আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

আজকের দিনেই পৃথিবীতে এসেছিলেন হুমায়ুন ফরীদি

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আজকের দিনেই পৃথিবীতে এসেছিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি। সোমবার (২৯ মে) এই অভিনেতার ৭১তম জন্মদিন। একাধারে তিনি মঞ্চ, টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ছুঁয়ে গেছেন দর্শকহৃদয়। এরপর থেকেই চলচ্চিত্র জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম হুমায়ুন ফরীদি।

আশির দশকে তানভীর মোকাম্মেলের হুলিয়া সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন তিনি। পরবর্তীতে বাংলা সিনেমার জগতে নিজেই এক অধ্যায় হয়ে উঠেছেন হুমায়ুন ফরীদি। একে একে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র।

আরও পড়ুন<< বিচ্ছেদের গুঞ্জনে মুখ খুললেন সৃজিত

মাতৃত্ব চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন হুমায়ুন ফরীদি। পরে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করেন।

১৯৫২ সালের ২৯ মে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন ফরীদি। তার বাবার নাম এটিএম নূরুল ইসলাম ও মা বেগম ফরিদা ইসলাম। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।

১৯৬৫ সালে পিতার চাকুরীর সুবাদে মাদারীপুরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তার পড়াশুনার শুরু করেন। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ফরীদি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন নাট্য অঙ্গনের সঙ্গে।

আরও পড়ুন<< বিয়ে বয়সের কোনো বিষয় নয়: আশিস বিদ্যার্থী

পরে ১৯৭৬ সালে নাট্যজন সেলিম আল দীন-এর উদ্যোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় নাট্যোৎসব। আর হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন এর অন্যতম প্রধান সংগঠক। আর এই উৎসবে ফরিদীর নিজের রচনায় এবং নির্দেশনায় মঞস্থ হয় আত্মস্থ ও হিরন্ময়ীদের বৃত্তান্ত নামে একটি নাটক। ওই সময় নাটকটি সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।

হুমায়ুন ফরীদির অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে- আনন্দ অশ্রু, ভণ্ড, ঘাতক, ব্যাচেলর, জয়যাত্রা, শ্যামল ছায়া, টাকার অহংকার, অধিকার চাই, সন্ত্রাস, দহন, লড়াকু, দিনমজুর, বীর পুরুষ, বিশ্ব প্রেমিক, আজকের হিটলার, দুর্জয়, শাসন-সহ অসংখ্য সিনেমা উপহার দিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রে।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন হুমায়ুন ফরীদি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬০।

নিউজ ট্যাগ: হুমায়ুন ফরীদি

আরও খবর



রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশে পুনর্বাসন কোনো সমাধান নয়: ম্যাকেঞ্জি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ হয়ে এ পর্যন্ত ১২ থেকে ১৩ হাজার রোহিঙ্গা যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসিত হয়েছেন। মানবিক কারণে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে পুর্নবাসন করা হলেও তৃতীয় কোনো দেশে রোহিঙ্গাদের পাঠানো দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নয়। যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক শরণার্থীবিষয়ক সমন্বয়কারী ম্যাকেঞ্জি রো বুধবার (১২ জুন) দুপুরে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দেখভালে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য বাস্তুচ্যুত জাতিগোষ্ঠী নিরাপদে নিজ ভূমিতে ফেরত যেতে পারে, সে জন্য মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে আঞ্চলিক দেশগুলো ও জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

ম্যাকেঞ্জি রো বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত হয় এমন যে কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ রয়েছে।

তিনি বলেন, মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে থাকা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার দিক থেকে সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২৪০ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৯০ কোটি ডলার এসেছে বাংলাদেশে।

মার্কিন দূতাবাসের রিজিওনাল রিফিউজি কো-অর্ডিনেটর জানান, আঞ্চলিকভাবে ১২ থেকে ১৫ হাজার রোহিঙ্গা যুক্তরাষ্ট্রের পুনর্বাসিত হলেও মানবিক সংকটের সমাধান হিসেবে এটি কোনো দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া নয়। আগামী সেপ্টেম্বরে আমাদের রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের নতুন সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।

মানবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের দেওয়া সহায়তা তাদের কাছে পৌঁছাক, যাদের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। আর এসব বিষয়ে সমাধানে আমরা অংশীদারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কাজ করছি।

তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনের একটি অপরিহার্য ভিত্তি হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহি নিশ্চিত করা।


আরও খবর



এবারের ঈদ দেশের মানুষের জন্য একটা কষ্টের দিন: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মুদ্রাস্ফীতির কারণে ঈদ উদযাপন সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টের ও কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (১৭ জুন) সকালে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের পর দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ি তাঁতিপাড়া এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের মাধ্যমে পুরো দেশবাসীকে এ শুভেচ্ছা জানান তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ ও সারাবিশ্বের মুসলমানদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক। আমি বিশ্ব মুসলিমের অব্যাহত সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করি। এই ঈদুল আজহা আমাদের ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত করে। এদিন আমরা পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে আমাদের মধ্যে যে সমস্ত অশুভবোধ আছে তা ত্যাগ করি। একই সঙ্গে আমাদের জীবনকে যেন সুন্দর, সৎ ও পবিত্রতার বোধে রাখতে পারি সে প্রার্থনা করি।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ঈদুল আজহা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য গুরুত্বপূর্ণ আজকের সমস্ত দেশেই যেভাবে দুর্নীতি আগ্রাসী হয়ে একটা ব্যাধি হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা আমরা মনে করি আজ ঈদুল আজহা ত্যাগের মাধ্যমে যারা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত আছেন তারা তা ত্যাগ করবেন। তাদের সমস্ত অশুভ আকাঙ্ক্ষা বাদ দেবেন। একই সঙ্গে জনগণের জন্য মানুষের কল্যাণে তারা কাজ করবেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এবার ঈদ বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটা কষ্টের দিন। এ জন্যই যে এখন যারা পশু কোরবানি করেন তারা পশুকে যে ক্রয় করতে হয় সেখানেও তারা একটা বড় রকমের মুদ্রাস্ফীতিতে আক্রান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষ যারা কোরবানি দিতে পারে না তারা বিভিন্নভাবে কোরবানির গোশত সংগ্রহ করে। তাদের পক্ষে তা রান্না করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ রান্নার যে সমস্ত মসলা ও অন্যান্য উপকরণ দরকার হয়, এটা তাদের পক্ষে সংগ্রহ করা খুব জটিল এবং কঠিন।

এ অবস্থার জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজ দ্রব্যমূল্যের দাম যেভাবে বেড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। এ কারণে ঈদুল আজহা সাধারণ মানুষের জন্য আনন্দের বার্তা নিয়ে আসেনি। এসব কারণে মানুষ ঈদ আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে না।

