নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ
উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে বাবার কোলে থাকা শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়াকে গুলি করে
হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি মো. রিমন ওরফে শুটার রিমন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত নোয়াখালী
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
আদালত সূত্রে
জানা গেছে, ৩ নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম আসামি
রিমনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ডের পর আদালতের নির্দেশে আসামিকে নোয়াখালী
জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী
কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. সবজেল হোসেন বলেন, আসামি রিমন হত্যাকাণ্ডে
জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে
আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত
১৩ এপ্রিল বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় বাবার
কোলে থাকা শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়া। গুলিবিদ্ধ হন শিশুটির বাবা সৌদি প্রবাসী
মাওলানা আবু জাহেরও। গুলিতে তার ডান চোখ নষ্ট হয়ে যায়।
ঘটনার পরদিন তাসপিয়ার
খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে রিমন, মহিন, বাদশাসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত
আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি অধিকতর তদন্তের
জন্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার
(১৯ এপ্রিল) রাতে মামলার প্রধান আসামি শুটার রিমনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) শুটার রিমন ছাড়া বাকি ৪ আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর
করেন নোয়াখালীর একটি আদালত।
রিমান্ডপ্রাপ্ত
আসামিরা হলেন- সোহেল উদ্দিন মহিন (২৪), সুজন (২৬), নাইমুল ইসলাম (২১) ও আকবর হোসেন
(২৬)।
এর আগে শিশু তাসপিয়া
হত্যার পরপরই পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। এরা হলেন- বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর
৮নং ওয়ার্ডের আবদুল মালেকের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৬), ইমাম হোসেন ওরফে স্বপন (৩০), জসিম
উদ্দিন ওরফে বাবর (২৩) ও দাউদ নবী ওরফে রবিন (১৭)। তারা সবাই কারাগারে আছেন।