আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সি উন্মোচন

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচনের কথা ছিল জিম্বাবুয়ে সিরিজের শেষ দিনে। দল ঘোষণার পর জার্সি উন্মোচন হবে এমনটাই জানা গিয়েছিল প্রাথমিক খবরে। কিন্তু দল ঘোষণার পর আসেনি সেই আকাঙ্খিত জার্সি। মাঝে বাংলাদেশ দল খেলেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের অ্যাওয়ে সিরিজ। সেই সিরিজটাও হেরেছে লজ্জাজনকভাবে।

এতকিছুর পর অবশেষে ২৭ মের প্রথম প্রহরে বিশ্বকাপের জার্সি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে স্কোয়াডের গ্রুপ ছবি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে ২০২৪ সালের বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জার্সি।

চিরায়ত নিয়ম মেনে জার্সিতে প্রাধান্য পেয়েছে গাঢ় সবুজ রঙ। পুরো জার্সিতেই বাঘের ডোরাকাটা আবছা ছাপ রাখা হয়েছে। কাঁধের লাল রেখাও নেমে গিয়েছে বাঘের চামড়ার আদলে। মাঝে হালকা হলুদ আর হাতের বর্ডারে থাকছে সোনালি রঙের ছাপ। জার্সিতে বাংলাদেশ এবং স্পন্সরের নাম রাখা হয়েছে সাদা রঙে। একই রঙে থাকছে বিশ্বকাপের লোগোটাও।

এর আগে সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ার আগে টাইগারদের স্কোয়াড ও জার্সি উন্মোচন করা হয়েছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বেলায় সেটি হয়নি। তবে এবার স্যুট-বুটেড হয়ে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী ২ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ যৌথভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করবে। ২০ দলের এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অভিযান শুরু হবে ৭ জুন থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে শান্তর দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে। ১০ জুন বাংলাদেশ লড়বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরবর্তীতে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস এবং ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ।


আরও খবর



জয়ে কোপা আমেরিকা শুরু আর্জেন্টিনার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

কানাডার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়েছে সর্বশেষ কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা। দুই আলবিসেলেস্তে স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজ ও লওতারো মার্টিনেজ গোল করেছেন। সহজ জয়ে মেসিরা শুরু করেছেন কোপা আমেরিকা।

শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকালে আটলান্টায় শুরু হওয়া ম্যাচের প্রথমার্ধে আর্জেন্টিাকে আটকে দেয় কানাডা। আর্জেন্টিনা গোল মিসের পসরা সাজিয়ে আটকে যায় বললেও ভুল হবে না। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দলকে লিড এনে দেন ম্যানচেস্টার সিটির তরুণ স্ট্রাইকার লওতারো মার্টিনেজ। তিনি ৪৯ মিনিটে জালে বল পাঠান।

আকাশি-সাদার প্রতিনিধিরা দ্বিতীয় গোল পেয়েছে ম্যাচের শেষ সময়ে। ৮৮ মিনিটে মেসির আলতো করে ঠেলে দেওয়া পাস ডান পায়ের টোকায় জালে পাঠিয়ে দেন বদলি নামা ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার মার্টিনেজ। সহজ জয়ে মাঠ ছাড়ে কোপার শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামা আর্জেন্টিনা।

এই দুই গোলের তথ্যে পুরো ম্যাচ  আসবে না। বরং আর্জেন্টিনার গোল মিসের ঘটনাই বড় হয়ে উঠতে পারত। ম্যাচে লিওনেল মেসি একাই হারিয়েছেন সহজ চারটি সুযোগ। এর মধ্যে দুবার গোল রক্ষকের সঙ্গে ওয়ান অন ওয়ান ছিলেন লিও। অর্থাৎ গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে পারলেই গোল। কিন্তু পারেননি তিনি। অন্য একটি শট অবশ্য পোস্ট ঘেসে বেরিয়ে যায়।