বিএনপি সেন্টমার্টিন নিয়ে যে সমস্ত কথা বলছে তা গুজব ছড়ানো হয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা সবসময় (গণমাধ্যমকর্মী) ওবায়দুল কাদের সাহেবের রেফারেন্স দিয়ে কথা বলেন তো, এটা আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি না। এজন্য পছন্দ করি না যে ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথার জবাব দিতে আমার রুচিতে বাধে। যারা রাজনীতি করছেন ক্ষমতায় আছেন যদি সত্যকে উপলব্ধি না করেন, তারা যদি দেশের সমস্যা, গণমানুষের যে আকাঙ্ক্ষা বুঝতে না পারেন, তাহলে তারা কীভাবে শাসক হবেন? এবং আমরা দেখেছি গত দেড় যুগ ধরে এ দখলদার আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সব আকাঙ্ক্ষাগুলোকে পদদলিত করে দিয়েছে। জনগণের অধিকারগুলোকে ভোটের অধিকারগুলোকে পদদলিত করে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে পদলিত করে তারা আজকে জোর করে শাসন ব্যবস্থা জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। শুধু তাদের কথার উত্তর দিতে আমাদের ইচ্ছে করে না এ জন্যই জনগণ এখন তাদের পছন্দ করে না। তারা (আওয়ামী লীগ) এটুকু উপলব্ধি করে না যে জনগণ এখন তাদের ঘৃণা করতে শুরু করেছে। কারণ তারা এখন শুধু মিথ্যে কথা বলে, প্রতারণা করে জোর করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে। এজন্যই আওয়ামী লীগ সরকারকে আমরা গুরুত্ব দেই না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, মিয়ানমার ও সেন্টমার্টিনের বর্তমান ইস্যু আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যে যাই বলুক এটাই সত্য যে সেখানে গোলাগুলি হচ্ছে। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের সমস্ত জাহাজগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এই সত্যকে তারা (আওয়ামী লীগ) অস্বীকার করবে কীভাবে। তাদের বিজিবির প্রধান সেখানে যাচ্ছে বারবার। সেনাবাহিনীর প্রধান বারবার বলছেন যে আমরা সতর্ক আছি। তাহলে আমরা (বিএনপি) গুজব ছড়ালাম কোথায়?। এটাতো বাস্তবতা যে সেন্টমার্টিনের সঙ্গে মিয়ানমারের ঘটনাবলির একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। সেই সমস্যার কারণে সেন্টমার্টিনে জাহাজ যেতে পারছে না, খাদ্য যেতে পারছে না। সেখানকার যারা অধিবাসী তারা অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে দিন পার করছে। তারা নিরাপত্তার অভাববোধ করছে। সেই জিনিসটা (আওয়ামী লীগ) স্বীকার না করে। তারা এই সমস্ত কথা বলছে যেসব কথা ভিত্তিহীন বানোয়াট এজন্যই এ সমস্ত কথা আমরা গুরুত্ব দেই না।

এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, জেলা যুবদলের সভাপতি মেহেবুল্লাহ আবু নূর চৌধুরীসহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে সুদারুদের চাপে চিরকুট লিখে যুবকের আত্মহত্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁওয়ে সুদারুদের চাপ ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শিক্ষকসহ সাতজনের নাম চিরকুটে লিখে আত্মহত্যার করেছে এক যুবক।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের মাদ্রাসাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত শফিকুল ইসলাম (৪৫) ওই এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি.এম ফি‌রোজ ওয়া‌হিদ। তবে সুদখোরদের হুমকিতে আতঙ্কে রয়েছে নিহতের পরিবারের লোকজন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সম্ভবত রাত তিন থেকে চারটার দিকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। সকালে তার লাশটি ঘরের বারান্দায় দেখতে পায় তারা। পরে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ওই চিরকুটে ৭ জনের নাম রয়েছে। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন সেটা জানি না। আমরা টাঙ্গাইল থেকে এসেছি। আমাদের এখানে আত্মীয়-স্বজন কেউ নেই বলে জানান নিহতের পরিবার।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত শফিকুল ইসলাম পাঁচ মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মাদ্রাসা পাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি ফেরি করে কাপড় ব্যবসা করতেন। পুলিশ লাইনের সামনে একটি পানের দোকান রয়েছেও তাঁর। এই বড় পরিবার তিনি চালাতে গিয়ে প্রায় হিমশিম খেতে ছিলেন। এ সময় তিনি বেশ কয়েকজনের কাছে ঋণ মাহাজন করেছিলান। আর ঋণ মাহাজনের টাকার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করতেন সুদখোররা। চাপ সহ্য করতে না পেরে ভোররাতে ঘরের বারান্দায় চালার বাশের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। তবে মৃত্যুর আগে এক চিরকুটে শিক্ষকসহ সাতজনের নাম লিখে যান তিনি।

চিরকুটে যে সাতজনের নাম লিখে গেছেন তারা হলেন, মো. জুয়েল ইসলাম, মো. হুমায়ুন কবীর, মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম, মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. হাবু ও পৌর শহরের কলোনির একজন।

চিরকুটে যাদের নাম রয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা তাঁরা কেউ কথা বলতে রাজী হননি।

