আজঃ রবিবার ৩০ জুন ২০২৪
শিরোনাম

সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
এস এ শফি, সিলেট

Image

সাড়ে ৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত ৩টা ২০ মিনিটের দিকে লাইনচ্যুত বগি দুটি উদ্ধারের পর ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. নুরুল ইসলাম।

নুরুল ইসলাম জানান, বুধবার সন্ধ্যায় পাহাড়িকা ট্রেন লাইনচ্যুত হলে, জয়ন্তিকা, কালনি, উদয়ন ও উপবন ট্রেনের যাত্রীরা আটকা পড়েন। রাত ৩টা ২০ মিনিটের দিকে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস চালুর মাধ্যমে সিলেট থেকে সারাদেশের রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।

তিনি বলেন, উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন রাত ১০টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর কথা ছিলো। এরপর সকাল ৭টায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। যেটি রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিলো।

স্টেশন ম্যানেজার আরও বলেন, সকাল সোয়া ৬টার কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রাও বিলম্বিত হয়েছে। সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন এখনও সিলেট স্টেশনে আছে এটি সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টার মধ্যে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ত্যাগ করবে।

এর আগে বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের কটালপুরে এই ঘটনা ঘটে।


আরও খবর



মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা, চেয়ারম্যানপুত্রসহ গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মাদরাসাছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে সাইফুর রহমানকে (২১) দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে ভাঙ্গা থানার পুলিশ।

গতকাল (৩১ মে) শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোডে ঘারুয়া ইউনিয়নের বামনকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার হওয়া চেয়ারম্যানপুত্রের দুই সহযোগী হলেন, চান্দ্রা ইউনিয়নের গোয়ালদী গ্রামের তাহসিন মুন্সী (২০) ও মুন্না মিয়া (২০)।

এ ব্যাপারে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে শনিবার (১ জুন) সকালে ভাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই তিন তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে।

ভাঙ্গা থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার এক মাদরাসাছাত্রী ও তার বন্ধু একই উপজেলার গুপ্তেরকান্দি গ্রামের ইউনুস সরকারকে (২৪) নিয়ে ভ্যানযোগে ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ইন্টারসেকশনে ঘুরতে আসে। ভাঙ্গা থেকে সন্ধ্যায় পুনরায় ভ্যানযোগে এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোড দিয়ে শিবচরের দিকে যাওয়ার সময় ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের বামনকান্দা নামকস্থানে ফাঁকা জায়গায় পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেল ভ্যানের গতিরোধ করে। এ সময় চেয়ারম্যান পুত্র সাইফুর রহমানসহ মোটরসাইকেল আরোহী আরও দুইজন ভ্যানচালককে মারধর করে। মাদরাসাছাত্রীর বন্ধু ইউনুস সরদারকেও মারধর করে। এরপর ওই কিশোরীকে রাস্তা থেকে পাশের ঝোপের আড়ালে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই সার্ভিস রোড দিয়ে ভাঙ্গা থানার টহল পুলিশের একটি দল যাচ্ছিল। পুলিশ চিৎকার শুনে গিয়ে জঙ্গল থেকে মাদরাসাছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় ধর্ষণ চেষ্টায় লিপ্ত থাকার অভিযোগে সাইফুর রহমানকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। তার অন্য দুই সহযোগী পালিয়ে যায়। পরে সাইফুর রহমানের স্বীকরোক্তি অনুযায়ী শনিবার সকাল ১০টার দিকে অপর দুই সহযোগী তাহসিন মুন্সী ও মুন্না মিয়াকে আটক করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।

ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মোল্লা তার ছেলে সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ যা বলছে তা ঠিক না। আমার ছেলে ভাঙ্গা থেকে আসছিল। তখন পথে পুলিশ তাকে আটক করে এ মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে।

ভাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন আল রশিদ বলেন, মেয়েটি তার বন্ধুকে নিয়ে ভাঙ্গা থেকে ঘুরে ভ্যানে করে শিবচর যাওয়ার সময় ভাঙ্গার বামনকান্দা এলাকায় ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়। তাকে ভ্যান থেকে তুলে পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত সাইফুর রহমান ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করার মামলায় ওই তিন তরুণকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শনিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



