আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে নাশকতা পায়নি ডিএসসিসি

প্রকাশিত:সোমবার ১০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গবাজারে আগুন লাগার পর ব্যবসায়ীদের অনেকে নাশকতার সন্দেহ প্রকাশ করলেও তেমন কিছু তদন্তে পায়নি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তদন্ত কমিটি।

গত ৪ এপ্রিলের ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ড তদন্তে আট সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ। কমিটি কাজ ইতোমধ্যে গুছিয়ে এনেছে।

তদন্ত কমিটির সদস্যদের বরাত দিয়ে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের সোমবার বলেন, ওই আগুনটা নাশকতা বা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হয়নি। অন্য কোনোভাবে আগুনটির সূত্রপাত হয়েছে বলে তদন্তে এসেছে।

আরও পড়ুন : দোকান মালিকদের বাধায় ভাঙা যায়নি ঝুঁকিপূর্ণ বঙ্গবাজার: তাপস

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েল বা সিগারেটের টুকরোর মতো কোনো উৎস থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে, যা মার্কেটের মাঝামাঝি জায়গায় লেগেছিল।

প্রসঙ্গত মঙ্গলবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ৫০টি ইউনিট সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পাশাপাশি সেনা ও বিমানবাহিনীর সাহায্যকারী দল, নৌবাহিনীর সম্মিলিত দল ও একটি হেলিকপ্টার আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়। ততক্ষণে বঙ্গবাজারসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি মার্কেটের চার হাজারের বেশি ব্যবসায়ীর মালামাল পুড়ে যায়।


আরও খবর



প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় শেখ হাসিনা অনন্য অসাধারণ: শ ম রেজাউল করিম

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা। আইলা, বুলবুল যত দুর্যোগ আসছে সব দুর্যোগ মোকাবেলা করে তিনি রোল মডেলে পরিণত করেছেন। তাই আমরা সংক্ষেপে বলি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় শেখ হাসিনা অনন্য অসাধারণ।

সংসদ সদস্য আজ শনিবার সদর উপজেলা অডিটরিয়ামে অসচ্ছলদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার  বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, মনে রাখবেন এদেশের স্বাধীনতা দিয়েছে নৌকা, এদেশের মানুষের অধিকার দিয়েছে নৌকা, ভুমিহীন বিপর্যস্ত মানুষদের জমিসহ ঘর দিয়েছেন নৌকা, দুস্থদের খাদ্য উপহার দিয়েছে নৌকা, করোনার সময় যে সাহায্য দিয়েছে নৌকা। অর্থাৎ নৌকা, আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু, শেখ হসিনা অবিচ্ছেদ্য। এই স্রোতের বাইরে কেউ যাবেন না।

এমপি আরও বলেন, অতীতেও তো খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান, এরশাদ সরকারে ছিলেন। তারা তো এভাবে সহয়তা প্রদান করেননি। আর আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগে একটা মানুষকে না খেয়ে মারা যেতে দেয়নি। করোনার সময় একটা মানুষের কাছ থেকে টিকা দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হয় নাই। বাড়ি বাড়ি ত্রাণ পৌছে দেওয়া হয়েছে। এ সবই সম্ভব হয়েছে একজনের কারণে। তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা থাকলে নির্ভয়ে আপনারা দিন যাপন করতে পারেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো, আরিফ মোর্শেদ মিশুর সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম বায়েজীদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আক্তরুজ্জামান ফুলু প্রমূখ।

এদিন পিরোজপুর সদর উপজেলার ১ হাজার দরিদ্র মানুষকে ঈদ উপহার হিসেবে ৫ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়।


আরও খবর



সময় নিয়েও দুদকে হাজির হননি বেনজীর

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হননি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে দ্বিতীয়বারের মতো আজ রোববার (২৩ জুন) সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল।

বেলা ১১টা ২০ মিনিটি পর্যন্ত তিনি সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে যাননি। দুদকের তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হওয়ার ব্যাপারে তার অনুরোধে তাকে অতিরিক্ত ১৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল।

এর আগে গত ২৮ মে বেনজীর আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জুন তলব করে দুদক। একই সঙ্গে বেনজীরের স্ত্রী ও সন্তানদের ৯ জুন তলব করা হয়। দুদকের তলবে হাজির হওয়ার আগের দিন অর্থ্যাৎ ৫ জুন, আইনজীবীর মাধ্যমে দুদকের অনুসন্ধান দলের কাছে বেনজীর ১৫ দিনের সময় চান।

এরপর ৬ জুন বিকেলে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন জানান, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে দুদক তলব করলেও শুনানিতে অনুপস্থিত থাকায় আগামী ২৩ জুন নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে দুদক।

এদিকে গত ২০ জুন সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, ২৩ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) বেনজীর আহমেদকে হাজির হতে হবে। এ সময়ে তিনি হাজির না হলে তাকে আর সময় দেওয়া হবে না।

গত ৩১ মার্চ গণমাধ্যমে বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি। অথচ গত ৩৪ বছর ৭ মাসের দীর্ঘ চাকরি জীবনে বেনজীর আহমেদের বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় ১ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ এপ্রিল পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।

এরপর গত ২৩ ও ২৬ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির শেয়ার জব্দের নির্দেশ দেন।

এছাড়া তাদের বিও হিসাব (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করতে সোমবার (২৭ মে) সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে ঢাকা প্রায় ফাঁকা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হবে ১৭ জুন। এরই মধ্যে গ্রামে আপনজনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। এবার ঈদের ছুটি শুরুর আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকে আগেই গ্রামে চলে গেছেন। যারা অফিসের কাজ বা কোনো কারণে যেতে পারেননি, তাদের অধিকাংশই ঢাকা ছাড়ছেন আজ।

এদিকে, যাত্রী কমে যাওয়ায় ঢাকার বিভিন্ন রুটে চলাচল করা বাসগুলোও দূরের পথের যাত্রী নিয়ে রাজধানীর বাইরের বিভিন্ন রুটে ছুটছে। এতে ঢাকার ভেতরে গণপরিবহন চলাচল একেবারে কমে গেছে। ফলে যানজটের নগরী ঢাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, মহাখালী, বিজয়সরণি আগারগাঁও, সায়েন্সল্যাব, শ্যামলী, মতিঝিল, কাকরাইলসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

দুপুর থেকেই এসব এলাকায় মূল সড়কগুলো ফাঁকা ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি কিছুটা বাড়লেও তেমন যানজট হয়নি। শুধুমাত্র সিগন্যালগুলোতে এক সড়ক থেকে অন্য সড়কে গাড়ি যাওয়ার জন্য অল্প সময়ের জন্য আটকে থাকতে হয়। তবে বাণিজ্যিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক এলাকাগুলোতে মানুষের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় কিছুটা ধীরে গাড়ি চলছে।

শনিবার দুপুরে এয়ারপোর্ট থেকে রামপুরা রুটে বিভিন্ন জায়গায় গণপরিবহন সংকটে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। মাঝে মধ্যে দুই-একটা বাসের দেখা মিললেও তাতে ছির উপচেপড়া ভিড়।

নতুনবাজার থেকে সাভার রুটে চলাচল করা বৈশাখী পরিবহনের চালক ইমারুল ইসলাম বলেন, শহরের মধ্যে যাত্রীর তেমন চাপ নেই। কাছাকাছি স্টপেজে মানুষ ওঠানামা করছে। অধিকাংশই ১০-২০ টাকা ভাড়ার যাত্রী। আর রাস্তাও ফাঁকা। গাড়ি এখন ঢাকার মধ্যে কম। সবাই এখন আরিচা ঘাট পর্যন্ত যাত্রী টানছে। কেউ কেউ পদ্মার ওপার পর্যন্তও যাত্রী আনা-নেওয়া করছে।

সায়েন্সল্যাবে যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় থাকা সাভার পরিবহনের চালক আজিজুল বলেন, সদরঘাট যাওয়ার সময় গুলিস্তান এবং বাবুবাজার এলাকায় কিছুটা যানজট পেয়েছি। এছাড়া বাকি রাস্তা ফাঁকাই ছিল। আসার সময়ও গুলিস্তানে কিছুটা যানজট ছিল। এছাড়া পুরো রাস্তা এখন ফাঁকা।

