আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান টেস্টে নিরপেক্ষ আম্পায়ার

প্রকাশিত:সোমবার ১২ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টেস্ট ক্রিকেটে নিরপেক্ষ আম্পায়ারের যুগে আবারও ফিরেছে আইসিসি। আর বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার একমাত্র টেস্ট পরিচালনা করবেন নিরপেক্ষ আম্পায়াররা।

আগামী ১৪ জুন থেকে অনুষ্ঠেয় এ টেস্ট পরিচালনা করবেন পল রাইফেল ও ক্রিস ব্রাউন। অন-ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকবেন তারা। অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে রাইফেল নিজের ৬২তম ও ক্রিস ব্রাউন পঞ্চম টেস্ট পরিচালনা করবেন। এক বিবৃতিতে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আরও পড়ুন<< বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচের খসড়া সূচি ও ভেন্যু

এদিকে টিভি আম্পায়ার বা তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টোক। অন্যদিকে চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। এ ছাড়া ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে থাকবেন ইংল্যান্ডের ক্রিস ব্রড।

ঢাকা টেস্টের পর বাকিরা ফিরে গেলেও সীমিত ওভারের সিরিজে আবারও ফিরবেন হোল্ডস্টোক। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন রিচার্ড ইলিংওর্থ। এ ছাড়া এই দুই সিরিজে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন জাভাগাল শ্রীনাথ। তাদের সঙ্গে যোগ দেবেন বাংলাদেশের তিন আম্পায়ার। তবে তাদের নাম এখনও জানায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

 


আরও খবর



ভারত বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদির সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী-বিশ্বস্ত বন্ধু।

আজ শনিবার (২২ জুন) মোদি ও শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে ১০টি সহযোগিতা ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। এরপর দেয়া যৌথ বিবৃতিতে বৈঠক ফলপ্রসু হওয়ার কথা উল্লেখ করেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।

ভারতকে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে অনেক গুরুত্ব দেয় বাংলাদেশ। যে সম্পর্কের শুরুটা হয়েছিল ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়।

তিনি বলেন, ঢাকা ও নয়াদিল্লি উভয় দেশের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে ডিজিটাল ও সবুজ অংশীদারিত্বের জন্য একটি যৌথ দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্মত হয়েছে।

শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আমরা অন্যান্য পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মধ্যে রাজনীতি ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও সংযোগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, জ্বালানি ও শক্তি এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছি।

দুই দেশের ও জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে তারা সম্মত হয়েছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



দেশে আর কখনোই জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের উত্থান হবে না: র‍্যাব ডিজি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ বলেছেন, বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ একটি নিরাপদ দেশ। এ দেশে আর কখনোই জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের উত্থান হবে না।

গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার ৮ বছর পূর্তিতে আজ (সোমবার) সকালে  দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জঙ্গি নির্মূলে বাংলাদেশ কতটুকু সফল জানতে চাইলে র‍্যাব ডিজি বলেন, ২০১৬ সালের এই দিনে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। পরবর্তীতে র‍্যাব ও পুলিশ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে। অনেক জঙ্গি আস্তানা ধ্বংস করতে র‍্যাব ও পুলিশ সক্ষম হয়। অনেক জঙ্গিকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়।

তিনি বলেন, এখন আর ওইভাবে জঙ্গি তৎপরতার তথ্য নেই। জঙ্গিবাদ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে এখন নিরাপদ একটি দেশে।

জঙ্গি দমনে র‍্যাবের সফলতা নিয়ে তিনি বলেন, র‍্যাব সূচনালগ্ন থেকে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে আসছে। জঙ্গিবাদের বিষয়ে র‍্যাবের নজরদারি রয়েছে। র‍্যাব এখন একটি আধুনিক এবং পেশাদার বাহিনী। ভবিষ্যতে এ দেশে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। র‍্যাবের সেই সক্ষমতা আছে।

জঙ্গি সংগঠন আনসার ইসলাম ও আদালত থেকে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা এসব বিষয়ে নজরদারি করছি। গত সপ্তাহেও চট্টগ্রাম থেকে তিন জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা কিন্তু সার্বক্ষণিকই জঙ্গিদের বিষয়ে নজরদারি করছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিরা এক সময় নানা প্রচারণা করার চেষ্টা করেছে। জঙ্গিরা ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করেছে এক সময়। আমরা কিন্তু এসব বিষয়ে নজরদারি করছি। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডেও আমাদের নজরদারি রয়েছে। আমরা মানুষজনকে আশ্বস্ত করতে চাই, এই দেশে আর কখনোই জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের উত্থান হবে না।


আরও খবর



জেলেদের সহায়তার গরু ক্রয়ের টাকা মৎস্য কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের পেটে!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

তালতলী উপজেলার ৩২ জেলেদের সরকারি সহায়তার গরু ক্রয়ের টাকা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন ও ঠিকাদার জহিরুল আজাদ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জেলেরা এমন অভিযোগ করেন। শারীরিক ভাবে রোগা ও ছোট বাছুর হওয়ায় তারা গরু নেয়নি। এমন অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা গরুর শারীরিক অবস্থা দেখে গরু বিতরণ বন্ধ করে দিয়েছেন। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার তালতলী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে।

