আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে প্রথমবার মাগুরায় সাকিব

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার পর প্রথমবার নিজের এলাকায় এলেন সাকিব আল হাসান। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সড়কপথে গাড়ির বহর নিয়ে মাগুরায় পৌঁছান তিনি। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে দেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত গড়াই সেতু এলাকায় ভিড় করেন হাজারো সমর্থক। সেখানে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে সাকিবকে অভ্যর্থনা জানানো হয়।

সাকিবের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ সকাল ৯টার দিকে ঢাকা থেকে রওনা হন সাকিব। গড়াই সেতু এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাকিবকে অভ্যর্থনা জানায়। সেখান থেকে সাকিবের জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যাওয়ার কথা। দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাকিবের মাগুরা পৌর গোরস্থানে যাওয়ার কথা রয়েছে।

রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকায় দলে সাকিবের মনোনয়নপত্র নেওয়াকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মাগুরার আওয়ামী লীগের অনেক নেতা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তবে গতকাল মঙ্গলবার জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শেষে দলের পক্ষ থেকে সাকিব আল হাসানের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে গত সোমবার সাকিবের পাশে থাকার ঘোষণা দেন এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। 

আরও পড়ুন>> ঢালাওভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া যাবে না : কাদের

জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাগুরা-১ আসনে (সদরের একাংশ ও শ্রীপুর) আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বেশির ভাগ নেতা-কর্মী বর্তমান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামানের অনুসারী। ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন। সাইফুজ্জামানের বাবা মো. আছাদুজ্জামান মাগুরা-২ আসন থেকে চারবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। পুরো মাগুরা জেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব রয়েছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এবারও মনোনয়ন-দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন সাইফুজ্জামান। তবে শেষ মুহূর্তে সাকিব এসে সব হিসাব-নিকাশ বদলে দিয়েছেন। এতে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্যের অনুসারীরা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মাগুরা১ ও ২ আসন ছাড়া ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় আবেদন ফরম নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ২১ নভেম্বর দুপুরের পর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে নিজে মনোনয়ন ফরম জমা দেন তিনি। পরে ২৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন সাকিব আল হাসান। ২০১৮ সালে মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কেনার আগ্রহ দেখিয়েও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোটি টাকার মাদকের পার্সেল, আটক ৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের বৈদেশিক ডাক শাখায় আসা একটি পার্সেলে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনল যুক্ত কুশ, কেনাবিনয়েড চকলেট ও কেনাবিস কেক জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো উত্তর কার্যালয়।

এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনজন মাদক কারবারিকে আটক করেছে ডিএনসি।

সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএনসির সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের বৈদেশিক ডাক শাখায় একটি পার্সেল আসে। পার্সেলে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণে টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনল যুক্ত কুশ, কেনাবিনয়েড চকলেট ও কেনাবিস কেক জব্দ করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী সেগুনবাগিচা ডিএনসি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন।


আরও খবর



নিজের সাজা অন্যকে দিয়ে খাটানো সেই যুবলীগ নেতা কারাগারে

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নিজের সাজা অন্যজনকে দিয়ে খাটানোর অভিযোগে ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আমিনুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

নাজমুল হাসানের পক্ষে শুনানি করা শ্রী প্রাণনাথ কারাগারে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বদলি সাজা খাটানোর ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনা হলে রবিবার নাজমুল হাসানকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

জানা যায়, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে উত্তরার একটি বাসায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ আনোয়ার হোসেন নামে একজনকে আটক করে। সে সময় পালিয়ে যায় মামলার মূল আসামি ঢাকার উত্তরার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান। এ ঘটনায় দুই জনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মামলা করে। বিচারে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় পলাতক নাজমুল হাসানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। এ রায়ের পর নাজমুলের পরিচয় দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেল খাটেন মিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।

নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ১১ দিন জেল খেটে জামিনে বের হয়ে যান তিনি। পরে এ ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।


আরও খবর



রিকশাচালকে মারধর করে ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর নিলেন ইউপি সদস্য

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসাইন, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

Image

ভোলার চরফ্যাশনে নোঙ্গর চুরির অপবাদ দিয়ে হানিফ নামের এক রিকশাচালককে হাত-পা বেধে মারধর করে দেড় লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করে ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদারের বিরুদ্ধে।

রোববার (১২ মে) দুপুরে চরফ্যাশন সদরের একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রিকশা চালক মো. হানিফ।

রিকশাচালক হানিফ অভিযোগ করেন, গত ৫ এপ্রিল রোজ শনিবার সকালে তিনি রিকশা চালিয়ে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার পৌছলে স্থানীয় প্রভাবশালী দুলাল দালালের মাধ্যমে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদার খেজুর গাছিয়া বাজারে তার গদি ঘরে ডেকে নেন এবং  ইউপি সদস্য মোঃ ইউছুফ সিকদার আমাকে আটকিয়ে মারধর করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও আমার ছেলের কাছ থেকে ফাঁকা স্টাম্পে টিপ স্বাক্ষর রাখেন।

তিনি অরোও অভিযোগ করেন, আমি একজন রিক্সা চালক অনেক যাত্রী আমার রিকশায় যাত্রী বহন করি এবং বিভিন্ন মামামাল পরিবহন করে থাকি। গত রমজানের ঈদের আগে একদিন সকালে হাসান নামের এক ব্যাক্তি খেজুর গাছিয়া বাজার থেকে আমার রিকশায় একটি নোঙ্গর নিয়ে আসেন চেয়ারম্যান বাজারে। ওই নোঙ্গরটি তিনি বিক্রি করবেন বলে তিনি আমাকে জানিয়েছেন তবে কোথায় বিক্রি করবেন তা আমার জানা নাই। ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদার প্রকৃত নোঙ্গর বিক্রেতাকে ছেড়ে দিয়ে ওই নোঙ্গরটি বিক্রির সাথে আমি জড়িত এমন সন্দেহে ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদার আমাকে ধরে নিয়ে আটক করে নোঙ্গর চুরির অপবাদ দিয়ে আমাকে হাত-পা বেধে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করেন। খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধারে আমার ছেলে মো. কবির  খেজুরগাছিয়া গেলে ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদার জোরপূর্বক আমার ছেলে কবিরকেও আটক করেন। এবং আমার জরিমানা বাবদ তার কাছ থেকে ফাঁকা স্টাম্পে টিপ স্বাক্ষর রেখে দেন।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদার জানান, স্থানীয় ঘাটের আড়ৎ মালিক ও জেলেদের সিদ্ধান্ত মতে তাকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। টাকা পরিশোধ শর্তে তার ছেলের কাছ থেকে একটি স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। মারধরের বিষয়টি সঠিক নয়।


আরও খবর



ছলিমপুর গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম ও অর্থে সাঁকো নির্মাণ কাজ শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম ও অর্থে কাঠের সাঁকো নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি উপজেলার মঠবাড়ী ও ত্রিশাল সদর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ নিরূপায় হয়ে নিজ অর্থ ব্যয়ে উপজেলার আম্লিতলা নামক স্থানে নাগেশ্বরী নদীর উপর এ সাঁকোটির নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। নির্মাণ কাজ শেষ হলে উপজেলার এই দুই ইউনিয়ন এবং উপজেলা সদরের সাথে কয়েক হাজার মানুষের যোগাযোগ সহজতর হবে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সেতুটির ৬০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। সেতুটির মূল কাঠামোর কাজ শেষ হলেও উপরের কাঠের পাটাতন বসানো এবং ত্রিশাল উপজেলার ছলিমপুর অংশের সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের কাজ অর্থাভাবে আটকে রয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রামবাসী। কাজ শেষ না হওয়ায় এই সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরাসহ আশেপাশের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী ইজারাবন্দ, জয়দা ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফুলবাড়িয়ার ধুরধুরিয়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে আম্লিতলার বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে উপজেলা সদর ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় যাতায়াত করত এবং ভারী বস্তু ও পণ্য পরিবহনে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে সেগুলো আনা-নেওয়া করত। এ এলাকার কয়েক হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি পাঁকা ব্রিজ নির্মাণের। সেটি এখনো বাস্তবায়িত না হওয়ায় প্রায় চার লাখ টাকা ব্যয়ে তাঁরা একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এলাকার লোকজন সাধ্যানোযায়ী ধান, চাল, বাঁশসহ নগদ অর্থকড়ি ও শ্রম দিয়ে এ কাজে অংশগ্রহণ করছেন। সেতুটির কাজ শেষ হলে এ এলাকার হাজারো মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা লাগব হবে। তখন সেতুটি দিয়ে তিন চাকার ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

অলহরী ইজারাবন্দ গ্রামের স্কুল শিক্ষক হাসান বিএসসি বলেন, সাঁকোটি নির্মাণ হলে আমাদের আশেপাশের কয়েক গ্রামের বাসিন্দার চলাচল সহজ হবে। এলাকার সকলের সহায়তায় কাজ শুরু হয়েছে। তবে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ এ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি।

ছলিমপুর দাখিল মাদ্রাসা ও ছলিমপুর আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বপ্না আক্তার, বীথী আক্তার, পারভেজ মিয়া, রতন মিয়া সহ আরও জনাদশেক বলেন, সেতুটি পাড় হলেই নদীর পাড়ের আম্লিতলায় আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই সেতুটি পাড় হয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের পড়াশোনা করতে আসতে হয়। অন্য প্রতিষ্ঠান কয়েক কিলোমিটার দূরে হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয়। বর্তমানে আমাদের এপার-ওপারের লোকজন মিলে  সেতুটি পুননির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। টাকার অভাবে এখন কাজ বন্ধ রয়েছে। আমরা চাই সরকার আমাদের এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করে দিক।

ছলিমপুর আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কোন এলাকার মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা সুগম না হলে ওই এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হয় না। নদীর ওই পাড়ের লোকজন একটি ব্রিজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। ওই পাড়ের অনেক ছাত্রছাত্রী আমার স্কুলে পড়াশোনা করে। ভাঙাচোরা সাঁকোটি পার হতে তাদের অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হতো। পানি বেশি হলে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে আসার ভয়ে নিয়মিত স্কুলমুখী হতে পারতনা শিক্ষার্থীরা। এখানে একটি পাকা সেতু হলে সবার জন্য ভালো হয়।'

স্থানীয় আক্কাছ আলী মাস্টার মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক খবিরুজ্জামান বলেন, এপার-ওপারের তিনগ্রামের সমন্বয়ে একটি ঈদগাহ মাঠ, একটি মসজিদ, একটি দাখিল মাদ্রাসা, একটি হাইস্কুল, একটি কিন্ডারগার্টেন ও একটি বাজার রয়েছে এখানে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে এপার-ওপারের মানুষের আসা-যাওয়ার জন্য। সম্প্রতি একজন মহিলা তার সন্তানসহ সাঁকো পাড়ি দিতে গিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়। তারই প্রেক্ষিতে ঝুঁকিমুক্ত নদী পারাপারের জন্য স্থানীয়ভাবেই এই কাঠের ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

ত্রিশাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসাইন বলেন, নদীর দু'পাড়ের মানুষের জন্য সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেতুটির নির্মাণ কাজে আমিও ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করেছি। পরিষদের পক্ষ থেকে সেতুটির ত্রিশাল অংশের সংযোগ সড়কে মাটি ফেলার কাজ দ্রুতই শুরু করবো ইনশাআল্লাহ।


আরও খবর



‘খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি বিক্ষোভ মিছিলও করতে পারেনি’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দলটি নেতাকর্মীরা একটা বিক্ষোভ মিছিল করতে পারেনি বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বেগম জিয়া আটকে আছে আইনের ফাঁদে। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কোনো মামলা করেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলায় তিনি গ্রেপ্তার ও বন্দী হয়েছেন। বিএনপি নেতাদের অবহেলায় বেগম জিয়ার এক বছরের বিচার ১০ বছরেও শেষ হয়নি। এটার জন্য বিএনপির নেতারাই দায়ী। তারা বেগম জিয়ার জন্য আইনি পথে ব্যর্থ হয়েছে, রাজপথে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথে দেখার মতো বিক্ষোভ মিছিলও করতে পারেনি। 

আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতার জন্যই বেগম জিয়ার শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এমনকি বিদেশি চিকিৎসক এসে তাকে চিকিৎসা দিচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, বিএনপি নিজেরাই এখন বিভক্ত। তাদের দলে বহুদিন ধরে কাউন্সিল নেই। তাদের ঘরোয়া রাজনীতি ঝিমিয়ে পড়েছে। নেতায় নেতায় মিল নেই। দল ক্ষমতায় আসবে এমন আশা নেতারা করলেও তা কর্মীরা দেখছে না৷ কর্মীরা এখন হতাশ হয়ে পড়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা পজিটিভ রাজনীতি করতে চাই। আজ বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতি সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকট থেকে আমাদের জনগণকে কিভাবে মুক্তি দেওয়া যায় তার জন্য কিছু বাস্তবমুখী কর্মসূচি নিতে হবে। দেশে বেকার সমস্যা সমাধানে আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনদের বিষয়ে ব্যাখ্যা করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন সম্পর্কে বিগত সময়ে আমি যে বক্তব্য রেখেছি, তা নিয়ে অনেকে ভেবে ছিল এটা মনে হয় আমি নিজ থেকে নেত্রীর নামে বলে বেড়াচ্ছি। কিন্তু গতকাল আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনের বিষয়ে খোলাসা করেছেন। স্বজন বলতে তিনি সুনির্দিষ্টভাবে স্ত্রী-সন্তান বুঝিয়েছেন। তিনি এমপিদের বলে দিয়েছেন। নির্বাচনে কোনো প্রকার প্রভাব বিস্তার করা যাবে না। প্রশাসন ও নির্বাচনকে প্রভাবিত করা যাবে না। নেত্রীর সেই গাইড লাইন অনুযায়ী আমরা আমাদের পার্টির কর্মকাণ্ড পরিচালিত করব। উপজেলা নির্বাচনে নেত্রীর গাইড লাইন পালন করব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য আনিসুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা প্রমুখ।


আরও খবর