মাঠপর্যায়ে
সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের। সেজন্য সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো উদ্যোগ
গ্রহণের আগে তাদের পরামর্শ গ্রহণ করা হলে সেটি আরো কার্যকর হবে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম
মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।
বুধবার সকালে
‘রোড
ক্র্যাশের কারণ হিসেবে গতি’ শীর্ষক
একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ব্লুমবার্গ
ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে,
গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ (জিআরএসপি) ৪ ও ৫ জুন দুই ব্যাচে ৭০ জন পুলিশ কর্মকর্তা
ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ৪ জন প্রকৌশলীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে।
প্রশিক্ষণের
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএমপি কমিশনার (অ্যাডিশনাল
আইজিপি) কৃষ্ণ পদ রায়।
তিনি চট্টগ্রাম
নগরীর সড়কগুলোকে নিরাপদ করতে সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন,
পুলিশের একার পক্ষে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। নিরাপদ সড়ক অবকাঠামোর নির্মাণের
দায়িত্ব চসিক ও সিডিএ’র এবং
যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিআরটিএর মতো অংশীদার সংস্থা রয়েছে। পুলিশ শুধু
আইন প্রয়োগ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে। সেজন্য নগরীতে যথাযথ সড়ক নিরাপত্তা
নিশ্চিত করতে সবগুলো সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
কর্মশালায় বিশেষ
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ
এবং উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) নাসির উদ্দিন, জিআরএসপি’র সিনিয়র রোড পুলিশিং উপদেষ্টা রাসেল নাইম্যান ও পল সিমকক্স প্রশিক্ষণ
সেশন পরিচালনা করেন।
এ প্রশিক্ষণে
তারা রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের ভূমিকা, ক্র্যাশের ক্ষেত্রে যানবাহনের উচ্চ
গতির ভূমিকা, গতি নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব, গতি নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি ও কৌশল এবং রাস্তার
পাশের চেকপয়েন্টগুলোর নিরাপদ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির উপর আলোচনা করেন। এসময় অংশগ্রহণকারীদের
হাতেকলমে স্পিড ক্যামেরার ব্যবহারও শেখানো হয়।
প্রসঙ্গত, দেশে
রোড ক্র্যাশে মৃত্যু ও হতাহত কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ
(বিআরটিএ) দেশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের যানবাহনভেদে সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করে
দিয়েছে। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি হবে ৪০ কিমি/ঘণ্টা, যদিও মোটরসাইকেলের
ক্ষেত্রে তা ৩০ কিমি/ঘণ্টা।
কর্মশালায় অতিরিক্ত
উপ-পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনার, পুলিশ পরিদর্শক, ট্রাফিক সার্জেন্ট ও উপ-পরিদর্শক
পদবির কর্মমর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালা শেষে মান্যবর সিএমপি কমিশনার অংশগ্রহণকারীদের
হাতে সনদপত্র তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের
মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের ইনিশিয়েটিভ কোঅর্ডিনেটর লাবিব তাজওয়ান
উৎসব, এনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর কাজী হেলাল উদ্দিন, ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেটর সুতপা
তাসনিম ও কমিউনিকেশন অফিসার মাহামুদুল হাসান।
এর আগে এবছরের
মার্চে জিআরএসপি সিএমপির ৭৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে রোড ক্র্যাশ তদন্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান
করেছিল।