আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ভোটযুদ্ধে আ. লীগের দুই নেতা

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারী 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারী 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বরগুনা আমতলী পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুনেতা প্রার্থী হয়ে ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েছেন। মেয়র পদ ছাড়াও ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরাও ভোটের আমেজ জেগে তুলেছে পাড়া, মহল্লায়। পৌর এলাকায় যেন সবখানেই ঢেকে ফেলেছে পোস্টারে পোস্টারে। প্রচার মাইক-বক্স যেন মানুষের ক্লান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে প্রচারযন্ত্র বাজিয়ে।

আমতলী পৌরসভায় আগামী ০৯ মার্চ ভোট অনুষ্ঠিত হবে। দিনক্ষণ সামনে বেশ সময় থাকলেও প্রচার প্রচারণায় যেন হাঁপিয়ে পড়েছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি ভোট প্রার্থনা করছেন ভোটারদের কাছে। তবে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরিও কম দিচ্ছেন প্রার্থীরা। উৎসবমুখর পরিবেশ থাকলেও এক শ্রেণির ভোটারদের মাঝে শঙ্কা তো আছেই। তাদের প্রশ্ন শেষ পর্যন্ত ভোট দিতে আদৌ যেতে পারবেন কি না ভোটের মাঠে সে শঙ্কা বিরাজ করছে তাদের মাঝে।

পৌরসভার মেয়র পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র মো. মতিয়ার রহমান (মোবাইল) প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন, নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। 

তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল আহসান খাঁন (হ্যাঙ্গার) প্রতিক নিয়ে বসে নেই। দলের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক জিএম ওসমানী হাসানসহ সব শ্রেণির নেতারাই একতাবদ্ধ হয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন। তিনিও দিন-রাত যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। তার দলের নেতাকর্মীরাও চেষ্টা করছেন সমান তালে।

এর বাইরেও মেয়র প্রার্থী আছেন, জিল্লুর রহমান, নুসরাত জাহান, জহিরুল ইসলাম খোকন, ইফতেকার হাসান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আবুল কালাম আজাদ ও কামাল হোসেন। মেয়র পদে তারা প্রার্থী হলেও তাদের প্রচার প্রচারণা নেই নির্বাচনী মাঠে।

এর বাইরেও ৯টি ওয়ার্ডে (পুরুষ) ৩৬ জন কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়ে লড়ছেন। নারী কাউন্সিল পদে ০৯ জন প্রার্থী হয়ে লড়ছেন। আগামী ০৯ মার্চ পৌর এলাকায় ১৫ হাজার ৮ শ ৩৯ ভোটার তাদের ভোটের মাধ্যমে পছন্দের নেতা নির্বাচন করবেন।

নির্বাচন নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, পৌর নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কোনো অবস্থাতেই চেষ্টার কমতি থাকবে না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।


আরও খবর



প্রতীকসহ নিবন্ধন পেল সাবেক ভিপি নুরের দল

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের দল বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ। দলটি ট্রাক প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছে।

গত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে নিজেদের মধ্যে দলীয় কোন্দল ও বিভক্তির জেরে নিবন্ধনের তালিকা থেকে বাদ পড়ে গণঅধিকার পরিষদ। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর গত বুধবার নিবন্ধনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে একটি চিঠি দেয় দলটি।

চিঠিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১১ জুলাই গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের কার্যকারিতা এবং অন্যান্য বিষয়-সংক্রান্ত তথ্য পুনঃযাচাইয়ের জন্য উপসচিব (আইন) ও রাজনৈতিক দলের তথ্য পুনঃযাচাই কমিটির আহ্বায়ক মো. আব্দুছ সালামের নেতৃত্বে চার সদস্য দলীয় কার্যালয় পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১ জুলাই দলের জরুরি সভায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আহ্বায়ককে অপসারণের ফলে বর্ণিত আহ্বায়ক কমিটি অস্তিত্বহীন এবং অকার্যকর। বর্ণিত কাগজপত্র ও গঠনতন্ত্র পর্যালোচনায় ওই দলের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়াকে অপসারণের প্রক্রিয়াটি নিয়মতান্ত্রিক ও গঠনতান্ত্রিক ছিল এবং ১০ জুলাই দলের জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠনতান্ত্রিক ও কার্যকর মর্মে কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়।

নুর তার চিঠিতে লেখেন, এরপর ওই বছরের ১৬ জুলাই গণঅধিকার পরিষদের নবনির্বাচিত পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও সংশোধিত গঠনতন্ত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নির্বাচন কমিশনে দাখিল করি। সব শর্ত পূরণ সত্ত্বেও গণঅধিকার পরিষদকে নিবন্ধন না দেওয়ায় ওই বছরের ২৫ জুলাই নিবন্ধন পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করি। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং জাতীয় কাউন্সিলসহ এরই মধ্যে জমাদানকৃত কাগজপত্রাদি বিবেচনা করে গণঅধিকার পরিষদকে রাজনৈতিক দল হিসেবে সাত দিনের মধ্যে নিবন্ধনের জন্য জোর দারি জানাচ্ছি।


আরও খবর



পুলিশের ১২ ডিআইজি ও ১২ এসপিকে রদবদল

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ পুলিশের ১২ উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এবং ১১ পুলিশ সুপারকে (এসপি) রদবদল করা হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা শাখা থেকে জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদের বদলি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

বদলি হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নূরুল ইসলামকে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনাকে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শফিউর রহমানকে রেলওয়ে পুলিশে সংযুক্ত, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমানকে নৌ পুলিশে সংযুক্ত, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হককে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটে সংযুক্ত এবং ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি মো. শাহ আবিদ হোসেনকে ট্যুরিস্ট পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরী পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মো. সাইফুল ইসলামকে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত, রাজশাহী মহানগরী পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) বিপ্লব বিজয় তালুকদারকে টিঅ্যান্ডআইএমে সংযুক্ত, সিলেট মহানগরী পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মো. জাকির হোসেন খানকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) সংযুক্ত, গাজীপুর মহানগরী পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মো. মাহবুব আলমকে রেলওয়ে পুলিশে সংযুক্ত এবং বরিশাল মহানগরী পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) জিহাদুল কবিরকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) সংযুক্ত করা হয়েছে।


আরও খবর



গাজী টায়ারসে আগুন: নিখোঁজ বেড়ে ১৭৬

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসীতে গাজী গ্রুপের টায়ার তৈরির কারখানায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনের ঘটনায় অন্তত ১৭৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত ১৭৬ জন নিখোঁজের তালিকা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, স্বজনরা দাবি করছেন, তাদের পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজ রয়েছেন, যারা গত রাতে লুটপাটের সময় এই কারখানায় এসেছিলেন।তবে তারা কেউ কারখানার শ্রমিক নন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রোববার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাগা আগুনে এখনো পুড়ছে কারখানাটি। এ সময়ে থেমে থেমে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে, যাতে কেঁপে ওঠে আশপাশের এলাকা।

জানা যায়, রোববার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে স্থানীয়দের মাধ্যমে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস। ঢাকা ফুলবাড়িয়া ফায়ার স্টেশন, ডেমরা, কাঁচপুর, আদমজী ইপিজেড ও কাঞ্চন ফায়ার স্টেশন থেকে একে একে যোগ দেয় ১২টি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও কাজ করছে।

স্থানীয়রা বলছেন, সাবেক মন্ত্রী ও গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তারের পর থেকে কারখানাটিতে গণহারে লুটপাট চলে। আগুন লাগার সময়ও লুট করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন ভেতরে আটকা পড়েছেন বলে দাবি করেন তারা।

ফুলবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক রেজাউল করিম (প্রশিক্ষণ) বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। অবকাঠামোগত ও ভেতরে থাকা টায়ার উৎপাদনের দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা জটিল হয়ে পড়েছে।

এদিকে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছুই ধারণা করা যাচ্ছে না। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলে কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

কারখানা আগুনের ঘটনায় স্থানীয় শরিফ, ইসমাইল, সুজন, মতিন, বাছেদ, নুর আলম, আরিফ, ইকবাল, ইব্রাহিম, নিরব, নাইম, মোতালেব, সাহালম, আমিনুল, জজ মিয়া, আবু সাইদ, আনিস, শাহাদাত, তামিম, লাদেন, সাহালম, সুজন, রমজান, রেজাউল করিম, রাসেল, মামুন, হাসান, ইউসুফ, আবু বক্কর, রুবেল, শাহিন ও সিকদার নিখোঁজ রয়েছেন বলে তাদের স্বজনরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



পদত্যাগ করলেন ইউজিসির সেই আলমগীর

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সেই আলোচিত সদস্য প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীর পদত্যাগ করলেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি এ পদত্যাগ করেছেন। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।

