আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

আমেরিকার পর্যটন শিল্পে গাঁজা এবং এর উত্থান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বছর চল্লিশের একজন মেকাপ আর্টিস্ট আদ্রিয়েন। জন্ম নর্দার্ন জর্জিয়ায়, যেখানে গাঁজা আজও অবৈধ হিসেবে বিবেচিত। ২০১৮ সালে আদ্রিয়েন ও তার স্বামী যখন অবকাশ যাপনের জন্য পরিকল্পনা করছিলেন, ১৪ বছর বয়স থেকেই মারিজুয়ানাতে অভ্যস্ত আদ্রিয়েন তখন ক্যালিফোর্নিয়ায় যাওয়ার পরামর্শ দিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এত জায়গা থাকতে ক্যালিফোর্নিয়াই কেন? কারণ সেখানে বৈধভাবেই গাঁজা কেনা যায়।

সেদিনের স্মৃতিচারণ করে আদ্রিয়েন বলেন, আমি কখনোই ডিসপেন্সারিতে যাইনি। তাই আমি আগে পেশাদার কারো সাহায্য চাচ্ছিলাম, যার কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট সব তথ্য পাওয়া যাবে। অতএব এমারাল্ড ফার্ম ট্যুরস-এর কাছে বুকিং দিয়ে তাদের উপর ভ্রমণের দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন তিনি। সানফ্রান্সিসকোর থেকে পর্যটন পরিচালনা করা এই প্রতিষ্ঠানটি গাঁজার প্রতি আগ্রহী পর্যটকদের স্থানীয় ডিসপেন্সারিতে এবং সাগর উপকূলে ইনডোরে গাঁজা চাষের স্থানে নিয়ে যায়। সেদিন এমারাল্ড ফার্ম ট্যুরিজমের সাথে অর্ধদিবসের একটি ট্যুর, ঘরে বসেই নিজের পছন্দসই গাঁজা খাওয়া এবং হোটেল রুমসহ মোট ১৫০০ ডলার খরচ করেছিলেন আদ্রিয়েন। তবে আদ্রিয়েনের এই অবকাশযাপনকে 'ভ্যাকেশন' এর বদলে 'ক্যানা-কেশন' বলাই শ্রেয়! কারণ এখানে মূখ্য উদ্দেশ্যই ছিল গাজা। শুধু তাই নয়, কয়েক মাস পর আবারও একই প্রতিষ্ঠানের কাছে বুকিং দেন আদ্রিয়েন। তবে এবার বন্ধুবান্ধবসহ সান ফ্রান্সিসকো থেকে তিন ঘন্টা উত্তরে, মেন্ডোসিনোর এক গাঁজার খামারে সারাদিনের ভ্রমণ বুক করেন এই মেকাপ আর্টিস্ট।

তবে আদ্রিয়েনকে যে সবসময়ই গাঁজা খাওয়ার অন্য 'আমেরিকা'স বাড বাস্কেট' খ্যাত ক্যালিফোর্নিয়ায় যেতে হয়, তা কিন্তু নয়। ইতোমধ্যেই আমেরিকার ১৯টি রাজ্য এবং ওয়াশিংটন ডি.সি আমোদপ্রমোদের উদ্দেশ্যে গাঁজা সেবনকে বৈধতা দিয়েছে। চলতি বছরে আরো কয়েকটি রাজ্যের নাম এই তালিকায় যুক্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিভিন্ন রাজ্যে গাঁজা সংশ্লিষ্ট আইন : গাঁজা সেবনকে বৈধতা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পাশাপাশি গাঁজা নিয়ে সমাজের মানুষের উষ্মাও কমতে শুরু করেছে। চলতি মাসে পরিচালিত হ্যারিস পোল অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক আমেরিকানদের তিনভাগের প্রায় দুই ভাগেরও বেশি (৬৮%) এখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গাঁজা সেবনকে সমর্থন করে। এদের মধ্যে প্রতি এক হাজারের অর্ধেক মানুষই জানিয়েছেন, অবকাশযাপন-গন্তব্য খোঁজার ক্ষেত্রে আমোদপ্রমোদের উদ্দেশ্যে গাঁজা সেবনে বৈধতা দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, প্রতি ১০ হাজারে চারজনেরও বেশি মানুষ (৪৩%) জানিয়েছেন, তারা ছুটি কাটাতে এমন সব জায়গাই খোঁজেন যেখানে গাঁজা বৈধ।

