আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

বাড়তে পারে পানি, বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৭ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পদ্মা-যমুনাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদনদীর পানি বাড়ছে। ছয় নদীর পানি ৯টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, পাবনা ও মানিকগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বন্যাকবলিত নদী-তীরবর্তী নিচু এলাকাগুলোর মানুষ।

বন্যায় গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ। এসব এলাকায় গোচারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। অন্যদিকে ফরিদপুর ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী তিন থেকে সাতদিন পানি বাড়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। এতে দেশের আরো কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, ইতিমধ্যে পদ্মা নদীর নিম্নাঞ্চলে, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও শরীয়তপুর অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মানিকগঞ্জেও কিছুটা বন্যা পরিস্থিতি রয়েছে। তিনি বলেন, আবার যমুনা নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা হয়তো আরো তিন থেকে চার দিন অব্যাহত থাকবে। পদ্মা নদীতে যে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তা আগামী এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর থেকে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যেতে পারে। উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে যমুনাসহ সবগুলো নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির সবচেয়ে অবনতি হয়েছে। বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করায় নদী তীরবর্তী সদর উপজেলা, কালিহাতী, নাগরপুর, ভূঞাপুর, বাসাইল ও মির্জাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার আমন ধান ও সবজি খেতসহ অন্যান্য ফসলের মাঠ।

দুই দিন স্থিতিশীল থাকার পর বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। একই সঙ্গে বাড়ছে জেলার অভ্যন্তরীণ নদনদীর পানিও। ফলে ক্রমেই জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। যমুনা নদীর চরাঞ্চল, নিম্নাঞ্চল ও অভ্যন্তরীণ নদী-তীরবর্তী এলাকার বসতবাড়ি, ফসলি জমি প্লাবিত হওয়ায় বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে পাঁচ উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। যমুনা,ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক নিম্নাঞ্চল। ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন।

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে বুধবার রাতে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি স্থান ভেঙে গেছে। এতে উপজেলার ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ঐ উপজেলার ফেনী-পরশুরাম সড়কটিও পানিতে ডুবে গেছে। ফলে ওই সড়কে সকাল থেকে ছোট যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, বিকালে পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫৩ থেকে কমে ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। একই নদীর সুরেশ্বর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৮ থেকে বেড়ে ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যায়। ভাগ্যকূল পয়েন্টে পানি এখন বিপৎসীমার নিচে চলে গেছে।

এদিকে যমুনা নদীর মথুরা পয়েন্টে পানি বিপত্সীমার নিচে নেমেছে। একই নদীর আরিচা পয়েন্টে পানি পাঁচ থেকে কমে এখন এক সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। নতুন করে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপত্সীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। আত্রাই নদীর বাঘাবাড়ী পয়েন্টে পানি ২০ থেকে বেড়ে ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে গড়াই নদীর কামারখালী পয়েন্টে পানি বিপত্সীমার নিচে নেমে গেছে। ধলেশ্বরী নদীর এলাসিন পয়েন্টে পানি বিপত্সীমার ১৬ থেকে বেড়ে ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন করে ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার, যাদুকাটা নদীর লরেরগড় পয়েন্টে ৭, মুহুরি নদীর পরশুরাম পয়েন্টে পানি ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এছাড়া মেঘনার চাঁদপুর পয়েন্টে পানি বিপত্সীমার ১৯ থেকে কমে ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


আরও খবর



জীবিত তিনজনকে মৃত্যু সনদ, ভাতা তুলছেন অন্যরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

Image

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার তিন ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জীবিত তিন ব্যক্তিকে মৃতের সনদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে তাদের বয়স্ক ও বিধবা ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিকার চেয়ে ইউএনওর কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও খবিরুল আহসান।

ভুক্তভোগীরা হলেন খলিশাউড় ইউনিয়নের গড়ুয়াকান্দা গ্রামের হযরত আলী (৭১), হোগলা ইউনিয়নের জামিরাকান্দা গ্রামের মৃত সুরুজ আলী ফকিরের স্ত্রী জহুরা খাতুন (৭৭) ও পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের উকুয়াকান্দা গ্রামের মৃত মামুদ আলীর মেয়ে খাদিজা আক্তার (৬০)। তাদের মধ্যে হযরত আলী ও জহুরা খাতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। তাদের দাবি, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, মেম্বার, সমাজসেবা কর্মকর্তা মিলে তাদের মৃত দেখিয়ে অন্য ব্যক্তিদের ভাতা সুবিধা করে দিয়েছেন। তবে চেয়ারম্যানদের দাবি, তাদের ভুলের কারণে এমনটি হয়েছে। অভিযোগের অনুলিপি নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক বরাবর দেওয়া হয়েছে।

হযরত আলী বলেন, দীর্ঘদিন বয়স্ক ভাতা পেতেন তিনি। ভাতার দুই কিস্তি তাঁর মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে না আসায় বিষয়টি জানতে সমাজসেবা অফিসে খোঁজ নেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা জানান খলিশাউড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রাম্যান কমল কৃষ্ণ সরকারের দেওয়া প্রত্যয়ন মোতাবেক তাঁকে মৃত দেখানো হয়েছে। এ কারণে তাঁর নামে বরাদ্দ বয়স্ক ভাতা অন্য ব্যক্তিকে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে খলিশাউড় ইউপি চেয়ারম্যান কমল কৃষ্ণ সরকার বলেন, একই গ্রামের হযরত আলী নামে দুই ব্যক্তির একজন মারা গেলে ভুলবশত জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে। এই ভুল সংশোধনের জন্য ইতোমধ্যে সমাজসেবা অফিসে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।

জহুরা খাতুনের অভিযোগ, তিনিও নিয়মিত বয়স্ক ভাতাভোগী ছিলেন। হঠাৎ ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমাজসেবা অফিসে খোঁজ নেন। পরে জানতে পারেন তাঁকেও ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আকন্দ খোকনের স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নে মৃত দেখানো হয়েছে। এ কারণে তাঁর পরিবর্তে হালিমা খাতুনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে এক বছর ধরে ভাতা দেওয়া হচ্ছে।

তবে হোগলা ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আকন্দ খোকনের দাবি, তাঁর অজান্তে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ভুলবশত এমনটি করেছেন। তবে ভুল সংশোধনের জন্য ইতোমধ্যে কাগজপত্র নিয়ে সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করা হয়েছে। অতি দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।

পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের উকুয়াকান্দা গ্রামের মৃত মামুদ আলীর স্ত্রী খাদিজা আক্তার ২০১৯ সালে যাচাই-বাছাই শেষে বিধবা ভাতার কার্ড পান। ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ভাতা পান তিনি। এই ভাতার টাকায় নিজের ব্যয় বহন করতেন। গত বছরের মার্চ মাসের পর থেকে ভাতা পাচ্ছেন না তিনি। কারণ জানতে সমাজসেবা অফিসে খবর নিতে গেলে তাঁকে জানানো হয়, আপনি তো মারা গেছেন। তাই ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে।

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল বলেন, বিধবা ভাতা না পাওয়ার ব্যাপারে আমাকে কেউ জানায়নি। এ ধরনের বিষয় অহরহ ঘটছে। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে সমাধানের জন্য আমরা সমাজসেবা বিভাগে পাঠিয়ে দিই।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানরা মৃত্যু সনদ দিয়ে সুপারিশ পাঠালে ভাতাভোগী দুজনকে মৃত দেখিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। প্রকৃত বিষয়টি যেহেতু জানা গেছে, কয়েক দিনের মধ্যে সংশোধনের ব্যবস্থা করা হবে।

পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খবিরুল আহসান জানান, জীবিত ব্যক্তিকে মৃতের সনদ দিয়ে ভাতা কেটে দিয়ে অন্যজনের নামে প্রতিস্থাপনের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগেও হয়রানির বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে খাদিজা আক্তার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সমাজসেবা বিভাগে বিষয়টি সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতাসাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: নেত্রকোনা

আরও খবর



চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

সৌদি আরবসহ মধ্যপাচ্যের দেশ সমূহের সঙ্গে মিল রেখে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে আজ চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। ঈদকে ঘিরে গ্রামগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সকাল থেকে নামাজ আদায় ও পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা পালন করছেন এসব গ্রামের মানুষ।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় ৫০টি গ্রামে এবারও আগাম পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করছে। গ্রামগুলো হচ্ছে- হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা। ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রাম।

সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠের পিরজাদা জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী বলেন, দরবার শরিফ মাঠে ৯ টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিনি নিজেই ইমামতি করেন। সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইমমতি করেন মাওলানা আরিফ উল্লাহ চৌধুরী।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ ও ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা এসব গ্রামে একদিন আগে হয়ে আসছে। ঈদের জামাতসহ সার্বিক নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আগাম ঈদ পালনকারী লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবসহ আরব দেশসমূহের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের এই পন্থা চালু হয়। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) প্রথমে তার নিজ গ্রামে এবং পরে তার অনুসারীরা এমন নিয়ম মেনে রোজা রাখা শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা উদযাপন হয়ে আসছে।


আরও খবর



শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরল শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র দাবদাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিখন ঘাটতি দেখা দিলে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে সরকার। এ নিয়ে ক্ষোভ জানান শিক্ষকরা। সেসময় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী আশ্বাস দেন, ঈদুল আজহার পর শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শনিবারের ছুটি বহাল করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় এখন থেকে শনিবারও আগের মতো সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে সারা দেশে এবং পরবর্তীতে জেলাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সেসময় শিখন ঘাটতি তৈরি হয়। এ ঘাটতি পূরণে গত ৪ মে থেকে শনিবারও ক্লাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পরিবর্তে ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়। এবার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ছুটি বহাল করল মন্ত্রণালয়।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলতি বছরের গ্রীষ্মের ছুটি কমানো হয়েছে। এ ছুটি আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত ছিল। কিন্তু বুধবার (২৬ জুন) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



