আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

চট্টগ্রামে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করতে হবে: তিবরীজি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেছেন, আগামী ১ জুন শনিবার সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রাম বিভাগেও দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৪। ক্যাম্পেইন চলাকালীন ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানো হবে।

সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে এ ক্যাম্পেইন সফল করতে হবে। এ বয়সের কোন শিশু যাতে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বাদ না পড়ে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক থাকতে হবে। অসুস্থতার কারণে ৬-৫৯ মাস বয়সী কোন শিশু যদি ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বাদ পড়ে তাকে সুস্থতা পরবর্তী এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।

অনুষ্ঠিতব্য এ ক্যাম্পেইন নিয়ে যাতে কেউ গুজব ছড়াতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইন ও পুষ্টিবার্তা বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সোস্যাল মিডিয়া, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় নিয়মিত প্রচার প্রচারনার ব্যবস্থা করলে জনগণ এ ব্যাপারে আরও সচেতন হবে।

বুধবার সকালে নগরীর সিনেমা প্যালেস সংলগ্ন রয়েল রোডস্থ চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অবহিতকরণ ও কর্মপরিকল্পনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্টান ও জাতীয় পুষ্টি সেবার বাস্তবায়নে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয় এ সভার আয়োজন করেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে শিশুরা অপুষ্টিতে ভূগছে। শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি, দৃষ্টিশক্তি, রক্ত স্বল্পতা  ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক অনুপুষ্টি। তাই এই ক্যাম্পেইন কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপুষ্টি দূরীকরণ সম্ভব হবে। শিশুর জন্মের সাথে সাথে মায়ের বুকের শাল দুধ খাওয়াতে হবে এবং ৬ মাস পর্যন্ত বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু দেয়া যাবে না। শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে দুই বছর পর্যন্ত মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমানমত ঘরে তৈরি পুষ্টি সমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়াতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত  পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. ইফতেখার আহমেদ বলেন, আগামী ১ জুন শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে বিভাগের ১১ জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী মোট ৬ লাখ ২১ হাজার ১৩৯ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪৫ লাখ ৩৬ হাজার ২৪ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিভাগীয় পর্যায়ে ৬-৫৯ মাস বয়সী মোট ৫১ লাখ ৫৭ হাজার ১৬৩ জন শিশুকে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তন্মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ৯৪ হাজার ৪৭৭ জন, ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৩৭ হাজার ৭০২ জন, কক্সবাজার জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ৫৯ হাজার ২৬১ জন, ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ২৩ হাজার ৩৯৮ জন, বান্দরবান জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ১০ হাজার ৩৮০ জন, ১২-৫৯ মাস বয়সী ৬৫ হাজার ৭২১ জন, রাঙ্গামাটি জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ১০ হাজার ৫৩৭ জন, ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭৫ হাজার ৩২৩ জন, খাগড়াছড়ি জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ১৫ হাজার ৩৮৯ জন, ১২-৫৯ মাস বয়সী ৯৪ হাজার ৩৭৮ জন, ফেনী জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ৩২ হাজার ৩৭১ জন, ১২-৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৮ জন, নোয়াখালী জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ৬৩ হাজার ৭১৩ জন, ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫ লাখ ২৮ হাজার ২৮৫ জন, লক্ষীপুর জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ৩৫ হাজার ২০৮ জন, ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭২লাখ ৬৪ হাজার ৭৮৫ জন, চাঁদপুর জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ৪২ হাজার ৬৯৬ জন, ১২-৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৩০ হাজার ৫৩২ জন, কুমিল্লা জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ১ লাখ ১৩ হাজার ৮০৭ জন, ১২-৫৯ মাস বয়সী ৮ লাখ ৪৮ হাজার ৮৪২ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ৫৮ হাজার ৩০০ জন, ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৮৩ হাজার ২২০ জন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬-১১ মাস বয়সী ৮৫ হাজার, ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৬০ হাজার শিশু।

তিনি বলেন, ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করতে হলে মসজিদ, মন্দির,  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার, বাস স্ট্যান্ড, নৌ-ঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণস্থানে মাইকিং করে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ, সরকারী প্রতিষ্টান, জনপ্রতিনিধি, আনসার-ভিডিপি ও এনজিও সংস্থাগুলোকে ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী শিশুদেরকে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইনসহ অন্যান্য কর্মসূচীগুলো শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. ইফতেখার আহমেদ বলেন, ভিটামিন ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে। পরিবারের রান্নায় ভিটাামিন সমৃদ্ধ ভোজ্য তেল ব্যবহার শিশুর জন্য যথেষ্ট উপকারী। মা ও শিশুর পুষ্টির জন্য গর্র্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের  স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে ভিটামিন সমৃদ্ধ প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ খাবার খেতে দিতে হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. ইফতেখার আহমেদের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মোহাম্মদ নওশাদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী,  চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. জেবিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ঈমাম হোসেন রানা ও পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার সফিজুল ইসলাম।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. গাজী গোলাম মওলা, প্রাথমিক শিক্ষা চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক ড. শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রামের পরিচালক মোঃ মাহফুজুল হক, পরিবার পরিকল্পনা নোয়াখালী জেলার উপ-পরিচালক মোস্তফা কামাল, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাধবী বড়য়া, পরিবার পরিকল্পনা রাঙামাটি জেলা কনসালট্যান্ট ডা. বেবী ত্রিপুরা, জাতীয় সংবাদ সংস্থা এন.এনবির চট্টগ্রাম প্রধান রনজিত কুমার শীল, নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক ইউছুফ মিয়া, পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমূখ।