এমারাল্ড ফার্ম ট্যুরস-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ভিক্টর পিনহো এই পুরো বিষয়টিকে 'গাঁজা পর্যটন' নামে আখ্যা দিয়েছেন। তার ভাষ্যে, এখনো পর্যন্ত আমেরিকার পর্যটন শিল্প ও পরিষদ 'গাঁজা পর্যটন'কে গুরুত্ব দিচ্ছে না বললেই চলে, অথচ এই বিশেষ ঘরানার পর্যটন শিল্পের মাধ্যমেই তাদের পকেটে আসছে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার। পিনহো বলেন, "তারা পর্যটক এবং তারা এই গাঁজার দুনিয়ায় আসে টাকা খরচ করতে।" তিনি আরো ব্যাখ্যা করেন, এখানে ভ্রমণের সময় তার ক্রেতারা সাধারণত ডিসপেন্সারিতে ৩০০ থেকে ৪০০ ডলার খরচ করেনই। কিন্তু বর্ধনশীল এই গাঁজা পর্যটন শিল্প ভবিষ্যতে কতখানি বিস্তার লাভ করবে বা যুক্তরাষ্ট্রের ১.২ ট্রিলিয়ন ডলারের পর্যটন খাতে এর অর্থনৈতিক প্রভাব কী হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে বর্তমান ডেটা কিন্তু উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথাই বলছে। মহামারির আগে ২০২০ সালে দেশের অভ্যন্তরে বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান এমএমজিওয়াই ট্রাভেল ইন্টেলিজেন্স ইনসাইটস পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি পাঁচজনে একজন (১৮ শতাংশ) আমেরিকান পর্যটক অবকাশযাপকালে গাঁজা সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা নিতে আগ্রহী। এই জরিপ যখন ২১ বছরের উর্ধ্বে গাঁজা সেবনকারী প্রাপ্তবয়স্কদের (যাদের বার্ষিক আয় ৫০,০০০ ডলারের বেশি) মধ্যে করা হয়, তখন সংখ্যাটা এক লাফে ৬২ শতাংশে গিয়ে পৌঁছায়।

গাঁজাকে বৈধতা দেওয়ার ফলে অন্যান্য ব্যবসায়ও সমৃদ্ধি ঘটেছে। ২০২১ সালে বৈধভাবে ২৫ বিলিয়ন ডলার গাঁজা বিক্রি হয়েছে, যার মধ্যে ৪.৫ বিলিয়ন ডলারই ছিল পর্যটকদের পকেট থেকে আসা। এছাড়াও রেস্টুরেন্ট, হোটেল, পর্যটন কেন্দ্র, বিভিন্ন দোকান এবং রাজ্যের মিউনিসিপ্যালিটি করসহ পর্যটকেরা ব্যয় করেছে আরো ১২.৬ বিলিয়ন ডলার। কারণ খুচরা গাঁজা বিক্রেতাদের পেছনে খরচ করা প্রতিটি পয়সার একাধিক প্রভাব রয়েছে স্থানীয় অর্থনীতিতে, জানান হুইটনি ইকোনোমিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিউ হুইটনি, যিনি গাঁজার ব্যবসায়ে একজন কনসালটেন্টও বটে।

বেশিরভাগ পর্যটন গন্তব্যের ক্ষেত্রে গাঁজাই তাদের নিয়মিত আয়ের এমন একটি উৎস, যেখানে কোনোরকম প্রচারণাই চালাতে হচ্ছে না তাদের। কলোরাডোর কথাই ধরা যাক, সেখানে আমোদপ্রমোদের উদ্দেশ্যে গাঁজা সেবন-বিক্রি বৈধ করা হয়েছে প্রায় এক দশক আগে। গত বছর গাঁজা থেকে তাদের আয় ৪২৩ মিলিয়ন ডলার। কলোরাডো পর্যটন কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে গাঁজা সেবন সংক্রান্ত সুরক্ষা টিপস, আইনি নির্দেশিকা এবং অন্যান্য ব্যবহারিক উপদেশও দেওয়া আছে। কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা মেইলের মাধ্যমে জানান, গাঁজা আমাদের পর্যটনের সমৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি নয়, সে তুলনায় আউটডোর বিনোদনের ব্যবস্থা থেকে বেশি আয় হয়।

এদিকে কলোরাডো গাঁজার মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে পর্যটক আকর্ষণের চেষ্টা না করলেও, অন্যান্য রাজ্যের উদ্যোক্তারা কিন্তু করছেন। খুব শীঘ্রই ডেনভারের প্যাটারসন ইন নামক নয় বেডরুমের হোটেলটি শহরের প্রথম লাইসেন্সধারী গাঁজা সেবন লাউঞ্জ নির্মাণ করতে যাচ্ছে। হোটেলের মালিক ক্রিস কিয়ারি জানান, ১১০০ বর্গফুটের এই লাউঞ্জের নাম হবে '৪২০ স্যুইট' এবং বছরের শেষদিকে তা গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

ইতোমধ্যে আরো কিছু ভ্রমণ গন্তব্যও 'গাঁজা পর্যটন'কে গ্রহণ করতে শুরু করেছে। ক্যানাবিস ট্রাভেল এসোসিয়েশন ইন্টারন্যাশনাল- এর প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান অ্যাপলগার্থ বলেন, পর্যটন শিল্পের নেতাদের সংকীর্ণতার তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটকদের গাঁজার সাথে সংশ্লিষ্টতা অনেক বেশি স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা হচ্ছে এখন। ক্যালিফোর্নিয়ার সেন্ট্রাল ভ্যালির একটি পর্যটন তথ্য কেন্দ্র, ভিজিট মডেস্টো'র সিইও টড অ্যারনসনও তার কথার সাথে একমত। তিনি বলেন, কুকুরপ্রেমীরা গাঁজা সেবন করে। যারা ফুডি বা অনেক খেতে ভালোবাসে, তারাও গাঁজা সেবন করে। তাই সাধারণ পর্যটক ও 'ক্যানাবিস ট্রাভেলার' বা গাঁজা পর্যটকের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

গত বছর মডেস্টো অ্যাপলগার্থের প্রতিষ্ঠিত গাঁজা পর্যটন ফার্ম 'কাল্টিভার' এর সাথে অংশীদার হয়েছে। তারা দুজনে মিলে পাসপোর্ট ধরনের একটি প্রোগ্রাম চালু করেন, যার নাম 'মো টাউন ক্যানাপাস'। এই প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে, পাসপোর্টধারী পর্যটকেরা ওই অঞ্চলের রেস্টুরেন্ট, খুচরা গাঁজা বিক্রেতাসহ গাঁজা সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকান্ডে অংশ নিতে পারবেন এবং এই সবকিছুই হবে বৈধ প্রক্রিয়ায়। অ্যারনসনের মতে, একটা মদের বারে গিয়ে মানুষ যেভাবে উপভোগ করে, তারাও এখানে সেভাবেই গাঁজা সেবনের সুযোগ করে দিচ্ছেন। এখানে সবাইকে সমান দৃষ্টিতে দেখা হয়, প্রতিটি পর্যটককেই স্বাগত জানানো হয়। মো টাউন ক্যানাপাস স্থানীয় খুচরা গাঁজা বিক্রেতাদের ব্যবসায়ে তাৎক্ষণিকভাবে ১১ শতাংশ লাভের কারণ হয়েছে। তাই এ সিদ্ধান্ত নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই, বরং এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসেবেই দেখছেন তিনি।


আরও খবর



যেখানেই দুর্যোগ-দুর্ভোগ, সেখানেই আ.লীগ : রিজভী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজকে যেখানেই দুর্যোগ ও দুর্ভোগ সেখানেই আওয়ামী লীগ। আজকে গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে। নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড় সমস্ত কিছু ভরাট করা হচ্ছে। কার স্বার্থে ভরাট হচ্ছে? আওয়ামী ভূমিদস্যুদের স্বার্থে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে এক মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে মিথ্যা মামলায় জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে যুবদলের উদ্যোগে তাৎক্ষণিক এই বিক্ষোভ মিছিল হয়।

যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ হয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে শিশু মারা গেছে। মহিলাসহ প্রায় বিশজন মারা গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কি দায় নেই? আপনি কয়লা পুড়িয়ে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র করে সুন্দরবন উজাড় করার ষড়যন্ত্র করছেন। দক্ষিণবঙ্গের সমুদ্র উপকূলের সব উজাড় করে দিচ্ছেন। সেখানে ফল হয় না, এটাতো আপনার কারণে। যেখানেই দুর্নীতি ও লুটপাট সেখানেই আওয়ামী সরকার। আজকে ব্যাংক, বিমা সর্বত্র হরিলুট চলছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে মানুষ অতিষ্ঠ। তারা না কি বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পন্ন।

তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে থু থু দিয়ে ইটের দালান গড়া যায় না। যেটা শেখ হাসিনা করেছেন গত কয়েক বছর ধরে। আজকে দেশে কর্মসংস্থান নেই। চারদিকে শুধু হাহাকার আর আহাজারি। সেই পরিস্থিতিতে আল্লাহর অভিশাপ। এই ভয়ংকর অগ্নিবর্ণরূপ বাংলাদেশের প্রকৃতি। এরমধ্যেও গণতন্ত্রকে ধ্বংসের নীল নকশা থামছে না। সেজন্যই যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে কারাগারে পাঠানো হলো। এর আগে অনেক নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রিজভী বলেন, আজকে আমরা একটি মিছিল নিয়ে গেলে বামে-ডানে পুলিশ বাধা দেয়। কারণ আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। আজকে প্রতিবাদও করা যাবে না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও নেই। কই ব্যাংক লুটেরা ও ভূমি দস্যুদের তো বাধা দেন না। এই দায়িত্বও তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। অথচ আপনারা গণতন্ত্রকামী মানুষকে বাধা দেন! তাদের মিছিল দেখলে ও স্লোগান শুনলে আপনারা বাধা দেন। আমি অবিলম্বে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মুক্তি দাবি করছি। অন্যথায় প্রতিটি আঘাত আপনাদের দিকে ফিরে যাবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। অন্যায়-অবিচার না থামালে আপনাদের দিকেই ফিরে যাবে।

এ সময় আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, পুলিশ ও আজ্ঞাবহ আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে যুবদল নেতারা বিরত রাখা যাবে না; বরং এতে নেতাকর্মীদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদের আকাঙ্ক্ষা আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই মুক্ত করে আনা হবে। এই অবৈধ সরকারের কছে মুক্তির দাবি জানানো হবে না।

মিছিলে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল আমিন আকিল, কামরুজ্জামান দুলাল, দীপু ভুঁইয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, জব্বার খান, করিম সরকার, আলমগীর হাসান সোহান, তানভীর আহমেদ সোহেল, আজিজুল হক আকন্দ, মাসুদ পারভেজ, পার্থদেব মণ্ডল, আমিনুর রহমান আমিন, মাজেদুর রহমান রুমন, মেহেদী হাসান জুয়েলসহ যুবদলের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বিয়ে করছেন শাকিব, পাত্রী ডাক্তার

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সিনেমায় অনিয়মিত হলেও অপু বিশ্বাস বুবলীর সঙ্গে নিয়মিত ঝগড়া করেন। তাদের ঝগড়ার মূল কারণ শাকিব খান। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন এই অভিনেতা।

নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।

গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।

শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, সেই পার্শ্ববর্তী জেলাটি হলো মুন্সিগঞ্জ। এখন অবধি ২-৩ পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এরমধ্যে মুন্সিগঞ্জের ডাক্তার মেয়েই এগিয়ে আছেন। ইতোমধ্যেই শাকিবের মত নিয়ে তার মা, বাবা, বোন, বোনজামাই মিলে পাত্রী দেখছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।

শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।

এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।

শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তিনি।


আরও খবর



স্কুলে বন্দুক নিয়ে যেতে পারবেন শিক্ষকরা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যে মঙ্গলবার শিক্ষকদের স্কুলে বন্দুক নিয়ে যাওয়া নিয়ে একটি বিল পাস হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষকরা স্কুলে বন্দুক নিয়ে যেতে পারবেন। তবে তা প্রকাশ্যে দেখাবেন না। বিলটি এবার যাবে রিপাবলিকান গভর্নর বিল লি-র কাছে অনুমোদনের জন্য। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।

একবছর আগে ন্যাশভিলের স্কুলে গুলিচালানোর ঘটনায় তিন শিশু-সহ ছয়জনের মৃত্যু হয়। তারপর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।

বিলে বলা হয়েছে, স্কুলের ভেতরে কেউ যদি বন্দুক নিয়ে যেতে চান, তাহলে তাকে প্রতি বছর ৪০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তিনি প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে যেতে পারবেন না। বন্দুক গোপন রাখতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই বন্দুক নিয়ে আসার অনুমতি দেবেন। তার আগে পুলিশকে বিষয়টি জানাতে হবে এবং বন্দুকধারীর পরিচয় দিতে হবে।

রিপাবলিকানদের সংখ্যাধিক্য থাকা টেনেসি হাউসে বিলটি ৬৮-২৮ ভোটে পাস হয়েছে। বিলটি যখন পাস হয়, তখন দর্শক গ্যালারি থেকে স্লোগান দেয়া হয়, আপনাদের হাতে রক্ত লেগে থাকবে।

রিপাবলিকান নেতা রিয়ান উইলিয়ামস বলেছেন, একটি প্রতিরোধক তৈরি করার চেষ্টা হয়েছে। অঙ্গরাজ্যজুড়ে গুলির ঘটনা থামানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সব ডেমোক্র্যাট সদস্য ও চারজন রিপাবলিকান বিলের বিরুদ্ধে ভোট দেন।

ডেমোক্র্যাট নেতা জাস্টিন জোনস বলেন, রিপাবলিকান সহকর্মীরা আমাদের রাজ্যকে বন্দুকের নলের সামনে রাখছেন। তারা বন্দুক প্রস্তুতকারকদের সাহায্য করছেন। নৈতিক দিক থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।

জিফোর্ড ল সেন্টারের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক অঙ্গরাজ্যে স্কুলের কর্মী ও শিক্ষকরা স্কুলের মাঠে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যেতে পারেন।

গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে বন্দুকধারীদের তাণ্ডবে অনেক শিশু ও শিক্ষকের প্রাণ গেছে। টেনেসি অঙ্গরাজ্যের নাশভিল শহরে গোলাগুলির এক বছর পর বিলটি পাস হলো।

নিউজ ট্যাগ: যুক্তরাষ্ট্র

আরও খবর



দেশব্যাপী ফের ২৪ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহে দেশব্যাপী ফের ২৪ ঘণ্টার সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য এই সতর্কতা জারি করা হয়।

রাজধানী ঢাকাসহ এ সময়ের মধ্যে দেশের আরও কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমানের সই করা ওই সতর্ক বার্তায় বলা হয়, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। একই সঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিও অব্যাহত থাকতে পারে।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রথমবারের মতো তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরপর কয়েক ধাপে তা বাড়ানো হয়।

 


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




চেয়ারম্যান পদে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনের বিরুদ্ধে দায়ের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরে কার্যক্রম চালাতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রোববার (১২ মে) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে হাইকোর্টের দেয়া রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আপিল বিভাগ।

আদালতে জি এম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. অজি উল্লাহ, অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।

এর আগে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়।

২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেছন আদালত।

বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে জিএম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়।

২০২২২ সালের ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন।

পরে শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্যাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী জি এম কাদেরের পক্ষে এ আবেদন করেন। আবেদনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে। গত ২৪  নভেম্বর এই আবেদনের শুনানির জন্য জেলাজজ আদালতে মিস আপিল দায়ের করা হয়। সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন জেলা জজ আদালত। জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন জিএম কাদের।

মামলায় বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।

জিয়াউল হক মৃধার মামলায় বলা হয়, গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। এছাড়া গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা অবৈধ।

তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কার আদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট ১৫০৫১/২০১৯ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়েছে।


আরও খবর