চীন থেকে বাংলাদেশে
আসা আইসোলেশনে থাকা চারজনের মধ্যে একজনের নমুনায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরন বিএফ-৭ শনাক্ত
হয়েছে। এটি ওমিক্রনের ভয়ংকর সাব ভ্যারিয়েন্ট, যা দেশে প্রথম শনাক্ত হলো। রোববার (১
জানুয়ারি) রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ তথ্য জানায়।
গত ২৬ ডিসেম্বর চীন থেকে একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দরে আসেন চারজন। বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য স্ক্রিনিংয়ের সময় তাদের করোনা লক্ষণযুক্ত
মনে হওয়ায় অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়।
পরীক্ষায় পজিটিভ
রিপোর্ট এলে মহাখালী ডিএনসিসি হাসপাতালে তাদের আইসোলেশনে পাঠানো হয়। পরে তাদের নমুনা
জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য সংগ্রহ করা হলে একজনের শরীরে নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়।
গত ২৫ ডিসেম্বর
নতুন করে বেশ কয়েকটি দেশে কোভিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের সব বিমান, স্থল
ও সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিং বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়। সব বন্দরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন
টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নেয়ার জন্যও নির্দেশনা দেয়া
হয়েছে।
করোনার নতুন
যে ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে বিএফ-৭, সেটি বিএ-৫-এর একটি সাব ভ্যারিয়েন্ট। অন্য ভ্যারিয়েন্টের
চেয়ে এটার সংক্রমণ ক্ষমতা চারগুণ বেশি। এটির আরেকটি ভয়ানক দিক হচ্ছে খুব কম সময়ের মধ্যে
অনেক বেশি সংখ্যক মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে।