আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে ভিক্ষুকের টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

স্বামী হারানো ৮২ বছর বয়সী কুটি খাতুনের ভিক্ষা করে জমানো ১৫ হাজার টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে। মাথা গোঁজার স্বপ্ন নিয়ে সরকারি ঘরের আশায় ২ বছর আগে ওই নেতাকে এ টাকা তুলে দেন কুটি। অথচ আজও সেই ঘর দেওয়া হয়নি তাকে। এমনকি টাকাও ফেরত পাননি তিনি।

অভিযুক্ত ওই আ.লীগ নেতার নাম কামরুজ্জামান সাহেব ফকির। তিনি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চরযোশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

ভুক্তভোগী কুটি খাতুন উপজেলার চরযশোরদি ইউনিয়নের বড় শ্রীবদ্দি গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইউসুফ মাতুব্বরের স্ত্রী। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে নিজের জীবন বাঁচাতে লড়াই করে আসছেন তিনি। পেটের তাগিদে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনযাপন করছেন তিনি। বসবাস করছেন প্রতিবেশির ঝুপরি ঘরে। এমন অবস্থায় শেষ বয়সে এসে একটি সরকারি ঘরে মাথা গোঁজার স্বপ্ন দেখেন তিনি। আর সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য গত ২ বছর আগে ভিক্ষা করে জমানো ১৫ হাজার টাকা তুলে দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে।

তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে এখনো মেলেনি তার সরকারি ঘর। এমনকি ফেরত পাননি টাকা। তাছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো ভাতার তালিকাতেও তার নাম ওঠেনি বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী কুটি খাতুনের সঙ্গে কথা বললে এসব তথ্য ওঠে আসে।

মূলত চেয়ারম্যান নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকা অবস্থায় এ লেনদেন হয়েছে বলে জানা যায়।

প্রতিবেশীরা জানান, মুক্তিযুদ্ধের বছর মারা যান কুটি খাতুনের স্বামী। তার দুটি ছেলে সন্তান থাকলেও তারা কেউ মাকে দেখেন না। স্বামীর সম্পত্তি বলতে এক টুকরো ভিটে থাকলেও মাথা গোঁজার মতো ঘর ছিল না। প্রতিবেশীর একটি ঝুপরি ঘরে থেকে ভিক্ষা করে পেট চালান তিনি। বর্তমানে অনাহারে অর্থাহারে কাটছে তার জীবন।

ভুক্তভোগী কুটি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে গত ২ বছর আগে চরযোশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সাহেব ফকির আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু টাকা নিলেও ঘর দেয়নি। আমি ঘরের জন্য অনেক ঘুরেছি, লাভ হয়নি। এখন দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে বিচার চেয়েছি।

কুটি খাতুনের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসির খান বলেন, ওই বৃদ্ধা মহিলা বারবার আমার কাছে এসে ঘর ও টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। আমি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করলেও তিনি গুরুত্ব দেননি।

অভিযুক্ত চরযোশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান সাহেব ফকির বলেন, কুটি খাতুনকে আমি চিনিই না। তবে শুনেছি, সরকারি ঘরের জন্য পাচী নামে এক মহিলা তার আত্মীয়কে ১৩ হাজার টাকা দিয়েছিল। সেই টাকা পাচীকে ফেরতও দিয়েছে। এখন আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে।

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে টাকা নেওয়ার প্রমাণ মিললে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া এই বয়োজ্যেষ্ঠ অসহায় মহিলাকে বসবাসের জন্য অতি দ্রুত একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে এবং সরকারি ভাতার আওতায় আনা হবে।


আরও খবর



বিশ্বকাপ মিশন শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

গত ২৪ জুন আফগানিস্তানের কাছে হেরে সুপার এইট থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। এরপর কিছুদিন ক্যারিবীয় দীপপুঞ্জে কাটানোর পর শুক্রবার (২৮ জুন) দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কাকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হারিয়ে যাত্রা শুরু করে তারা। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হেরে যায় শান্তর দল। তবে গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো শেষ আটে জায়গা করে নেয় টাইগাররা।

তবে শেষ আটে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যায় শান্ত বাহিনীরা। এরপর ভারতের কাছেও হারে বাংলাদেশ। তবে দুই ম্যাচ হেরেও সেমিতে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। শেষ আটে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল টাইগাররা। তবে নাটকীয় সেই ম্যাচ হেরে শেষ আট থেকেই বিদায় নেয় শান্তর দল।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলিং নিয়ে সাবেকরা প্রশংসা করলেও ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা করেছেন সকলে। ব্যাট হাতে কেউ এবারের বিশ্বকাপে জ্বলে উঠতে পারেনি। সবাইকে হতাশ করেছেন সাকিব-শান্তরা। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহও ছিলেন অনুজ্জ্বল।

তবুও তাদের মাঝে নিজেকে মেলে ধরেছেন তাওহীদ হৃদয়। আর বল হাতে তো সবার সুনাম কুড়িয়েছেন তানজিম সাকিব ও রিশাদ হোসেন। মুস্তাফিজ, তাসকিনরাও নিজেদের ছন্দেই ছিলেন।


