আজঃ বুধবার ২৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বাবা-মা এবং ভাইদের কী অপরাধ ছিল : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা এবং তার ভাইদের নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, একটাই প্রশ্ন সব সময়-আসলে কেন এই হত্যাকাণ্ড, আমার বাবা, মা এবং ভাইদের অপরাধ কি ছিল?

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

আবেগাপ্লুত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং আমার ভাইয়েরা নিজের জীবন উৎসর্গ করলেন, জীবনের সুখ, শান্তি একটা জাতির স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বিলিয়ে দিলেন, কিন্তু সেই বাঙালিই তাদের হত্যা করলো?

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার বড় কন্যা হাসিনা বলেন, ধৈর্য, সাহস এবং সঠিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এবং সেগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বাধীনতার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে বঙ্গমাতা অনেক অবদান রেখেছেনন। আমার মা প্রতিটি আন্দোলনে অনেক অবদান রেখেছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে সারাজীবন উৎসাহ দিয়েছেন যাতে তিনি দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে নিজেকে উৎসর্গ করতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গমাতা সবসময় বিশ্বাস করতেন যে প্রত্যেক নারীর শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত এবং আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন করা উচিত। তার উপলব্ধি ছিল যে শুধু অধিকারের জন্য চিৎকার করলে নারীদের জন্য কিছু আসবে না। অধিকার অর্জনের জন্য সকল নারীর উচিত শিক্ষা গ্রহণ করা এবং নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন করা।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ তৈরি করার জন্য তার ব্যক্তিগত ইচ্ছা এবং চাহিদা উপেক্ষা করেছেন। বঙ্গমাতার কোনো ব্যক্তিগত চাহিদা ছিল না এবং পারিবারিক বিষয়ে বঙ্গবন্ধুকে কখনো বিরক্ত করেনি।

দেশের স্বাধীনতায় বঙ্গমাতার ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বঙ্গমাতা রাজনীতিতে বিভিন্ন সংকটময় সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসন অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের ওপর একটি ভিডিও চিত্র পরিবেশিত হয়।


আরও খবর



চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সাথে সিডিএ চেয়ারম্যানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।

সোমবার (৩ জুন) বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান চেয়ারম্যানের সাথে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা শেষে চট্টগ্রামের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, স্টাফ অফিসার টু ডিসি মো: ফাহমুন নবী এবং সিডিএ এর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শামীম (নির্মাণ বিভাগ-২) ও নির্বাহী প্রকৌশলী রাজীব দাশ (আই.পি)।


আরও খবর



দুদকের চিঠি পড়ে আছে বেনজীরের বাড়ির অভ্যর্থনা কক্ষে

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গুলশান-১ এর লেকপাড় থেকে ১৩০ নম্বর সড়ক ধরে কয়েক কদম হাঁটলেই ১২৬ নম্বর সড়ক। দুই সড়কের সীমানায় গড়ে ওঠা সুউচ্চ ভবনটিই পুলিশের সদ্য সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বাড়ি। এই ঠিকানায় গত ২৮ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদকে আগামী ৬ জুন এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের আগামী ৯ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

চিঠি যখন এই বাড়িতে এসে পৌঁছায় তার আগেই সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেশ ছেড়েছেন। তাই দুদকের চিঠি তাদের হাতে পৌঁছায়নি, পড়ে আছে আলিশান এই ভবনের অভ্যর্থনা কক্ষে। আজ শনিবার দুপুরে গুলশানের এই বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে এসব তথ্য।

বেনজির এবং তাঁর পরিবারের কেউ এখন এই বাড়িতে না থাকায় তাদের পক্ষে কথা বলার মতো কাউকে পাওয়া যায়নি। কথা হয় বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী রাকিবের সঙ্গে।

নিরাপত্তারক্ষী রাকিব  বলেন, তিন সপ্তাহ আগে তিনি (বেনজীর আহমেদ) এই বাড়ি থাইকা বাইর হয়া গেছেন। তারপরে আর আসেন নাই। কই আছেন জানি না। খবরে দেখছি উনি না-কী বিদেশ গেছেন।

এখন বেনজীর আহমেদের খোঁজে কেউ এই বাড়িতে আসে কী-না? এমন প্রশ্নের জবাবে রাকিব বলেন, পাঁচ দিন আগে দুদক থেকে তিনজন লোক আসছিল। কয়েকটা চিঠি দিয়া চইলা গেছে। তারা না থাকায় চিঠিগুলা রিসেপশনে দিয়া গেছে। এখনো ওইগুলা রিসিপসনেই আছে। এ ছাড়া কয়েকটা চ্যানেল থাইকা কয়েক দিন লোক আসছিল। তারা কিছুই পায় নাই।

এই বাড়ির দেখভালের দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তিকে বের হতে ও ঢুকতে দেখা গেছে। এই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে চাইলে নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে যান।

নিরাপত্তারক্ষীর কাছে ভেতরে ঢোকার অনুমতি চাওয়া হয়। নিরাপত্তারক্ষী রাকিব এতে বাঁধা দিয়ে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি নেই বলে জানান। এই গেটে দাঁড়িয়েই তার সঙ্গে কথা হয়। কথা বলে জানা যায়, এই বাসার ১২ তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন বেনজীর আহমেদ। এখন সেই ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ। কেউ আর থাকেন না সেখানে।

তবে বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, বাংলাদেশ ছাড়ার পরে বেনজীর আহমেদ সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। অন্য দিকে দুদক বলছে, গুলশানের এই বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের মতো আরও কয়েকটি ফ্ল্যাট আছে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের। এ ছাড়া তার জন্মস্থান গোপালগঞ্জে ৩৪৫ বিঘা ও মাদারীপুরে ২৭৩ বিঘা অবৈধ জমির সন্ধান পেয়েছে এই সংস্থা।


আরও খবর



নোবেল পুরস্কারের আকাঙ্ক্ষা আমার কখনো ছিল না, এখনও নেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শাস্তির পেছনে সরকারের কোনো হাত নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আদালত তাকে শাস্তি দিয়েছে। এখানে আমার দোষটা কোথায়? তার (মুহাম্মদ ইউনূস) সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই।

নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার মধ্যে কখনও ছিল না, এখনও নেই। আমি জানি এসব পুরস্কার যারা পান, তার পেছনে একটি রাজনীতি থাকে। আমি এগুলো চাই না। অথচ পার্বত্য অঞ্চলে আমি শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছি। শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটি বিরল ঘটনা। শেখ হাসিনা কারো সঙ্গে জেলাসি (হিংসা) করে না।

প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর দুদিনের ভারত সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তীব্র সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (ড. ইউনূস) ওয়ান ইলেভেনের সময় একটি রাজনৈতিক দল গঠনেরও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি ব্যর্থ হলেন কেন? তখন আমার নামে খুনের মামলাও হয়েছিল। হিলারি ক্লিনটনকে সঙ্গে নিয়ে দেশে দারিদ্র বিমোচনে প্রকল্প নিলেন, অথচ যারা ঋণ নিয়েছিল তাদের অনেকে সুদের চাপে আত্মহত্যাও করেছে। আমার প্রশ্ন হলো, তিনি (ইউনূস) দারিদ্র বিমোচন করতে পারলেন না কেন?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে দারিদ্র বিমোচন করছি আমি। অথচ সবাই ক্রেডিট দেয় তাকে (ইউনূস)। সে তো একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার পক্ষে সাংবাদিকরা লিখে কীভাবে? এটাও আমার প্রশ্ন।

ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত রেল যোগাযোগ চুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ চুক্তির সমালোচনা হবে কেন? এ চুক্তির ফলে আমি দেশটাকে কীভাবে বিক্রি করে দিলাম? স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেই আমরা দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলো করেছি। আমরা দেশ বিক্রির জন্য কোনো চুক্তি করিনি। শেখ হাসিনা দেশ বিক্রির জন্য কোনো চুক্তি করে না।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত ২১ থেকে ২২ জুন নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রীয় সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার গঠনের পর নয়াদিল্লিতে এটিই কোনো সরকারপ্রধানের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।


আরও খবর



দুদকের কাছে সময় চাইলেন বেনজীরের স্ত্রী ও তিন কন্যা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সময় চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও দুই মেয়ে। আজ রবিবার দুদকে তাদের পক্ষে এ চিঠি দেওয়া হয়।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরকে আগামী ৯ জুন তলব করে দুদক। এরই পরিপেক্ষিতে দুদকে সময় চেয়ে চিঠি দেন তারা।

গত ১৮ এপ্রিল বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে মাঠে নামে দুদক। ইতোমধ্যে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ফ্রিজের আদেশ দেন আদালত।

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশ-শামস জগলুল হোসেন বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের স্থাবর সম্পত্তি দেখভালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন।

আদেশ অনুযায়ী, বেনজীরের সাভারের সম্পত্তি দেখবেন সেখানকার ইউএনও, গোপালগঞ্জের মাছের খামার দেখবেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। এ ছাড়া মাদারীপুর ও কক্সবাজারের সম্পত্তি দেখাশোনা করবেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক।


আরও খবর



ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে রাজকীয় সংবর্ধনা

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরে দিল্লিতে পৌঁছেই ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ধারাবাহিকতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে গেছেন শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে রাজকীয় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) দিল্লির স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, সরকারের মন্ত্রীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

এরপর প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয় রাজকীয় সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার। এরপর শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশটির মন্ত্রী ও পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

এদিকে আর কয়েক ঘণ্টা পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান। দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের বৈঠকে নির্ধারণ হতে পারে ২০২২ সালের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বাস্তবতা এবং আগামী ৫ বছরের রূপরেখা। তবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে সফরে চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও এ বিষয়ে নিজেদের স্পষ্ট অবস্থান জানাতে পারে ভারত। আসতে পারে বড় ধরনের বিনিয়োগের খবরও।

হাসিনা-মোদির বৈঠকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভারসাম্যহীন বাণিজ্যিক সম্পর্কে কিছুটা স্থিতিশীলতার কৌশল বের হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট শতভাগ কার্যকরের সিদ্ধান্তও আসতে পারে।

এর আগে শুক্রবার (২১ জুন) নয়াদিল্লির তাজ হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের শিল্পপতিদের সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে ভারতের শিল্পপতিদের আহ্বান জানান।

সন্ধ্যায় একই হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রাসহ দুদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এই সৌজন্য বৈঠক। মূলত শনিবার হাসিনা-মোদি শীর্ষ বৈঠকে যেসব বিষয় উপস্থাপিত হবে, সেসব নিয়েই বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা করেন তারা।

এই বৈঠকের পর তাজ প্যালেসেই সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। তিনি জানান, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সফরের বহুমাত্রিক তাৎপর্য রয়েছে। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের বিশেষ আগ্রহ স্পষ্ট হচ্ছে আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটেও।


আরও খবর