আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থায় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে ঘোষিত প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৩৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

কর্মসূচি অনুযায়ী আজ (সোমবার) সকাল থেকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রেখেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সারা দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এতে একাত্মতা ঘোষণা করে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। সরকারের কাছে আমরা তিনটি দাবি জানিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।

শিক্ষকরা বলছেন, বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের মহাসচিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে আজ থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেছি। সারা দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এতে একাত্মতা ঘোষণা করে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। সরকারের কাছে আমরা তিনটি দাবি জানিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।

প্রসঙ্গত, গত ২০ মে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তার ধারাবাহিকতায় ২৬ মে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এরপর ২৮ মে দুই ঘণ্টা  এবং ২৫-২৭ জুন তিনদিন সারা দেশে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। পরবর্তীতে গতকাল ৩০ জুন পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করা হয় এবং আজ থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু হয়।

শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে স্থবিরতা নেমে এসেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা-কার্যক্রমে। শিক্ষকরা আহ্বান না করায় শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে না ক্লাসে, হচ্ছে না কোনো পরীক্ষা। একাডেমিক ব্যস্ততার জায়গাগুলোতে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে একাডেমিক ভবনগুলো খুললেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে দেখা যায়নি। অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষ ও পরীক্ষা কক্ষগুলো তালাবদ্ধ রয়েছে। কর্মচারীরা এলেও তারা অলস সময় পার করছেন।

শিক্ষক সমিতির গতকালের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক পূর্ণদিবস কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হবে।‌

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পিজিডি প্রোগ্রামের সকল কার্যক্রম ও ক্লাস বন্ধ থাকবে, সকল প্রকার পরীক্ষা বর্জন করা হবে, ডিন অফিস, চেয়ারম্যান অফিস, সেমিনার বন্ধ থাকবে, প্রশ্নপত্র মডারেশন, নিয়োগ ও সিলেকশন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে না, ইন্সটিটিউটের সকল কার্যক্রম- অফিস, ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ থাকবে, বিভিন্ন গবেষণামূলক কার্যক্রম, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপ বন্ধ থাকবে।‌ এছাড়াও গ্রন্থাগার অফিস ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পাঠক সেবা বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশন ঘোষিত কর্মসূচির সাথে সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ সর্বাত্মক পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচির রূপরেখা প্রণয়ন করে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের সম্মান ও আত্মমর্যাদা রক্ষিত হবে বলে দাবি করেছেন তারা।


আরও খবর



তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে যে আশ্বাস দিলেন মোদি

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

নতুন সরকার গঠনের পর এই প্রথম বিদেশি অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে ৭টি নতুন এবং পুরানো ৩টি নবায়নসহ ১০টি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এ সময় কথা হয় তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়েও।

মোদি আশ্বস্ত করে জানান, তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা করতে দ্রুতই ভারতের একটি কারিগরি দল বাংলাদেশ সফর করবে।

এর আগে স্থানীয় সময় বেলা ১২টার কিছু আগে হায়দরাবাদ হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানান ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ফটোসেশনের পর হায়দরাবাদ হাউজের নিলগিরি বৈঠক কক্ষে একান্ত বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা। আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে নিজেদের মধ্যে একান্তে কথা বলেন দুই সরকারপ্রধান।

এরপর হায়দরাবাদ হাউজের গার্নার হলে দুই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বসে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক। যেখান থেকে দুই দেশের মধ্যে ১০টি সমঝোতা স্মারক সই হয়। যেগুলোর মধ্যে ৭টি নতুন আর পুরানো তিনটি সমঝোতা স্মারক নতুন করে নবায়নের সিদ্ধান্ত হয়।

এরপর কৈলাস হলে দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথ সংবাদ বিবৃতি দেন। ২০২২ সালের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং শেখ হাসিনার একাধিকবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা হলেও দুই দেশেই নতুন সরকার গঠনের পর আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এটিই প্রথম।


আরও খবর



ভারত ম্যাচের আগে 'ঘুম-কাণ্ড' নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন তাসকিন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

তাসকিন আহমেদের ঘুম-কাণ্ড নিয়ে সরব সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যম। এবার নিজের ফেসবুক পেজে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিলেন খোদ তাসকিন নিজেই।

বুধবার (৩ জুলাই) দেওয়া তাসকিনের সেই পোস্ট পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে দেওয়া হলো-


আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি সম্প্রতি অনলাইনে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছি যে সম্প্রতি শেষ হওয়া টি-২০ বিশ্বকাপের একটি ঘটনা নিয়ে অনেক হৈচৈ করা হচ্ছে।

প্রথমত, আমি সবাইকে জানাতে চাই যে বেশিরভাগ সংবাদ এবং তথ্য যা ছড়ানো হচ্ছে তা কেবল গুজব এবং আমি আশা করি ভক্তরা এটি সেইভাবে দেখবেন।

দ্বিতীয়ত, আমি ঘটনাটি সেদিন আসলে কী ঘটেছিল তা পরিষ্কার করতে চাই। আমি স্বীকার করি যে আমি স্বাভাবিকের চেয়ে পরে উঠেছি এবং এর জন্য আমি ইতিমধ্যে পুরো দল এবং ম্যানেজমেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।

আমি সকাল ৮:৩৭ এ উঠেছিলাম এবং ৮:৪৩ এ লবিতে গিয়েছিলাম এবং আমার রাইড প্রস্তুত হওয়ার সাথে সাথে আমি সকাল ৯:০০ এ হোটেল ছেড়েছি। আমি সকাল ৯:৪০ এ স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছি, ম্যাচ টসের ২০ মিনিট আগে সকাল ১০:০০ এ। আমরা সকাল ১০:১৫ এ জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছিলাম এবং ম্যাচটি সকাল ১০:৩০ এ শুরু হয়েছিল।

এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে এই তথাকথিত ক্রীড়া সাংবাদিকরা গুজবের ভিত্তিতে খবর প্রচার/মুদ্রণ করছে এবং যাচাই না করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে যা জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়াড় হিসাবে।

যারা আমাকে চেনেন তারা জানেন আমি আমাদের দেশকে কতটা ভালোবাসি এবং বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কতটা নিবেদিত, উৎসাহী এবং গর্বিত। আমি জানি আমি সময়মতো টিমের বাসে না ওঠার একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল করেছি, কিন্তু আমি টসের আগেই স্টেডিয়ামে ছিলাম। আমার চূড়ান্ত দলে নির্বাচিত না হওয়াটা টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত ছিলো। যা সঠিক টিম কম্বিনেশন পাওয়ার সাথে সম্পর্কিত এবং এটি আমার টিম বাসে না ওঠার ব্যর্থতার সাথে সম্পর্কিত ছিল না।

তাই, আমি আশা করি মিডিয়া এবং ক্রীড়া সাংবাদিকরা মিথ্যা গল্প লেখার আগে আরও সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং একটি বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করবেন না।

এটি কেবল আমাদের খেলোয়াড়দের ক্ষতি করে না বরং আমাদের দেশের সামগ্রিক চিত্রকে ক্ষুণ্ন করে। আমি বিশ্বাস করি আমরা সবাই সৎ এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আশা করি যাতে জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারি।

ভবিষ্যতে, আমি আইনিভাবে এই ধরনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো যাতে কেউ আমার ক্রীড়াবিদ বা মানুষ হিসাবে আমার সুনাম বা অখণ্ডতা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা না করে। আমার সকল ভক্তদের ধন্যবাদ তাদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য।


আরও খবর



শুক্রবার হাতিরঝিলে বন্ধ থাকবে যান চলাচল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জয়বাংলা বলে আগে বাড়ো প্রতিপাদ্যে শুক্রবার (৭ জুন) ভোর ৫টায় ঢাকার হাতিরঝিলে ‌জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪ শিরোনামে হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ম্যারাথন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে জনসাধারণের সুবিধার জন্য বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপির ট্র্যাফিক-তেজগাঁও বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ট্র্যাফিক-তেজগাঁও বিভাগ থেকে এ বিশেষ ট্র্যাফিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ডিএমপির ট্র্যাফিক তেজগাঁওয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ম্যারাথন উপলক্ষ্যে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনার মধ্যে শুক্রবার ভোর রাত ৩টা থেকে হাতিরঝিলে নিরাপত্তার স্বার্থে গাড়ি প্রবেশ আটকানো হবে। হাতিরঝিল কেন্দ্রিক মোট ৯টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রোড ব্লকার দিয়ে ডাইভারশন দেওয়া হবে। এছাড়া ৩২টি পয়েন্টে ফোর্স মোতায়েন করে অলিগলি থেকে গাড়ি বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