এদিকে, রাস্তা ফাঁকা থাকায় স্বস্তিতে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। নতুনবাজার থেকে গুলশানে প্রবেশমুখে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট আসাদুজ্জামান রবিন বলেন, আজকে গাড়ির চাপ নেই। সকাল থেকেই প্রাইভেটকার বা ব্যক্তিগত গাড়ির পরিমাণ অনেক কম। সড়ক অনেকটা ফাঁকা। তারপরও মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা করছি আমরা।

নিউজ ট্যাগ: ঈদুল আজহা

আরও খবর



দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে খাবার টেবিলে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়ে দিল্লিতে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ব্যস্ত সূচির এক ফাঁকে মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন তিনি। মা-মেয়ের খাবার খাওয়ার এক মুহূর্ত শেয়ার করেছেন মেয়ে সায়মা।

নিজের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে মায়ের সঙ্গে ছবি দিয়ে ক্যাপশনে বলেন, মার সঙ্গে খাওয়ার মুহূর্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে..

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক অন্যতম নীতিনির্ধারক সংস্থা ডব্লিউএইচও এর আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। গতকাল রবিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-এ নিজের পেইজে মায়ের সঙ্গে খাবার খাওয়ার ছবি পোস্ট করেন পুতুল। এরপর থেকেই ছবিটি তাদের অনুসারীরা শেয়ার করতে থাকেন বিভিন্ন মাধ্যমে।

শনিবার (৮ জুন) সকাল সোয়া ১০টায় শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ঢাকা ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। শপথ অনুষ্ঠান শেষে আগামী সোমবার (১০ জুন) দুপুরে দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।


আরও খবর



জয়পুরহাটে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিস্থায়ী করণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনেও জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালন করছে।

সোমবার (১লা জুলাই) থেকে শুরু হওয়া আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) ও জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচিতে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, সহকারী জেনারেল ম্যানেজার, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার, হিসাবরক্ষক, লাইনম্যান, মিটার রিডারসহ কর্মকর্তা কর্মচারীরা অংশ নেয়। কর্মসূচী চলাকালে দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ আছে।

কর্মবিরতী চলাকালে বক্তারা বলেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুই রকম নীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী।

দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার, শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন অব্যাহত রাখা, গুণগত মানহীন মালামাল ক্রয় করে গ্রাহক ভোগান্তি করে আসছে। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় গণস্বাক্ষরও সংগ্রহ, বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই তাদের দাবি দাওয়া বাস্তবায়নে চেষ্টা করে আসছে।

কিন্তু সমিতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) তাদের দাবি না মেনে বরং উল্টো প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত ভোলা পবিসের ২ জন এজিএমকে সাময়িক বরখাস্ত ২ জন এজিএমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে অন্য পিবিএসে বদলী এবং সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর ১ জন ডিজিএম এবং ১ জন এজিএমকে বোর্ডে সংযুক্ত করে।

এতে ৮০টি পবিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ক্ষুব্ধ হয়। তবে আন্দোলনে থাকাকালীন জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি উপকেন্দ্রে একজন করে জনবল কাজ করছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। সেই সাথে সকল ধরনের গ্রাহক সেবা চালু থাকবে।

সংশ্লিষ্টরা জানায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দেশের প্রায় ১২ কোটি মানুষকে সার্বক্ষণিক নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বিআরইবি দ্বারা নিয়মতান্ত্রিত এসব সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রতিনিয়ত নানান বৈষম্যেও শিকার হচ্ছেন।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইন টেকনিশিয়ানরা বলেন, লাইনম্যান গ্রেড-১ ও লাইন টেকনিশিয়ান পদে দীর্ঘ অনেকে ১৫ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত একই পদে কর্মরত থাকার পরও পদোন্নতি হয়না। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে ওই পদ ফাঁকা থাকা সত্বেও পদোন্নতি না পাওয়াতে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। তাদের দাবিগুলো না মেনে নেওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।


আরও খবর