রাসেলস ভাইপার থেকে বাঁচতে বন বিভাগের ছয় নির্দেশনা

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত কয়েক মাস ধরে দেশব্যাপী আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিষাক্ত ও হিংস্র সাপ চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার। মূলত বরেন্দ্র অঞ্চলের সাপ বলে পরিচিত হয়ে এলেও ইদানিং দেশের দক্ষিণ, পূর্ব এমনকি মধ্যাঞ্চলেও খোঁজ মিলছে সাপটির। প্রায় দিনই খবর আসছে বিষাক্ত এ সাপে কাটা মানুষের মৃত্যুর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছয়টি নির্দেশনা সম্বলিত একটি পোস্ট করা হয়েছে বাংলাদেশ বনবিভাগের পক্ষ থেকে। শুক্রবার (২১ জুন) রাতে পোস্টটি করা হয় বাংলাদেশ বনবিভাগের একটি ফেসবুক পেইজ থেকে।

তাতে বনবিভাগ বলেছে, গত ১০ বছর আগেও এই চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার তেমন চোখে পড়তো না। মূলত ২০১২ সালের পর থেকে এই সাপের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। রাসেলস ভাইপার দক্ষ সাঁতারু হওয়ায় নদীর স্রোতে ও বন্যার পানিতে সাঁতরে ও ভেসে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে।

রাসেলস ভাইপার স্বভাবগতভাবেই কিছুটা তেজী। এটি মেটে রঙের হওয়ায় মাটির সঙ্গে সহজে মিশে যেতে পারে। মানুষ খেয়াল না করে সাপের খুব কাছে চলে যায়, ফলে সাপটি বিপদ অনুভব করে ভয়ে আক্রমণ করে বসে। এই সাপটির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূলত মানুষই দায়ী। যেসব প্রাণী রাসেলস ভাইপার খেয়ে এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে, প্রকৃতিতে এদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। কিছু সাপ যেমন, শঙ্খচূড়, খইয়া গোখরা, কালাচ বা কেউটে, শঙ্খিনী রাসেলস ভাইপারসহ অন্যান্য সাপ খেয়ে থাকে। বেজি, গুইসাপ, বাগডাশ, গন্ধগোকুল, বন বিড়াল, মেছো বিড়াল এরাও রাসেলস ভাইপার খেয়ে থাকে।

এছাড়া তিলা নাগ ঈগল, সারস, মদন টাক এই সাপ খেতে পারে। বন্যপ্রাণী দেখলেই তা নিধন করার প্রবণতা, কারণে-অকারণে বন্যপ্রাণী হত্যা, এদের আবাসস্থল ধ্বংস করাসহ বিভিন্ন কারণে দেশের সর্বত্রই এসব শিকারি প্রাণী আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। ফলে রাসেলস ভাইপারও অত্যধিকহারে প্রকৃতিতে বেড়ে গেছে।

তবে রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে জানায় বন বিভাগ। আর এজন্য রাসেলস ভাইপারের আক্রমণ ও ভয়ানক বিষ থেকে বাঁচতে ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।

নির্দেশনাগুলো হলো:

যথাসম্ভব সাপ এড়িয়ে চলুন, সাপ দেখলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা করবেন না। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্য নিন বা নিকটতম বন বিভাগ অফিসে খবর দিন।

যেসব এলাকায় রাসেলস ভাইপার দেখা গিয়েছে, সেসব এলাকায় চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।

রাতে চলাচলের সময় অবশ্যই টর্চ লাইট ব্যবহার করুন।

সাপে কাটলে ওঝার কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। রোগীকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। দংশিত স্থানের উপরে হালকা করে বেঁধে দিন।

রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যান।

আতঙ্কিত হবেন না, রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টি ভেনম নিকটস্থ হাসপাতালেই পাওয়া যায়।


আরও খবর



দাম কমলো এলপি গ্যাসের, ১২ কেজি ১৩৬৩ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

জুন মাসের জন্য তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ৩৯৩ টাকা থেকে ৩০ টাকা কমিয়ে এক হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার (৩ জুন) বিকেল ৩টায় এলপিজির নতুন দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এলপিজির নতুন এ দর আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

ঘোষণায় জানানো হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৩ টাকা ৫৫ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে। এ ছাড়া রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১০৯ টাকা ৭২ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে। পাশাপাশি ভোক্তাপর্যায়ে অটোগ্যাসের দাম মূসকসহ প্রতি লিটারের মূল্য ৬২ টাকা ৫৩ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে।

এর আগে, গত মে মাসে ভোক্তাপর্যায়ে কমানো হয় এলপিজির দাম। সেবার ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪৯ টাকা কমিয়ে এক হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। একই সঙ্গে অটোগ্যাসের দামও কমায় বিইআরসি। ফেব্রুয়ারি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার নির্ধারণ করা হয় ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা।

২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।


আরও খবর