অবহিতকরণ ও কর্মপরিকল্পনা সভায় বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি, পরিবার পরিকল্পনা বিভিন্ন জেলার উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিগণ অংশ নেন।


আরও খবর



ঈদুল আজহা: ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষে এবার ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু করল বাংলাদেশ রেলওয়ে। সোমবার (১০ জুন) সকাল ৮টা থেকে রেলওয়ের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। চলবে ১৪ জুন পর্যন্ত।

আজ বিক্রি হচ্ছে ২০ জুনের টিকিট, ২১ জুনের আসন বিক্রি হবে ১১ জুন; ২২ জুনের আসন বিক্রি হবে ১২ জুন; ২৩ জুনের আসন বিক্রি হবে ১৩ জুন এবং ২৪ জুনের আসন বিক্রি হবে ১৪ জুন। পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করার আন্তঃনগর ট্রেনের আসনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে পাওয়া যাচ্ছে। আর পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের আসন বেলা ২টা থেকে বিক্রি করা হবে।

যেভাবে কাটবেন টিকিট

এবারও বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে সহজেই টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। এজন্য রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই হবে। আর যারা আগেই রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তারা সরাসরি লগইন করেই টিকিট কাটতে পারবেন।

যাদের আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করা নেই তারা বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে উপরের দিকে রেজিস্ট্রেশন লেখা অংশে ক্লিক করতে হবে। পরে রেজিস্ট্রেশন নামে নতুন একটি পেজ আসবে। সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য নির্ভুলভাবে দিতে হবে। এরপর মোবাইল নম্বরে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) চলে আসবে। সেটি সঠিকভাবে পূরণ করে ভেরিফাই বাটনে ক্লিক করলেই সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে। পরে বাংলাদেশ রেলওয়ে নামে নতুন একটি পেজ আসবে। সেখানে ব্যবহারকারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগইন হয়ে যাবেন। এরপর টিকিট কাটতে পারবেন।

টিকিট কেনার জন্য প্রথমে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। কেউ স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগইন না হয়ে থাকলে ই-মেইল ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করতে হবে। এরপর যে পেজ আসবে তাতে কাঙ্ক্ষিত ভ্রমণ তারিখ, যাত্রা শুরুর স্টেশন, গন্তব্য স্টেশন শ্রেণি পূরণ করে ফাইন্ড টিকিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। পরের পেজে ট্রেনের নাম, সিট খালি আছে নাকি নেই এবং ট্রেন ছাড়ার সময় দেখাবে। সেখান থেকে ট্রেন অনুযায়ী ভিউ সিটস বাটনে ক্লিক করে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে পছন্দের আসন নির্বাচন করে কন্টিনিউ পারচেজে ক্লিক করতে হবে।

পেমেন্টের ক্ষেত্রে ভিসা, মাস্টার কার্ড কিংবা বিকাশে পেমেন্ট করলে একটি ই-টিকিট অটো ডাউনলোড হবে। পাশাপাশি যাত্রীর ই-মেইলেও টিকিটের একটি কপি চলে যাবে। পরে ই-মেইলের ইনবক্স থেকে টিকিট প্রিন্ট করে ফটো আইডিসহ ই-টিকিট প্রদত্ত টিকিট প্রিন্ট দিয়ে সংশ্লিষ্ট সোর্স স্টেশন থেকে যাত্রার আগে ছাপানো টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। তবে টিকিট প্রিন্ট না করলেও সমস্যা নেই, মোবাইল থেকে দেখালেও হবে।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে ঢাকা প্রায় ফাঁকা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হবে ১৭ জুন। এরই মধ্যে গ্রামে আপনজনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। এবার ঈদের ছুটি শুরুর আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকে আগেই গ্রামে চলে গেছেন। যারা অফিসের কাজ বা কোনো কারণে যেতে পারেননি, তাদের অধিকাংশই ঢাকা ছাড়ছেন আজ।

এদিকে, যাত্রী কমে যাওয়ায় ঢাকার বিভিন্ন রুটে চলাচল করা বাসগুলোও দূরের পথের যাত্রী নিয়ে রাজধানীর বাইরের বিভিন্ন রুটে ছুটছে। এতে ঢাকার ভেতরে গণপরিবহন চলাচল একেবারে কমে গেছে। ফলে যানজটের নগরী ঢাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, মহাখালী, বিজয়সরণি আগারগাঁও, সায়েন্সল্যাব, শ্যামলী, মতিঝিল, কাকরাইলসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

দুপুর থেকেই এসব এলাকায় মূল সড়কগুলো ফাঁকা ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি কিছুটা বাড়লেও তেমন যানজট হয়নি। শুধুমাত্র সিগন্যালগুলোতে এক সড়ক থেকে অন্য সড়কে গাড়ি যাওয়ার জন্য অল্প সময়ের জন্য আটকে থাকতে হয়। তবে বাণিজ্যিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক এলাকাগুলোতে মানুষের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় কিছুটা ধীরে গাড়ি চলছে।

শনিবার দুপুরে এয়ারপোর্ট থেকে রামপুরা রুটে বিভিন্ন জায়গায় গণপরিবহন সংকটে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। মাঝে মধ্যে দুই-একটা বাসের দেখা মিললেও তাতে ছির উপচেপড়া ভিড়।

নতুনবাজার থেকে সাভার রুটে চলাচল করা বৈশাখী পরিবহনের চালক ইমারুল ইসলাম বলেন, শহরের মধ্যে যাত্রীর তেমন চাপ নেই। কাছাকাছি স্টপেজে মানুষ ওঠানামা করছে। অধিকাংশই ১০-২০ টাকা ভাড়ার যাত্রী। আর রাস্তাও ফাঁকা। গাড়ি এখন ঢাকার মধ্যে কম। সবাই এখন আরিচা ঘাট পর্যন্ত যাত্রী টানছে। কেউ কেউ পদ্মার ওপার পর্যন্তও যাত্রী আনা-নেওয়া করছে।

সায়েন্সল্যাবে যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় থাকা সাভার পরিবহনের চালক আজিজুল বলেন, সদরঘাট যাওয়ার সময় গুলিস্তান এবং বাবুবাজার এলাকায় কিছুটা যানজট পেয়েছি। এছাড়া বাকি রাস্তা ফাঁকাই ছিল। আসার সময়ও গুলিস্তানে কিছুটা যানজট ছিল। এছাড়া পুরো রাস্তা এখন ফাঁকা।

এদিকে, রাস্তা ফাঁকা থাকায় স্বস্তিতে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। নতুনবাজার থেকে গুলশানে প্রবেশমুখে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট আসাদুজ্জামান রবিন বলেন, আজকে গাড়ির চাপ নেই। সকাল থেকেই প্রাইভেটকার বা ব্যক্তিগত গাড়ির পরিমাণ অনেক কম। সড়ক অনেকটা ফাঁকা। তারপরও মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা করছি আমরা।

নিউজ ট্যাগ: ঈদুল আজহা

আরও খবর



সু চির জন্মদিন পালন করায় গ্রেপ্তার ২২

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির জন্মদিন পালন করার 'অপরাধে' জান্তা পুলিশ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই নারী নেত্রীর জন্মদিন ছিল বুধবার।

জান্তাপন্থি হিসেবে পরিচিত একটি টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করে ঐ ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে।

শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী সু চি নিজের চুলে ফুল পরে থাকেন। তার ভক্তরা চুলে তার আদলেই ফুল পরে বুধবার তার জন্মদিন উদযাপন করেন। এই নেত্রীকে তিন বছরের বেশি সময় ধরে বন্দি করে রেখেছে দেশটির জান্তা সরকার।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সু চির নেতৃত্বাধীন দলের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।

বুধবার ছিল সু চির ৭৯তম জন্মবার্ষিকী। শারীরিক নানা জটিলতায় তিনি এখন অনেকটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং মানবাধিকার সংগঠন থেকে জান্তা সরকারের কাছে সু চিকে ছেড়ে দেওয়ায় আহ্বান জানানো হলেও তারা সে আহ্বানে এখন পর্যন্ত সাড়া দেয়নি। সু চিকে তার পরিবার বা অন্য কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

অভ্যুত্থানের পর সু চিকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে মামলা করা হয় এবং ঐ সব মামলার কয়েকটিতে সু চিকে দোষী সাব্যস্ত করে মোট ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সামরিক আদালতে হওয়া ঐ বিচারকে প্রহসন বলেছে নানা মানবাধিকার সংগঠন। তাদের অভিযোগ, সু চিকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এটা করা হচ্ছে।


আরও খবর



দেশে বিয়ারের সবচেয়ে বড় চালান জব্দ, আটক ৩

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

পায়রা বন্দর এলাকা থেকে ঢাকা নেয়ার পথে ২৬ হাজার ৮৮০ ক্যান চাইনিজ বিয়ারসহ ৩ যুবককে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা।

শুক্রবার (২৮ জুন) ভোররাতে পটুয়াখালী সেতুর টোল প্লাজা থেকে একটি কাভার্ডভ্যানসহ ৩ জনকে আটক করা হয়।

জব্দকৃত বিয়ারের বাজার মূল্য ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৪ হাজার টাকা। চায়না থেকে নৌপথে এসব মাদক পায়রা বন্দর হয়ে কলাপাড়ায় এসেছে বলে ধারণ করা হচ্ছে।

আটককৃতরা হলো- বাসিরুল ইসলাম (২৮), মেহেদী হাসান রাব্বি (২৩) ও রুবেল মুন্সী (২৭)। এদের মধ্যে বাসিরুল ও মেহেদী পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঠিকাদারি চাইনিজ প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্টাল পার্লে বিভিন্ন পদে কর্মরত। রুবেল মুন্সী ওই কাভার্ডভ্যানের চালক।

পটুয়াখালী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। পায়রা বন্দর এলাকা থেকে ঢাকায় পাচার কালে একটি কাভার্ডভ্যানকে ধাওয়া করে পটুয়াখালী টোর প্লাজায় আটকে তা থেকে এসব মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। স্বাধীনতার পরে বরিশাল বিভাগে অবৈধ মাদকের এটাই সবচেয়ে বড় চালান বলে জানান এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



৬ মাস করে সাজা স্থগিত করা সরকারের আরেক খেলা : ফখরুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাস করে স্থগিত করা সরকারের আরেক খেলা বলে দাবি করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি দাবি করেন, সরকারের চালাকি ছয় মাস করে সাজা স্থগিত করা। তার মানে সাজা কমছে না। ভবিষ্যতে যখন তাদের প্রয়োজন হবে সাজা আবার যুক্ত হবে। এটা আরেকটা খেলা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।

দুদকের মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, পুরো সাজানো একটা মামলা ছিল। মূল লক্ষ্য ছিল তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া।

আইনকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, প্রতিদিন মৃত্যুর সঙ্গে তাকে লড়তে হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিএনপির এজিএমে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আদালতের রায়ের পরে কোথায় থাকব জানি না। আপনারা গণতন্ত্রের আন্দোলনে কখনো পিছপা হবেন না।

সরকার দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে বলে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। প্রতিটা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে এরা (সরকার)। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ভুলণ্ঠিত, সংবাদ মাধ্যমকে গলা টিপে ধরা হয়েছে। বেআইনিভাবে দখল করা ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করাই লক্ষ্য।

খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র সমার্থক ও এক মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারলে গণতন্ত্রকে মুক্ত করা হবে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে পারলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।

ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি করা হচ্ছে, তার কোনোটাই বাংলাদেশের পক্ষে নয় দাবি করে তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের সবক দেন, চুক্তি ও সমঝোতার পার্থক্য নাকি বুঝি না। শুধু একটা কথা বলব, দেশের সঙ্গে বেঈমানি করবেন না। এমন চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর করবেন না, যেটা জনগণের স্বার্থবিরোধী।

ভারত সফর থেকে এবার কী এনেছেন প্রশ্ন রেখে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ সরকারের সীমান্ত হত্যা নিয়ে কোনো কথা নেই। ভারত নাকি আমাদের কাছের বন্ধু। এত কাছের বন্ধু কিন্তু সীমান্তে গুলি করে নাগরিক হত্যা করে। এমন নজির বিশ্বে কোথাও নেই। সরকার আত্মরক্ষার্থে যেসব কথা বলছে তাতে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না। অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। যারা আসবে তাদের বরণ করে নেব। কিন্তু নিজেরা ক্ষমতায় থাকতে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাকে দখল করে নেবেন, সেটা হতে দেব না। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন সামগ্রিক আন্দোলনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়াকে আলাদা করা যাবে না। দেশ বিপদে পড়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজিজ-বেনজীর-মতিউর সব শেখ হাসিনার প্রোডাক্ট। ভারতের সঙ্গে যত চুক্তি সব দেশের স্বার্থবিরোধী। জেল ও মৃত্যু অবধারিত, এগুলোকে ভয় পেয়ে কাউকে ছাড় দেব না। ঘরে বসে থেকে মার খেতে আর রাজি না।

আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, সরকার তাদের ময়ূর সিংহাসন বজায় রাখতে সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। খালেদা জিয়া মুক্ত থাকলে তাদের সিংহাসন থাকবে না। সরকার বাংলাদেশকে অন্য দেশের দাসে পরিণত করেছে। শুধু স্লোগানে আটকে না থেকে, রাজপথে নামতে হবে।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।


আরও খবর