আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

দেশে ফিরেছেন ১১ হাজার ৬৪০ হাজি, মৃত্যু ৪৪

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৬৪০ হাজি দেশে ফিরেছেন। রবিবার (২৩ মে) দিনগত রাতে হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

সৌদি থেকে ৩০টি ফ্লাইটে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৮টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ১০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১২টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।

হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।

এবার বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। হজে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ৩৫ এবং মহিলা নয়জন।

এদিকে, আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম জানান, নির্ধারিত সংখ্যার মধ্যে কতজন সরকারি ব্যবস্থাপনায় আর কতজন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাবেন তা বাংলাদেশ সরকার পরে নির্ধারণ করে দেবে।


আরও খবর



ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হত্যার হুমকি দিচ্ছে : আয়ানের বাবা

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে মারা যাওয়া শিশু আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ অভিযোগ করেছেন, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ইউনাইটেড গ্রুপ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হুমকি দিচ্ছে। একাধিকবার বাসায় সন্ত্রাসী পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। সেজন্য আগামী সাত দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান তিনি।

বুধবার (২৯ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়ান হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

শামীম আহমেদ বলেন, দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস অতিবাহিত হলেও এই পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার বা বিচারের আওতায় আনা হয়নি। বিএমডিসি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরস্পর যোগসাজশ করে দোষীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আয়ানের মৃত্যুর পর ইউনাইটেড হাসপাতাল সিলগালা করা হয়েছিল। যা ছিল কেবল লোক দেখানো। এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইউনাইটেড হাসপাতালকে বাঁচানোর অপচেষ্টা করছে।

আগামী ৭ দিনের ভেতর অভিযুক্ত দুই ডাক্তার সাঈদ সাব্বির ও তাসনুভা মাহজাবিনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত দোষীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাহলে আমরা কিভাবে বুঝব যে এই ঘটনার বিচার পাবো। যদি ৭ দিনের ভেতর অভিযুক্ত দুই ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির অপসারণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবো। ইউনাইটেড হাসপাতালের সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করবো।

আয়ানের বাবা আরও অভিযোগ করেন, বাড্ডা থানা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে চারটি তথ্য বারবার চাহিদা পত্র দেওয়া হলেও সেগুলো জানানো হয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পুলিশ, ডিবি, ডিজিএফআই সকলেই আমাদেরকে একটি গোলকধাঁধার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তারা একটি পক্ষকে বাঁচানোর অপচেষ্টা করছে। আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে এই ঘটনার বিচার প্রার্থনা করছি। যদি আমার ছেলে হত্যার বিচার না পাই তাহলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি আবারও হবে। তাই আমি সবার প্রতি অনুরোধ জানাই যেন বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শিশু আয়ানের দাদা সালাম কবির। তিনি বলেন, আমরা যেন এই মামলার থেকে সরে আসি সেজন্য বারবার সন্ত্রাসী পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে আমার সুস্থ নাতিকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। আগামী সাত দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে। না হলে আমরা আমরা অনশন কর্মসূচি পালন করবো।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সুন্নাতে খতনার (মুসলমানি) জন্য আয়ানকে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তার অভিভাবক। সকাল নয়টার দিকে শিশুটিকে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয়। তবে অনুমতি ছাড়াই ফুল অ্যানেসথেসিয়া (জেনারেল) দিয়ে চিকিৎসক আয়ানের খাতনা করান বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পরে জ্ঞান না ফেরায় তাকে গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার পিআইসিইউতে (শিশু নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র) তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে এই ঘটনায় বাড্ডা থানায় ২ ডাক্তার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ।


আরও খবর



মাংস মেরিনেটে যেসব ভুল নয়

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

মেরিনেশন হলো রান্নার আগে বেশিরভাগ অ্যাসিডযুক্ত, তরল খাবারে ভেজানোর প্রক্রিয়া। রান্নার যা-ই হোক না কেন, বিশেষজ্ঞদের মতে রেসিপির আসল মজা নাকি থাকে মেরিনেশনেই। তবে সঠিকভাবে মাংস ম্যারিনেট না হলে মাংসে ও হাড়ে ঠিকমতো মসলা প্রবেশ করতে না পারলে মাংস রান্না করলে সেই মাংসে পুষ্টিগুণ অটুট থাকে না। তাই সঠিক ভাবে মাংস ম্যারিনেট করা প্রয়োজন।

ম্যারিনেট করার সময় যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখবেন:

* রান্নার ধরণ অনুযায়ী মেরিনেট করুন। যদি একদম শুকনো মেরিনেশনের দরকার হয় সেক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়ায় কোনো জলীয় পদার্থ ব্যবহার করবেন না। দই ব্যবহার করলেও পানি ঝরিয়ে তা ব্যবহার করুন।

* মেরিনেশনের সময় মাংস লবণ দিয়ে মাখিয়ে রাখা হয়। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণ দেওয়া হলে মাছ বা মাংস থেকে আর্দ্রতা বেরিয়ে যায়। আবার কাঁচা অবস্থায় মশলা চেখে দেখা যায় না। তাই লবণের সঙ্গে লেবুর রস, গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে নেবেন। সেই সঙ্গে সামান্য চিনিও দিতে পারেন।

* মেরিনেট করার আগে খেয়াল রাখবেন মাছ বা মাংসে যেন অতিরিক্ত পানি না থাকে।

* ফ্রিজ থেকে মাছ-মাংস বের করে বেশ খানিকক্ষণ নরমাল টেম্পারেচারে রাখতে হবে। তারপরে মাখবেন।

* ম্যারিনেটের আগে মাংস হালকা কেঁচে বা ছিদ্র করে নিন। এতে মশলা মাংসের ভেতরে ভাল ভাবে ঢুকবে। তবে বেশি ছিদ্র করবে না। বেশি ছিদ্র করলে রান্নার সময় তা ভেঙে যেতে পারে।


আরও খবর



ঈদের আগেই প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে উঠবে ১৮ হাজার পরিবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সবার জন্য আবাসন নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রকল্প আশ্রয়ণ-২। প্রকল্পটির আওতায় এবার জমিসহ বিনামূল্যে ঘর পাচ্ছেন আরও ১৮ হাজার ৫৬৬ ভূমি ও গৃহহীন পরিবার। এর মধ্য দিয়ে দেশের আরও ২৬টি জেলার সব উপজেলাসহ মোট ৭০টি উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে। মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে দেওয়া এসব ঘর বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হিসেবে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে অসহায় পরিবারগুলোর মাঝে। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, ভোলার চর ফ্যাশন ও কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকার উপকারভোগীদের সঙ্গে কথাও বলবেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা, নড়াইল, বাগেরহাট, বরগুনা, বরিশাল, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের সব উপজেলাসহ মোট ৭০টি উপজেলা ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে।

এ হিসেবে আগে ঘোষিত জেলা-উপজেলাসহ মোট ৫৮টি জেলা ও ৪৬৪টি উপজেলা ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গৃহহীনদের পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর এ কর্মসূচিকে অনুসরণ করে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহ ও ভূমিহীনদের ঘর ও জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্প ও অন্যান্য প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৪ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের প্রায় ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। শুধুমাত্র আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে পুনর্বাসন করা হয়েছে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৩ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জনকে। এর মধ্যে শুধুমাত্র মুজিব শতবর্ষেই পুনর্বাসন করা হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ১২টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে।


আরও খবর



পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ৮ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের মধ্যে চারজন পরিচালক, একজন উপপরিচালক ও দুজন উপসহকারী পরিচালক রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক ও তার টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করেছেন তিনি। পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও আশ্রয় নিয়েছেন নজিরবিহীন জালিয়াতির। কিন্তু নবায়নের সময় ধরা পড়লে তা আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর। চিঠি দেওয়া হয় র্যাব সদরদপ্তরে। কিন্তু অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সব ম্যানেজ করেন বেনজীর। পাসপোর্ট অফিসে না গিয়ে নেন বিশেষ সুবিধা। বানিয়ে নেন সাধারণ পাসপোর্ট।

আরও জানা গেছে, সাবেক এই আইজিপি পাসপোর্টে আড়াল করেছেন পুলিশ পরিচয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে বিশেষ পাসপোর্ট নেননি।

এদিকে, বেনজীরকে দুদকে তলব করা হলেও তিনি হাজির হননি। এমনকি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রী জিশান মীর্জা ও দুই মেয়েকে তলব করলে তারাও দুদকের ডাকে সাড়া দেননি। তবে তারা হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন।


আরও খবর



শরণখোলায় নির্বাচনী সহিংসতায় উভয় পক্ষের ১২ জন আহত

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের শরণখোলায় নির্বাচনী সহিংসতায় প্রতিদ্বন্ধী দুই প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হচ্ছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনারস প্রতিকের প্রার্থী রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত'র কর্মী টুলু তালুকদার, ইমরান উদ্দিন শুভ, খান মতিয়ার রহমান, আলমগীর শিকদার, ওবায়দুল আকন, ময়নুল ইসলাম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দোয়াত কলম প্রতিকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান মিলনের কর্মী আসাদ কবিরাজ, মাসুম তালুকদার, শাহিন গাজী, মাহাবুব মোল্লা, মেহেদী হাসান, জলিল হাওলাদার। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আসাদ কবিরাজ, ওবায়দুল আকন ও খান মতিয়ার রহমানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

আনারস প্রতিকের প্রার্থী রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে তার কর্মী সমর্থকরা শরণখোলা বাজারে একটি পথসভা করছিল। এসময় প্রতিদ্বন্ধী দোয়াত কলমের প্রার্থী নিজে উপস্থিত থেকে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নির্বাচনী পথসভায় হামলা চালায়। ওই হামলায় তার ছয়জন কর্মী আহত হয়।

দোয়াত কলম প্রতিকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, পূর্বে হামলার শিকার তার দুই কর্মীকে দেখতে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর শরণখোলা বাজারে যান। সেখানে একটি সভা চলতে দেখে তিনি গিয়ে কিসের সভা চলছে বলে জানতে চান। এসময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি খান মতিয়ার রহমানকে দেখে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায় আনারস প্রতিকের কর্মী সমর্থকরা এসে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় তার ছয়জন কর্মী সমর্থক আহত হয়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজিত পরিবেশ সৃষ্টি হলে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মোরেলগঞ্জ সার্কেল) আসিকুর রহমান শরণখোলায় এসে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।

এ ব্যাপারে শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান বলেন, কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।


আরও খবর