পদত্যাগপত্রে তিনি লেখেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য পদে দ্বিতীয় মেয়াদে কর্মরত আছি। ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে আমার পক্ষে দায়িত্ব পালন সম্ভব হচ্ছে না বিধায় আমি অদ্য ৮ সেপ্টেম্বর উল্লিখিত সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করছি এবং আমি আমার পূর্বের কর্মস্থল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যাপকের (গ্রেড-১) মূল পদে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পুনঃযোগদান করব।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ইউজিসি চেয়ারম্যান পদ‌‌ থেকে পদত্যাগ করেন প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। এরপর আলমগীরকে চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাকে এ দায়িত্ব দেওয়ার পর বিক্ষোভ করেন ইউজিসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আন্দোলন করেন‌ কুয়েট সাবেক শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলীরা। তাদের অভিযোগ আলমগীর ভিসি থাকাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীদের নির্যাতন করেন।‌

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন ১৬ জুলাই মধ্যরাতে হঠাৎ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারকি প্রতিষ্ঠান মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সব শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সমন্বয় করে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন ইউজিসির তৎকালীন চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীর।


আরও খবর



টিএসসিতে গণত্রাণ: ৪ দিনে সংগ্রহ ৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢাবি প্রতিনিধি

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণত্রাণ কর্মসূচিতে অনলাইন-অফলাইন মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৫ কোটি ২৩ লাখ ৩ হাজার ৬০৩ টাকা ৬৮ পয়সা সংগ্রহ করা হয়েছে। আর চার দিন ধরে চলা এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন খাতে মোট ব্যয় করা হয়েছে ৩০ লাখ ১২ হাজার ৯৭০ টাকা।

রোববার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে(টিএসসি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক লুৎফর রহমান, মিডিয়া ও কমিউনিকেশন উইংয়ের প্রধান রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত ও ত্রাণ কার্যক্রমের টিএসসি বুথের প্রধান সমন্বয়ক অদিতি।

মোট পাওয়া অর্থের মধ্যে টিএসসিতে নগদ ৪ কোটি ৩৯ লাখ ১ হাজার ৬৯০ টাকা, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৬২ লাখ ৯৪ হাজার ১২০ টাকা, ব্যাংকিং মাধ্যমে ২১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৩ টাকা ৬৮ পয়সা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ব্যয়কৃত অর্থ ত্রাণসামগ্রী, জরুরি ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী রাখার ব্যাগ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের খাবার ক্রয় করতে ব্যয় হয়। তার মধ্যে খেজুর বাবদ ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ৯০০ টাকা, মুড়ি বাবদ ৪ লাখ ৩০০ টাকা, বিস্কুট বাবদ ২ লাখ ১ হাজার ৫০ টাকা, গুড় বাবদ ২ লাখ ৫২ হাজার ৮৪০ টাকা, ভলান্টিয়ারদের রাত ও দুপুরের খাবার ৩৯ হাজার টাকা, পলিথিন ১ লাখ দুই হাজার ৫০০ টাকা, বস্তা ১ লাখ ৭৯ হাজার টাকা, চিনি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, রিকশা ও ভ্যান ভাড়া ৬৫০ টাকা এবং দড়ি, কলম ও কার্টার বাবদ ৭৩০ টাকা ব্যয় হয়। এছাড়া গাড়ির সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকদের আট হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোট ৫০ ট্রাক ভর্তি ৫০ হাজারের অধিক ত্রাণসামগ্রী বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়। প্রতি ট্রাকে ৮০০-১০০০টি রিলিফ প্যাকেজ (এক পরিবার) এবং ২০-৩০ কেস পানি দিয়ে পরিপূর্ণ করা হয়। প্রতিটি প্যাকেজে একটি পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার এবং ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে ৩ হাজার প্যাকেজ হেলিকপ্টারযোগে বন্যাকবলিত দুর্গম অঞ্চলগুলোতে বণ্টন করা হয়েছে। এছাড়া, ৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

গণত্রাণ কর্মসূচিতে পাওয়া অর্থ-সামগ্রী বিভিন্ন জেলায় সশরীরে এবং প্রশাসনের সাহায্যে বিতরণ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এ বিষয়ে সমন্বয়ক রেজওয়ান রিফাত বলেন, আমরা গত কয়েকদিন ধরে গণত্রাণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৫০টি ট্রাক পূর্ণ করে বন্যা কবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। অনেকে একই ত্রাণ দেওয়ায় একটি প্যাকেজ তৈরিতে বিভিন্ন জিনিসের ঘাটতি দেখা যায়। ফলে সংগৃহীত টাকা থেকে সেগুলো কিনতে হয়েছে। তাছাড়া, অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবকদের দুপুর ও রাতের খাবারের পেছনেও আমাদের খরচ হয়েছে। প্রতি ট্রাকে প্রথম দিকে ১০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক পাঠানো হয়েছিল। পরে সেটি কমিয়ে ৫ জন এবং বর্তমানে ৩ জন করে পাঠানো হচ্ছে।


আরও খবর