসনে জয় পেয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্ক্সিস্ট)- সিপিআই (এম), ওয়াইএসআরসিপি ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। আম আদমি পার্টি, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ও ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ (আইইউএমএল) তিনটি করে আসন পেয়েছে।

কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (সিপিআই), কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্ক্সিস্ট–লেনিনিস্ট) (লিবারেশন)সিপিআই (এমএল) (এল), জনতা দল-জেডি (এস), জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স (জেকেএন), রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি), জনসেনা পার্টি (জেএনপি) ও ভিসিকে দুটি করে আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি দল একটি করে আসনে জয় পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সাতজন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর তথ্যমতে, ঘোষিত ফল অনুযায়ী বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স–এনডিএ জোটের মোট আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৬টি। অপর দিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের মোট আসনসংখ্যা হয়েছে ২০১টি। যে আসনটির ফল এখনো ঘোষণা হয়নি, সেটিতে এগিয়ে আছে শারদ পাওয়ারের এনসিপিএসপি। এই দলটিও ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে রয়েছে। আসনটি তারা পেলে বিরোধী এই জোটের আসন সংখ্যা হবে ২০২টি।

এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে ৩০৩ আসনে জয় পেয়েছিল। সেবার বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ৩৫২ আসনে জয় পায়। এবার বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন পায়নি। সে ক্ষেত্রে এনডিএ জোট শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে। গত নির্বাচনে কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছিল ৫২টি আসন। আর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ জোট পেয়েছিল ৯৪ আসন।

লোকসভার মোট ৫৪৩ আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন হয় ২৭২ আসন। সে ক্ষেত্রে বিজেপি তার জোটসঙ্গীদের নিয়ে সরকার গঠন করতে পারবে। তবে জোটসঙ্গীদের মধ্যে বেশি আসন পাওয়া দলগুলো বিরোধী শিবিরে গেলে চিত্র ভিন্ন হতে পারে।

বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিকদের প্রধান অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি ১৬টি এবং বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দল-ইউনাইটেড (জেডি–ইউ) ১২টি আসনে জয় পেয়েছে। এই দুই দল ছাড়া আরও একাধিক এনডিএ শরিকের ওপর নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে। এদের মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্রের শিবসেনার সিন্ধে গোষ্ঠী, বিহারে লোক জনশক্তি পার্টি এবং উত্তর প্রদেশের রাষ্ট্রীয় লোক দল।


আরও খবর



চবিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বুধবার দিনব্যাপি কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে ও আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সালামত উল্লাহ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উক্ত ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. খালেদ মিসবাহুজ্জামান।

চবি বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আকতার হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উক্ত ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন। সেমিনারের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সফিউল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উক্ত ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী কিশোয়ার জাহান চৌধুরী।

প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী বলেন, পরিবেশের গুরুত্ব অনুধাবন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে। যা এতদ্অঞ্চল তথা দেশের পরিবেশ সুরক্ষায় অবদান রেখে চলেছে। পরিবেশ সুরক্ষার অন্যতম উপাদান হলো ভুমি, বৃক্ষ ও জীববৈচিত্র। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য ধরীত্রি সুন্দর ও সুরক্ষিত রাখতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষ রোপনের কোন বিকল্প নেই। তাই পরিবেশ সুরক্ষায় প্রচুর বৃক্ষ রোপনের পাশপাশি পরিবেশ বিধ্বংশী যে কোন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে।

তিনি এই ধরীত্রি সুরক্ষায় সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান।

ইনস্টিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি এবং চবি ঝুলন্ত সেতুর কাছে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী

এসময় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সালামত উল্লাহ সহ উক্ত ইনস্টিটিউটের সম্মানিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিকবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর