আজ ৩ মার্চ বিশ্ব শ্রবণ দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার (ডব্লিউএইচও) উদ্যোগে বরাবরের মতো এবারো দিবসটি সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে। এ
বছর দিবসের প্রতিপাদ্য কর্ণ ও শ্রবণসেবা সকলের তরে, আসুন করি বাস্তবায়ন ঘরে ঘরে।
দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে
সংবাদ সম্মেলন করেছে স্পিচ অ্যান্ড হিয়ারিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ। সংগঠনটি স্বাভাবিক
শ্রবণ ক্ষমতা রক্ষায় ১৪ দফা সুপারিশ করেছে।
সুপারিশগুলো হলো- হাইড্রলিক হর্ন বন্ধ
করা, আবাসিক এলাকার জন্য শব্দের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ৫৫ ডেসিবল ও বাণিজ্যিক
এলাকার জন্য ৭০ ডেসিবল বাস্তবায়ন করা, উচ্চ শব্দের মধ্যে কর্মরতদের ক্ষেত্রে ইয়ার প্লাগ
ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা, পাঠ্যসূচিতে শব্দদূষণ রোধের বিষয়ে সচেতন করা; পাবলিক প্লেসে
মাইক কিংবা স্পিকার ব্যবহারে শব্দের মাত্রা ৫৩ ডেসিবলের মধ্যে রাখার জন্য আইন প্রণয়ন
করা উল্লেখযোগ্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে ২০০৭
সালের ৩ মার্চ প্রথমবারের মতো পালিত হয় ‘ইন্টারন্যাশনাল
ইয়ার কেয়ার ডে’ বা আন্তর্জাতিক
কর্ণ যত্ন দিবস। তখন শব্দদূষণকে শ্রবণ হ্রাসের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয়
সতর্কতা অবলম্বনের জন্য প্রচারণা চালানো হতো। কানের বহিরাংশ না বহিকর্ণ দেখতে ইংরেজি
সংখ্যা ৩ বা থ্রির মতো। তাই ইংরেজি বছরের তৃতীয় মাস তথা মার্চ মাসের তৃতীয় দিনকে বিশ্ব
কানের যত্ন দিবস হিসেবে পালন করার জন্য বলা হয়েছে।