আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঢাকার কাছেই ঘুরে আসুন বালু নদে

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যানজট ও কোলাহলে পিষ্ট রাজধানীবাসী খানিকটা স্বস্তি পেতে ছোটেন দূর দূরান্তের পাহাড় কিংবা সাগর-সলিলে। তবে কর্মব্যস্ততার চাপে হাঁসফাঁস লাগলেও সময়ের অভাবে কেউ কেউ পারেন না দূর দূরান্তের অমোঘ প্রকৃতিতে মিশতে। হাতে আধা বেলা সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন পূর্বাচলের বালু নদের পাড়ে। তেরো শত নদীর এ দেশে জালের মতো ছড়িয়ে আছে নদীগুলো। এসব নদ-নদীর মোহ জাগানো রুপের টানে অনেকেই ছুটে যান বারবার। তার উপর কর্কষ শহরের বিরক্তিকর জীবনে আরেকটু আয়েশ দিতে পারে নদীর সৌন্দর্য। ইট-পাথরের শহরে রাজধানীবাসীর নাগালে প্রকৃতি খুব কমই রুপ ছড়ায় বিধায় এখানকার মানুষজন প্রকৃতির কিঞ্চিৎ ছোঁয়া পেলেই আপ্লুত হয়ে পড়েন। প্রকৃতির অনাদরে পড়ে থাকা বালু নদ ও এর আশপাশের এলাকা আকর্ষণ করছে প্রকৃতি প্রেমীদের।

প্রকৃতিতে মিশতে এখানে আসুন: রাজধানীবাসীর কিছুটা স্বস্তির স্থান হতে পারে একমাত্র বৃক্ষশোভিত স্থান কিংবা ঢেউয়ের দোলায় দোদুল্যমান এই নদী। মনে বাড়তি রস জাগ্রত করতে যাপিত জীবনের উপর যদি কিছুটা প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রভাব আনা যায় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। কেবল বালু নদ নয়, নদের আশপাশ কিংবা পুরো পূর্বাচল এলাকার একটা কোনে বসে আপনি কাটিয়ে দিতে পারেন বিরক্তিকর দুপুর কিংবা স্নিগ্ধতার বিকেল। শহরের ইট কংক্রিটের আধিপত্য থেকে অল্প কয়েক কিলোমিটার উত্তরে বেড়েছে গ্রামীণ জনপদের আধিপত্য। সেখানে গেলে আপনি নদীর সঙ্গে মিশে স্বপ্ন বুনতে পারবেন নিরলস। ট্রলার কিংবা নৌকায় চড়ে কিছুক্ষণ ঘুরতে পারবেন। কখনো দেখবেন জেলেদের মাছ ধরার নিয়মতান্ত্রিকতা, কিংবা নদের পাড়ের নরম মাটিতে ঢেবে যাওয়া পায়ে ভর এগিয়ে যেতেই পায়ের নিচে টের পাবেন নদের ছোট মাছদের প্রাণ বাঁচানোর তাগিদ। এখনাকার মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবর্গের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ক্ষণিকের জন্য মিশেও যেতে পারেন আপনি। নদী পারাপারের মাঝিদের কায়িকশ্রম, জেলেদের মাছ ধরতে ধরতে ক্লান্ত হওয়া ঘর্মাক্ত দেহ, কিংবা এখানকার ছোট বড় কাঁচা দোকান-পাটের ব্যসায়ীদের বেঁচে থাকার লড়াই এবং জীবিকার তাগিদে গ্রামীণ নারীদের পরিশ্রমের চিত্র। এসব দৃশ্য আপনাকে চমকেই নিয়ে যেতে পারে আবহমান বাংলার মানুষদের চরিত্রে।

কী খাবেন: এখানে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি নানা রকম খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন। নীলা মার্কেট মিষ্টান্নের স্বর্গ। এখানে পাবেন স্পঞ্জ মিষ্টি, ছানা মিষ্টি, ছানা জিলাপি, বড় সাইজের বালিশ মিষ্টি, ছোট সাইজের বালিশ মিষ্টি, হরেক রকমের সন্দেশ, দই, দধিসহ প্রায় ১৫ প্রজাতির মিষ্টান্ন। মিষ্টি খেয়েই নেমে পড়ুন নদীর দিকে। একটু সামনে হেঁটে যেয়ে বাঁ দিকে তাকালেই চোখে পড়বে বালু নদের শান্ত রুপ। সামনে পা বাড়াতে বাড়াতে নদী যতই মন্ত্রমুগ্ধ করবে, তার সঙ্গে সঙ্গে মুগ্ধ করবে এখানকার বাহারী খাবারের দোকানগুলো। নদীর পাড়ে সারি সারি খাবারের দোকান। নদীর পাড়কে ঘিরেই তাদের যতসব বাহার। নদীর উঁচু পাড়ের উপর সারি সারি চেয়ার বিছিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। নদী দেখা আর পায়ের উপর পা রেখে চা খেতে এই জায়গার জুড়ি নেই। এখানকার একটি আকর্ষণীয় দিক হলো হাঁসের মাংস। একটু সামনে গেলেই চোখে পড়বে নারীরা উনুনে কেউ মাংস ভুনা করছেন, কেউ সাজিয়ে রেখেছেন রান্না করা লোভনীয় মাংস। প্রতিপ্লেট দুশো টাকা দরে বিক্রি হয় এই মাংস। প্রতি প্লেটে চার থেকে পাঁচ টুকরো হাঁসের মাংস পাওয়া যায়। সঙ্গে বিভিন্ন পিঠা কিংবা সাদা ভাতের ও ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন গ্রামীণ ফলফলাদি ও হকারদের দেখা যায় হরেক রকমের খাবার বিক্রি করতে। ঢাকা,গাজীপুর আর নারায়নগঞ্জকে স্পর্শকরা এই বালু নদের মূল প্রবাহ শীতলক্ষ্যা নদীতে। তুরাগ নদী কিংবা সুতি নদীর সঙ্গেও রয়েছে এই নদের যোগসূত্র। ঢাকা শহরের নিকটে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আঁধার এই নদ। নদীর দু'পাশের গাছ-গাছালি, গ্রামীণ পরিবেশ যে কাউকেই মুগ্ধ করতে বাধ্য। তাই স্বস্তির খোঁজে এখানে আসলে লোকসানের ঝুঁকি নেই।

কীভাবে যাবেন: কুড়িল চৌরাস্তা থেকে নারায়ণগঞ্জমুখী বিআরটিসি বাসে চড়ে বালু ব্রিজ নামবেন। সেখান থেকে রাস্তা পার হয়ে হেঁটে বা রিক্সা নিয়ে চলে যান নীলা মার্কেট। যারা সায়দাবাদ থেকে আসবেন তারা বলাকা, গাজীপুর পরিবহন, প্রভাতী বনশ্রী পরিবহন ইত্যাদি বাসে ছড়ে কুড়িল বিশ্বরোড নেমে চৌরাস্তা থেকে বিআরটিসি ধরবেন। এছাড়াও উত্তরা কিংবা আব্দুল্লাহপুর হয়ে যারা আসতে চান তাদের জন্য সুবিধাজন রুট হলো-খিলক্ষেত কাঁচা বাজার থেকে ব্যাটারীচালিত রিক্সা বা অটোতে উঠে সরাসরি নীলা মার্কেট(পূর্বাচল) ৷ অন্যদিকে গাবতলী থেকে বসুমতি পরিবহন, প্রজাপতি কিংবা পরিস্থান (এ ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল এসে বাস গুলো ধরতে হবে) পরিবহনে চড়ে কুড়িল বিশ্বরোড নেমে পড়বেন। তারপর রাস্তা পার হয়ে নীলা মার্কেটের বাস ধরুন।

নিউজ ট্যাগ: বালু নদ

আরও খবর



কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় অন্তঃসত্ত্বা মা ও ছেলের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরে গাছ পড়ে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার ৫ বছর বয়সী সন্তান নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিয়ামতপুর হাজিপাড়া ঘোনারবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছা. রুপ তারা (৪৫) এবং তার ছেলে তাইজুল ইসলাম (৫)।

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার দিবাগত রাত অনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় প্রচণ্ড ঝড় শুরু হলে করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর হাজিপাড়া ঘোনারবাড়ি গ্রামে কৃষক আ. কাইয়ুমের দোচালা টিনের ঘরে একটি গাছ উপড়ে পড়ে। এতে ঘর ভেঙে আ. কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছা. রুপ তারা এবং তার ছোট ছেলে তাইজুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় রুপ তারার মা আহত হয়েছেন।


আরও খবর



মোংলা বন্দরে এ মাসে ভিড়ল ৮টি কন্টেইনারবাহী জাহাজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

মার্কস লাইনের ১৮৬ মিটারের লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী মার্কস হাই পং কন্টেইনারবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরের ৯ নং জেটিতে আগমনের মধ্য দিয়ে করোনা মহামারি পরবর্তী মোংলা বন্দরের জেটিতে এক মাসে সর্বোচ্চ ৮ টি কন্টেইনারবাহী বাণিজ্য জাহাজ আগমনের রেকর্ড করে।

এ সময়ে জাহাজে ১৮৭৫ টিইইউজ কন্টেইনারজাত মালামাল আমদানি-রপ্তানি করা হয়।

এ সকল বাণিজ্যিক জাহাজের মাধ্যমে ফেবরিকস, মেশিনারি, আপেল, ট্রাই সাইকেলপার্টস, ইলেকট্রিক্যাল গুডস, হোয়াইট ক্লিংকার, ফার্টিলাইজার, ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, কপার ক্যাথোডস ইত্যাদি আমদানি এবং জুট, জুট গুডস, সিরিমপস, কার্বস, হোয়াইট ফিস, ক্লে টাইলস, ড্রাইড ফিস, মেশিনারি, গার্মেন্টস প্রোডাক্টস, কটন ইয়ার্ন ইত্যাদি রপ্তানি করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) মোংলা বন্দরের পি.পি জেটি নং-৭ এ সিংগাপুর পতাকাবাহী কোটা টেনেগা এবং এমভি কোটা রানচাক, এমভি মার্কস ভিলাডিভসটক, এমভি মার্কস কুইনজু, এমভি মার্কস চট্টগ্রাম, এমভি মার্কস ঢাকা বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে নোঙর করে। বর্তমানে বন্দর জেটিতে গড়ে প্রতি সপ্তাহে ২ টি করে কন্টেইনার জাহাজ আগমন করছে।

শিপিং এজেন্ট, মোংলা কাস্টমস এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন, চেম্বার অব কমার্স খুলনা ও বাগেরহাট, আমদানি-রপ্তানিকারক ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সাথে ধারাবাহিকভাবে মিটিং ও সমন্বয়সহ বন্দরে আধুনিক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট সংযোজনের ফলে জেটি থেকে দ্রুততার সাথে স্বল্প সময়ের মধ্যে কন্টেইনার খালাস বোঝাই সম্ভব হচ্ছে।

একই সাথে গিয়ারলেস জাহাজ হ্যান্ডলিং এর সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কন্টেইনারবাহী সমুদ্রগামী জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে বন্দর ব্যবহারকারীদের মোংলা বন্দরের প্রতি আস্থা বাড়ার পাশাপাশি তাদের সময় এবং অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে মোংলা বন্দর বদ্ধ পরিকর। বন্দরকে আধুনিক ও বিশ্বমানের স্মার্ট বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



‘শয়তানবাদ’ প্রচারের দায়ে ইরানে ২৬০ জন গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানে শয়তানবাদ’ প্রচারের দায়ে ২৬০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৭৩টি গাড়িও জব্দ করা হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে তিনজন ইউরোপীয় নাগরিকও রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে  ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারদের মধ্যে ১৪৬ জন পুরুষ ও ১১৫ জন নারী রয়েছেন। তাদের কাছ থেকে মদ ও নিষিদ্ধ মাদক জব্দ করা হয়েছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে তেহরানের পশ্চিমে অবস্থিত শাহরিয়ার শহরে অভিযান চালিয়ে শয়তানবাদ প্রচারকারীদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার নারী-পুরুষের পোশাক, মুখ ও চুলে শয়তানবাদের প্রতীক ছিল।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে তেহরানের কাছাকাছি একটি বাগানে অনুষ্ঠিত অননুমোদিত রক কনসার্ট চলাকালে শয়তানের উপাসনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরান পুলিশ।

এরপর ২০০৯ সালের জুলাই মাসে পুলিশ ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ আর্দেবিল থেকে একই অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। একই বছরের মে মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর শিরাজ থেকে শয়তান-উপাসক’ হিসেবে ১০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।


আরও খবর



ফের জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় তার আইনজীবী নিখিল কুমার সাহার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এক সপ্তাহের জন্য আদালতে প্রবেশ করতে মানা করা হয়েছে তাকে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী এক সপ্তাহ কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার সাহা। একই সঙ্গে অর্থ পাচারের মামলায় জি কে শামীমের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জি কে শামীমের জামিনের আদেশ কার্যতালিকার ৪ নাম্বার সিরিয়ালে ছিল, যা দেখে অবাক হয়ে যান প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, এটি কীভাবে আদেশের জন্য আসে, এ বিষয়ে শুনানিই তো হয়নি।

পরে আইনজীবী নিখিল কুমার সাহাকে এজলাসে ডাকেন প্রধান বিচারপতি। তিনি আইনজীবীকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, এটা কি করে হলো? এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি আইনজীবী নিখিল কুমার। এ সময় প্রধান বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চালাকি করেন? কটা টাকার জন্য এসব করেন! কেন করেন?’

পরে নিখিল কুমার সাহাকে এক সপ্তাহ মামলা না লড়তে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি পাল্টা যুক্তি দিতে চাইলে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, বেশি কথা বললে এক বছর নিষিদ্ধ করা হবে। এর আগেও জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল হাইকোর্টে। ২০২০ সালে মার্চ মাসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, মাসখানেক আগে করা জামিন আবেদনে পুরো নাম উল্লেখ করেননি তিনি। যদিও জামিন আদেশে ঠিকই লেখা ছিল পুরো নাম।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আলোচিত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় আটক সাবেক যুবলীগ নেতা ও প্রভাবশালী ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে তিনি জি কে শামীমকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। ২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে নাটকীয় এক অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছিল।


আরও খবর



৮ শিক্ষকের মাদ্রাসায় দুই পরীক্ষার্থী, তারাও ফেল

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে অংশ নিয়েছিল দুই পরীক্ষার্থী। তাদের কেউ এবার দাখিল পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। অথচ তাদের পড়ানোর জন্য ছিল আটজন শিক্ষক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবারের দাখিল পরীক্ষায় বসার জন্য ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ফরমফিলাপ করেছিল মাত্র আটজন। তাদের মধ্য থেকে দুজন সাধারণ বিভাগ থেকে অংশ নেয় দাখিল পরীক্ষায়। কিন্তু তারা সবাই ফেল করেছে।

ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, করোনার প্রাদুর্ভারের পর থেকে ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার মান তলানিতে নেমে যায়। মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাদের ক্লাস নিতেন না। ফলে তাদের এবার ফলাফল খারাপ হয়ে গেছে।

ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেনটেন্ড এজাজুল হক বলেন, এ প্রতিষ্ঠান থেকে আটজন দাখিল পরীক্ষার জন্য ফরমফিলাপ করে। তাদের মধ্য থেকে দুজন দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, তারা দুজনই ফেল করেছে।

ফল খারাপ হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানটি এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। এখানে আটজন শিক্ষক আছে, তারা কেউই বেতন-ভাতা পান না। যার কারণে তারা অন্য কাজ করেন। যার কারণে তারা ক্লাস নিতে আগ্রহী নন। যদি মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হয় তাহলে শিক্ষার মান আরও বাড়বে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহমেদ মাহবুব-উল- ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে পর্যবেক্ষণে রাখার পাশাপাশি এবারের ফলাফল কেন এত খারাপ হলো অবশ্যই যাচাই-বাছাই করা হবে।

ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসাটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিক।

নিউজ ট্যাগ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ

আরও খবর