আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

আকস্মিক ঝড়ে ২৯ জেলেসহ দুই ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ ১

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে ২৯ জেলেসহ দুটি মাছধরা ট্রলার ডুবে গেছে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝড় এবং উত্তাল ঢেউয়ের কবলে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে এফবি মুনিয়া নামের মাছধরা ট্রলারের সবাই উদ্ধার হলেও এফবি জোবায়ের নামে একটি মাছধরা ট্রলারের জেলে রবিউল এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

ট্রলার ডুবির ঘটনার পর সাগরে ভাসমান অবস্থায় ২৮ জেলেকে নিকটবর্তী থাকা একটি মাছধরা ট্রলারে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এসময় ডুবে যাওয়া ট্রলারসহ মাছধরা সরঞ্জাম উদ্ধার করতে পারেনি। উদ্ধারকৃত জেলেদের বাড়ী পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী গ্রামে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হওয়া জেলেদের নিয়ে মহিপুর মৎস্য বন্দরে পৌঁছানোর পর এর বিস্তারিত জানা যায়।

আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিখোঁজ ৪

মহিপুর গাজী ফিসের স্বত্ত্বাধিকারী মজনু গাজী জানান, রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবীর বশির মেম্বারের এফবি মুনিয়া ট্রলারটি তাঁর আড়ৎ থেকে সমুদ্রে মাছ ধরার উদ্দ্যেশ্যে যায়, শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ ঢেউয়ের তাণ্ডবে পড়ে ডুবে গেছে। কাছাকাছি থাকা অন্য মাছধরা ট্রলার ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১৪ জেলেকে উদ্ধার করে মহিপুরে নিয়ে আসতে সক্ষম হন। এসময় ট্রলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।

এছাড়া একই এলাকার এফবি জোবায়ের ট্রলারের মালিক ইলিয়াস মৃধা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মহিপুর বন্দর থেকে তার ট্রলারটি ছেড়ে যায়। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে জাল ফেলার সময় আকস্মিক ঝড় এবং উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।

আরও পড়ুন: কাউকেই ঢাকার প্রবেশ পথে অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়নি: ডিএমপি

মহিপুর মৎস্য আড়ৎ সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজা মিয়া জানান, মহিপুর মৎস্য আড়ৎ সমবায় সমিতির দুটি মাছ ধরা ট্রলার শুক্রবার সমুদ্রে ডুবে গেছে, এখনও ট্রলার দুটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ট্রলারে থাকা ২৯ জেলের মধ্যে ২৮ জেলেকে উদ্ধার এবং এক জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

রাজা মিয়া দাবি করেন, দুটি ট্রলার ডুবির ঘটনায় অন্তত ৭০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।


আরও খবর



চাঁদ দেখা গেছে, ঈদুল আজহা ১৭ জুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ১৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে। শুক্রবার (৭ জুন) রাতে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

এর আগে, জিলহজ মাসের চাঁদ দেখতে ধর্মমন্ত্রীর সভাপতিত্বে শুক্রবার রাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠকে বসে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।

এদিকে, সৌদি আরবে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামী ১৬ জুন দেশটিতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

উল্লেখ্য, জিলহজ আত্মত্যাগের মাস। মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহিম (আ.) এ মাসেই নিজের প্রিয় সন্তান ইসমাইলকে (আ.)-কোরবানির মাধ্যমে প্রভুপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। যদিও আল্লাহর বিশেষ রহমতে ইসমাইল (আ.) এর পরিবর্তে একটি পশু কোরবানি হয়েছে।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন মোদি

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঈদুল আজহার উষ্ণ শুভেচ্ছা জা‌নি‌য়ে‌ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে মোদির শু‌ভেচ্ছা জানা‌নোর তথ্য রোববার (১৬ জুন) এক বার্তায় জানায় ঢাকায় ভারতীয় হাইক‌মিশন।

হাইক‌মিশন জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে নরেন্দ্র মোদি করেছেন, এই উৎসবটি আমাদের ত্যাগ, সহানুভূতি ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। যা একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গড়তে অপরিহার্য। তিনি ঈদুল আজহাকে বহু-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবেও বর্ণনা করেছেন। ‌চি‌ঠি‌তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করেছেন।


আরও খবর



৯৬ হাজার অবৈধ কর্মীকে বৈধতা দে‌বে ওমান: প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, ৯৬ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি কর্মীকে বৈধতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ওমান সরকার।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওমানে ৯৬ হাজার কর্মী অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তাদের বৈধ করার আশ্বাস দিয়েছে ওমান সরকার। এই বৈধকরণে জন্য একটি জরিমানা নেওয়া হয়। এই জরিমানা মওকুফ করার জন্য আমরা ওমান সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ওমান বাংলাদেশ থেকে ১২ ক্যাটাগরিতে নতুন কর্মী নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তারা দক্ষ কর্মী নিতে চায়। আমরা এ বিষয় আলোচনা করেছি। দক্ষ কর্মী যাওয়া শুরু করলে অদক্ষ কর্মীও যাওয়া শুরু করবে। পর্যায়ক্রমে সে ব্যবস্থা হবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার নিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, দুবাই শ্রমবাজার আরও গতিশীল ও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে দুবাইয়ের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। দুবাই থেকে ইতোমধ্যে ৩ হাজার কর্মীর চাহিদা এসেছে। এর মধ্যে ৪০০ কর্মী চলে গেছে। আরও ৫০০ কর্মীর যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার নিয়ে সম্প্রতি  দুবাই, ওমান ও কাতার সফর ক‌রেন প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। সেই সফরের অভিজ্ঞতা আজ তুলে ধরেন তিনি।


আরও খবর



সম্পত্তি লিখে নিয়ে মাকে মেরে বের করে দিল সন্তান

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মীর ইমরান, মাদারীপুর

Image

মাদারীপুরের মায়ের সম্পত্তি ও ব্যাংকে থাকা অর্থ হাতিয়ে নিয়ে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বড় ছেলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বৃদ্ধা সৈয়দা শান্তি নাহার (৭০) ছেলেকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ডাসার উপজেলার পূর্ব ডাসার গ্রামের শান্তি নাহার নামে এক বৃদ্ধা তার বড় ছেলে সৈয়দ জানে আলম স্বপনের কাছে ছিলেন। অসুস্থ মাকে দেখশোনা করার কথা বলে তার কাছে বেশ কিছুদিন রাখেন। এ সময় মায়ের নামে থাকা মাদারীপুর শহরের একটি বাড়ির জমি স্বপন লিখে নিয়েছেন। এ ছাড়াও তার জমি বিক্রির ব্যাংকে থাকা অর্থ আত্মসাৎ করছেন তার বড় সন্তান সৈয়দ জানে আলম।

বৃদ্ধা মায়ের অভিযোগ, সম্পত্তি ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে তিন দিন খাবার না দিয়ে বড় সন্তান ও তার স্ত্রী বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন।

এ ঘটনায় প্রতারণা করে সম্পত্তি ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে মাদারীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন বৃদ্ধা। মামলায় বড় সন্তান সৈয়দ জানে আলম স্বপন ও তার স্ত্রী কাজী শিবলী আক্তার রুমা এবং তার নাতনী সৈয়দ রাহুল আলম শুভকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দা শান্তি নাহার নামে ওই বৃদ্ধার স্বামী বছর তিনেক আগে মারা গিয়েছে। ওয়ারিশ হিসেবে রেখে গেছেন, তিন সন্তান, এক মেয়ে। স্বামীর মৃত্যুর পরে চিকিৎসাজনিত কারণে মাদারীপুর শহরে তার বড় ছেলের বাড়িতে থাকেন তিনি। নগদ টাকার প্রয়োজনে ৫২ লাখ টাকার জমি বিক্রি করেন। সেই টাকা বড় সন্তানের কাছে গচ্ছিত রাখেন। কিছুদিন তিনি অসুস্থবোধ করলে চিকিৎসার কথা বলে বড় ছেলে জানে আলম ও তার স্ত্রী রুমা এবং তার সস্তান শুভ অজ্ঞাত একটি বিল্ডিংয়ে নিয়ে যায়। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে বলে কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এর কিছুদিন পরে জানতে পারেন তার বাড়ির তিন শতাংশ জমি হেবা দলিলের মাধ্যমে বড় সন্তান জানে আলম তার নামে লিখে নিয়েছেন।

এ ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে তার একাধিক সম্পত্তি প্রতারণা করে অন্যদের দলিল করিয়ে দেন। বিষয়টি জানার পরে তার বড় ছেলের কাছে জমি বিক্রির টাকাসহ মোট ৭১ লাখ টাকা এবং তিন শতাংশ জমি ফেরত চাইলে টাকা ও জমি ফেরত দিতে অস্বীকার করে। পরে মামলা করা হুমকি দিলে সৈয়দ জানে আলম স্বপন বৃদ্ধা শান্তি নাহারকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও লাথি মেরে ঘর থেকে বের করে দেয়।

ঘটনার পরে তার মেঝ ছেলে সৈয়দ মুক্তি তার মাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করেন।

ভুক্তভোগী সৈয়দা শান্তি নাহার বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে আমার ছেলে সৈয়দ জানে আলম ও তার স্ত্রী কাজী শিবলী আক্তার রুমা জায়গাজমি অর্থ সম্পদ আত্মাসাৎ করে, আমাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। এমন কুলাঙ্গার সন্তান আমার দরকার নেই। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধার দেবর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলমগীর বলেন, আমার ভাতিজা স্বপন আমার সামনে ওর মাকে মারধর করেছে। এমন কুলাঙ্গার সন্তান আমি কখনো দেখিনি। ওর দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়ার উচিত। যাতে কেউ মায়ের গায়ে হাত তুলতে না পারে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সৈয়দ জানে আলম স্বপন বলেন, এ ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার মা মিথ্যা কথা বলছে। জমি বিক্রি করে তার টাকা তাকে দেওয়া হয়েছে। সে তার টাকা তুলে চিকিৎসার জন্য খরচ করছে। তার জমি বিক্রির বাকি টাকা তার অ্যাকাউন্টেই আছে।

ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, বৃদ্ধা মাকে পুলিশের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডাসারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কানিজ আফরোজ বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। মাকে তার সন্তান মারধর করবে এটা সভ্য সমাজে মেনে নেওয়ার মতো নয়। অভিযুক্ত সন্তানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: মাদারীপুর

আরও খবর



মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় চেম্বারে বহাল

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ মর্মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন চেম্বার জজ আদালত। তবে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ৪ জুলাই পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন আদালত।

রোববার (৯ জুন) চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের রায় স্থগিত না করে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করেন।

এর ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের আদেশটি আপাতত বহাল রইলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। রোববার (৯ জুন) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ সাইফুল আলম।

গেল ৫ জুন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কোটা বাতিলে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের একদিন পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ পরিপত্র জারি করে।

সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেড (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওই পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো।


আরও খবর