আরও খবর



ভারতে বিষাক্ত মদপানে ৩৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে বিষাক্ত মদপানে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাই থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী কল্লাকুরিচি জেলায় গত কয়েকদিন ধরে বিষাক্ত মদপানে আরও কমপক্ষে ৫৫ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মদপানে অসুস্থ হয়ে পড়া এবং মৃত্যু হওয়াদের অধিকাংশই কারুনাপুরাম এলাকার। এক নারী জানান, বিষাক্ত মদপানে তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, তার ছেলের প্রচণ্ড পেটে ব্যথা করছিল এবং সে চোখ খুলতে পারছিল না। মদপানে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালেও ভর্তি করা যায়নি।

অন্য এক মা জানান, তার ছেলের প্রচণ্ড পেটে ব্যথা। সে কিছু দেখতেও পারছে না আর কিছু শুনতেও পাচ্ছে না। তিনি বলেন, এমনটা কারও সঙ্গে যেন না হয়। এ ধরনের বিষাক্ত মদ বিক্রি বন্ধ হওয়া উচিত।

এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে বৃহস্পতিবার কল্লাকুরিচির জেলা প্রশাসক এমএস প্রশান্ত জানিয়েছেন, অসুস্থদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কাছাকাছি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞসহ পর্যাপ্ত চিকিৎসাকর্মীদের জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। লাইফ-সাপোর্ট সিস্টেমসহ বাড়তি অ্যাম্বুলেন্সও মোতায়েন করা হয়েছে। বিষাক্ত মদপানে মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এই ঘটনার এর জের ধরে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। বিষাক্ত মদপানে একসঙ্গে এত মানুষের মৃত্যু ও অসুস্থতা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ও গাফিলতির অভিযোগে কল্লাকুরচির জেলা প্রশাসককে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া জেলার পুলিশ সুপারসহ একাধিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ২৬ জনের পান করা দেশি মদের প্যাকেট থেকে নমুনা নিয়ে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং সেখানে বিষাক্ত মিথানলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

এই ঘটনায় নিহতদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তিনি বলেন, কল্লাকুড়িতে বিষাক্ত মদপানে মৃত্যুর ঘটনায় আমি মর্মাহত ও ব্যথিত হয়েছি। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে গত বছর তামিলনাড়ুর চেঙ্গলপাট্টু এবং ভিল্লুপুরমে বিষাক্ত মদ পান করে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সে সময় একাধিক রিপোর্টে জানা যায় যে, দক্ষিণ ভারতের ওই রাজ্যে বেআইনিভাবে মদ বিক্রির রমরমা ব্যবসার কথা। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ ওঠে।


আরও খবর



হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের মক্কায় সমবেত সারা বিশ্বের লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান শুক্রবার মিনায় পৌঁছেছেন। এর মাধ্যমে পবিত্র হজ পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো। মিনায় অবস্থান করা হজের অংশ।

সেলাইবিহীন দুই টুকরা সাদা কাপড় পরে হজের নিয়ত করে রওনা হন হজযাত্রীরা। মিনামুখী পুরো রাস্তায় ছিল হজযাত্রীদের স্রোত। বাসে, গাড়িতে এমনকি হেঁটেও মক্কা থেকে ৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন মুসল্লিরা। খবর গালফ নিউজ।

শুক্রবার ৮ জিলহজ হজযাত্রীরা মিনায় অবস্থান করবেন। ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে যাবেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে থাকবেন। এরপর প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় গিয়ে রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে মিনায় ফিরবেন।

হাজিরা মিনায় বড় শয়তানকে পাথর মারবেন, কোরবানি দেবেন, মাথা মুণ্ডন করবেন। তারপর মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। তাওয়াফ, সাঈ শেষে আবার মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করবেন। সেখানে প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন তারা।

প্রত্যেক শয়তানকে ৭টি করে পাথর মারতে হয়। মসজিদে খায়েফের দিক থেকে মক্কার দিকে আসার সময় প্রথমে জামারায় সগির বা ছোট শয়তান, এরপর জামারায় ওস্তা বা মেজ শয়তান, এরপর জামারায় আকাবা বা বড় শয়তানকে পাথর মারতে হবে। মিনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে হজযাত্রীরা মক্কায় ফিরে যান এবং শেষবারের মতো কাবা তাওয়াফ করেন। যা বিদায়ী তাওয়াফ নামেও পরিচিত।


আরও খবর



ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বেরিল, আঘাত হানবে যেসব দেশে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বেরিল দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে। ক্যাটাগরি ৪-এ পৌঁছানো এই ঘূর্ণিঝড়টিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি ঘণ্টায় ১৭৯ কিলোমিটার বেগে কয়েকটি দেশে আঘাত হানতে পারে।

ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) বরাতে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার (১ জুলাই) এই ঘূর্ণিঝড়টি ক্যারিবীয় দ্বীপে ভয়াবহ তাণ্ডব চালাতে পারে।

রোববার রাত স্থানীয় সময় ৮টা পর্যন্ত বেরিল বার্বাডোসের প্রায় ২০০ মাইল পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল এবং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ মাইল বেগে বাতাস বইছিল ও ১৮ মাইল প্রতি ঘণ্টায় এটি পশ্চিমে চলছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় বেরিল বার্বাডোস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট, গ্রেনাডাইনস, গ্রেনাডা, মার্টিনিক, টোবাগো ও ডোমিনিকাসহ গোটা ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। এরই মধ্যে এসব দেশে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ক্যাটাগরি ৪-এ পৌঁছানো ঘূর্ণিঝড়টিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, মাত্র ৪২ ঘণ্টার মধ্যে এটি প্রবল আকার ধারণ করেছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, বেরিল এখন পর্যন্ত আটলান্টিক মহাসাগরে রেকর্ড করা প্রথম এবং জুন মাসে রেকর্ড করা একমাত্র ক্যাটাগরি ৪ হারিকেন।

ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের কাছাকাছি বড় এবং ধ্বংসাত্মক ঢেউ নিয়ে আসতে পারে উল্লেখ করে এনএইচসি বলছে, ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ এলাকায় যেখানে মূল অংশটি আছড়ে পড়তে পারে, সেখানে এবং তার কাছাকাছি উপকূলীয় অঞ্চলে ৬ থেকে ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের ডিরেক্টর মাইক ব্রেনান সিএনএনকে বলেন, আমরা দ্রুত তীব্রতা (ঝড়ের) বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিচ্ছি এবং বার্বাডোস ও উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জের মতো জায়গায় পৌঁছানোর আগে বেরিল একটি বড় হারিকেন হয়ে উঠবে। এছাড়া পূর্ব ও মধ্য ক্যারিবীয় অঞ্চলে অগ্রসর হওয়ার পরও এটি শক্তিশালী থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আরও খবর



শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঈদ ও গরমের ছুটি: আসতে পারে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ২০ দিনের যে ছুটি চলছে, তা কমিয়ে আনা হতে পারে। ঈদের ছুটি ঠিক থাকলেও কমানো হতে পারে গরমের ছুটি। সেক্ষেত্রে চলমান ছুটি শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ আগেই খুলে দেওয়া হতে পারে সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র বলছে, ঈদের পর শনিবারে পুনরায় সাপ্তাহিক ছুটি ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে। একই সঙ্গে শিখন ঘাটতি পূরণে গরমের ছুটি কমানো হতে পারে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শিক্ষাপঞ্জি অনুসারে এবার ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হয়েছে ১৩ জুন, যা চলার কথা ২ জুলাই পর্যন্ত। তবে ছুটি কমানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

মাধ্যমিক-১ শাখার একজন উপ-সচিব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বছরের শুরুতে তীব্র শীত ও মাঝামাঝি সময়ে প্রচণ্ড গরমের কারণে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে। নতুন কারিকুলামে জুলাই মাসে যে ষাণ্মাসিক মূল্যায়ন হবে, তার প্রস্তুতি ভালো হয়নি। আমাদের কাছে খবর আছে, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সিলেবাস শেষ করতে পারেনি।

তিনি আরও জানান, অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ জুলাই পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে। তবে অনেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৩ জুন পর্যন্ত ছুটি দিয়েছে। অর্থাৎ, ২৪ জুন থেকে তারা ক্লাস নেবেন। ওইদিন অথবা একদিন আগে বা পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশনা আসতে পারে। এ নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে অফিস খুললে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া শনিবার পুনরায় ছুটি দেওয়া হতে পারে।

সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল ইসলাম চৌধুরীও সেরকম ঈঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ঈদুল আজহার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এখন পর্যন্ত শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা আছে। আমরা চেষ্টা করছি, শনিবার যে বন্ধ পূর্বে ছিল, সেটা যাতে করে বলবৎ রাখতে পারি। ইতোমধ্যে আমরা (শিক্ষাবর্ষের) ক্যালেন্ডারের হিসাব নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচিত হয়েছে, প্রায় চারশর মতো। সেখানে সংযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, সেগুলোতে শনিবার খোলা রাখতে হতে পারে। আবার সিলেট অঞ্চলে বন্যার কারণে যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল সেগুলোতেও বিশেষভাবে খোলা রাখার বিধান রেখে দেশের অন্যান্য জায়গায় পূর্বের মতো বহাল হাল রাখতে পারি তার ওয়ার্ক-আউট করা হচ্ছে। আমরা ঈদুল আজহার পর সুনির্দিষ্ট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সবাইকে অবগত করব। তবে এ মুহূর্তে যেটা মনে হচ্ছে বন্ধ রাখাটা (শনিবার) সম্ভব হবে।

বছরের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সূচি ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে স্কুল এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়।

অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ছুটির তালিকা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সূচি জানানো হয়। এটি শিক্ষাপঞ্জি নামে পরিচিত।


আরও খবর