শুধু মেসি কেন ডি মারিয়া সহজ গোল মিস দিয়েই ম্যাচের শুরু বলা যায়। ম্যাচের ১৫ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সেরা সুযোগ পান বেনফিকা মিডফিল্ডার। দুর্দান্ত এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বক্সে ঢুকে যান বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকার ফাইনালে গোল করা ডি মারিয়া। কিন্তু সামনে থাকা কানাডার গোলরক্ষকে আটকে যান তিনি।

আবার ম্যাক অ্যালিস্টার ও বদলি নামা নিকোলাস ওটামেন্ডি হারিয়েছেন সহজ গোলের সুযোগ। সব মিলিয়ে ম্যাচে আর্জেন্টিনা গোল মুখে ১৯টি শট নিয়েছে। যার নয়টি ছিল একেবারেই গোল হওয়ার মতো। যা আটকে দিয়েছেন কানাডার গোলরক্ষক। বিপরীতে নয় শটের দুটি জালে রাখতে পারে কানাডা। তবে আর্জেন্টিনার মতো ভুল না করলে যে নয়টি সুযোগ তারা তৈরি করেছিল তাতেই ঘটে যেতে পারত অঘটন।


আরও খবর



নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী, কাল মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশটিতে নতুন সরকার গঠনের পর এটিই কোনো বিদেশি প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফর।

প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গীদের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, শুক্রবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র ও পরিবেশবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।

এর আগে শুক্রবার দুপুর ২টা ৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ দ্বিপক্ষীয় সফর উপলক্ষ্যে ২১ থেকে ২২ জুন ভারতে অবস্থান করবেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান।

জানা গেছে, এ সফরে দুদেশের চমৎকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও এগিয়ে নেওয়ার বার্তা থাকবে। সফরে গুরুত্ব পাবে অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টি। পাশাপাশি আলোচনায় থাকবে ঋণ সহায়তা, সীমান্ত হত্যা ও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির মতো অমীমাংসিত ইস্যুগুলো।

সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদারে বেশ কিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। এ ছাড়া একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

সফরের শুরুতে আজ (২১ জুন) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। পরদিন (শনিবার) প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক অর্ভ্যথনা জানাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। এরপর হায়দরাবাদ হাউজে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী তাদের বিবৃতি দেবেন।

সফরের শেষ দিন (শনিবার) বিকালে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যা ৬টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। রাত ৯টায় ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে তার।


আরও খবর



অল্প বৃষ্টিতেই ডুবল ঠাকুরগাঁওয়ের সড়ক ও মার্কেট

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার বেশ কয়েকটি এলাকার ড্রেনেজের বেহাল দশা। এতে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়ক ও বাজারে পানি জমে থাকায় ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি যেন চরম আকার ধারণ করেছে। বর্ষাকাল আসতে না আসতেই শহরের এ অবস্থায় নাজেহাল পৌরবাসী।

তবে ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনার কারণে পানি নিস্কাশনে না হওয়ায় অনেক মার্কেটের দোকানপাটের ভেতর ঢুকছে পানি। এতে আসবাবপত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নষ্টসহ ভিজে গেছে বেশ কিছু পণ্য। দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনেজের এমন বেহাল দশা থাকলেও ব্যবস্থায় উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

বুধবার (১২ জুন) মধ্যরাতে ও সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের বিভিন্ন অলিগলি সড়কগুলোতে পানি থৈ থৈ করছে। কোথাও কোথাও হাঁটু সমান। পানি বের হওয়ার রাস্তা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা চরম বিপাকে পড়েছেন। ময়লা পানির ভ্যাপসা গন্ধে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও।

জলাবদ্ধতা সৃষ্ট শহরের বেশকটি এলাকা ঘুরে জলজটে আটকে পড়া ভুক্তভোগীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আমরা পানিতে ডুবলেও খোঁজ নিতে আসেন না কোনো কাউন্সিলর, এমনকি মেয়রও। শহরবাসী দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এমন ভোগান্তি পোহালেও পৌর কর্তৃপক্ষ জলাবদ্ধতা নিরসনে নিচ্ছেন না কোনো ব্যবস্থা।

জানা গেছে, বৃষ্টির পানি জমে শহরের নরেশ চৌহান সড়ক, নর্থ সার্কুলার রোড, গোয়ালপাড়া, কলেজপাড়া, কালিবাড়ি, শাহপাড়া, মুসলিমনগরসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এমনকি বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকেছে। ড্রেনেজগুলোর বেহাল দশার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

গোয়ালপাড়া এলাকার বাসিন্দা রনি বলেন, এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। রাস্তাটিও নিচু। ড্রেন অপরিষ্কার থাকে। বৃষ্টি হলে শহরে কোথাও পানি জমুক আর না জমুক, এই এলাকায় পানি জমবেই।

নরেশ চৌহান সড়কের ব্যবসায়ী উজ্জল, মুকুলসহ অনেকে জানান প্রথম শ্রেণির পৌরসভার অবস্থা যদি এমন হয় তাহলে আর কি বলার থাকবে। পানি ঢুকে ব্যবসায়ীক সামগ্রীসহ জিনিসপত্র ক্ষতি হচ্ছে এ দায় কে নিবে। পৌর মেয়র আছেন বলে মনে হয় না। আমরা দাবি করি ব্যবস্থায় উদ্যোগ নিন, না হলে সড়কে আন্দোলন করা ছাড়া উপায় থাকবে না।

কালিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মকসেদ বলেন, কালিবাড়ি রোডের ড্রেনটি পরিস্কার করতে মেয়র ও কাউন্সিলরকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। সংস্কার না করায় ড্রেনগুলো উপচে পড়ছে। তাই আগের মতো পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। ফলে বৃষ্টি হলেই শহরের রাস্তাঘাটে পানি জমে যাচ্ছে।

হাজি পাড়া এলাকার বাসিন্দা ময়নুল জানান, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বেহাল দশার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পয়ঃনিষ্কাশনের অভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই বাড়িতে হাঁটু পানি জমে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। র্দীঘদিন ধরে জলাবদ্ধতায় শহরবাসী ভোগান্তি পোহালেও পৌর কর্তৃপক্ষ সমস্যাটির সমাধানে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছেন না।

সমাজ উন্নয়নকর্মী মনিরুজ্জামান বলেন, বৃষ্টি হলেই পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে চলাচলে ভোগান্তিসহ সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। অনেক এলাকায় বাড়িঘরেও পানি উঠে যায়। চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলতে হচ্ছে শহরবাসীকে। তাই শহরবাসীর জন্য প্রয়োজন আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা।

প্যানেল মেয়র সুদাম সরকার জানান, এই মেয়রের সময়কালে কাউন্সিলররাও রীতিমত বিরক্ত। প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি কোন ভূমিকা রাখছেন না। সে কারনে রাস্তাঘাট ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনাসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা বলেন, প্রকল্প আসলে প্রতিটি কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।


আরও খবর



এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: চোরাচালানের পর মিলছে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে জড়িত গডফাদার, প্রভাবশালী, এমপি, রাজনৈতিক নেতা ও কিছু সংখ্যক বড় বড় ব্যবসায়ীদের জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে আসছে। এমপি আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনও তার পিতার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং জড়িত খুনিদের রক্ষা করতে বড় বড় জায়গা থেকে ফোন আসছে বলে তথ্য পেয়েছেন। এই তথ্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের স্বর্ণ চোরাচালান, হুন্ডি ব্যবসায়ী এবং মাদক পাচারের নিয়ন্ত্রণকে এমপি আনার হত্যার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। গ্রেফতারকৃত খুনি ও রাজনৈতিক নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে একের পর এক নতুন ও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক বিরোধ। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ এলাকার একাধিক নেতা ও এমপি আনারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তি গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেফতারকৃত ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম মিন্টুর নির্বাচনি আসন হরিনাকুন্ড উপজেলা। সেখানে নির্বাচিত হয়েছেন একজন ক্ষমতাধর বড় ব্যবসায়ী। এই আসনে মিন্টুর পক্ষে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আর নির্বাচন করলেও তার জয়ী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

মোটকথা এলাকাবাসির তথ্য অনুযায়ী, মিন্টুর এই আসন হাতছাড়া। তাই তার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ঝিনাইদহ-৪ আসনে নির্বাচন করা। এ নিয়ে তিনি সামনের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ক্ষমতাসীন একাধিক এমপি ও দলীয় নেতাকে আর্থিকসহ নানা সুবিধা প্রদান করে আসছেন। ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েও এমপি আনার ও মিন্টুর মধ্যে বিরোধ ছিল। এমপি আনার বেঁচে থাকলে মিন্টুর এমপি হওয়া কিংবা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ ধরে রাখা সম্ভব ছিল না। মিন্টু এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীদের একজন বলে এলাকার একাধিক নেতা জানিয়েছেন। কালীগঞ্জ এলাকার এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত কথিত সিবিআই নেতাসহ একাধিক ব্যক্তি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। কলকাতার সঞ্জীভা গার্ডেন্সে গত ১৩ মে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর ঐ সকল জড়িত ব্যক্তিরা আত্মগোপনে চলে যান। প্রভাবশালী এমপি ও ব্যবসায়ীদের আশ্বাসেই তারা এখন আবার এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

বুধবার (১২ জুন) এমপি আনারের কন্যা ডরিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। এ সময় তার পিতা এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিদের রক্ষায় তাদের পৃষ্ঠপোষক প্রভাবশালীদের তৎপরতা এবং তদন্ত কার্যক্রমকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টাসহ বিস্তারিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি কন্যা ডরিনকে আশ্বাস দেন যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বাস করেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো অপরাধীকে তিল পরিমাণ ছাড় দেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে এমপি আনার কন্যা সাংবাদিকদের জানান, তার পিতার হত্যাকারীদের বাঁচাতে কিংবা গ্রেফতারকৃতদের ছাড়িয়ে নিতে বড় বড় জায়গা থেকে ফোন আসছে। এমন তথ্য তিনি জানতে পেরেছেন। এজন্য তার সন্দেহ যে পিতার হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ফলাফল আদৌ আলোর মুখ দেখবে কিনা।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে স্বর্ণ চোরাচালান, হুন্ডি ব্যবসা ও মাদক পাচারের নিয়ন্ত্রণের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে শতাধিক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। এমনকি অনেকে নিখোঁজও হয়েছেন। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের কোনোটিরই বিচার হয়নি। এমনকি নিখোঁজ কাউকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাই এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়েও এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল কালীগঞ্জ এলাকায় গ্রেফতারকৃত আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু ও কাজী কামালসহ খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান যে, এমপি আনারের হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন আগের সব খুনের ঘটনার মতো ধামাচাপা না পড়ে।


আরও খবর



বিষখালী নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বামনা(বরগুনা) প্রতিনিধি:

ঘূর্ণিঝড় রেমালে বরগুনার বামনা উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বিষখালী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয় পানি ঢুকে সাধারণ জনগণের ব্যপক ক্ষতি হয়। অধিকাংশ জায়গায় বেড়িবাঁধ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

আজ মঙ্গলবার পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল অবঃ জাহিদ ফারুক শামীম এমপি বামনা উপজেলার চলাভাঙ্গা, রামনা ও চেচান এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা করা হবে বলে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে আশ্বস্ত করেন।

এ সময় তার সফরসঙ্গী ছিলেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা, বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু, সংরক্ষিত ১৪ আসনের মহিলা সদস্য মোসাঃ ফারজানা সুমি, বরগুনা জেলা প্রশাসক মোঃ রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আঃ ছালাম পিপিএম।

মন্ত্রী আজ সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে পাথরঘাটা আসেন। পাথরঘাটা থেকে স্প্রিডবোট যোগে বরগুনা জেলার বামনা, বেতাগী, পাথরঘাটা ও বরগুনা সদর উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।


আরও খবর