নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতায় পাবনার আটঘরিয়ায়
পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় বিজয়ী প্রার্থীর ৫ সমর্থককে কুপিয়ে জখমের
অভিযোগ উঠেছে। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের আসবাবপত্র ও ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর
করা হয়।
সোমবার (৩ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ
হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- জিয়া (৩৫), বুলবুল ফকির (৪০),
রনি (২৬), জাহিদ (৩০), ভোলা (২২)। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় জিয়াকে পাবনা জেনারেল
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের আটঘরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান
মো. তানভীর ইসলাম ও তার সমর্থকদের অভিযোগ, উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে থেকে রাত সাড়ে
১১ টার দিকে নেতাকর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে ইশারত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে পৌঁছালে আগে
থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী মো: সাইফুল
ইসলাম কামালের সমর্থক জুয়েল, শাহ আলম ও প্রিন্স নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত কর্মী
সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে পাঁচজনকে
আহত করে।
নড়িয়ায় পঞ্চাশ বছরের অবৈধ খাল দখলমুক্ত
করলেন ইউএনও পরে তারা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢুকে আসবাবপত্র, টেলিভিশন, বঙ্গবন্ধুর
ছবি ও তিনটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল
ইসলাম কামাল বলেন, আমার ঘোড়া প্রতীকে যারা নির্বাচন করেছে তাদের উপর নেমে এসেছে জুলুম
হামলা ও মারধর। আমার নেতাকর্মীদের ঠিকমতো বাড়ি থেকে বের হতে দেয়া, কাজ কর্মে যাওয়ায়
বাধাসহ প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রয়েছে। বিজয়ী প্রার্থী নিজে থেকে ঘটনা সাজিয়ে সেটা
আমার ও আমার নেতাকর্মী সমর্থনদের উপর চাপাচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন
করেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম। তিনি বলেন, ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক
না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে এলাকা শান্ত রয়েছে।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
হাদিউল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেলেই মামলা দায়ের করা হবে।