আজঃ রবিবার ৩০ জুন ২০২৪
শিরোনাম

সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের খাল এবং সড়কের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু করা হয় এই উচ্ছেদ অভিযান।

অভিযানের খবর পাওয়ার পর ইতোমধ্যে সাদিক অ্যাগ্রোর বেশ কিছু গরু সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া খাল ও সড়কের জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে রাখা অস্থায়ী কিছু স্থাপনাও সরিয়ে নিয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিক থেকে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার সাদিক অ্যাগ্রোর সামনে ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় এবং খালের জায়গায় থাকা বেশ কিছু স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে তারা। এ ছাড়া বুধবার রাত থেকেই বেশ কিছু গরু-ছাগল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযান চালাতে প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্স মোতায়েন চেয়ে ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম স্বাক্ষরিত ওই চিঠি ডিএমপিকে দেওয়া হয়।


আরও খবর



গাজা ইস্যুতে নীরব টেইলর সুইফট, সরব ভক্তরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুলেছে 'অল আইজ অন রাফাহ' হ্যাশট্যাগ। বিশ্বের অনেক তারকা রাফায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জোরাল অবস্থান নিয়েছেন। তবে মার্কিন পপস্টার টেইলর সুইফট এখনো কিছু বলছেন না। এবার ভক্তরা তাকে এ বিষয়ে সরব হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

টেইলর সুইফটের ফ্যানবেস ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে #SwiftiesForPalestine হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছেন। এর মাধ্যমে মূলত তারা সুইফটকে গাজায় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে নীরবতা ভাঙার আহ্বান জানিয়েছেন।

গাজায় গণহত্যার ঘটনায় নীরব থাকায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে দুই লাখের বেশি ফলোয়ার হারিয়েছেন সুইফট।

এ ব্যাপারে এক এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, টেইলর সুইফট, আপনার নীরবতা ভেঙে এখন সরব হওয়া উচিত। এ ধরনের পরিস্থিতিতে কথা বলা উচিত।

আরেকজন লিখেছেন, এখন কথা বলুন #SwiftiesForPalestine, রাফায় শিশুদের জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে এবং শিরশ্ছেদ করা হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের একটি বাস্তুচ্যুত শিবিরে অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়। যাদের মধ্যে কেউ কেউ জীবন্ত পুড়ে মারা যায়। এর একদিন পর একই এলাকায় দ্বিতীয় দফায় ২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।

গত বছরের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই সুইফট খবরের শিরোনামে ছিলেন, যখন সফররত তার এক দেহরক্ষী ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেছিলেন বলে জানা গেছে।

এ পর্যন্ত ইসরাইলের নির্মম ও নির্বিচার হামলায় ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগ মহিলা ও শিশু নিহত হয়েছে।


আরও খবর



বান্দরবানে যৌথ অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম ভান লাল খিয়াং বম। তিনি জুরভারং পাড়ার বাসিন্দা লাল মিন সম বমের ছেলে। বুধবার (১২ জুন) সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে সেনাবাহিনীর একটি দল পাইন্দু ইউনিয়নের জুরভারং পাড়ায় অভিযান চালালে কেএনএফ সদস্যদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে কেএনএফ সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকজন ঝিরির নিচে পড়ে যায়। সেখানে সেনা সদস্যরা তল্লাশি চালিয়ে একজনের মরদেহ দেখতে পান।

পরে বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে প্রাথমিক সুরতহালে পুলিশ মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে।

এ বিষয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, রুমার জুরভারং পাড়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে এক কেএনএফ সদস্য নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে এখনও অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল ব্যাংক ডাকাতিসহ ম্যানেজারকে অপহরণ করে কেএনএফের সদস্যরা। এরপর থেকে তাদের ধরতে যৌথ অভিযান শুরু হয়। এখন পর্যন্ত অভিযানে সংগঠনটির ৯৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও খবর



তিল ধারণের ঠাঁই নেই ট্রেনে, দরজায় ঝুলে বাড়ি ফিরছে মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোরবানি ঈদের বাকি আর মাত্র দুইদিন। স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরই মধ্যে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন নগরবাসী। ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। ট্রেনে জায়গা সংকুলান না হলেও যে কোনো মূল্যে বাড়ি ফিরতে চান সবাই। উপায় না পেয়ে দরজায় ঝুলেও ট্রেনের সঙ্গে স্টেশন ছাড়ছেন অনেকে।

শনিবার (১৫ জুন) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস। ট্রেন থামার পর যাত্রীরা একে একে আসতে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে যায় বগি। এরপরও আসতে থাকেন যাত্রীরা। বগিতে জায়গা না পেয়ে ট্রেনের টয়লেটের সামনে, দুই বগির মাঝখানে ও দরজায় অবস্থান নেন অনেকেই।

ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ আগে দরজায় ঝুলতে থাকেন অনেকেই। সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে স্টেশন ছেড়ে যায় একতা এক্সপ্রেস। এসময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের দরজায় ঝুলে থাকতে দেখা যায় অনেক যাত্রীকে। কেউ কেউ দরজায় ঝুলে থাকার জায়গাও না পেয়ে নিরাশ হয়ে স্টেশনে অপেক্ষা করতে থাকেন পরের ট্রেনের জন্য।

এমনই একজন মিনহাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, যদি ঝুলে যাওয়ার একটু জায়গা পেতাম তাও ট্রেনে উঠে পড়তাম। এখন কী করবো ভাবছি, বাড়ি তো যেতেই হবে। আগে তো মানুষ ট্রেনের ছাদে উঠেও বাড়ি যেত। কিন্তু এবার নিরাপত্তাকর্মীরা ট্রেনের ছাদে অবস্থান নেওয়ায় কোনো যাত্রী ছাদে উঠতে পারেননি।


আরও খবর



দুই ঘণ্টার চেষ্টায় চট্টগ্রামে ঝুটের গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

নিয়ন্ত্রণে এসেছে চট্টগ্রাম নগরের উত্তর কাট্টলী এলাকার একটি ঝুটের গোডাউনের আগুন। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে সিটি গেট মোস্তফা হাকিম ডিগ্রি কলেজের পাশের একটি গোডাউনে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, সকালে উত্তর কাট্টলী এলাকার একটি গার্মেন্টসের পাশে থাকা ঝুট গোডাউনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের ছয়টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এখনও আগুন নির্বাপনের কাজ চলছে। আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আগুন পুরোপুরি নির্বাপনের পর ক্ষয়ক্ষতি ও আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।


আরও খবর



মধ্য গাজায় ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা, বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ‍উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত কয়েকদিন ধরে গাজার এই অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ধারাবাহিক বিমান হামলা ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার গাজা প্রতিনিধি বলেন, আল-আকসা হাসপাতাল থেকে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সকে দেইর এল-বালাহ শহরের পূর্ব অংশে যেতে দেখেছি। ওই অঞ্চলে একটি আবাসিক ভবনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ওই হামলায় হতাহতদের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির পাশ দিয়ে যাওয়া লোকজনও রয়েছেন। এ পর্যন্ত তিনজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। তৃতীয়জনকে হাসপাতালে আনা হয় ও চিকিৎসকরা তাকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

এদিকে, মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরের একটি স্কুলে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১২ নারী-শিশুসহ অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার (৫ জুন) রাতে এই হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ওই স্কুলটি পরিচালনা করতো জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। হামলার সময় স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত অনেক ফিলিস্তিনি অবস্থান করছিলেন। অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, স্কুলটিতে হামাস যোদ্ধারাও আশ্রয় নিয়েছিলেন।

অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী জাতিসংঘের একটি স্কুলে শিশুসহ কয়েক ডজন লোককে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করেছে। তাছাড়া মধ্য গাজার শরণার্থী শিবিরগুলোতে ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে।

আল জাজিরা আরবির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মধ্য গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরের একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় চারজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে। এর আগে রাতে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মধ্য গাজার একটি মিউনিসিপ্যাল ​​অফিসে হামলা চালালে নুসেইরাতের মেয়র ইয়াদ আল-মাঘরিসহ পাঁচজন নিহত হন।

এর আগে ইসরায়েলি হামলায় দক্ষিণাঞ্চলীয় আজ-জাহরা ও মধ্য গাজার মাগাজি পৌরসভার মেয়রও নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজাজুড়ে বেশ কয়েকটি পৌরসভার সদর দপ্তরও ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজায় কাজ করা নার্স ও মেডিকেল রেফারেন্ট কারিন হাস্টার বলেছেন, আল-আকসা হাসপাতাল এখন একটি ডুবন্ত জাহাজ। আহতদের চিকিৎসা ও নিহতদের মরদেহ রাখতে হিমশিম খাচ্ছি আমরা। হাসপাতালটির জরুরি কক্ষের ভিতরের দৃশ্য এখন গত কয়েকদিনের চেয়ে অনেক বেশি খারাপ।

আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গুরুতর আহত অবস্থায় আল-আকসায় আসা অধিকাংশ মানুষই মারা যাচ্ছেন। চিকিৎসা কর্মীরা বলছেন, আমরা রোগীদের ছেড়ে দিচ্ছি না কিন্তু নানা সংকটের কারণে পর্যাপ্ত চিকিৎসাও দিতে পারছি না। জানি না, কবে সবকিছু ঠিক হবে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৮৩ হাজার ৩০৯ জন।


আরও খবর