আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

দেশের ৪০ ভাগ চাহিদা পূরণ করছে মানিকগঞ্জের গাজর

প্রকাশিত:শনিবার ০২ এপ্রিল 2০২2 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ এপ্রিল 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গাজর উৎপাদনে খ্যাতি রয়েছে মানিকগঞ্জের। প্রায় ৫০ বছর ধরে জেলার সিংগাইর উপজেলার কৃষকরা এই পুষ্টিকর খাদ্যশস্য উৎপাদন করে আসছেন। শুরুর দিকে চাষাবাদ কম হলেও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গাজরের চাষাবাদ। মাত্র তিন মাসের মধ্যে এই অর্থকরী ফসলে অধিক লাভবান হওয়ায় কৃষকরা ধরে রেখেছেন চাষাবাদ।

অনুকূল আবহাওয়া আর উত্তম পরিচর্যায় চলতি মৌসুমের জেলার সিংগাইর উপজেলায় গাজরের ফলন ভালো হয়েছে। এদিকে ফলন ও পাইকারি বাজারে এ বছর গাজরের দাম ভালো থাকায় কৃষক ও ব্যাপারীরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।  অন্যদিকে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে সারা দেশের ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ গাজরের চাহিদা পূরণ করছে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার উৎপাদিত গাজর। ঢাকার কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজার, গাজীপুর, যাত্রাবাড়ি, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন পাইকারি মোকামে (বাজারে) এসব গাজর বিক্রি করা হয়।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সিংগাইর উপজেলার প্রায় ১০ হাজার কৃষক গাজর চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত। উপজেলার সদর ইউনিয়নের আজিমপুর, চরআজিমপুর, জয়মন্টপ, শায়েস্তা, জামির্ত্তা ইউনিয়নে গাজরের চাষাবাদ বেশি হয়। চলতি মৌসুমে সিংগাইর উপজেলায় কৃষকরা ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা গাজরের আবাদ করেছেন। এ বছর চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ১০০ হেক্টর। গত বছর এক হাজারের কিছু বেশি জমিতে গাজরের আবাদ হয়েছিল আর উৎপাদন হয়েছিল ৪১ মেট্রিক টন গাজর। যা প্রতি হেক্টর জমিতে গাজর উৎপাদন হয়েছিল ৪১ মেট্রিক টন।

চলতি মৌসুমেও গাজরের ফলন ভালো হয়েছে। এ বছর প্রতি হেক্টর জমিতে গাজরের ফলন হয়েছে ৪২ মেট্রিক টন করে। যার গড় হিসাব অনুযায়ী চলতি মৌসুমে গাজরের উৎপাদন হয়েছে ৪২ হাজার মেট্রিক টন। কৃষকরা এক বিঘা জমির গাজর পাইকারি ব্যাপারীদের কাছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে থাকেন বলে লাভবান কিছুটা কম হন। তবে কৃষকদের কাছ থেকে পাইকারিভাবে গাজর কিনে ব্যাপারীরা পাইকারি বাজারে বেশি দামে বিক্রি করায় লাভটা বেশি পান বলে জানায় কৃষি অধিদপ্তর।

সরেজমিন সিংগাইর উপজেলার নয়াডাঙ্গী এলাকায় জমি থেকে গাজর তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক পিয়ার আলী খান (৫৭)। সরেজমিনে আলাপ হলে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৩২ বছর ধরে গাজরের আবাদ করছি। নিজের ১২ বিঘা জমিসহ অন্যের কাছ থেকে কটে রাখা আরও ২০ বিঘা জমিসহ মোট ৩২ বিঘা জমিতে এবার গাজরের আবাদ করেছি। এতে আমার প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তবে ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ২০০ থেকে ২২০ মণ গাজর উৎপাদন হবে। এবার স্থানীয় বাজারসহ পাইকারি বাজারে গাজরের দাম ভালো পাওয়ায় মূলধন তোলার পরও বেশ লাভবান হব বলে আশা করছি।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাসিন্দা সেন্টু প্রামাণিক বলেন, প্রতিবছরের তিন মাস মানিকগঞ্জের সিংগাইরে গাজর তোলার কাজ করছি প্রায় ১৫ বছর। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাজর তুলে বস্তায় ভরি। এরপর জমি থেকে এসব গাজরের বস্তা ট্রাকে করে খোলায় (গাজর ধোঁয়ার জায়গা) নিই। সেখান সনাতন পদ্ধতিতে এসব গাজর পানি দিয়ে ধোয়ার পর আবার ট্রাকে তোলা হয়। এই কাজ করে প্রতিদিন আমাগো মজুরি হিসাবে ৭০০ টাকা থেকে ১০০০ হাজার টাকা পাই।

গাজরের সময় তিন মাস কাজ করে প্রায় লাখখানেক টাকা আয় করেন একই এলাকার শ্রমিক আবু বক্কর। তিনি বলেন, তিন মাস কাজ করে প্রায় লাখখানেক টাকা আসে। এ টাকা দিয়া সংসারের বিভিন্ন কাজ করি। হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে হয় গাজর তোলা, ধোয়ার কাজে। দীর্ঘদিন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছি। তয় গাজর চাষাবাদে কৃষক তেমন দাম না পেলেও পাইকারি ব্যাপারীরা ভালোই দাম পায়। কৃষকের ফলন ভলো না হলে চালানই (মূলধন) তোলা কষ্টসাধ্য হয়।

কৃষক আক্কাস আলী বলেন, এবার পাঁচ বিঘা জমিতে গাজরের চাষ করেছি। জমিতে হালচাষ, বীজ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি নিয়ে খরচ হয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। গাজর বিক্রি করেছি ২ লাখ ২০ হাজার টাকার। এবার মূলধন তুলনায় কিছুটা লাভ হয়েছে। তবে এক কেজি গাজরের বীজ কিনতে হয়ে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকায়। সরকার যদি বীজ, সারের দাম কমাইয়া দিত, তাহলে আমরা চাষাবাদ করে পরিবার নিয়া চলতে পারতাম।

ব্যাপারী নুরুল মিয়া বলেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে গাজরের ব্যবসা করছি। আমরা ব্যাপারীরা কৃষকদের কাছ থেকে মুক্তাদরে প্রতি বিঘা গাজর কিনি ৩০ থেকে ৭০ হাজার টাকা করে। ফলন ভালো হলে কৃষকরা ভালো দাম পায় আর ফলন ভালো না হলে কৃষকরা কম দাম পায়। তবে একেবারে যে কৃষকরা গাজর চাষ করে লোকসানে থাকে, বিষয়টা এমন নয়।

পাইকারি ব্যবসায়ী মো. সোবাহান গাজী বলেন, আমাগো সিংগাইরের গাজরে খেতে অনেক সুস্বাদু। যে কারণে রাজধানী ঢাকাসহ দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে এর চাহিদা রয়েছে। আমরা কৃষকদের কাছ থেকে গাজর কিনি প্রতি কেজি ১০ থেকে ১২ টাকা দরে। আর পাইকারি বাজারে বিক্রি করি ১৪ থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে। এ বছর প্রায় ২০০ বিঘা জমির গাজর কিনেছি। ঢাকার কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজার, গাজীপুর, যাত্রাবাড়ি, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন পাইকারি মোকামে (বাজারে) এই গাজর বিক্রি করা হয়।

মানিকগঞ্জ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বিপণন কর্মকর্তা মো. ফয়জুল ইসলাম বলেন, এ জেলার উৎপাদিত গাজর খেতে মিষ্টি ও সুস্বাদু। এ জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় এর চাহিদাও রয়েছে বেশ। যোগযোগব্যবস্থা ভালো থাকায় কৃষকরা ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি বাজারে এসব গাজর বিক্রি করতে পারছে। এতে তাদের পরিবহন খরচও কম লাগছে।

তিনি আরও বলেন, গাজর বিক্রির ক্ষেত্রে আমরা ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারের পাইকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কৃষকদের যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিই। যাতে কৃষকরা গাজর বিক্রি করে লাভ একটু বেশি করতে পারেন। তবে বেশির ভাগ কৃষক স্থানীয় ব্যাপারীদের কাছে গাজর মুক্তার দামে বিক্রি করে দেন। ফলে কৃষকরা ব্যাপারীদের তুলনায় কিছুটা লাভ কম পান।

নিউজ ট্যাগ: মানিকগঞ্জ

আরও খবর



হবিগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের হুরগাও গ্রামের হারুন মিয়া হত্যা মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ২১ বছর পর এ মামলার রায় এলো।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ-১-এর বিচারক মো: আজিজুল হক মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জালাল মিয়া, রুহুল আমিন, কুতুব আলী, ফজল মিয়া, রফিক মিয়া, জাকির হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন।

আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ছায়েদ মিয়া, মিজান মিয়া, আব্দুল মতলিব, কালা মিয়া, জিয়াউল হক, আয়াত আলী, ইছাক মিয়া, কুতুব আলী, জজ মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া।

২০০৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হুরগাও গ্রামে গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে হারুন মিয়াকে হত্যা করা হয়। একই দিন তার চাচাতো ভাই সুমন আহমেদ ৪৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২১ বছরে রাষ্ট্রপক্ষ ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনকে আদালতে উপস্থাপন করে। আসামিদের মধ্যে আটজন বিভিন্ন সময় স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করায় তাদেরকে হত্যা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

রায় ঘোষণার সময় একজন ছাড়া সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সালেহ উদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর



সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

Image

সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে এক মৌয়াল নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে। তবে শনিবার সকালে স্বজনদের খবর দেন সঙ্গে থাকা মৌয়ালরা।

নিহত মনিরুজ্জামান বাচ্চু গাজী (৪০) শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের মৃত. কাশেম গাজীর ছেলে।

নিহতের স্বজন আশিকুর রহমান জানান, বাচ্চু গাজী আমার দুলাভাই। সকালে খবর পেয়েছি বাঘের আক্রমণে তিনি নিহত হয়েছেন। মরদেহ নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন সঙ্গে থাকা মৌয়ালরা।

গাবুরা ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য আদিয়ার রহমান বলেন, ২৪ দিন আগে একসঙ্গে দশ জন মৌয়াল মধু সংগ্রহ করতে সুন্দরবনে যায়। সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে বাঘের আক্রমণে বাচ্চু গাজী নিহত হয়েছে। তারা মধু কাঁটতে কাঁটতে সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে গিয়েছিল। নৌকার মাঝি এ খবর মুঠোফোনের মাধ্যমে জানিয়েছে।

পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কর্মকর্তা ইকবাল হুসাইন চৌধুরী জানান, বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহতের খবর শুনছি। তবে এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।


আরও খবর



বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া, ৪ মে থেকে কার্যকর

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া। আগে যাত্রীদের ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব গেলে ভাড়ার ক্ষেত্রে ছাড় (রেয়াত) প্রত্যাহার করায় এ ভাড়া বাড়ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আগামী ৪ মে থেকে রেয়াত প্রত্যাহার করায় ট্রেনের ভাড়া সমন্বয় করা হবে।

ট্রেনের ভাড়া কেমন বাড়ছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা রেলওয়ের বাণিজ্যিক শাখা নির্ধারণ করবে।

এদিকে রেলসূত্র জানিয়েছে, ১০১ থেকে ১৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে একজন যাত্রীর রেয়াত কর ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ আর ৪০০ কিলোমিটার এর ওপরে ৩০ শতাংশ।

রেলসূত্র জানিয়েছে, মে মাসের ৪ তারিখে হতে যদি একজন যাত্রী ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করে তাহলে তাকে ভাড়া বেশি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের এই প্রস্তাবনা পাস করেছেন। যা এই মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

বাংলাদেশ রেলওয়ে এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে,  এতদ্দ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি প্রদান করা হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত’ রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনসমূহে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধুমাত্র বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।

এর আগে গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী রেলের ভাড়া বাড়ছে বলে জানিয়েছিলেন। সেসময় ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির গুঞ্জন উঠার পরে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, রেলের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই।

২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আর রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে। দূরত্বভিত্তিক রেয়াত সুবিধার কারণে দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ হয় দূরত্বের তুলনায় কম।


আরও খবর



উন্নয়ননের অপর নাম শেখ হাসিনা : মাহবুবুর রহমান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন হয় এটা সকলের জানা। সরকারের কাজ উন্নয়ন করা আর উন্নয়নের অপর নাম শেখ হাসিনা।

শনিবার ঢাকার দোহার উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান এ মন্তব্য করেন।

মাহবুবুর রহমান বলেন, আমার রাজনীতির জীবনে স্বপ্ন ছিলো তৃণমূলের মানুষদের সেবা করবো। মহান আল্লাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আমাকে সেই দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি আমাকে দেওয়া দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাচ্ছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

চেয়ারম্যান বলেন, আমি কারো মুখের কথায় কোনো উন্নয়ন কাজ করি না। আমি সরাসরি ওই এলাকায় গিয়ে যেসকল উন্নয়ন প্রয়োজন তাই করে দিচ্ছি।

এসময় দিনব্যাপি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২টি আরসিসি রাস্তা, একটি ড্রেন ও একটি মসজিদের উন্নয়ন ফলক উদ্বোধন করেন।

উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল রাজ্জাক, উপসহকারী প্রকৌশলী মোতালেব হোসেন, নারিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ শাহাবুদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, মোস্তফা মোল্লা, আজাদ খান, চঞ্চল মোল্লা, মুক্তার হোসেন, মেহেদী হাসান সাদ্দামসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীরা।

নিউজ ট্যাগ: দোহার

আরও খবর



পাসের হারে শীর্ষে যশোর, সর্বনিম্ন সিলেটে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড। আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বোর্ডে।

যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

এ ছাড়াও ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

এর আগে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ফলাফল দেখবেন যেভাবে

পরীক্ষার্থীকে ফল দেখতে ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। সেখানে থাকা Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএনর (EIIN) মাধ্যমে ফল জানা যাবে।

এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে সারা দেশের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