আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

বৃষ্টিতে এইচএসসি পরীক্ষা দেরিতে শুরু হলে সময় বাড়ানোর নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারাদেশে ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির কারণে কেন্দ্রে পৌঁছাতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। এ কারণে বৃষ্টির সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

রোববার (৩০ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়েছে, আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় যে, আগামী কয়েকদিন প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পরীক্ষার দিনগুলোতে বৃষ্টি থাকলে প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কেন্দ্রের মূল ফটক খুলে দিয়ে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, অনিবার্য কারণে কোনো কেন্দ্রের পরীক্ষা শুরু করতে আধাঘণ্টা কিংবা এক ঘণ্টা দেরি হলে জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় সেই আধাঘণ্টা বা এক ঘণ্টা সময় সমন্বয় করে পরীক্ষা শেষ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।

এদিকে এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অধিকাংশ পরীক্ষার্থী বৃষ্টি ও যানজটের কারণে দেরিতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছেছেন। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ভেজা শরীরে তিন ঘণ্টার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এতে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন অভিভাবকরা।


আরও খবর



‘ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করবেন বলে জানিয়েছেন তার দুই উপদেষ্টা। এছাড়া ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা করলে আরও সামরিক সহায়তা পাবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্পের ওই দুই উপদেষ্টা।

তবে ট্রাম্পের একমাত্র জাতীয় নিরাত্তা উপদেষ্টা ও অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিথ কেলগ বলেন, নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

ট্রাম্প ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তার প্রধান নিরাপত্তা কাউন্সিলের দায়িত্ব পালন করা কেলগ এবং ফ্রেড ফ্লিটজ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধের নকশা তৈরি করেন। ট্রাম্প তাদের এমন পরিকল্পনাকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছেন ফ্লিটজ।

তিনি বলেন, ট্রাম্প আমাদের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছে কিংবা একে সমর্থন দিয়েছেন সেটি আমি বলছি নাম, কিন্তু তিনি আমাদের প্রস্তাবে যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাতে আমি খুশি।

এ বিষয়ে ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের কোনো বিবৃতি কিংবা তার অধীনস্ত কেউ বললে সেটাই গ্রহণযোগ্য।

নিউজ ট্যাগ: ডোনাল্ড ট্রাম্প

আরও খবর



মূল্যস্ফীতির কারণে ঈদ ব্যাহত হয়েছে, এ তথ্য ঠিক নয়: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঈদুল আজহায় এক কোটি ৪০ লাখের বেশি কোরবানি হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বেশি। মূল্যস্ফীতির কারণে ঈদ ব্যাহত হয়েছে, বিএনপির এ তথ্য ঠিক নয়।

আজ মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সমালোচনা করে বিএনপিসহ তাদের সমর্থকরা দেশটাকে শ্রীলঙ্কা বানিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছে। মূল্যস্ফীতি আছে তবে এটা কমাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঈদের দিনেও সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির অপপ্রচার বন্ধ থাকেনি অভিযোগ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদের (বিএনপি) বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।

মিয়ানমার ইস্যুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে চ্যালেঞ্জ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সার্বভৌমত্বে কোথায় আঘাত হানা হচ্ছে? অনুপ্রবেশকারীরা চলে গেছে জাহাজও সরে গেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা দিয়েছে শেখ হাসিনা এবং দুদকেও স্বাধীন করেছেন তিনি, যতই প্রভাবশালী হোক, দুর্নীতি করলে কারও ছাড় নেই। বিএনপি শাসনামলে এমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।


আরও খবর



ইনস্টিটিউট থেকে নিজের নাম বাদ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাদারীপুরের শিবচরে প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি থেকে নিজের নাম বাদ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে প্রতিষ্ঠানটির নাম বদলে হচ্ছে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি

সোমবার (১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি আইন ২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশ দেন।

পরে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে উপস্থাপিত শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি (শিফট) আইন-২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনের জন্য আজকের সভায় উপস্থাপিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই বললেন- এটি তার নামে হবে না। এটি থেকে শেখ হাসিনা নাম বাদ দিয়ে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি আইন-২০২৪ এই নামে অনুমোদিত হয়েছে।

এই ইনস্টিটিউটটি মূলত আইসিটিসংক্রান্ত প্রযুক্তি, গবেষণা, প্রযুক্তি উৎপাদন, গবেষণায় প্রশিক্ষণ প্রদান এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এটি হবে মাদারীপুরের শিবচরে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটির একটি গভর্নিং বর্ডি থাকবে এবং একজন প্রধান পৃষ্ঠপোষক থাকবেন। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওনার নামটা বাদ দিয়েছেন, তিনি তার নামটি গ্রহণ করেননি। তিনি এর আগেও একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওনার নামে নিষেধ করেছেন। যেহেতু এই জাতীয় একটি প্রথম প্রতিষ্ঠান হবে এবং এটির মূল উদ্দেশ্য এটি যেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করতে পারে। মন্ত্রিসভা থেকে অনুরোধ করা হয়েছে (প্রধানমন্ত্রীর নামে) কিন্তু উনি সম্মত হননি। উনি উনার নামে প্রতিষ্ঠান না করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিষয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না। দুর্নীতি তো সবাই করে না। যারা দুর্নীতি করছে, সরকারের নজরে এলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মাহবুব হোসেন বলেন, দুর্নীতি করে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরে সরকার কাউকে ছেড়ে দিয়েছে এমন নজির নেই।


আরও খবর



আমলাদের একটি অংশ দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে উঠেছেন : মোমেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুর্নীতিকে সরকারের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার প্রধান প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করেন সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের গতিপ্রকৃতি গত ১৬ বছর ধরে যেভাবে ধরে রেখেছেন তা বিশ্বের বিস্ময়। বর্তমানে তার এ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার প্রধান প্রতিবন্ধক হচ্ছে দুর্নীতি। এই দুর্নীতির কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এই দুর্নীতির কারণে প্রকল্পগুলো যথা সময়ে শেষ হয় না। ফলে খরচ বাড়ে, জনগণের হয়রানি বাড়ে। আমলাদের একটি অংশ দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে উঠেছেন এবং তাতে জনগণের হয়রানি বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ কে মোমেন বলেন, এই অল্প সংখ্যক দুর্নীতিপরায়ণ আমলাদের জন্য সারা আমলাতন্ত্র বদনামের ভাগীদার হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। এই বাজেটে দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচার বন্ধের নির্দেশনা ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ জনগণের আস্থা অর্জনে সহায়ক হবে। সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বার্ষিক হিসাব বাধ্যতামূলক করা এখন সময়ের দাবি। কিছু সংখ্যক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে দেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এসব ব্যাপারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করলে দুর্নীতি কমবে।

সাবেক এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে, মাঠে ময়দানে সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। সাধারণ নাগরিক এখন অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে। তাই তারা সবাই জাতির আস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে আছেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, সাধারণ নাগরিকের মধ্যে বড় প্রশ্ন রয়েছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে। অধিকতর কর্মসংস্থান, রাজস্ব বৃদ্ধি ও রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ও প্রশাসনের হয়রানি নিয়ে জনগণের নানা প্রশ্ন রয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে যথেষ্ট কর্মসংস্থান না থাকায় প্রতিবছর হাজার হাজার কর্মক্ষম লোক বৈধ ও অবৈধ পথে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। কর্মসংস্থান বা উদ্যোক্তা সৃষ্টি সাধারণত প্রাইভেট সেক্টর করে থাকে। সেজন্য তাদের যথেষ্ট ব্যাংক ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকা উচিত। এবারের বাজেটে ঘাটতি মেটানোর জন্য ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নিচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা ঋণ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

মোমেন বলেন, ইতোমধ্যে অনেক ব্যাংকের বেহাল অবস্থা। বাজেটে এর প্রতিকারের কথা থাকলে জনমনে আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হতো। বরং কালো টাকাকে শতকরা ১৫ % কর দিয়ে সাদা করার ঘোষণায় যারা সৎ করদাতা তারা হতাশ হয়েছেন। কালো টাকা সাদা করার সুযোগের পরিমার্জন প্রয়োজন বোধ করি।

তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা অর্জনে, সাদাকে সাদা, কালকে কালো না বললে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি অবিচার করা হয়। অর্থমন্ত্রী বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে যা যা করা প্রয়োজন তা করবেন বলে বিশ্বাস করি।


আরও খবর



ত্রিশালে কালের সাক্ষী ৫'শত বছরের পুরনো শিমুল গাছ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সাখুয়া ইউনিয়নের বালির বাজার এলাকার অতি নিকটে চিনু মোড়লের বাড়ির পাশেই একটি বিশাল আকৃতির পুরনো শিমুল গাছ যা কালের সাক্ষী হয়ে ৫শত বছর ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে এখনও। এলাকার মানুষের দাবি গাছটির বয়স অন্তত পাঁচশত বছর হবে। এই পুরনো শিমুল গাছটি নিয়ে জড়িয়ে আছে নানা গল্প কাহিনী।

সৌন্দর্যমন্ডিত প্রাচীণ এই গাছটিকে নিয়ে রয়েছে নানা গল্পকাহিনী। গাছের গোড়ায় দাঁড়ালে নিজেকে উচ্চতার দিক থেকে অতিক্ষুদ্র মনে হয়। আবার কখনও বা মনে হয় পাহাড়ের পাদদেশে দাঁড়িয়ে থাকার অনুভব। এর বিশালতায় দর্শনার্থীদের ভরে যায় মন। আলোচিত এই গাছটি দেখতে দূর থেকেও ছুটে আসেন অনেকে।

পুরাতন এ শিমুল গাছজুড়ে যখন টকটকে লাল শিমুল ফুল ফোটে তখন এক অপরুপ দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এই গাছটির নিচে অনেকেই মনের বাসনা পূরণের জন্য মানত হিসাবে গরু খাসি, মোরগ, জবাই করে রান্নাবান্না করে। গাছ দেখার জন্য আগত ভক্তদের উদ্দেশ্য একটাই যেন তাদের মনের বাসনা পূর্ণ হয়।

স্থানীয়রা অনেকেই জানান, প্রায় সময় এখানে বিভিন্ন এলাকার লোকজন গাছটি একনজর দেখার জন্য এসে ভিড় করে থাকেন। তারা মানত করেন, স্থানীয়দের মাঝে মোরগ-পোলাও মিষ্টি বিতরণ করেন। তারা মনে করে এ গাছে অলৌকিক কোন কিছু আছে। তাই মনের বাসনা পুরণ করার জন্য দূর থেকে ছুটে আসেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মোকছেদ আলী জানান, এই পুরাতন শিমুল গাছটি কাটার জন্য অনেকেই চেষ্টা করেছে কিন্তু কোন অবস্থাতেই কাটা যায় না। যে গাছটি কাটতে যায় সে অসুস্থ হয়ে যায়। শুনেছি অনেক আগে এ গাছ কাটতে এসে নাক, মুখ দিয়ে রক্ত এসেও মারা গিয়েছে একজন। এটি আমাদের এলাকার পুরাতন একটি গাছ। এটি আমাদের ঐতিহ্য।এভাবেই রুপকথার গল্পের মতো কথাগুলো বললেন মোকছেদ আলী। তার কথাগুলো হাস্যকর মনে হলেও এখানকার মানুষজন তাই বিশ্বাস করেন।

জমির মালিক ইউসুফ আলী জানান, এই বিশাল আকৃতির শিমুল গাছটির বয়স কমপক্ষে হলেও পাঁচশত বছর হবে। পূর্বপুরুষের মুখে শুনে এসেছি এই প্রবীণ শিমুল গাছের কথা। এছাড়াও এই গাছটি নিয়ে অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে। তাই মানুষ এ গাছে মানত পূরণ করতে আসে। প্রতিবছর ফাল্গুন মাস এলে গাছে শিমুল ফুলের সমারোহ সৌন্দর্য বৃদ্ধ করে এই প্রবীণ গাছটি। ওই সময় এই গাছটি ফুলে লালে লাল হয়ে যায়। গাছের ফুলে ফুলে মৌমাছি, পাখিদের আনাগোনা বেড়ে যায়। এই শিমুল বৃক্ষটি ত্রিশালের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে এমনটাই মনে করেন আগতরা।


আরও খবর