আজঃ শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপি নেতা ফালু অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ফালু গুরুতর অসুস্থ। তবে তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো। গত ৯ জুন তিনি অসুস্থ বোধ করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন।

মোসাদ্দেক আলী ফালুর বড় ভাই ও বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার নূরউদ্দিন আহমেদ নূরুর বলেন, বর্তমানে তার ছোট ভাই আগের চেয়ে ভালো। কদিন আগে হঠাৎ করেই ফালু অসুস্থ হন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার মাথা ঘোরায়, বমি হয়। কখনো কখনো অজ্ঞান হয়ে যায়। তবে ফালুর শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো। ফালুর সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন নূরউদ্দিন আহমেদ নূরু।

প্রসঙ্গত, মোসাদ্দেক আলী ফালু ১৯৬০ সালের ৭ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন বাংলাদেশি উদ্যোক্তা এবং একজন রাজনীতিবিদ। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নতুন ও অত্যন্ত সম্ভাব্য শিল্প খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী স্থানীয় সরকার ও বেসরকারি খাতের উন্নয়নের জন্য বিশেষ সম্পর্ক ও অংশীদারত্ব গড়ে তোলার জন্য তিনি অবদান রেখেছেন। সেইসঙ্গে স্থানীয় শিল্পে নতুন পণ্য ও সেবা চালু করার সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়িয়েছিলেন।

ফালু ২০০৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম অটোমেশন ভিত্তিক বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন স্টেশন ইন্টারন্যাশনাল টেলিভিশন চ্যানেল লিমিটেড (এনটিভি) চালু করেন। তিনি আরও একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল আরটিভি এবং বাংলা দৈনিক পত্রিকা দৈনিক আমার দেশ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের (এসটিসিও) সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

মূলত মোসাদ্দেক আলী ফালু ১৯৭৯ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন এবং ১৯৮০ এর দশকে এরশাদ বিরোধী-স্বৈরাচার আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। মোসাদ্দেক আলী ফালু বিএনপির ৫ম জাতীয় সম্মেলনে জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন। পরে ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে নতুন কমিটিতে তাকে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের ৬ আগস্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কমিটি ঘোষণা করেন। তবে কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিএনপির নতুন কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন মোসাদ্দেক আলী ফালু। তিনি বেশিরভাগ সময়ই বিদেশে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে তিনি অনুপস্থিত রয়েছেন।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে ঢাকা প্রায় ফাঁকা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হবে ১৭ জুন। এরই মধ্যে গ্রামে আপনজনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। এবার ঈদের ছুটি শুরুর আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকে আগেই গ্রামে চলে গেছেন। যারা অফিসের কাজ বা কোনো কারণে যেতে পারেননি, তাদের অধিকাংশই ঢাকা ছাড়ছেন আজ।

এদিকে, যাত্রী কমে যাওয়ায় ঢাকার বিভিন্ন রুটে চলাচল করা বাসগুলোও দূরের পথের যাত্রী নিয়ে রাজধানীর বাইরের বিভিন্ন রুটে ছুটছে। এতে ঢাকার ভেতরে গণপরিবহন চলাচল একেবারে কমে গেছে। ফলে যানজটের নগরী ঢাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, মহাখালী, বিজয়সরণি আগারগাঁও, সায়েন্সল্যাব, শ্যামলী, মতিঝিল, কাকরাইলসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

দুপুর থেকেই এসব এলাকায় মূল সড়কগুলো ফাঁকা ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি কিছুটা বাড়লেও তেমন যানজট হয়নি। শুধুমাত্র সিগন্যালগুলোতে এক সড়ক থেকে অন্য সড়কে গাড়ি যাওয়ার জন্য অল্প সময়ের জন্য আটকে থাকতে হয়। তবে বাণিজ্যিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক এলাকাগুলোতে মানুষের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় কিছুটা ধীরে গাড়ি চলছে।

শনিবার দুপুরে এয়ারপোর্ট থেকে রামপুরা রুটে বিভিন্ন জায়গায় গণপরিবহন সংকটে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। মাঝে মধ্যে দুই-একটা বাসের দেখা মিললেও তাতে ছির উপচেপড়া ভিড়।

নতুনবাজার থেকে সাভার রুটে চলাচল করা বৈশাখী পরিবহনের চালক ইমারুল ইসলাম বলেন, শহরের মধ্যে যাত্রীর তেমন চাপ নেই। কাছাকাছি স্টপেজে মানুষ ওঠানামা করছে। অধিকাংশই ১০-২০ টাকা ভাড়ার যাত্রী। আর রাস্তাও ফাঁকা। গাড়ি এখন ঢাকার মধ্যে কম। সবাই এখন আরিচা ঘাট পর্যন্ত যাত্রী টানছে। কেউ কেউ পদ্মার ওপার পর্যন্তও যাত্রী আনা-নেওয়া করছে।

সায়েন্সল্যাবে যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় থাকা সাভার পরিবহনের চালক আজিজুল বলেন, সদরঘাট যাওয়ার সময় গুলিস্তান এবং বাবুবাজার এলাকায় কিছুটা যানজট পেয়েছি। এছাড়া বাকি রাস্তা ফাঁকাই ছিল। আসার সময়ও গুলিস্তানে কিছুটা যানজট ছিল। এছাড়া পুরো রাস্তা এখন ফাঁকা।

এদিকে, রাস্তা ফাঁকা থাকায় স্বস্তিতে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। নতুনবাজার থেকে গুলশানে প্রবেশমুখে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট আসাদুজ্জামান রবিন বলেন, আজকে গাড়ির চাপ নেই। সকাল থেকেই প্রাইভেটকার বা ব্যক্তিগত গাড়ির পরিমাণ অনেক কম। সড়ক অনেকটা ফাঁকা। তারপরও মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা করছি আমরা।

নিউজ ট্যাগ: ঈদুল আজহা

আরও খবর



ভোটে এগিয়ে কঙ্গনা, জয়ের জন্য প্রার্থনা করেছেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট গণনা পুরোদমে চলছে। এই বছর নির্বাচনে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন। অভিনেত্রী হিসেবে বলিউডকে যেমন মাতিয়েছেন, তেমনই কি রাজনীতিতেও নেত্রী হিসেবেও পাকাপাকি জায়গা তৈরি করতে পারবেন কঙ্গনা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। প্রথম ৩০ মিনিট পোস্টাল ব্যালট গণনা থেকেই হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসন থেকে এগিয়ে ছিল কঙ্গনা।

জানা যায়, এখনও পর্যন্ত প্রথম স্থান ধরে রেখেছেন এ অভিনেত্রী। অন্যদিকে কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিং অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন।

বিজেপির টিকিটে প্রথমবার ভোটে লড়ে সংসদ হওয়ার পথে তিনি। নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত গণনা অনুসারে, মান্ডি থেকে কঙ্গনা ৩০২৫৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।

এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, নির্বাচনে জিতলে তিনি অভিনয় ছেড়ে দেবেন। সমস্ত সময়টাই রাজনীতির জন্য ব্যয় করবেন। কংগ্রেস শাসিত হিমাচলেরই মেয়ে কঙ্গনা রানাউত।

নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় কারার জন্য বার বার বিরোধীদের কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয় তাকে। প্রচারে বেফাঁস মন্তব্যের জেরে কঙ্গনাকে এখনও রাজনীতিতে নবিশ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

গত ২০১৪ ও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মান্ডিতে পদ্ম ছাপ ফেলেছিল। বিজেপির রাম স্বরূপ শর্মা দু বছরই মান্ডি আসন থেকে নির্বাচনে জিতে সংসদে গিয়েছিলেন। তবে তার মৃত্যুর পর ২০২১ সালে উপ-নির্বাচন হলে ক্ষমতাচ্যুত হয় গেরুয়া শিবির। বিক্রমাদিত্য-র মা প্রতিভা সিং উপ-নির্বাচনে জিতেছিলেন।

২০০৬ সালে গ্যাংস্টার সিনেমার মাধ্যমে কঙ্গনা ডেবিউ করেন বলিউডে। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।


আরও খবর



মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাদ দেবে জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো নিয়ে ডয়চে ভেলের রিপোর্ট প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে জাতিসংঘ।

বুধবার (২২ মে) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ বলেছে তাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগপ্রাপ্তরা যেন সততা এবং দক্ষতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয় তা নিশ্চিতে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডোজাররিক বলেছেন, শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিতদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে মিশন থেকে বাদ দেয়া হবে।

ব্রিফিংয়ে ডয়েচে ভেলের রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে একজন সাংবাদিক জানতে চান- ডয়চে ভেলের সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী রিপোর্টে বলা হয়েছে, নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তাদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত অসংখ্য কর্মকর্তাকে শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে পুরস্কার স্বরূপ এদের অনেককে পাঠায় সরকার। জাতিসংঘ মহাসচিব কী এ বিষয়ে অবগত?

জবাবে ডোজাররিক বলেন- হ্যাঁ। ডয়চে ভেলের ডকুমেন্টারি আমরা দেখেছি। আপনি হয়তো জানেন যে, শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সহকর্মীরা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা রিপোর্ট নিয়ে (খবর প্রকাশকারী মিডিয়াকে) জাতিসংঘের তরফে বিবৃতি দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন- আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই যে, শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগের ক্ষেত্রে যেনো দক্ষতা এবং সততার সর্বোচ্চ মানদণ্ড নিশ্চিত করা হয় সে বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ প্রতিশ্রুতির মধ্যে আরও রয়েছে, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং প্রতিশ্রুতি, জাতিসংঘের মানবাধিকার যাচাই পদ্ধতির অধীনে শান্তিরক্ষী নিয়োগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথাযথ নিয়ম এবং কৌশল মেনে চলা।

এরপর একই বিষয়ে ওই সাংবাদিক জানতে চান- শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মকর্তা নিয়োগের সময় স্বাগতিক দেশগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছে। কিন্তু যে দেশ শান্তিরক্ষা মিশনে লোক পাঠাবে সে দেশের সরকার যদি নিজেই চরম পর্যায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হয় তাহলে এ বাছাই প্রক্রিয়া কীভাবে স্বচ্ছ হবে?

জবাবে মুখপাত্র ডোজাররিক বলেন- আমরা বাছাই প্রক্রিয়া তিন ধাপে সম্পন্ন করি। প্রথম পর্যায়ে বাছাই হয় ব্যক্তিগত মানদণ্ডে, পরের ধাপে বাছাই কাজটা করে স্বাগতিক দেশ এবং অন্য বাছাই প্রক্রিয়াটা হয় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস থেকে। তিনি বলেন- আপনাকে বলবো, বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি, খুব অল্প সংখ্যক দেশ থেকে শান্তিরক্ষীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। যখনি এ ধরনের ঘটনা ঘটে তখনি আমাদের শান্তিরক্ষা মিশনের সহকর্মীরা যাচাই-বাছাই নীতি, কর্ম কৌশল অনুসারে শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকেন। এধরনের ঘটনার (মানবাধিকার লঙ্ঘন) কারণে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়া জড়িত কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল হতে পারে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের মিশন থেকে সরিয়ে দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২১ মে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা যখন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ডয়চে ভেলে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা নির্যাতন ও হত্যার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠিয়েছে।


আরও খবর



তীব্র গরমে সৌদি আরবে ১৯ হজযাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালনের সময় জর্ডান ও ইরানের কমপক্ষে ১৯ হজযাত্রী মারা গেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে তীব্র তাপদাহের মাঝে ওই হজযাত্রীরা মারা গেছেন বলে রোববার উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হজের রীতি পালনের সময় জর্ডানের কমপক্ষে ১৪ জন হজযাত্রী মারা গেছেন এবং আরও ১৭ জন নিখোঁজ হয়েছেন। তীব্র তাপদাহের কারণে সান স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ওই ১৪ জন নিহত হয়েছেন বলে মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।

আর ইরানের রেড ক্রিসেন্টের প্রধান পীরহোসেন কুলিবান্দ পৃথকভাবে বলেছেন, ‌‌‘‘এ বছর হজের সময় মক্কা ও মদিনায় এখন পর্যন্ত ইরানি পাঁচ হজযাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন।’’ তবে তারা কীভাবে মারা গেছেন সেই বিষয়ে কোনও তথ্য জানাননি তিনি।

বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাগমগুলোর একটি পবিত্র হজ। ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের একটি এই হজ। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ও সামর্থ্যবান মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ করা ফরজ।

মরু আবহাওয়ার দেশ সৌদি আরবে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে। হজ পালনের সংকল্প করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সৌদিতে আসা প্রায় ১৮ লাখ মুসলিম তীব্র গরম উপেক্ষা করেই হজ পালন করছেন।

পবিত্র হজের অনেক আচার-অনুষ্ঠান বাইরে এবং পায়ে হেঁটে সম্পাদন করতে হয়। আর এসব আচার-অনুষ্ঠান বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।

সৌদি আরবের সরকার হজ পালনের সময় হজযাত্রীদের হতাহতের বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে জলবায়ু-নিয়ন্ত্রিত এলাকাসহ তাপ প্রশমনের বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে দেশটি। এছাড়া হজযাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে পানি বিতরণ ও সূর্যের তাপ থেকে নিজেদের সুরক্ষার পরামর্শ দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার সৌদিতে হজ পালনের সময় নিজ নাগরিকদের হতাহতের বিষয়ে পরিসংখ্যন প্রকাশ করে। সেই হিসেবে গত বছর হজের সময় সৌদিতে কমপক্ষে ২৪০ জন হজযাত্রী প্রাণ হারান। যাদের অনেকেই ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। তবে এই হজযাত্রীদের মৃত্যুর কারণ নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।

সৌদি আরবের সরকারি এক কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, গত বছর হজের সময় ১০ হাজারের বেশি তাপজনিত অসুস্থতার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১০ শতাংশই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

সৌদির এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দেশটিতে প্রত্যেক দশকে আঞ্চলিক তাপমাত্রা গড়ে শূন্য দশমিক ৪ সেন্টিগ্রেড হারে বাড়ছে এবং প্রশমন ব্যবস্থা নেওয়ার পর তাপদাহ পরিস্থিতি আরও খারাপ আকার ধারণ করছে।


আরও খবর



অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ফাঁস, বিপাকে জনপ্রিয় অভিনেত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতের কন্নড় টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যোতি রাই। টিভি ধারাবাহিক গুপেদন্ত মনসুতে জগাথি ম্যাডামের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকমহলে বেশ আলোচিত ও প্রশংসিত তিনি। আর সম্প্রতি এই অভিনেত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা এখন ভাইরাল। এ ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন দক্ষিণী এই অভিনেত্রী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনের খবর, অজ্ঞাত এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী জ্যোতির ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিওগুলো ছড়িয়ে দিয়েছেন। যা এখন নেটিজেন ও তারকাদের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানা গেছে, অজ্ঞাত এক ব্যক্তি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে এক টুইটবার্তায় অভিনেত্রী জ্যোতিকে তার ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ফাঁসের হুমকি দেন। শর্ত ছিল, ওই ব্যক্তির ইউটিউব চ্যানেলে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার করে দিতে হবে। বিষয়টি নেটিজেনদের নজরে আসলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয় অভিনেত্রীকে।

তবে এরই মধ্যে ওই অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত কিছু ছবি ও ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপের মতো ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছেন অভিনেত্রী জ্যোতি। গোপনীয়তা লঙ্ঘন ও মানহানির ভয়ে বেঙ্গালুরু সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। জ্যোতি রাই বলেন, আমি বার্তাগুলো পেয়ে আতঙ্ক হয়েছি এবং আইনশৃঙ্লা বাহিনীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছি, অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক এবং যাতে আমার ও আমার পরিবারের সুনাম যথাযথ থাকে।

এদিকে তার ভক্ত ও নেটিজেনরা বলছেন, অভিনেত্রী জ্যেতি ডিপফেকের শিকার হয়েছেন। একইসঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন তারা।

প্রসঙ্গত, পর্দায় বোল্ড লুকে ধরা দেয়ার জন্য ফ্যাশন আইকন হিসেবেও পরিচিত অভিনেত্রী জ্যেতি। বন্দে বারতাভা কালাসহ ২০টিরও বেশি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়া সীতারাম কল্যাণ, গন্ধদা গুড়ি, ৯৯দিয়া বর্ণপাতালার মতো কন্নড় সিনেমায়ও দেখা গেছে এ অভিনেত্রীকে।

নিউজ ট্যাগ: জ্যোতি রাই

আরও খবর