সরকারি হাসপাতালে সব সেবা হবে বিনামূল্যে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, সব সরকারি হাসপাতালের উদ্দেশ্য হচ্ছে সেবা দেওয়া। আর সরকারি হাসপাতালে সবকিছু বিনামূল্যেই হবে।

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট কর্তৃক আয়োজিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (এসএসকে) সেবা উদ্বোধনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচিতে সমন্বয়ের দরকার। আমরা যদি একই লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্নজন বিভিন্ন দিক থেকে কাজ করি তাহলে ফলাফল ভালো হয় না।

তিনি বলেন, আমরা যদি একই লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্নজন বিভিন্ন দিক থেকে কাজ করি তাহলে ফলাফল ভালো হয় না। আপনারা প্রান্তিক পর্যায়ে জনগোষ্ঠীকে সেবা দেন। এ ক্ষেত্রে আপনারা যদি জেলা উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালের সঙ্গে সমন্বয় করে কার কী লাগবে এটার ভিত্তিতে কাজ করেন। সেটা অধিকতর ফলপ্রসূ হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এসএসকের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত সরকারি হাসপাতালে যেসব সুযোগ সুবিধা নেই সেগুলো পূরণ করা। এক্ষেত্রে আগামী অর্থ বছর থেকে আলাপ আলোচনা করে আয়ুষ্মান ভারতের আদলে এ কর্মসূচিকে এগিয়ে নেওয়া হবে।

এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি উদ্বোধনসহ সর্বমোট ৮টি উপজেলায় এসএসকে সেবা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র পরিবার বিনামূল্যে ১১০টি রোগের চিকিৎসাসহ সামাজিক বিমার আওতায় আর্থিক সুবিধা পাবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।


আরও খবর



সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

ছাতকে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটেছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং মুষলধারে বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে। ভয়াবহ রূপ নিয়েছে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদী। পাউবোর তথ্য মতে মঙ্গলবার (১৮ জুন) নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ছাতক পৌরশহরের বাগবাড়ী, মন্ডলীভোগ, হাসপাতাল রোড, তাঁতিকোন, বৌলা, চরেরবন্দ, মোগলপাড়া, ঢাকাইয়া বাড়ি, লেবারপাড়া, পাটনীড়া, কুমনা, শ্যামপাড়াসহ আবাসিক এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার বসবাসরত মানুষজন। ইতোমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত মানুষের জন্য শুকনো খাবারসহ প্রাথমিক সব ব্যবস্থা রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।

ছাতকসহ পার্শ্ববর্তী কোম্পানীগঞ্জ ও দোয়ারাবাজার উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যেই ছাতকের বহু গ্রামীণ সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।

ছাতক পৌর এলাকার বাসিন্দা মাসুদ আমান বলেন, ২২ এর বন্যার চেয়ে ভয়ানক রুপ নিচ্ছে এবারে বন্যা। আমরা ছেলে-মেয়ে নিয়ে বিপাকে আছি। আমার ২ মেয়ের কেউ সাঁতার জানে না। কী হবে এখনো জানি না।

বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা জামি আহমেদ বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিরাপদেই আছি। কিন্তু আমাদের গবাদি পশু নিয়ে পড়েছি বিপাকে। আমাদের মতো তারাও না খেয়ে আছে।

ছাতক উপজেলার গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দুর্বিসহ অবস্থায় দিন পার করছে। উপজেলার ইছামতি-ছনবাড়ীবাজার, শিমুলতলা-মুক্তিরগাঁও সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়ক, ছাতক-জাউয়া, ছাতক-সুনামগঞ্জ, ছাতক-দোয়ারাবাজার  সড়কের বিভিন্ন নিচু অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া ছাতক পৌরসভারসহ নোয়ারাই, ছাতক সদর, কালারুকা, উত্তর খুরমা, চরমহল্লা, জাউয়া, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও, ছৈলা-আফজলাবাদ, দক্ষিণ খুরমা, ভাতগাঁও, দোলারবাজার ও সিংচাপইড় ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি ও গ্রামীণ কাঁচা সড়ক। পাহাড়ি ঢলের স্রোতের ধাক্কায় ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্তবতী নীজগাঁও, রতনপুর, বাগানবাড়ি, নোয়াকোট, ধনীটিলা, ছনবাড়ী, দারোগাখালী সড়ক সহ নব নির্মিত ৮-১০টি কাঁচা সড়ক বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় দেশের সাথে ছাতকের সড়ক যাগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতসহ প্রাথমিক সব ধরনের প্রস্তুতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। বন্যার্তদের সহায়তায় সকলকে মানবীয় কর্মকাণ্ডে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।


