আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ১৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে : মুখ্য সচিব

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় এই শিল্পনগর পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় তিনি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) কর্মকর্তা, প্রশাসন এবং পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও সোনাগাজী উপজেলার ৩৩  হাজার ৮০৫ একর জমিতে গড়ে উঠছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর। ইতোমধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান এখানে উৎপাদন শুরু করেছে। আরও তিন প্রতিষ্ঠান উৎপাদনে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে।

শিল্পনগর পরিদর্শন শেষে মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ইকোনমিক জোনে কয়েকটি কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে আরও কারখানা গড়ে উঠছে। এ জোনে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ কাজ করবে। তাদের নিরাপত্তা, বাসস্থান, শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা, এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের পুলিশি সহায়তাগুলো বৃদ্ধি করতে হবে। থানা তৈরি করতে হবে। তাদের মুভমেন্ট ও অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বপ্নের এই প্রকল্পে ইতোমধ্যে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ বিনিয়োগের সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। এ শিল্পনগরে ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশের ১৫২ শিল্প প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগে এসেছে। এখানে একসময় ১৩৯টি পরিবার ছিল। এ শিল্প নগরী করার সময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাদের ঘর করে দেব। তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হবে।

তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, আমরা উন্নয়নও চাই, পরিবেশও চাই। পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে এখানে সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো করা হবে। এখানে সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান (সিইটিপি) থাকবে। কারো নিজস্ব ইটিপি থাকলে সেটাতে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে হবে। না হলে সিইটিপিতে আসতে হবে।

এ সময় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) চেয়ারম্যান ইউসুফ হারুন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নূরে আলম মিনা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম শফিউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাফসান দ্য ছোট ভাইখ্যাত জনপ্রিয় ইউটিউবার ইফতেখার রাফসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবর।

রাফসান দ্য ছোট ভাই-এর বিরুদ্ধে অনুমোদনহীন এনার্জি ড্রিংকস ব্লু বাজারজাত করার অভিযোগ উঠেছে।

এর আগে ব্লু পানীয়টি অনুমোদনহীন হওয়ায় বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে আবেদন করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন। আবেদনে তিনি বলেন, ব্লু-এর কোনো অনুমোদন নেই। এমনকি ওষুধ প্রশাসনও জানে না এসব ওষুধ না পানীয়।

তার আগে গত ২৪ এপ্রিল ব্লু ড্রিংকসের অননুমোদিত একটি কারখানায় অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভিত্তিতে কুমিল্লা বিসিক এলাকায় অবস্থিত কারখানাটিতে অভিযান চালান জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআইয়ের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় প্রতিষ্ঠানটিকে নিবন্ধন ব্যতীত ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক পণ্য প্রস্তুত, মোড়কজাত ও বাজারজাত করায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ব্লু নামে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক ব্লু বাজারজাত করার ঘোষণা দেন রাফসান দ্য ছোট ভাই। তখন লিচু ও তরমুজের ফ্লেভার নিয়ে দুই ক্যাটাগরিতে দেশের বিভিন্ন পয়েন্টে বাজারজাত শুরু করেন জনিপ্রয় এ ইউটিউবার।


আরও খবর



কাবার চাবি সংরক্ষণের দায়িত্ব পেলেন শায়খ আব্দুল ওয়াহাব আল শাইবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

নতুন করে পবিত্র কাবাঘরের চাবি সংরক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছেন শায়েখ আবদুল ওয়াহাব বিন জাইন আল-আবিদিন আল-শাইবি। গতকাল সোমবার (২৪ জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে পবিত্র কাবাঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়। মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী ভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল হারামাইন শরিফাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) ইন্তেকাল করেন পবিত্র কাবাঘরের চাবি রক্ষক ড. শায়খ সালেহ আল শাইবা। তার ইন্তেকালের পর কাবাঘরের নতুন অভিভাবক মনোনীত করা হয়েছে ৭৮ বছর বয়সী শায়েখ আবদুল ওয়াহাব বিন জাইন আল-আবিদিন আল-শাইবিকে।

তিনি মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিখ্যাত সাহাবি উসমান বিন তালহা রা.-এর ১১০তম উত্তরসূরি।

শায়েখ আবদুল ওয়াহাব বিন জাইন আল-আবিদিন আল-শাইবিকে পবিত্র কাবার চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সৌদি আরবে বিশিষ্ট ব্যক্তি, অভিজাত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রাচীন ঐতিহ্য ও রীতিনীতির অনুসরণে তার হাতে কাবাঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়। এখন থেকে তিনিই পবিত্র এই ঘরের চাবি সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন।

কাবার চাবির দায়িত্ব গ্রহণের সময় শায়েখ আবদুল ওয়াহাব বিন জাইন আল-আবিদিন আল-শাইবি তার উপর রাখা আস্থার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং পবিত্র কাবা ঘরের ঐতিহ্য ও পবিত্রতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার আহ্বান জানান এবং মুসলিম বিশ্বের সেবায় তার পূর্বসূরিদের মতো অবদান রাখার অঙ্গীকার করেন। আল-শাইবা পরিবার বংশ পরম্পরায় পবিত্র কাবা রক্ষার সম্মানিত দায়িত্ব পালন করছে। যা বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের কাছে তাদের সম্মানিত করেছে।

প্রসঙ্গত, জাহেলি যুগ থেকেই কাবাঘরের চাবি শায়বা গোত্রের কাছে থাকত। মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ সা. নিজেই ওই গোত্রের উসমান ইবনে তালহার (রা.) কাছে চাবি হস্তান্তর করে তাকে সম্মানিত করেন।

এসময় তিনি বলে দেন, এখন থেকে এ চাবি তোমার বংশধরের হাতেই থাকবে, একেবারে কেয়ামত পর্যন্ত। তোমাদের হাত থেকে এ চাবি কেউ নিতে চাইলে সে হবে জালিম।

সেই ধারা এখনো চলমান। উসমান ইবনে তালহা রা.-এর বংশধরেরা পর্যায়ক্রমে চাবি বহন করে আসছেন। তাদের কাছ থেকে চাবি নিয়েই বিভিন্ন সময় সৌদি আরবের বাদশাহ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ পবিত্র কাবা ঘরে প্রবেশ করে থাকেন। তারাই কাবার দরজা খুলে দেন।

এ পর্যন্ত অসংখ্যবার কাবার তালা-চাবি পরিবর্তন করা হয়েছে। কাবাঘরের চাবি একটি বিশেষ ব্যাগে রাখা হয়। এই ব্যাগটি পবিত্র কাবাঘরের গিলাফ নির্মাণ কারখানায় বানানো হয়। কাবাঘরের চাবি কখনো হারায়নি। তবে বহু বছর পূর্বে এক ব্যক্তি এই চাবি চুরি করেছিল। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার কাছ থেকে কাবাঘরের চাবি ফেরত নেয়া হয়। আব্বাসী, আইয়ুবী, মামলুক ও ওসমানিয়া যুগে কয়েকবার কাবাঘর মেরামত করা হয়েছে। তখন প্রয়োজনমতো নতুন তালা-চাবিও বানানো হয়েছে।

২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর সর্বশেষ কাবাঘরের চাবি পরিবর্তন করা হয়। এখনো ওই তালা-চাবি ব্যবহার করা হচ্ছে।


আরও খবর



প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সচেষ্ট হওয়ার নির্দেশ মসিক মেয়রের

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) এর নব-নির্বাচিত মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু বলেন, আমরা জনগণকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশাও অনেক। সেসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সচেষ্ট হতে হবে।

রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহীদ শাহবুদ্দিন মিলনায়তনে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের সাথে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভার সভাপতির বক্তব্যে এসব বলেন মেয়র।

তিনি বলেন, বর্তমান আর্থসামাজিক অবস্থায় রাতারাতিই সবকিছু বদলে দেওয়া সম্ভব না, তবে সামর্থের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করা জরুরী এবং খেয়াল রাখতে হবে- সকল সময়ে আমাদের আচরণ যেন হয় জনকল্যাণমুখী।

তিনি তার বক্তব্যে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন উপহার দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে এবং তাকে পুনরায় মেয়র পদে নির্বাচিত করার জন্য নাগরিকবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া বক্তব্যে তিনি যানজট, জলাবদ্ধতা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, নাগরিক সেবা বৃদ্ধি, নাগরিক অভিযোগ প্রতিকার, ফুটপাত দখলমুক্তকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।

তিনি আরও বলেন, ময়মনসিংহ একটি ‍পুরতন এবং ঘনবসতিপূর্ণ শহর। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখেই আমাদের সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হতে হবে। রাস্তার পাশে অবৈধ বাজার, ভ্রাম্যমান বাজার বন্ধ করা, নির্ধারিত জায়গা ছেড়ে বাড়ি করা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া সড়ক প্রশস্তকরনের কাজগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

মেয়র বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে টেকসই করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতি মাসে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করার জন্য প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়াও মেয়র বলেন, মশক নিধন, খালকে দখলমুক্ত ও পরিস্কার রাখতেও নাগরিকবৃন্দের সহযোগিতা প্রয়োজন।

মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু নাগরিক সেবা বৃদ্ধিতে সেবা প্রদানে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রেকরণ কার্যক্রম জোরদার, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির যথাযথা বাস্তবায়ন ইত্যাদি বিষয়ে জোর দেন। কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নাগরিক অভিযোগ প্রতিকারে এবং জনভোগান্তি লাঘবে ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সভা শেষ বর্তমান কাউন্সিলের ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ ফারুক হাসান এবং বিলুপ্ত ময়মনসিংহ পৌরসভার কাউন্সিলর মোঃ লিয়াকত আলী এবং লাল মিয়া লাল্টুর মৃত্যুতে দোয়া করা হয়।

সভায় ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলী, সংরক্ষিত ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলরবৃন্দ, কর্পোরেশনের সচিব মোঃ আরিফুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম মিঞা সহ অন্যান্য বিভাগ ও শাখা প্রধানগণ, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আজিজের ভাইদের এনআইডি তদন্তে ইসির কমিটি

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদের দুই ভাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির অভিযোগের তদন্তে কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ইসির একজন যুগ্ম-সচিবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি তাদের এনআইডি জালিয়াতির অভিযোগটি প্রকাশ্যে আসলে ইসি বিষয়টি তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

জানা যায়, আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ (জোসেফ) নিজেদের নামের পাশাপাশি বাবা-মায়ের নামও পরিবর্তন করেছেন। হারিছ আহমেদ তার নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন মোহাম্মদ হাসান। আর জোসেফ নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন তানভীর আহমেদ তানজীল। তাদের এনআইডির তথ্য পরিবর্তনে আজিজ আহমেদ সুপারিশ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত তিন বছর বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ছিলেন আজিজ আহমেদ। এর আগে চার বছর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) প্রধান ছিলেন তিনি। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২১ মে আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।


আরও খবর



সাধারণ মানুষ আমার প্রাণশক্তি, বিচ্ছিন্ন হতে চাই না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাকে বাঁচাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। যেহেতু আমার জীবন ঝুঁকিতে থাকে, সেজন্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যরা নিয়োজিত থাকে। কিন্তু নিরাপত্তার জন্য যেন জনবিচ্ছিন্ন না হয়ে যাই সেদিকটা সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখতে এসএসএফকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন হতে গুলি-বোমা লাগে না। এমনিতেই শেষ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাই না। কেননা সাধারণ মানুষই আমার প্রাণ শক্তি।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসএসএফের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলো, তারা দেশকে এগিয়ে নিতে পারেনি। বরং ক্যু হয়েছে। বিমান বাহিনীর হাজার হাজার সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিলো। দেশ যে তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছিলো। তবে এতো বড় গুরু দায়িত্ব নিতে হবে সে প্রস্তুতি কখনোই ছিলো না। তখন দেশের দুরাবস্থা সহ্য করার মতো ছিলো না।

যতোক্ষণ নিঃশ্বাস আছে ততোক্ষণ মানুষকে উন্নত জীবন দেয়ার চেষ্টা করে যাবো, এমন অঙ্গিকার করে শেখ হাসিনা বলেন, জীবন ঝুঁকি জেনেই দেশে ফিরেছি। দেশে ফেরার পর থেকে শত বাধা পেয়েও পিছিয়ে যাইনি। দেশের জন্য কাজ করছি।

এদিকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য সরকার ফোর্সেস গোল ২০৩০ নামে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর আকার বৃদ্ধি, আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহ ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ থেকে ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আছি বলেই উন্নয়ন দৃশ্যমান ও টেকসই করতে পেরেছি। সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

অপরদিকে, সম্প্রতি কক্সাবাজারে মায়ানমার সীমান্তে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে কখনও কখনও ছুটে আসছে গুলিও। কক্সবাজার সীমান্তে বাংলাদেশের জনগণ ও স্থাপনা লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি ছোড়ার ঘটনা ইতিমধ্যে জাতিসংঘে তুলে ধরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের যে কোনো সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এটি যেন বাংলাদেশের জনগণ ও সম্পদকে প্রভাবিত না করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কাউকে আক্রমণ করতে যাবো না, তবে আক্রান্ত হলে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে হবে।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চের ঘোষণা অনুসারে, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৮৬ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স অর্ডিন্যান্স নামে একটি অধ্যাদেশ জারি করেন। যা একই বছর ১৯ জুন থেকে কার্যকর হয়।

পূর্বের ঘোষণা অনুসারে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রপতি ও বিদেশ থেকে আগত রাষ্ট্রপ্রধানদের নিরাপত্তার জন্য ১৯৮৬ সালের ১৫ জুন  প্রেসিডেন্ট সিকিউরিটি ফোর্স নামে একটি বিশেষ নিরাপত্তা দল গঠন করেন। পরে বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার পদ্ধতি চালু হওয়ার পর ১৯৯১ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর এর নাম পরিবর্তন করে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) নামকরণ করা হয়।

যদিও প্রাথমিকভাবে শুধু রাষ্ট্রপতি ও রাষ্ট্র কর্তৃক ঘোষিত অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা দিতে এসএসএফ গঠিত হয়েছিল। কিন্তু সংসদীয় সরকার পদ্ধতি চালু হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি ছাড়াও সরকারপ্রধানকেও এসএসএফ নিরাপত্তা দিয়ে আসছে এবং এ সংস্থাটিকে তখন থেকে পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তারের অধিকার দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন গ্যাজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার পর সংস্থাটি বর্তমানে জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদেরও সর্বস্থানে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে।

এসএসএফ রাষ্ট্র কর্তৃক ঘোষিত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিভিআইপি) নিরাপত্তায়ও নিয়োজিত। সংস্থাটি বেসামরিক প্রশাসন, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে দেশ ও দেশের বাইরে উল্লেখিত ব্যক্তিদের শারীরিক নিরাপত্তায় যেকোনো ধরনের হুমকি থেকে রক্ষা ও সেগুলো প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। এছাড়াও তারা অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বাড়ি ও অফিসে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।


আরও খবর