জানা গেছে, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় সরকার তালতলী উপজেলার ৩২ জেলেকে প্রশিক্ষণ শেষে বকনা বাছুর বিতরণের উদ্যোগ নেয়। এ প্রকল্পের আওতায় গরু ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহবান করে মৎস্য অধিদপ্তর। দরপত্র অনুসারে গরু ক্রয়ের দায়িত্ব পান রাজবাড়ী জেলার এএম এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদার জহিরুল আজাদ। দরপত্রে প্রত্যেক গরু ৩০ হাজার টাকা ক্রয়ের কথা থাকলেও ঠিকাদার ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইনের যোগসাজসে ছয় মাসের বাছুর ও শারীরিকভাবে অক্ষম গরু ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা মূল্যে ক্রয় করেছেন। ওই গরু মঙ্গলবার তালতলী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মৎস্য কর্মকর্তা বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন। এ সময় জেলেরা গরু শারীরিক অবস্থা ও ছোট বাছুর দেখে তারা গরু নিতে অপরগতা প্রকাশ করে অনিয়মের প্রতিবাদ করেন। খবর পেয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা গরু বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।

চরপাড়া গ্রামের জেলে আল আমিন বলেন, জেলেদের জন্য গরু ক্রয় করতে ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন ও ঠিকাদার জহিরুল আজাদ অল্প টাকার গরু ক্রয় করে আমাদের মাঝে বিতরণ করছিল। আমরা গরুর শারীরিক অবস্থা দেখে আনিনি।

তিনি আরো বলেন, এ গরু লালন পালন করে বাঁচানোই কষ্টকর। ঠিকাদার ও মৎস্য কর্মকর্তা অল্প টাকার গরু ক্রয় করে টাকা ভাগ বাটোয়ারা করেছেন। এদের শাস্তি দাবি করছি।

তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন গরু ক্রয়ের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, গরু ক্রয়ের আমি অনিয়ম করিনি। অনিয়ম করে থাকলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান করেছে।

এএমএন্টারপ্রাইজের মালিক জহিরুল আজাদ বলেন, দরপত্র অনুসারে গরু ক্রয় করা হয়েছে। কোন অনিয়ম হয়নি।

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মহসিন বলেন, দরপত্র অনুসারে গরু ক্রয় করা হয়নি। ফলে ঠিকাদারের কাছে গরু ফেরত দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, গরুর বাছুরগুলো অত্যান্ত নাজুক। এ গরু আমার পছন্দ হয়নি। তাই গরু বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি।


আরও খবর



দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে খাবার টেবিলে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়ে দিল্লিতে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ব্যস্ত সূচির এক ফাঁকে মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন তিনি। মা-মেয়ের খাবার খাওয়ার এক মুহূর্ত শেয়ার করেছেন মেয়ে সায়মা।

নিজের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে মায়ের সঙ্গে ছবি দিয়ে ক্যাপশনে বলেন, মার সঙ্গে খাওয়ার মুহূর্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে..

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক অন্যতম নীতিনির্ধারক সংস্থা ডব্লিউএইচও এর আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। গতকাল রবিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-এ নিজের পেইজে মায়ের সঙ্গে খাবার খাওয়ার ছবি পোস্ট করেন পুতুল। এরপর থেকেই ছবিটি তাদের অনুসারীরা শেয়ার করতে থাকেন বিভিন্ন মাধ্যমে।

শনিবার (৮ জুন) সকাল সোয়া ১০টায় শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ঢাকা ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। শপথ অনুষ্ঠান শেষে আগামী সোমবার (১০ জুন) দুপুরে দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।


আরও খবর



সিন্ডিকেটের ফাঁদে কমছে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবারও সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে চামড়ার দাম। সরকার নির্ধারিত ন্যায্য দাম পাননি কেউ। হাতেগোনা কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা সামান্য লাভের মুখ দেখলেও কোরবানির চামড়ায় দায় সারা দরে কিনতে সব আয়োজন করেছেন বড় বড় ব্যবসায়ীরা।

ফলে গতবারের চেয়ে এবার প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ঢাকায় ৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৭ টাকা বাড়ানো হলেও কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (১৯ জুন) সরেজমিনে চামড়া কেনাবেচার স্থানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত লবণযুক্ত চামড়ার দামের অর্ধেক দামেও চামড়া বিক্রি করতে না পেরে লোকসানে হতাশ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বছর এ রকম সিন্ডিকেটের ফাঁদে রংপুরে একদিকে কমছে কোরবানির পশুর চামড়ার আমদানি। অন্যদিকে ন্যায্য দাম না পেয়ে চামড়া মাটিচাপা দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে।

এদিকে, সরকারের বেঁধে দেওয়া চামড়া দাম নির্ধারণ শুধুই কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ থাকায় সিন্ডিকেট বলয় এবারও ভাঙতে পারেননি সাধারণ ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা।