জয়বাংলা ম্যারাথনে উপলক্ষ্যে সর্ব সাধারণের জন্য নির্দেশনা

মহানগর প্রজেক্ট, মালিবাগ, রামপুরা কিংবা বাড্ডা থেকে গুলশান, বনানী, উত্তরা যাওয়ার জন্য গুলশান বাড্ডা লিংক রোড ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হলো।

রামপুরা, মালিবাগ কিংবা মহানগর প্রজেক্ট থেকে ফার্মগেট, রমনা কিংবা শাহবাগ আসার ক্ষেত্রে রামপুরা রোড হযে ওয়ারলেস গেট লেফট টার্ন করে মগবাজার মোড় ব্যবহার করে গন্তব্যে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলো।

রমনা, শাহবাগ থেকে গুলশান, বনানী যাওয়ার জন্য মগবাজার ফ্লাইওভার হয়ে মহাখালী দিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। এছাড়াও এসব এলাকা থেকে রামপুরা, মালিবাগ বা হাতিরঝিলে বসবাসরত বিভিন্ন প্রজেক্টে যাওয়ার জন্য মগবাজার মোড়, ওয়ারলেস গেট হয়ে রামপুরা রোড ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হলো।

গুলশান, বনানী, উত্তরা থেকে রামপুরা, বাড্ডা, আফতাবনগর কিংবা মালিবাগ যাওয়ার ক্ষেত্রে হাতিরঝিল ব্যবহার না করে গুলশান বাড্ডা লিংক রোড ব্যবহার করে বাড্ডা রামপুরা রোড ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হলো।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও অংশগ্রহণকারীদের গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান 

মিরপুর, ক্যান্টনমেন্ট বা উত্তরা থেকে আসার রাস্তা এবং পার্কিং: কাকলী ক্রসিং লেফট টার্ন-গুলশান ২- গুলশান ১; ড্রপিং পয়েন্ট বিএসএসএফ কনভেনশন হল; পার্কিং- বিএসএসএফ কনভেনশন হল থেকে গুলশান-১ পর্যন্ত রাস্তার দুই সাইডে এক লেন পার্কিং।

রমনা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর থেকে আসার রাস্তা এবং পার্কিং: মগবাজার ফ্লাইওভার-লাভরোড-তিব্বত-মহাখালী ইউটার্ন-ফনিক্স লেফট টার্ন-তেজগাঁও লিংক রোড-আড়ং; ড্রপিং পয়েন্ট জিএমজি মোড়: পার্কিং- জিএমজি মোড় থেকে হাতিরঝিল সংযোগ সড়ক (প্রয়োজনে জিএমজি মোড় থেকে শান্ত টাওয়ার পর্যন্ত এক লেন)-রাজউকের নগর ব্যবস্থাপনা ভবনের ডিজিটাল পার্কিংয়ে।

মালিবাগ, রামপুরা, গুলশান বাড্ডা লিংক রোড থেকে আসার রাস্তা এবং পার্কিং: মালিবাগ-রামপুরা-গুলশান বাড্ডা লিংক রোড-গুলশান ১ লেফট টার্ন-পুলিশ প্লাজা; ড্রপিং পয়েন্ট বিএসএসএফ কনভেনশন হল, পার্কিং- বিএসএসএফ কনভেনশন হল থেকে গুলশান-১ পর্যন্ত রাস্তার দুই সাইডে এক লেন পার্কিং।

মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য পার্কিং ব্যবস্থা: নিকেতন ৩ নম্বর গেট এবং তার বিপরীত পাশের রাস্তা ও পুলিশ প্লাজার পেছনের রাস্তা থেকে বাড্ডা লিংক রোড রাস্তা।


আরও খবর



২৭ জেলায় ছড়িয়েছে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া। সবচেয়ে বিষধর সাপগুলোর অন্যতম। বহু বছর দেখা না গেলেও ২০১২ সালের পর বরেন্দ্র এলাকায় চোখে পড়ে রাসেলস ভাইপার। গত বছর ছড়িয়ে পড়ে অনেক এলাকায়।

দেশের ২৭ জেলায় ছড়িয়েছে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার। বেশি ছড়াচ্ছে পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলাগুলোতে। এই তথ্য সরকারের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের। গবেষকেরা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়ার কারণেই ছড়াচ্ছে রাসেলস ভাইপার। এই সাপের কামড়ে দেড় বছরে শুধু রাজশাহী মেডিকেলেই মারা গেছেন অন্তত ১৮ জন।

রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠিএসব জেলায় ছড়িয়ে রাসেলস ভাইপার।

রাসেলস ভাইপার সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে। দেড় বছরে এ সাপের কামড়ে শুধু রাজশাহী মেডিকেলেই ভর্তি হয়েছেন ৬৮ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের।

গবেষকেরা বলছেন, মূলত পদ্মা অববাহিকায় চাঁদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ এমনকি ঢাকাতেও দেখা মিলছে রাসেলস ভাইপারের। এটিই একমাত্র বিষধর সাপ, যে বাচ্চা দেয়। প্রতিবারে জন্ম নেয় ৪০ থেকে ৫০টি বাচ্চা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিরিক্ত আদ্রতা ও অতিরিক্ত গরম অনুভূত হচ্ছে। আর নদীর পানির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। লবণাক্ত এলাকা বাড়ছে। এমন পরিবেশ রাসেলস ভাইপারের জন্য উপযুক্ত। শুধু এদের বেঁচে থাকার জন্য নয়, তাদের বংশবৃদ্ধির জন্যও।

ভেনোম রিসার্চ সেন্টারের প্রধান গবেষক অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, ভারতবর্ষের যে অংশটা আমাদের রাজশাহী এলাকার সঙ্গে লাগোয়া, ওই অঞ্চল হয়ে পানির সঙ্গে স্রোতের মাধ্যমে গঙ্গা পদ্মা হয়ে সেটা এখানে চলে এসেছে। দেখা গেছে যে এই নদীর মাধ্যমেই ছড়িয়ে গেছে। এগুলো পদ্মার নিচের দিকের এলাকায় যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে উপরের এলাকাতেও।

এরই মধ্যে ৫০টি রাসেলস ভাইপার সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলছে এন্টি ভেনম তৈরির গবেষণা। বর্তমানে এই সাপে কাটলে দেওয়া হয় ভারতে তৈরি এন্টি ভেনম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, নিজস্ব সাপের বিরুদ্ধে যখন নিজস্ব অ্যান্টি ভেনম তৈরি হবে, তখন আমরা বলতে পারব আমরা এই সাপে কাটা রোগীদের সঠিক সেবা দিতে পারছি। এর আগ পর্যন্ত আমাদের ভারতের অ্যান্টিভেনমের ওপর ভরসা করে থাকতে হবে।

কিছুটা অলস প্রকৃতির রাসেলস ভাইপারের প্রধান খাবার ইঁদুর, ব্যাঙ, পোকামাকড়। তাই ফসলি জমিতে দেখা যায় একে। ফলে, আতঙ্কে অনেক এলাকার কৃষক।


আরও খবর



মেক্সিকোর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ মেক্সিকোর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড. ক্লদিয়া শিনবাউম পারদোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে দেশটির সঙ্গে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। মঙ্গলবার (৪ জুন) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ড. ক্লদিয়া শিনবাউম পারদোকে লেখা এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে, ইউনাইটেড মেক্সিকান স্টেটের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় আমি আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

তিনি বলেন, আপনার বিজয় শুধু আপনার ব্যতিক্রমী নেতৃত্বের গুণাবলীই প্রদর্শন করে না, বরং লিঙ্গ সমতা ও প্রতিনিধিত্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকেরও প্রতিনিধিত্ব করে। এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে বাংলাদেশ তার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে গর্ব করে।

তিনি আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বের স্থায়ী বন্ধন আরও জোরদার করতে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। দুই দেশের সহযোগিতা বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর যৌথ স্বার্থকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং উভয় দেশের জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে বলেও আশা প্রকাশ করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশে মেক্সিকান কূটনৈতিক মিশন প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা করছি, একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বিষয় যা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর করবে।

ড. ক্লদিয়া শিনবাউম পারদোর নতুন দায়িত্বের সর্বাত্মক সাফল্য কামনা এবং দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর