আজঃ মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ০১ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন সুলতান হত্যা মামলায় চার আসামির মধ্যে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞা এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কামাল হোসেন ও মো. রাসেল। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সুরমা আক্তার ও নীলু আক্তার রিয়া। এর মধ্যে কামাল হোসেন ও নীলু আক্তার রিয়া স্বামী-স্ত্রী। রায় ঘোষণার সময় আদালতে নীলু আক্তার রিয়া ছাড়া অপর তিন আসামি উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ব্যাংক কলোনির উত্তর গেট থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ব্যবসায়ী জালাল উদ্দীন সুলতানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ডবলমুরিং থানায় নিহতের ছেলে ইমাজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

তদন্তে জানা যায়, কামাল হোসেন ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন সুলতানের বাসার দারোয়ান ছিলেন। তাই ব্যবসায়ীর টাকা-পয়সা সম্পর্কে কামাল হোসেনের ধারণা ছিল। ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন কামাল হোসেন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ওই ব্যবসায়ীকে হত্যা করে লাশ ফেলে দেওয়া হয়।

পুলিশ এ মামলায় তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৮ মে চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করা হয়। আদালতে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করার পর রোববার রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি মোহাম্মদ নোমান চৌধুরী বলেন, জালাল উদ্দীন সুলতান হত্যা মামলায় মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। এ কারণে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে। দণ্ডিত চার আসামির মধ্যে তিনজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



এমপি আনারের বন্ধু কে এই গোলাম রসুল?

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

গোলাম রসুল। কালীগঞ্জ মোবারকগঞ্জ চিনিকলের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। ২০১২ সালে র‌্যাবের হাতে আটক হয়েছিলেন। এসিড নিক্ষেপসহ একাধিক মামলার আসামী গোলাম রসুল ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। নিয়োগ বানিজ্য আর হানিট্র্যাপের ব্যবসা করে হাতিয়ে নিয়েছন কোটি কোটি টাকা। এমপি আনারের অন্ধকার জগতে টেনে নিয়ে যাওয়ার পেছনে এই গোলাম রসুলের হাত রয়েছে। ৩য় শ্রেণির কর্মচারী হয়েও তার ভয়ে তটস্থ থাকেন মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সাধারণ ক্লার্ক হয়েও নিজে কাঁচের ঘর তৈরী করে নিয়েছেন। আছে একাধিত রক্ষিতা। এমপি আনারের নাম ভাঙিয়ে ১১টি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কখনো র‌্যাবের সোর্স আবার কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থাকেন।

এখন তিনি বিপুল সম্পদের মালিক। বলছি এমপি আনারের বন্ধু পরিচয়দানকারী গোলাম রসুলের কথা। গোলাম রসুল উপজেলার ফয়লা গ্রামের আফসার আলীর ছেলে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোলাম রসুল একসময় জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ২০১২ সালের ১৭ জুন এসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা হয় গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে। এরপর একই সালের ৬ নভেম্বর আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধে  দ্রূত বিচারে তার বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের হয়। কিন্তু এসব মামলায় কিছুই হয়নি তার। ২০১২ সালের ১০ নভেম্বর র‌্যাব বাবা ওরফে গোলাম রসুলকে আটক করে র‌্যাব। সে সময় তার আটকের ছবিও প্রকাশ করে র‌্যাব। ২০১৪ সালে আনোয়ারুল আজীম আনার এমপি হওয়ার পর দৃশ্যপট পরিবর্তন হতে থাকে। প্রতিটি মামলা থেকে খালাস পেতে থাকেন। ২০১৪ সালে তার বন্ধু আনোয়ারুল আজীম আনার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন গোলাম রসুল।

মোবারকগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতিসহ একাধিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার সভাপতি আছেন। বন্ধু এমপির দাপটে কোনবারেই নির্বাচন করা লাগেনি তার। কেউ সভাপতি পদে ভোট করতে চাইলে তাকে ভয় দেখিয়ে মাঠ ছাড়া করেন। মোবারকগঞ্জ চিনিকল সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদকও তিনি। দীর্ঘ ১৫ বছর তিনি এই পদে বহাল। দুই বছর পর পর কমিটি করার কথা থাকলেও তিনি এমপির ভয় দেখিয়ে নিজের ইচ্ছামতো পদ বাগিয়ে নিয়ে বসে আছেন। এই সমবায় সমিতিতে রয়েছে দুটি তেলপাম্প ও দুটি পুকুর। ভয়ে কেউ এসবের হিসাব নিতে পারে না। নিজের ইচ্ছায় পরিচালনা হয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়াও তিনি মোবারক আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, শহীদ নুর আলী কলেজের সদস্য, কালীগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, কালীগঞ্জ ফুড সেফটির সভাপতি, আলহাজ¦ বদর উদ্দিন ও এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার অটিস্টিক বিদ্যালয়ের সভাপতিও তিনি। একাধিক মসজিদ-মাদ্রাসার সভাপতিও এই গোলাম রসুল। অভিযোগ উঠেছে মোবারকগঞ্জ চিনিকলে গত মাড়াই মৌসুমে ১৩২ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন এই গোলাম রসুল। তাদের কাছ প্রায় ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এছাড়া ১৭৩ জনকে চাকরী স্থায়ী করার কথা বলে নিয়েছেন ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। কিন্তু তাদের চাকরী স্থায়ী হয়নি। নিয়োগকৃতদের মধ্যে ৭ জন নারী রয়েছে। এদের কি কারণে চাকরী দিয়েছেন তা রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। এক বিধবা নারী রয়েছে গোলাম রসুলের পিএস। তাকেও চাকরী দেওয়া হয়েছে সুগার মিলে। এ ভাব বাপ দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি বানানো হয়েছে মোচিক। মোচিকের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি গোলাম রসুল দখল করে রেখেছেন। শোনা যাচ্ছে মিল এরিয়ার সোনালী ব্যাংকে থাকা শ্রমিকদের প্রবিডেন্ট ফান্ডের কোটি কোটি টাকাও গায়েব করে দিয়েছেন এই গোলাম রসুল। গোলাম রসুলের সম্পকের পরিমাণ জানা না গেলেও সম্প্রতি তিনি থাইল্যান্ডে রিসোর্ট কিনেছেন। ঢাকায় আছে একাধিক ফ্ল্যাট। কালীগঞ্জ শহরের ভুষন স্কুল রোডে রয়েছে চারতলা বাড়ি। এদিকে গোলঅম রসুলের নিজ গ্রাম ফয়লায় তার ভাইপো রকিকে দিয়ে গড়ে তুলেছেন কিশোর গ্যাং এর সম্রাজ্য।

কিছুদিন আগে মদসহ ধরা পড়ে ওই গ্যাংয়ের সদস্য। গোলাম রসুলের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তার ভাইপোর নিয়ন্ত্রিত কিশোর গ্যাং দিয়ে হামলা করানো হয়। আনার হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের আলীশান বাংলো বাড়িতে যাতায়াত ছিল গোলাম রসুলের। 

এ ব্যাপারে গোলাম রসুল বলেন, তিনি দুইবার শাহীনের বাংলোতে গিয়েছেন এমপির সাথে। একবার বিয়েতে আর একবার দর্শনা থেকে ফেরার পথে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এসিড নিক্ষেপ মামলা দিয়েছিল। একবছর পর সেটি মিমাংসা হয়। জনপ্রিয়তার কারণে কেউ তার বিরুদ্ধে সভাপতি পদে মোবারকগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে দাঁড়ায় না। আমার নামে সুগার মিলের কোন কিছু লিজ নেই।


আরও খবর



ভোটে এগিয়ে কঙ্গনা, জয়ের জন্য প্রার্থনা করেছেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট গণনা পুরোদমে চলছে। এই বছর নির্বাচনে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন। অভিনেত্রী হিসেবে বলিউডকে যেমন মাতিয়েছেন, তেমনই কি রাজনীতিতেও নেত্রী হিসেবেও পাকাপাকি জায়গা তৈরি করতে পারবেন কঙ্গনা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। প্রথম ৩০ মিনিট পোস্টাল ব্যালট গণনা থেকেই হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসন থেকে এগিয়ে ছিল কঙ্গনা।

জানা যায়, এখনও পর্যন্ত প্রথম স্থান ধরে রেখেছেন এ অভিনেত্রী। অন্যদিকে কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিং অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন।

বিজেপির টিকিটে প্রথমবার ভোটে লড়ে সংসদ হওয়ার পথে তিনি। নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত গণনা অনুসারে, মান্ডি থেকে কঙ্গনা ৩০২৫৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।

এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, নির্বাচনে জিতলে তিনি অভিনয় ছেড়ে দেবেন। সমস্ত সময়টাই রাজনীতির জন্য ব্যয় করবেন। কংগ্রেস শাসিত হিমাচলেরই মেয়ে কঙ্গনা রানাউত।

নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় কারার জন্য বার বার বিরোধীদের কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয় তাকে। প্রচারে বেফাঁস মন্তব্যের জেরে কঙ্গনাকে এখনও রাজনীতিতে নবিশ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

গত ২০১৪ ও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মান্ডিতে পদ্ম ছাপ ফেলেছিল। বিজেপির রাম স্বরূপ শর্মা দু বছরই মান্ডি আসন থেকে নির্বাচনে জিতে সংসদে গিয়েছিলেন। তবে তার মৃত্যুর পর ২০২১ সালে উপ-নির্বাচন হলে ক্ষমতাচ্যুত হয় গেরুয়া শিবির। বিক্রমাদিত্য-র মা প্রতিভা সিং উপ-নির্বাচনে জিতেছিলেন।

২০০৬ সালে গ্যাংস্টার সিনেমার মাধ্যমে কঙ্গনা ডেবিউ করেন বলিউডে। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে জমি নিয়ে বিরোধে কুপিয়ে হত্যা, আটক ১

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মো. মাহফুজ (২০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। নিহত মাহফুজ হাওলাদার পৌর এলাকার বিকনা গ্রামের ষ্টেডিয়াম এলাকার আমির হাওলাদারের ছেলে। সে পেশায় ইজিবাইক চালক।

হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম।

হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে নিহতের মা মুক্তা বেগম এবং বাবা আমির হাওলাদার। রক্তাক্ত জখম হওয়া আমির ও মুক্তা দম্পত্তিকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসা দিতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মেহেদী হাসান সানি।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, আমির হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিলো তারই চাচাতো ভাই কবির হাওলাদারের সাথে। গত কদিন পূর্বে আমিরকে মারধর করেছে ভাই কবির। ঐ সময় বাবা আমিরকে মারধরের প্রতিবাদ করে ছেলে মাহফুজ। ঐ ঘটনায় চাচা কবিরের সাথে তর্ক হয় মাহফুজের। সেদিন চাচা কবির হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়ে গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলে ছিলো মাহফুজ তাকে মেরেছে। সেই ঘটনার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই হাসপাতাল থেকে ফিরে শনিবার ১ জুন সকাল ১১ টায় কবির তার চার সন্তান, মেয়ে, জামাতা এবং নাতীকে নিয়ে হামলা চালায় আমিরের উপর। আমিরকে মারধরের এক পর্যায়ে স্বামী এবং বাবাকে বাঁচাতে আসে আমিরের ছেলে মাহফুজ এবং স্ত্রী মুক্তা বেগম। তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে হামলাকারীরা। এতে মাহফুজ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত হয় মুক্তা ও আমির।

আহতরা জানায় কবির হাওলাদার তার সন্তানসহ স্বজনদের নিয়ে লাঠিসোটা এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পরপরই হামলাকারী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।


আরও খবর



মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টা ৮ মিনিটে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল খুলনা-বরিশাল বিভাগের উপকূলে সর্বোচ্চ ১০২ কিলোমিটার গতি নিয়ে আঘাত হানে। সারারাত ঝড়ের তাণ্ডব চলেছে। এর প্রভাবে ঢাকাসহ সারাদেশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ভোর থেকেই ঢাকাতে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়।

এর আগে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, এমন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াতে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হবে। বৈদ্যুতিক সংযোগ, সিগনালিংসহ নানা সমস্যা হতে পারে।


আরও খবর



বিশ্ব পরিবেশ দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস। প্রতিবছর ৫ জুন বিশ্বের প্রতিটি দেশে পালিত হয় দিবসটি। দিবসটির মূল লক্ষ্য পরিবেশ দূষণের কারণ ও দূষণ থেকে বাঁচার উপায় খুঁজে বের করা। এ ছাড়া মানুষকে পরিবেশ রক্ষায় সচেতন করে তোলাও এ দিবসের অন্যতম একটি লক্ষ্য। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।

দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা।’

এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন উপলক্ষে সরকারিভাবে নেওয়া কর্মসূচি সর্ম্পকে জানাতে গতকাল দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে নেওয়া কর্মসূচি সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে পরিবেশ মেলা ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করবেন। পলাশ ও বেলগাছের দুটি চারা রোপণের মাধ্যমে জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন তিনি।

তিনি বলেন, শেরেবাংলা নগরের এই পরিবেশ মেলা চলবে ৫ থেকে ১১ জুন পর্যন্ত এবং বৃক্ষমেলা চলবে ৫ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

মন্ত্রী বলেন, অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড কনজারভেশন ২০২৩ ও ২০২৪, বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০২২ ও ২০২৩ এবং সামাজিক বনায়নে উপকারভোগীদের মধ্যে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয়, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃক্ষের চারা বিতরণ এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের মাধ্যমে খুদে বার্তা পাঠানো হবে।

সাবের চৌধুরী বলেন, দেশের সব জেলা ও উপজেলায় এবং ঢাকা মহানগরীর একশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, পরিবেশ দিবস উপলক্ষে শিশু চিত্রাঙ্কন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতর্ক ও স্লোগান প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হবে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হবে।

এ উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে পরিবেশ দিবসের তাৎপর্যভিত্তিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র এবং পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে স্মরণিকা ও বুকলেট প্রকাশ করা হবে।

এ ছাড়াও রোপণ করা বৃক্ষের যত্ন বৃদ্ধির জন্য এবারের জাতীয় বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ।’


আরও খবর