সুদের ভয়াল ছোবলে নি:শ্ব হওয়া নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একজন জানান, আমি বিপদে পরে এক বোর্ড অফিস এলাকার জাহাঙ্গীর সুদারুর কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে ছিলাম। সে আমার ব্যাংক চেক ও ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। সেই টাকার ৫ গুন লাভ দিয়েও  ঋণের হাত থেকে রেহাই পাইনি। পরে সুদ পরিশোধ করতে সমিতি থেকে কিস্তি তুলি। এভাবে দেনা বাড়তে বাড়তে বাড়ির জায়গা পর্যন্ত বিক্রি করে এখন আমি নিঃস্ব।

সুদের টাকা দিতে দেরি হলে বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি ও অশ্লীল ভাষায় গালাগালিও করে সুদখোররা। প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করা যায় না। সুদারুদের কাছে সর্বস্ব দিয়েও এর হাত থেকে রেহায় পাচ্ছেন না ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ।

সমাজ উন্নয়নকর্মী মনিরুজ্জামান মিলন বলেন, বর্তমানে সুদখোরেরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আইন না থাকায় তাদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ পুলিশ-প্রশাসন। সুদ গ্রহিতার কাছ থেকে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও ফাঁকা চেক নিয়ে জিম্মি করছে তাদের। অনেক ক্ষেত্রে আসল ও কিছু সুদের টাকা পরিশোধ করলেও সুদের সুদ দিতে না পারলে ঐ দুই কাগজের বলে আইনের মারপ্যাচে জেলে যেতে হচ্ছে অসহায় সুদ গ্রহিতাকে।

তিনি আরো বলেন, এখানে ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে। গরিব আরো গরিব হচ্ছে। যার ন্যূনতম একটা সম্মানবোধ আছে, তিনি হয়ত আত্মহত্যা করছেন। কিন্তু আমাদের দেশে তো হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপি হয়ে অনেকেই আয়েসে জীবন যাপন করছেন। তাদের ঐ সম্মানবোধটাই নেই। ফলে অনেকে জীবন বাঁচাতে ঋণ নিয়ে সেটারই ফাঁদে পড়ছে। যার ফলে এই ধরনের ঘটনায় আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানা ওসি এবি এম ফি‌রোজ ওয়া‌হিদ বলেন, পোস্টমর্টেম করা হয়েছে। তিনি চিরকুটে কয়েকজনের নাম লিখে আত্মহত্যা করেছেন এটি কি তিনি লিখেছেন নাকি কাউকে ফাঁসানোর জন্য অন্য কেউ লিখে রেখেছেন সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি। এ মুহূর্তে অন্য কিছু বলা সম্ভব না।


আরও খবর



ঘুমের মধ্যে দম আটকে যাওয়া কীসের লক্ষণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে রাতে একটু ঘুমাতে গেলেন, কিন্তু দম আটকে যাওয়ার কারণে আচমকাই জেগে উঠতে হয়। এই সমস্যা অনেকের হয়ে থাকে। কিংবা রাতে লম্বা ঘুম দেয়ার পর বিকেল নামতেই ঝিমুনি। এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে হেলাফেলা করা যাবে না। এগুলো স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ। স্লিপ অ্যাপনিয়ার প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিস্তারিত বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে।

স্লিপ অ্যাপনিয়া: স্লিপ অ্যাপনিয়ায় হচ্ছে ঘুমানোর সময় শ্বাসনালি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া। শ্বাসনালি যতক্ষণ বন্ধ থাকে, রোগী নিশ্বাস নিতে পারেন না। এতে বাইরে থেকে বাতাসের মাধ্যমে অক্সিজেন শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। এতে মস্তিষ্ক, হার্ট বা অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিনের পর দিন কিছু সময়ের জন্য অক্সিজেনের ঘাটতির ফলে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। যার প্রভাবে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সচল রাখতে অক্সিজেন খাদ্যের মতো কাজ করে। যখন অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তখন মস্তিষ্ক সিগন্যাল দিয়ে রোগীকে জাগিয়ে তোলে, যেন তিনি নিশ্বাস নেন এবং তখন সংকুচিত শ্বাসনালি খুলে যায়। এভাবে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগী বার বার জেগে ওঠেন। বার বার ঘুম ভাঙার কারণে তারা ক্লান্ত থাকেন, ফলে দিনের বেলায় ঝিমুতে থাকেন।