আরও খবর



রাখাইনে গায়ে পেট্রোল ঢেলে মারধর, নির্যাতনে নিহত ৫০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের রাখাইনে গত সপ্তাহে অভিযান চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিরোধী বাহিনীগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে বলেন, গ্রামটিতে দুই দিনের বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালানো হয়েছে। লোকজনকে চোখ বেঁধে মারধর করা হয়েছে। তাদের গায়ে গরম পেট্রোল ঢেলে দেওয়া হয়েছে এবং গ্রামের বেশ কয়েকজনকে প্রস্রাব পান করতে বাধ্য করেছে সেনাবাহিনী।

বিভিন্ন এলাকায় আরাকান আর্মির (এএ) সমর্থকদের খুঁজতে অভিযান চালানো হয়েছে। বর্তমানে মিয়ানমারের সবচেয়ে সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে এএ।

১৫ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৫১ জন বেসামরিক নাগরিকের ওপর সহিংস নিপীড়ন চালিয়ে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী। মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে আরাকান আর্মি বলছে, নিহতের সংখ্যা ৭০ জনের বেশি হতে পারে। তবে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার জান্তা।

এক নারী বিবিসিকে বলেন, তারা এসে লোকজনকে জিজ্ঞাসা করছিল যে আরাকান আর্মির সদস্যরা গ্রামে এসেছে কি না। লোকজন সেনাবাহিনীর প্রশ্নের উত্তরে যদি বলেছে যে, তারা জানে না বা আরাকান আর্মির লোকজন আছে বা নেই, তারা যেই উত্তরই দিয়েছে সেনারা তাদের মারধর করেছে।

মাত্র ছয় মাসের প্রচেষ্টায় রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকা দখল করেছে আরাকান আর্মি। তারা সেনাবাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে।

এক নারী বিবিসিকে বলেন, আমার চোখের সামনে সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের কাছ থেকে আমাদের সন্তানকে আলাদা করা হয়েছে। আমরা জানিনা যে সে কোথায় আছে। আমি এখন জানি না যে, আমার স্বামী এবং সন্তান বেঁচে আছে কি না।

ভুক্তভোগীরা জানান, লোকজনকে সারাদিন ধরে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তারা যখন পানি চেয়েছে তখন সেনা সদস্যরা বোতলে প্রস্রাব করে সেগুলো তাদের খেতে দিয়েছে।


আরও খবর



দেশে বিয়ারের সবচেয়ে বড় চালান জব্দ, আটক ৩

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

পায়রা বন্দর এলাকা থেকে ঢাকা নেয়ার পথে ২৬ হাজার ৮৮০ ক্যান চাইনিজ বিয়ারসহ ৩ যুবককে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা।

শুক্রবার (২৮ জুন) ভোররাতে পটুয়াখালী সেতুর টোল প্লাজা থেকে একটি কাভার্ডভ্যানসহ ৩ জনকে আটক করা হয়।

জব্দকৃত বিয়ারের বাজার মূল্য ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৪ হাজার টাকা। চায়না থেকে নৌপথে এসব মাদক পায়রা বন্দর হয়ে কলাপাড়ায় এসেছে বলে ধারণ করা হচ্ছে।

আটককৃতরা হলো- বাসিরুল ইসলাম (২৮), মেহেদী হাসান রাব্বি (২৩) ও রুবেল মুন্সী (২৭)। এদের মধ্যে বাসিরুল ও মেহেদী পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঠিকাদারি চাইনিজ প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্টাল পার্লে বিভিন্ন পদে কর্মরত। রুবেল মুন্সী ওই কাভার্ডভ্যানের চালক।

পটুয়াখালী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। পায়রা বন্দর এলাকা থেকে ঢাকায় পাচার কালে একটি কাভার্ডভ্যানকে ধাওয়া করে পটুয়াখালী টোর প্লাজায় আটকে তা থেকে এসব মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। স্বাধীনতার পরে বরিশাল বিভাগে অবৈধ মাদকের এটাই সবচেয়ে বড় চালান বলে জানান এই কর্মকর্তা।


আরও খবর