আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

দেশে নতুন মাদক ব্ল্যাক কোকেন উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবার প্রথমবারের মতো খোঁজ মিলল ব্ল্যাক কোকেন নামের নতুন মাদক। যা দেশে এবারই প্রথম উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরসহ (ডিএনসি) সংশ্লিষ্টদের।

সম্প্রতি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে এক ব্যক্তির বাসায় উদ্ধারকৃত কিছু কলমের সিসের মতো কালো জিনিস উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো পরীক্ষাগারে পরীক্ষার পর চোখ ছানাবড়া কর্মকর্তাদের। সেগুলো অন্য কিছু নয়, নতুন মাদক ব্লাক কোকেন। এই মাদক কিভাবে দেশে আসলো তা জানা যায়নি। কোকেন সাধারণত সাদা রঙের দানাদার বা পাউডার আকারে হয়। তবে এবার ব্ল্যাক কোকেন উদ্ধার হওয়ায় ভাবিয়ে তুলেছে ডিএনসিকে।

ডিএনসির ফরিদপুর কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, গত মে মাসে রাজধানীর মতিঝিলে একটি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে ফরিদপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। ওই ঘটনায় করা মামলার তদন্তে মাদক কারবারি হিসেবে রুবেলের নাম আসে। ওই চালানে জড়িতদের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এরপরই তার বাসায় অভিযান চালানো হয়। রুবেল এলাকায় এক সময় ইলেকট্রনিক্সের ব্যবসা করতেন। সম্প্রতি নির্দিষ্ট কোনো ব্যবসা নেই। জড়িয়ে পড়েন মাদক ব্যবসায়। বছরখানেক আগে ইয়াবাসহ ধরা পড়েছিল পুলিশের হাতে। বর্তমানে রুবেল পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে ডিএনসি।

ডিএনসির ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক শামীম হোসেন বলেন, রুবেলকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।

ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মজিবুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, ব্ল্যাক কোকেন কখনও বাংলাদেশে পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশে নতুন মাদক হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

ডিএনসি জানায়, ফরিদপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা গত ১১ ডিসেম্বর ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার ভুলবাড়িয়া গ্রামে আবুজার ওরফে রুবেলের বাড়িতে অভিযান চালান। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক। তার শয়নকক্ষে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ গ্রাম আইস, গুঁড়া ইয়াবা ১২ গ্রাম ও এক গ্রাম কোকেন জব্দ করা হয়। এসব মাদকের পাশাপাশি স্বচ্ছ একটি পলি প্যাকেট পায় আভিযানিক দলটি। অতি সুরক্ষিতভাবে সেটি সংরক্ষণ করা দেখে তাদের সন্দেহ হয়। সেটির ভেতরে পেন্সিলের শীষের মতো কালো ৪৪টি টুকরো পাওয়া যায়। প্রতিটি পৌনে এক ইঞ্চি লম্বা ও চিকন, যার ওজন সাত গ্রাম। পরে সেগুলো জব্দ করা হয়।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে। বিমান বিধ্বস্ত হলেও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, সকাল ১০টা ৬ মিনিটে চট্টগ্রামের জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। ১০টা ২৮ মিনিটে বিমান বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার সময় প্রশিক্ষণ বিমানটির দুজন পাইলট প্যারাস্যুটের সাহায্যে রক্ষা পেয়েছেন।

বিমানবাহিনীর YAK130 ট্রেনিং ফাইটার বিমানটি খুঁজতে ডুবুরি, ফায়ার ফাইটার, বন্দরে অবস্থানরত জাহাজের নাবিকরা কাজ করছেন।


আরও খবর



পাঁচ ভারতীয় নাবিককে মুক্তি দিল ইরান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আটককৃত পাঁচ ভারতীয় নাবিককে মুক্তি দিয়েছে ইরান। প্রায় এক মাস ইরানের কাছে বন্দি ছিলেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

গত ১৩ এপ্রিল দুবাইয়ের উপকূলে একটি ইসরায়েলি কার্গো জাহাজ আটক করে ইরানের ইসলামিক রেভেলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। ওই জাহাজে ক্রুদের মধ্যে ১৭ জন ভারতীয় ছিলেন। তাদের সবাইকে আটক করে আইআরজিসি।

বন্দি নাবিকদের মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা শুরু করে ভারত। ইরানে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে ভারতে ইরানের রাষ্ট্রদূত ইরাজ এলাহি জানিয়েছেন, জাহাজটিতে থাকা বাকি ভারতীয় ক্রুদের আটক করা হয়নি। তারা যে কোনো সময় দেশে ফিরে আসতে পারেন।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ইরানে ভারতীয় দূতাবাস জানায়, আটক ভারতীয়দের মধ্যে থেকে ৫ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।


আরও খবর



ফিলিস্তিনের সমর্থনে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের পতাকা উত্তোলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
তারিক লিটু, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

Image

ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ওপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নির্দেশনায় খুলনার কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা খান সাহেব কোমর উদ্দীন কলেজ ক্যাম্পাসে পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি পালন করেছে।

মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণে পতাকা উত্তোলন করে তারা। পতাকা উত্তোলন শেষে একটি র‍্যালিও বের করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন খান সাহেব কোমর উদ্দীন মডেল কলেজের শিক্ষক, সাধারণ শিক্ষার্থী,  কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা কর্মী ও কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন কয়রা সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক ওয়ালী উল্লাহ আল বেলাল (বিল্লু) ও আমাদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক শেখ মো. আবু তালহা সবুজ ও উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের নিয়ে  কর্মসূচি পালন করা হয়।

র‍্যালি শেষে ছাত্রলীগ নেতা ওয়ালী উল্লাহ আল বেলাল (বিল্লু) বলেন, ফিলিস্তিনদের ওপর যে বর্বর হামলা করছে ইসরায়েল তা বন্ধ করতে হবে। আমরা ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্বে শান্তি চাই। ফিলিস্তিনিদের ওপর এই রকম হত্যাযজ্ঞ অমানবিক অপরাধ।


আরও খবর



এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলামকে অর্থদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

অনুমোদনহীন ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বিক্রির কথা স্বীকার করায় এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলামকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত তার জামিন মঞ্জুর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মামলার বাদী ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক কামরুল হাসান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে বৃহস্পতিবার সকালে আত্মসমর্পণ করেন এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলাম। পরে বিচারক আলাউল আকবর তার জামিন মঞ্জুর করেন।

গত মঙ্গলবার (১৪ মে) বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত। সেই সঙ্গে পাঁচটি কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ এবং ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো- এগুলো ওষুধ নাকি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দিবেন।

এর আগে ওই দিন সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। এ সময় নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বলেন, এগুলোর একটিরও অনুমোদন নেই।

তিনি আরও বলেন, ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারেনা এগুলো ওষুধ না ড্রিংকস। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামীম ইকবাল। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। আমরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছি, শোনেনি কোনো কোম্পানি। কাজেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।


আরও খবর



শিল্পী সমিতির নির্বাচন বাতিল চেয়ে নিপুণের রিট

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (২০২৪-২৬) মেয়াদি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে নতুন নির্বাচন দাবি করে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার। বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় এ রিট আবেদন করেন।

রিটে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল ঘোষণা হয় শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে। ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং বিগত দুই মেয়াদের সফল সভাপতি মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন চলচ্চিত্রের মুভি লর্ড ও দানবীর খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

নির্বাচনে সভাপতি মিশা সওদাগর মোট ভোট পান ২৬৫টি। অন্যদিকে মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ডিপজল পান ২২৫ ভোট। ১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হন নিপুণ আক্তার (২০৯)। সহ-সভাপতি পদে ২৩১ ও ২৩৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয় মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। এছাড়াও সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান ২৩৭, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী ২৫৫, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো ২৯৬, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর ২৪৫, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ২৩৫ এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল ২৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয় ৯ জন। তারা হলেন সুচরিতা (২২৮), রোজিনা (২৪৩), আলীরাজ (২৩৯), সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন (২১৮), শাহনূর (২৪৫), নানা শাহ (২১০), রত্না কবির (২৬৩) ও চুন্নু (২৪৮)। কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি (২২০) ও সনি রহমান (২৩০)।


আরও খবর