লক্ষণ: জাতীয় নাক কান গলা ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ স্লিপ অ্যাপনিয়ার এমন কিছু লক্ষণের কথা জানিয়েছেন।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি অস্বাভাবিক নাক ডাকেন। দেখা যায়, তারা কখনো খুব জোড়ে ডাকছেন, আবার থেমে যাচ্ছে, তারপর আবার ভিন্ন স্বরে নাক ডাকছেন।

প্রায় সময় ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অনুভূতি হয়। বিশেষ করে চিত হয়ে ঘুমানোর সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। ঘুমের মধ্যে ঝাঁকুনি দিয়ে জেগে ওঠেন এবং কিছু সময়ের জন্য হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়।

অনেক সময় ঘুমানোর পরও ক্লান্ত লাগে, কাজ করতে গিয়ে বা গাড়ি চালাতে গিয়ে হুট করে ঘুমিয়ে পড়েন।

মেজাজ খিটখিটে থাকে। কারও সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না, অবসাদগ্রস্ত লাগে। কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না।

ওষুধ খেয়েও রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকছে না।

করণীয়: প্রাথমিক পর্যায়ের স্লিপ অ্যাপনিয়া ধরা পড়লে সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু দীর্ঘদিনেও চিকিৎসা না করলে সমস্যা জটিল আকার নিতে পারে। এতে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যাবে; যার প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা খুব বেশি হলে চিকিৎসক রোগীকে কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশার বা সি প্যাপ নামে একটি যন্ত্রের সাহায্য নিতে বলেন। এই যন্ত্রটি অনেকটা বক্সের মতো এবং এর সঙ্গে মোটা পাইপের সংযোগ দিয়ে একটি মাস্ক বসানো থাকে। রোগীকে প্রতিবার ঘুমের সময় এই মাস্কটি পরতে হয়। এই যন্ত্রটি মূলত ঘুমের মধ্যে রোগীর শ্বাসনালি খোলা রাখতে সাহায্য করে এবং অক্সিজেনের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখে। ফলে শরীরের অঙ্গগুলোকে আর অক্সিজেনের ঘাটতিতে ভুগতে হয় না। এতে অনেক জটিল রোগের নিরাময় সম্ভব হয়।

তবে যারা সি-প্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না, তাদেরকে বিকল্প চিকিৎসা নিতে হয়। যেমন, গলার টনসিল বা নাকের পেশি বড় হয়ে গেলে তা অপারেশন করা। ম্যান্ডিবুলার অ্যাডভান্সমেন্ট ডিভাইস-ম্যাড ব্যবহার। এটি মুখের নীচের চোয়ালকে সামনে এগিয়ে রাখতে দাঁতের চারপাশে বসানো এক ধরনের যন্ত্র, যা শ্বাসনালি খোলা রাখতে সাহায্য করে।

লেজার অপারেশনের মাধ্যমে শ্বাসনালীর পরিধি বড় করাও একটি প্রক্রিয়া। এছাড়া জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলেও স্লিপ অ্যাপনিয়া অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যেমন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, সুষম খাদ্যাভ্যাস, ডায়াবেটিস/রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান ও মদপান পরিহার, কাত হয়ে ঘুমানো।

নিউজ ট্যাগ: স্লিপ অ্যাপনিয়া

আরও খবর



মানুষের ওপর বোঝা চাপানোর বাজেট: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সাধারণ মানুষের ওপর আরও বোঝা চাপাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাজেট প্রস্তাবের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

বাজেটকে লুটের বাজেট উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই বাজেট লুট করার জন্য। তথাকথিত বাজেটে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। সাধারণ মানুষের ওপর সমস্ত বোঝা চাপাবে। ব্যাংক ও বিদেশিদের ওপর ঋণ আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, বাজেটের সঙ্গে সবকিছুর দাম আবার বাড়বে। বিদ্যুৎ খাতে চুরির বিষয়টি সবাই জানে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মানুষ তো আর পারছে না। নতুন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। পুরো বাজেট বাংলাদেশ বিরোধী বাজেট। জনগণের জন্য কিছু নেই। মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতির জন্য এই বাজেট।


আরও খবর