রংপুর নগরীর চামড়া কেনাবেচার সবচেয়ে বৃহৎ এলাকা চামড়াপট্টিতে দেখা গেছে, পুরো চামড়ার বাজার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণে নেন আড়তদারসহ বড় বড় ব্যবসায়ীরা। তারা সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে তাদের বেঁধে দেওয়া দামের বাইরে চামড়া বিক্রি হয়নি।

এদিকে সাধারণ মানুষ এবং মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চামড়ার জন্য প্রসিদ্ধ রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর টার্মিনাল রোডের চামড়াপট্টি এলাকার ব্যবসায়ীরাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে এবারও সস্তায় চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। গরুর চামড়ায় দাম মিললেও ছাগলের চামড়া ফ্রি-তে দিতে হয়েছে। চামড়ার দাম কম দিতে নানা অজুহাতের ফাঁদ গল্প শুনতে হয়েছে তাদের।

নগরীর বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, এবার প্রতি পিস গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ২৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। আর ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ৫ থেকে ১০ টাকায়। মৌসুমি চামড়া বিক্রেতারা জানিয়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে চামড়া কিনে আনার পর আড়তদারদের কাছে চামড়ার ন্যায্য দাম পাওয়া যায়নি। এতে করে হতাশ তারা।

রাশেদুন্নবী জুয়েল নামের একজন জানান, তাদের গরুর দাম ছিল ১ লাখ বিশ হাজার টাকা। কিন্তু সেই গরুর চামড়া বিক্রি করেছেন মাত্র ৪০০ টাকায়। প্রায় চার ঘণ্টা ছিলাম। কোনো ক্রেতাই এর থেকে দাম বেশি বলেনি। উপায় না থাকায় কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি। এতে করে আমার ক্ষতি না হলেও সাধারণ গরীব-মিসকিনেরতো ঠিকই ক্ষতি হচ্ছে। কারণ কোরবানির পশুর চামড়ার টাকায় তো তাদের হক রয়েছে।

চামড়া নিয়ে আসা মৌসুমি ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম জানান, প্রতি বর্গফুট মাঝারি গরুর চামড়া সর্বনিম্ন ৭০০ থেকে ৮০০ এবং বড় গরুর চামড়া এক হাজার থেকে বারোশ দাম হওয়ার কথা। তিনি ওই হিসেবে গড়ে ৬০০ টাকা দরে চামড়া কিনেছেন। গাড়ি ভাড়া আনুষঙ্গিক খরচসহ সাড়ে ৬০০ টাকা পড়েছে প্রতি পিস চামড়া কিনতে। কিন্তু আড়তদাররা ৫০০ টাকার বেশি দামে চামড়া কিনতে রাজি না হওয়ায় তাকে মোটা অঙ্কের লোকসান মেনে নিতে হয়েছে।

একই কথা জানিয়েছেন নগরীর সিও বাজার এলাকার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী সোলায়মান আলী। তিনিও গড়ে ৬০০ টাকা দরে চামড়া কিনে এনে সস্তা দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন। তবে আড়তদারদের দাবি, ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা টাকা তুলতে না পারা, পুঁজি সংকটসহ লবণের দাম বৃদ্ধি ও বিভিন্ন কারণে সরকার নির্ধারিত দামে তারা চামড়া কিনতে পারেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর ১৫-২০ জন ফড়িয়া ও অর্ধশত মৌসুমি ব্যবসায়ী এবং হাতেগোনা ৬-১০ জন ব্যবসায়ী চামড়া কিনলেও এ বছর বেশির ভাগকেই চামড়া কেনাবেচায় দেখা যায়নি। সবমিলিয়ে চার-পাঁচজন ছাড়া চামড়া কেনার মতো বড় কোনো ব্যবসায়ী ও আড়তদার ছিল না এ এলাকায়। অথচ এক সময় চামড়াপট্টি এলাকায় শতাধিকের বেশি চামড়ার গুদাম ছিল।

রংপুর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আফজাল হোসেন বলেন, সিন্ডিকেট করে কী লাভ? এমনিতেই চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে। ট্যানারি ছাড়া স্থানীয়ভাবে চামড়া সংরক্ষণের বিকল্প কোনো উপায় নেই। এখন আমদানিও কম। লবণের দাম তো বেড়েই চলেছে। এত কিছুর মাঝেও ট্যানারি মালিকেরা সরকারের কাছ থেকে ঋণ পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের মতো ব্যবসায়ীরা বছরের পর বছর ধরে ঋণ সুবিধার বাইরে রয়েছি। আমাদের ঋণ দেওয়া হয় না। অথচ বড় বড় ট্যানারি মালিকেরা চামড়া ব্যবসার নামে ঋণ নিয়ে তা অন্যখাতে বিনিয়োগ করছে।

তিনি আরও বলেন, চামড়া কিনে কোথায় বিক্রি করা হবে, এ নিয়েই চিন্তিত বড় ব্যবসায়ীরা। এখন চামড়ার দাম নেই। তার মধ্যে আর্থিকভাবে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত।


আরও খবর