বরগুনা আমতলী পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের শীর্ষ দু’নেতা প্রার্থী হয়ে ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েছেন। মেয়র পদ ছাড়াও ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরাও ভোটের আমেজ জেগে তুলেছে পাড়া, মহল্লায়। পৌর এলাকায় যেন সবখানেই ঢেকে ফেলেছে পোস্টারে পোস্টারে। প্রচার মাইক-বক্স যেন মানুষের ক্লান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে প্রচারযন্ত্র বাজিয়ে।
আমতলী পৌরসভায় আগামী ০৯ মার্চ ভোট অনুষ্ঠিত হবে। দিনক্ষণ সামনে বেশ সময় থাকলেও প্রচার প্রচারণায় যেন হাঁপিয়ে পড়েছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি ভোট প্রার্থনা করছেন ভোটারদের কাছে। তবে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরিও কম দিচ্ছেন প্রার্থীরা। উৎসবমুখর পরিবেশ থাকলেও এক শ্রেণির ভোটারদের মাঝে শঙ্কা তো আছেই। তাদের প্রশ্ন শেষ পর্যন্ত ভোট দিতে আদৌ যেতে পারবেন কি না ভোটের মাঠে সে শঙ্কা বিরাজ করছে তাদের মাঝে।
পৌরসভার মেয়র পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র মো. মতিয়ার রহমান (মোবাইল) প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন, নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল আহসান খাঁন (হ্যাঙ্গার) প্রতিক নিয়ে বসে নেই। দলের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক জিএম ওসমানী হাসানসহ সব শ্রেণির নেতারাই একতাবদ্ধ হয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন। তিনিও দিন-রাত যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। তার দলের নেতাকর্মীরাও চেষ্টা করছেন সমান তালে।
এর বাইরেও মেয়র প্রার্থী আছেন, জিল্লুর রহমান, নুসরাত জাহান, জহিরুল ইসলাম খোকন, ইফতেকার হাসান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আবুল কালাম আজাদ ও কামাল হোসেন। মেয়র পদে তারা প্রার্থী হলেও তাদের প্রচার প্রচারণা নেই নির্বাচনী মাঠে।
এর বাইরেও ৯টি ওয়ার্ডে (পুরুষ) ৩৬ জন কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়ে লড়ছেন। নারী কাউন্সিল পদে ০৯ জন প্রার্থী হয়ে লড়ছেন। আগামী ০৯ মার্চ পৌর এলাকায় ১৫ হাজার ৮ ’শ ৩৯ ভোটার তাদের ভোটের মাধ্যমে পছন্দের নেতা নির্বাচন করবেন।
নির্বাচন নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, পৌর নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কোনো অবস্থাতেই চেষ্টার কমতি থাকবে না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।