আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

বলাৎকারের শিকার ছাত্রের মৃত্যু: মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৮ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর বাউফলে বলাৎকারের শিকার ১৩ বছর বয়সী এক মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় মাদরাসার প্রধান শিক্ষক সেলিম গাজীকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যটালিয়ন (র‌্যাব-৮)। রোববার (২৭ আগস্ট) দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে পিরোজপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (২৮ আগস্ট) বরিশাল নগরীর রূপাতলী র‌্যাব-৮ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান। গ্রেপ্তার সেলিম গাজী পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বড় ডালিমা এলাকার আবুল কালাম গাজীর ছেলে।

এলিট ফোর্স জানায়, উপজেলার বড় ডালিমা মদিনাতুল উলুম কওমিয়া হাফিজিয়া ও নুরানি কিন্ডারগার্টেন মাদরাসা এবং এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সেলিম গাজী।

উল্লেখ্য পটুয়াখালীর বাউফলের নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠি ইউনিয়নের বড় ডালিমা মদিনাতুল উলুম কাওমিয়া হাফেজিয়া ও নুরানী কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসা এবং এতিমখানা'র পরিচালক হাফেজ মো. সেলিম গাজী'র (৪০) লালসার (বলাৎকার) শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল রাফি ইসলাম (১২) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু শিক্ষার্থী আল রাফি মৃত্যু বরণ করেন।

নিহত শিশুর পারিবারিক সূত্র জানায়, শিশু আল রাফি হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলো। মাদ্রাসা পরিচালক হাফেজ সেলিম গাজী দীর্ঘদিন ধরে তাকে বিভিন্ন কৌশলে বলাৎকার করে। দুই সপ্তাহ আগে শিশু রাফি শারিরীক ভাবে অসুস্থ হয়ে যায়। তখন শিশু নিজেই তার পরিবারকে মাদ্রাসা পরিচালকের অপকর্মের বিষয়টি জানায়। পরে শিশুকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার মহাখালীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক শিশুর শারিরীক পরীক্ষা শেষে জানতে পারে তার মলদারে ক্যানসার হয়েছে এবং রক্তে ছড়িয়ে গেছে। এরপরে শিশুকে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ১২ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে আজ শিশু রাফি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে বাউফল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। পরে রোববার দিনগত রাত ২টার দিকে অভিযান চালিয়ে পিরোজপুরের নেছারাবাদ থানার গুয়ারেখা ইউনিয়নের বরতকাঠি এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাবের একটি দল। র‌্যাব অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, গ্রেপ্তার সেলিম গাজীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ শেষে বাউফল থানায় হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



আগামী ৭ জুন শেষ কর্মদিবস

গেটস ফাউন্ডেশনে আর থাকছেন না মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গেটস ফাউন্ডেশনের থেকে বিদায় নিচ্ছেন মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। দাতব্য সংস্থাটির কোচেয়ারের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তিনি। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিশ্বের একসময়ের শীর্ষ ধনী বিল গেটসের সাবেক স্ত্রী মেলিন্ডা সোমবার তার এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন সোমবার এক্সে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, এটা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নয়, যেটা আমি হালকাভাবে নিয়েছি।

ফ্রেঞ্চ গেটস বলেছেন, আগামী ৭ জুন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে শেষ কর্মদিবস কাটাবেন মেলিন্ডা। তারপর থেকে ঐ সংস্থার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা থাকবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

মেলিন্ডা বলেছেন, তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চুক্তি অনুসারে, তিনি অতিরিক্ত ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার পাবেন। এই অর্থ তিনি নারী এবং চাহিদা সম্পন্ন পরিবারের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে ব্যবহার করবেন।

তবে এ ব্যাপারে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

এদিকে বিল গেটস এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে বলেছেন, মেলিন্ডার চলে যাওয়া দেখে আমি দুঃখিত। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে সে তার ভবিষ্যতের জনহিতকর কাজে বিশাল প্রভাব ফেলবে।

মেলিন্ডা গেটস ২০০০ সালে তার তৎকালীন স্বামী বিশ্বের অতি ধনী বিল গেটসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। বিয়ের ২৭ বছর পর ২০২১ সালে বিল-মেলিন্ডা জুটি তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়। তবে তারা যৌথ জনল্যাণমূলক কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। এ ফাউন্ডেশন থেকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় হিটস্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র দাবদাহ পুড়ছে সারাদেশ। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় হিটস্ট্রোকে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলেও দাবি করছে দপ্তরটি।

এদিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামে মাঠে কাজ করার সময় হিট স্ট্রোকে জাকির হোসেন (৩৩) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃত জাকির হোসেন দামুড়হুদার কুড়ালগাছি ইউনিয়নের ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। তিনি ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী ছিলেন।

তাছাড়া আজ শনিবার পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা পাবনা জেলায় চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এদিন তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোক করে মারা গেছেন একজন। শনিবার দুপুরে পাবনা শহরের রুপকথা রোডে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় হিট স্ট্রোক করেন তিনি। এসময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত সুকুমার দাস (৬০) পাবনার শহরের শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।


আরও খবর



ঘরের চাল সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাজিরায় ঘরের চালা সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রানা মৃধা (১৭) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ১২টার সময় জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের মোল্লা কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রানা মৃধা ওই এলাকার দেলোয়ার মৃধার ছেলে।

স্থানী সূত্রে জানা যায়, পালেরচর ইউনিয়নের মোল্লা কান্দির বাসিন্দা দেলোয়ার মৃধার বসতঘর নতুন করে মেরামত করার জন্য চালা সরাতে যান তার ছেলে রানা মৃধা ও স্থানীয় আবুল ভূইয়া, জামাল মল্লিকসহ কয়েকজন। হঠাৎ অসাবধানতাবসত টিনের চালা নেওয়ার সময় ঘরের মিটারের সাথে সংস্পর্শে আসে। এতে রানা মৃধা বিদ্যুতপৃষ্ট হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

প্রত্যক্ষদর্শী আবুল ভূঁইয়া জানান, আমরা কয়েকজন মিলে দেলোয়ার মৃধার ঘরের চাল সরাচ্ছিলাম। টিনের চালা সরানোর এক পর্যায়ে হঠাৎ দেখি রানা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পরে আছে পরে দেখলাম যে টিনের চালার সাথে বিদ্যুতের তাঁর লাগানো ছিলো। এরপর আমরা তাকে জাজিরা হাসপাতালে নিয়ে আসি।

জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘরের টিনের চালার সাথেই বিদ্যুৎ মিটারের তাঁর সংযোগ ছিল। অসাবধানতাবসত বিদুৎস্পৃষ্টে তার মৃত্যু হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



উজানের ঢলে প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

তীব্র তাপদাহ শেষে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমলশীদ পয়েন্টের পানিও বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

এদিকে, উজানের ঢলে ও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে হাওরের বোরো ধান।

একই অবস্থা কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলেও। বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ফসল। এতে কৃষকদের মধ্যে ফসল হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শিলাবৃষ্টি কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে অনেকে আধাপাকা ধান কেটে আনছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১২ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার।

সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। তবে রাত ৯টায় তা কমে ১০ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জাগো নিউজকে বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সকালে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল। এখন তা কমে গেছে। তবে বরাক দিয়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, বরাক দিয়ে পানি নামার কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রাত ৯টায় বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এভাবে অব্যাহত থাকলে সকালে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নয়াবাড়ি, ফুলবাড়ি, কেন্দ্রী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১ নম্বর লক্ষীপুর, ২ নম্বর লক্ষীপুর, আমবাড়ি, ঝিঙ্গাবাড়ি, কাঠালবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার কৃষক। একই অবস্থা জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জেও।

জকিগঞ্জের কাজলশার এলাকার কৃষক জুবেল আহমদ বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন বন্যা হলে ফসলের অবশিষ্ট যা ছিল তাও হারাতে হবে।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



বৃষ্টি কবে থেকে, জানাল আবহাওয়া অফিস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহে দিশাহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠছে শ্রমজীবী মানুষরা। গরমের কারণে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগ। এরইমধ্যে আবহাওয়া অফিস জারি করেছে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট। এই দুর্বিষহ সময়ে জনজীবনের একমাত্র প্রতীক্ষা বৃষ্টির। এবার সেই অন্তিম সুখবরের পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। তারা বলছে, হিট অ্যালার্ট শেষে সামনের সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯টায় দেওয়া বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়া বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বৃষ্টি। আগামী মে মাসে বৃষ্টিপাত বাড়লে দাবদাহ অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।

এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ থাকতে পারে।

খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী দুদিন সিলেট অঞ্চল ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই। একই সঙ্গে এ সময়ে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর