আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

দরিদ্রদের প্রতি ইসলামের সম্মান

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,

و اصبر نفسك مع الذين يدعون ربهم بالغداة و العشي يريد وجهه و لا تعد عيناك عنهم

و اصبر نفسك مع الذين يدعون ربهم بالغداة و العشي يريد وجهه

و لا تعد عيناك عنهم تريد زينة الحيوة الدنيا

এ অয়াতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সম্বোধন করে বলা হচ্ছে, আপনি নিজেকে তাদের সঙ্গে রাখুন যারা সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর সন্তুাষ্টির উদ্দেশ্যে তার উপাসনা করে। কখনো এমন যেন না হয়, আপনার দৃষ্টি তাদের থেকে সরে পার্থিব জীবনের চাকচিক্যের প্রতি নিবদ্ধ হয়, অর্থাৎ আপনি ভাবতে থাকেন-এরা দরিদ্র ও সাধারণ প্রকৃতির লোক। তাদের প্রতি দৃষ্টিপাতের কী প্রয়োজন? আপনি সম্পদশালীদের প্রতি মনোনিবেশ করতে থাকেন।

বন্ধুসুলভ ভর্ৎসনা: 

সমস্ত কোরআনে দুতিনটি স্থান এমন, যেখানে আল্লাহ তায়ালা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামান্য ভর্ৎসনা করে বলেন, আপনার এ কাজ আমার পছন্দ হয় না। তন্মোধ্যে একটি হলো, সূরা আবাসা। যার ঘটনাটি এমন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে মুশরিকদের কতিপয় সরদার এসেছিল।

তিনি ভাবলেন, যেহেতু তারা সরদার যদি তাদের সংশোধন হয়ে যায়, তাদের মাধ্যমে পুরো জাতির সংশোধনের পথ খুলে যাবে। এ কারণে তাদেরকে দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দেয়ার অধিক গুরুত্ব তার অন্তরে সৃষ্টি হয়ে যায় এবং তাদের প্রতি নিবিষ্ট হয়ে যান। ইতিমধ্যেই হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম যিনি অন্ধ সাহাবি ছিলেন, যাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববীর মুয়াজ্জিন নির্দিষ্ট করেছিলেন, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে এসে কোনো মাসআলা জিজ্ঞেস করেত  লাগলেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভাবলেন, এ তো আমার নিজের লোক প্রতিদিন সাক্ষাত হয়, এখন তাকে মাসআলা না বলে পরে বলে দেব। তাই তিনি তাকে বললেন, তুমি একটু অপেক্ষ করো, আমি মুশরিক নেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ব্যস্ত আছি, যেন তাদের ইসলাম গ্রহণের তাওফিক হয়ে যায়। কারণ যদি তারা মুসলমান হয়ে যায়, তাহরে পুরো সম্প্রদায়ের মুসলমান হওয়ার পথ খুলে যাবে।

ব্যস, ঘটনা এতটুকুই। তবে আল্লাহ তায়ালা এর ওরপর সতর্ক করেছেন এবং এই আয়াত নাজিল করেছেন,

عبس و تولى أن جاءه الأعمى

এ আয়াতে রাসূল (সা.)-কে অনুপস্থিত শব্দে সম্বোধন করেছেন। তিনি ভ্রুকুঞ্চিত করলেন এবং মুখ ফিরিয়ে নিলেন। কারণ তার কাছে অন্ধ লোকটি এসে পড়েছিল।  যেন এ কাজটি আল্লাহ তায়ালার পছন্দ হয়নি।

و ما يدريك لعله يزكى، أو يذكر فتنفعه الذكرى

তোমার কি জানা আছে? হয়ত সে শুধরে যেত। অথবা উপদেশ গ্রহণ করত এবং উপদেশ দান  তার উপকারে আসত

أما من استغنى، فأنت له تصدى

আর যে ব্যক্তি অগ্রাহ্য করছিল (আগ্রহ নিয়ে আপনার কাছে আসেনি, বরং দ্বীনের প্রতি অনাগ্রহ প্রকাশ করছে) আপনি তার প্রতি মনযোগ দিচ্ছেন আর চিন্তা করছেন,

و ما عليك ألا يزكى

অথচ সে নিজেকে না শোধরালে আপনার ওপর কোনো দায়িত্ব বর্তায় না। (যখন তার ভেতরে কোনো আগ্রহ নেই বরং অনাগ্রহ আছে, আপনাকে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে না।)

و أما من جاءك يسعى و هو يخشى فأنت عنه تلهى

পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি দৌড়ে তোমার কাছে আসল এবং সে অন্তরে আল্লাহর ভয় পোষণ করে, তার প্রতি তুমি অবজ্ঞা প্রদর্শন করছ!

আগ্রহীকে প্রাধান্য দেয়া চাই:

এতে নবী করিম (সা)-কে বন্ধুসুলভ ভর্ৎসনা করা হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উদ্দেশ্য কখনোই এটা ছিল না-এ দুর্বল লোক আর ও শক্তিশালী। তাই একে উপেক্ষা করে ওর প্রতি মনোনিবেশ করবেন। বরং তার অন্তরে এ কল্যাণকামিতা ছিল, এ তো নিজের লোক, তার সঙ্গে পরেও কথা বলা যাবে, আর তারা দ্বিতীয়বার আসবে কি না জানা নেই।

তাই তাদের কাছে সত্যের বাণী পৌঁছে দেয়া উচিত। তবে আল্লাহ তায়ালা এটা পছন্দ করেননি। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি আগ্রহ নিয়ে এসেছে সে অগ্রাধিকার পাবে ওই ব্যক্তির উপর যে আগ্রহ নিয়ে বসেনি এবং উপেক্ষা প্রকাশ করেছে। তার প্রতি মনোনিবেশ করার প্রয়োজন নেই।  বরং যে আগ্রহ নিয়ে এসেছে তার প্রতি মনোনিবেশ করা চাই।

এ আয়াতগুলোতে যদিও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সম্বোধন করা হয়েছে, তবে তার মাধ্যমে পুরো উম্মতকে এ শিক্ষা দেয়া হয়েছে, বাহ্যত সাধারণ কোনো ব্যক্তিকে বাস্তবেই সাধারণ মনে করো না। কারণ জানা নেই আল্লাহ তায়ালার কাছে সে মর্যাদায় কোনো স্তরে আছে। তাই তাকে সম্মান করা চাই।

বেহেশতি ও দোযখীদের আলোচনা: আল্লামা নববী (রহ.) এ প্রসঙ্গে প্রথম এ হাদিস বর্ণনা করেছেন-

عن حارثة وهب رضي الله عنه قال، سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول : ألا أخبركم بأهل الجنة؟ كل ضعيف مستضعف لو أقسم على الله لأبره، ألا أخبركم بأهل النار؟ كل عتل جواظ مستكبر.

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে সম্বোধন করে বলেন, তোমাদেরকে বলবো জান্নাতে কারা? এরপর বলেন, প্রত্যেক যে ব্যক্তি দুর্বল এবং মানুষ যাকে দুর্বল মনে করে, হয়ত সে শারীরিক বা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হবে অথবা মর্যাদা হিসেবে দুর্বল হবে, অর্থাৎ দুনিয়াদারদের কাছে তার মর্যাদা কম।

তবে সে আল্লাহ তায়ালার কাছে এত প্রিয় যে, যদি সে আল্লাহর নামে শপথ করে, আল্লাহ তার শপথ পূর্ণ করে দেন। যদি সে শপথ করে বলে, অমুক কাজ এভাবে হবে, আল্লাহ তায়ালা ওই কাজ ওইভাবে করে দেন। কারণ সে আল্লাহ তায়ালার প্রিয় ব্যক্তি। আল্লাহ তায়ালা তার ভালোবাসার কারণে এরূপই করে দেন।

আল্লাহওয়ালাদের মর্যাদা:

হাদিস শরিফে আছে, একদা দুই নারীর মাঝে ঝগড়া হয়ে গেছে। ঝগড়ায় এক নারী অন্য জনের দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছে। ইসলামি আইন অনুযায়ী দাঁতের বদলা দাঁত। যখন এ শাস্তি শোনানো হলো, যে নারীর দাঁত ভাঙ্গার ফয়সালা হলো তার পৃষ্ঠপোষক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি শপথ করে বলছি, তার দাঁত ভাঙ্গবে না।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিদ্ধান্তের ওপর আপত্তি করা তার উদ্দেশ্য ছিল না। শত্রুতাও না। বরং আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা বলে দিয়েছে অবস্থা এমন সৃষ্টি হয়ে যাবে, আল্লাহ চাহে তো তার দাঁত ভাঙ্গবে না। যেহেতু তার অনুভূতি শত্রুতামূলক ছিল না এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিদ্ধান্তের ওপর আপত্তি করা উদ্দেশ্য ছিল না, এ জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কথাটি খারাপ মনে করেননি।

যেখানে ইসলামে এ আইন আছে-দাঁতের বদলা দাঁত, চোখের বদলা চোখ, সেখানে ইসলামে এটাও রয়েছে-আক্রান্ত ব্যক্তি বা তার ওয়ারিসগণ যদি ক্ষমা করে দেয় তাহলে কিসাস রহিত হয়ে যাবে। বদলা নেয়ার কোনো প্রয়োজন থাকবে না। আল্লাহ তায়ালার করুণা, যে মহিলার দাঁত ভেঙ্গেছিল সে বলল, আমি মাফ করে দিলাম। তার ক্ষমা করায় কিসাসের অবসান হলো। তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কোনো কোনো লোক আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রিয় হয়ে থাকে। তাদের বাহ্যিক অবস্থা হলে,  এলামেলো চুল, দুর্বল, কারো দরজায় গেলে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। তবে আল্লাহ তায়ালার কাছে তার এতো সম্মান যে, যদি সে আল্লাহর নামে কোনো শপথ করে বসে, আল্লাহ তার শপথ পূর্ণ করে দেন। এই ব্যক্তিও এমন, সে শপথ করে বলেছিল তার দাঁত ভাঙ্গা হবে না। আল্লাহর তার শপথ পূর্ণ করে দিয়েছেন। ওয়ারিশরা ক্ষমা করে দিয়েছে।

এ হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এদিকে ইঙ্গিত করলেন, এমন ব্যক্তি যে দেখতে দুর্বল, মানুষ তাকে দুর্বল মনে করে, তবে খোদাভীতি, আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে সম্পর্ক ও আল্লাহর এবাদতের বিচারে সে আল্লাহ তায়ালার এত প্রিয় যদি সে আল্লাহর নামে শপথ করে, আল্লাহ তায়ালা তা পূর্ণ করে দেন। এরূপ লোকই জান্নাতি।

কঠোর স্বভাব ক্ষতিকারক:

এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে বলবো জাহান্নামী কারা? তারপর বললেন,

كل عتل جواظ مستكبر

প্রত্যেক যে ব্যক্তি কঠোর স্বভাবের হয়

এর অর্থ কঠোর স্বভাবের, রুঢ় ব্যক্তি, যে নম্ররতার সঙ্গে কথা বলে না। কঠোরতা ও ক্রোধের সঙ্গে কথা বলে, অন্যকে তুচ্ছ মনে করে। جواظ অর্থ চড়া মেজাজ, যার ললাটে সর্বদা ভাঁজ পড়ে থাকে, সাধারণ প্রকৃতির মানুষের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত হয় না। দুর্বল ও নিম্ন শ্রেণির লোাকদের সঙ্গে কথা বলাতে অপমানবোধ করে। সর্বদা আত্মম্ভরী থাকে।

مستكبر অহংকারী, যে নিজেকে বড় মনে করে এবং অন্যকে ছোট মনে করে। এ সকল গুণাবলীর অধিকারীদের ব্যাপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন জাহান্নামী। কারণ তারাই عتل, جواظمستكبر এবং তারা নিজেকে বড় মনে করে।

দরিদ্র লোক:

একদা মক্কার কাফেররা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলল, আমরা তো আপনার কাছে আসতে ও আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত আছি, তবে সমস্যা হলো আপনার কাছে সর্বদা সাধারণ প্রকৃতির দরিদ্র লোক বসে থাকে। তাদের সঙ্গে বসা আমাদের মর্যাদারপরিপন্থী। তাই আপনি তাদের ও আমাদের আলাদা আলাদা বসার ব্যবস্থা করুন। তখন আমরা আপনার কাছে এসে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত আছি।

বাহ্যত এতে কোনো মন্দত্ব ছিল না। তাদের জন্য ভিন্ন সময় নির্দিষ্ট করা হতো, সে সময় তারা দ্বীনের কথাবার্তা শুনতো। হয়ত দ্বীনের কথা শুনলে তাদের সংশোধন হয়ে যাবে। আমরা হলে তো মেনে নিতাম। আল্লাহ তায়ালা তৎক্ষণাত আয়াত অবতীর্ণ করেছেন-

و لا تطرد الذين يدعون ربهم بالغداة و العشي يريدون وجه

তাদেরকে বিতারিত করো না যারা তাদের প্রতিপালককে ডাকে সকাল-সন্ধ্যা তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য

এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা করে দিলেন, সত্যের আগ্রহ নিয়ে আসতে চাইলে তাদের সঙ্গে বসতে হবে। আর যদি বসতে না চাও তাহলে আল্লাহ ও তার রাসূল তোমাদের থেকে অমুখাপেক্ষী। তোমাদের জন্য ভিন্ন মজলিসের আয়োজন করা হবে না।


আরও খবর



৪১৯ যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল হজের প্রথম ফ্লাইট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৪১৯ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে হজের প্রথম ফ্লাইট ছেড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (০৯ মে) সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৩০১ ফ্লাইটটি সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান হজের প্রথম ফ্লাইট উদ্বোধন করেন। এর আগে, গতকাল বুধবার রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে এবারের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ হতে পারে। তবে ভিসা কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি। এই কাজ শেষ করতে দ্বিতীয় দফায় আগামী ১১ মে পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৬ হাজার ৫২৭ জন হজযাত্রী পরিবহন করা হবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৫০ শতাংশ হজযাত্রী পরিবহন করবে, যার সংখ্যা ৪৩ হাজার ৮৯৯ জন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রি-হজে মোট ১১৬টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে জেদ্দায় ৮২টি, চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দায় ১৭টি, সিলেট থেকে জেদ্দায় ৫টি, ঢাকা থেকে মদিনায় ৯টি, চট্টগ্রাম থেকে মদিনায় ২টি এবং সিলেট থেকে মদিনায় একটি।

এ ছাড়া হজ শেষে পোস্ট হজে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস মোট ১২৫টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে জেদ্দা থেকে ঢাকাতে ৭৩টি, জেদ্দা থেকে চট্টগ্রামে ১৫টি, জেদ্দা থেকে সিলেটে ২টি, এছাড়া মদিনা থেকে ঢাকা ২২টি, মদিনা থেকে চট্টগ্রামে ৯টি এবং মদিনা থেকে সিলেটে ৪টি।


আরও খবর



ঢাকার বিষাক্ত বাতাসে উচ্চমাত্রায় ক্যান্সারের উপাদান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকার বাতাসে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী আর্সেনিক, সিসা ও ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণে রয়েছে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি এবং ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহারকারী শিল্প, কয়লাভিত্তিক ইটভাটা এবং যানবাহন এসব রাসায়নিক উপাদানের উচ্চ ঘনত্বের জন্য দায়ী। বিশ্বের ২৭টি স্থানের বাতাস নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়েছে।

এলিমেন্টাল ক্যারেক্টারাইজেশন অব অ্যাম্বিয়েন্ট পার্টিকুলেট ম্যাটার ফর এ গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউটেড মনিটরিং নেটওয়ার্ক: মেথডোলজি অ্যান্ড ইমপ্লিকেশনস নামে এই গবেষণাটি গত ১০ মার্চ এসিএস ইএস অ্যান্ড টি এয়ার জার্নালে প্রকাশিত হয়।

গবেষণায় শহরের বাতাসে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে এমন আরেকটি উপাদান কোবাল্টের উচ্চ মাত্রায় উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা-ই একমাত্র স্থান যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু উভয়ের ক্যান্সার সৃষ্টির ঝুঁকি মানদণ্ড ছাড়িয়েছে।

সারফেস পার্টিকুলেট ম্যাটার নেটওয়ার্ক বিশ্বের একমাত্র সংস্থা যারা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের বাতাসে সূক্ষ্ম কণার ঘনত্ব পরিমাপের মাধ্যমে কোন কোন এলাকার বাতাসে রাসায়নিক উপাদানের ঘনত্ব বেশি তা শনাক্ত করে।

গবেষকরা বাতাসে ধূলিকণা, রাসায়নিক উপাদানের বিস্তার ও মানুষের স্বাস্থ্যে এসবের প্রভাব মূল্যায়ন করতে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করেন।

গবেষকদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম। তিনি জানান, বাংলাদেশের পরিবেশে সীসার দূষণের কারণে বাতাসেও বিপজ্জনক মাত্রায় এর উপস্থিতি দেখা গেছে।

তিনি বলেন, একসময় বাতাসে সীসার ঘনত্ব অনেক বেশি ছিল। তারপরে এটি অনেক হ্রাস পায়। আমরা সাধারণত প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ৪০০ থেকে ৫০০ ন্যানোগ্রাম পেতাম। কিন্তু এখন আবার এক হাজারেরও বেশি ন্যানোগ্রাম পাওয়া যাচ্ছে।'

গবেষণায় ঢাকার বাতাসকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাওয়া যায়, এর পরেই রয়েছে ভারতের কানপুর, ভিয়েতনামের হ্যানয়, সিঙ্গাপুর, চীনের বেইজিং এবং তাইওয়ানের কাওসিউং।


আরও খবর



বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটির সভাপতি নিযুক্ত হলেন ড. শৌকত আকবর

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং এনপিসিবিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর গত শনিবার বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটির বার্ষিক সাধারণ সভায় সোসাইটির সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ড. আকবরকে পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটির ফেলো হিসাবেও ভূষিত করা হয়েছে। বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. শৌকত আকবর ১৯৬৬ সালে কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি জাপানের হোক্কাইডো ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ড. আকবর ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে কমিশনে একজন বিজ্ঞানী হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।


আরও খবর



সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়ার লতিফের ছিলা এলাকায় লাগা আগুন ২৬ ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রোববার বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো।

তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক, বনরক্ষী, ফায়ার সার্ভিস, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। আগুন লাগা এলাকার বাইরে থেকে ফায়ার লাইন কাটা হয়েছে। যেন আগুন ছড়িয়ে পড়তে না পারে। এখন আগুন পুরো পুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বনে লাগা আগুন সাধারণত নিভে যাওয়ার পরও কোথাও কোথাও পুনরায় দেখা দিতে পারে। এজন্য আগামীকালও ফায়ার সার্ভিসসহ বনবিভাগ এখানে কাজ করবে।

তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট জিউধরা ফরেস্ট স্টেশন এলাকার বনে প্রবেশের সকল পাশ-পারমিট বাতিল করা হয়েছে।

সুন্দরবন পুর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী নুরুল করিম বলেন, কী কারণে, কিভাবে এবং আগুন লেগেছে তার এখনও সঠিক কারণ বের করা যায়নি। পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধার স্টেশন অফিসার মোঃ ওবায়দুর রহমান এবং ধানসাগর স্টেশন অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে আগুন লাগার সঠিক কারণের প্রতিবেদন জমা দেবেন এই কমিটি।

এরআগে শনিবার বিকাল ৩টার দিয়ে সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এদিন বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছেও প্রতিকূলতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করতে পারেনি।

রবিবার (৫ মে) সকালেই সুন্দরবনের আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটসহ নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়।


আরও খবর



বাংলাদেশকে ১২৫ রানের লক্ষ্য দিলো জিম্বাবুয়ে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অতিথিদের হাত খুলে ব্যাট করতে দেয়নি বাংলাদেশ। পেস-স্পিনের ইন্দ্রজালে জিম্বাবুয়েকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে অল্পতেই আটকে রেখেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তাতে ২০ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অভিজ্ঞ ক্রেইগ এরভিনকে হারায় জিম্বাবুয়ে। শেখ মেহেদীর বল হালকা টার্ন করে আঘাত হানে স্টাম্পে। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় তাকে।

এর আগে অবশ্য প্রথম ওভারে শরিফুল ইসলামকে দুইবার সীমানার ওপারে পাঠিয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন এই ম্যাচ দিয়ে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অভিষিক্ত ওপেনার জয়লর্ড গামবি।

নিজের দ্বিতীয় ওভারেও মার খেতে হয় শরিফুলকে। তার প্রথম তিন বলে টানা তিন চার হাঁকান তিনে নামা ব্রায়ান বেনেট।

এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। ৩৬ থেকে ৪১ এই ৫ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হাওয়া জিম্বাবুয়ের।

১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফিরে সাইফউদ্দিন তুলে নেন ওপেনার গামবির (১৭) উইকেট। শেখ মেহেদীর করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের প্রথম বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেটও (১৬)। পরের বলে ক্রিজে এসেই শেখ মেহেদীর বলে স্লিপে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাও (০)। রিভিউ নিতেও বাঁচতে পারেননি তিনি।

অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামস আর রায়ান বার্লও রাজার মতোই গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফেরেন। এমন ব্যাটিং ধসে দিশেহারা জিম্বাবুয়ের হাল ধরেন ক্লাইভ মাদান্দে এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। শুরুটা একদম ধীরগতির হলেও ক্রমেই দুজন দ্রুত রান তোলায় মনোযোগী হন। অষ্টম উইকেটে তাদের গড়া ৭৫ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন। ব্লক হোলে বল ফেলে মাদান্দের প্রতিরোধের ইতি টানেন তিনি। ৩৯ বলে ৬ চারে ৪৩ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা।

বাংলাদশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দুই উইকেট যায় শেখ মেহেদীর ঝুলিতে।


আরও খবর