আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

এনবিআরের সেই প্রথম সচিব ফয়সালকে বগুড়ায় বদলি

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আয়কর বিভাগের (ট্যাক্স লিগ্যাল ও এনফোর্সমেন্ট) প্রথম সচিব ও অতিরিক্ত কর কমিশনার কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালকে বদলি করে বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) এনবিআরের কর প্রশাসন বিভাগের প্রথম সচিব মো. শাহিদুজ্জামান সই করা চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে তাকে বগুড়া কর অঞ্চলের পরিদর্শী রেঞ্জ-১ এ বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গত ২৭ জুন দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত থেকে তার নামে-বেনামে থাকা সব স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের (অবরুদ্ধ) আদেশ দেওয়া হয়।

এনবিআরের কর্মকর্তা কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর দুদক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। সংস্থাটি প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে গতকাল ফয়সাল ও তার আত্মীয়স্বজনের নামে সম্পদের বিবরণী আদালতের কাছে তুলে ধরে।

দুদক আদালতকে বলেছে, ২০০৫ সালে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল বিসিএস (কর) ক্যাডারে সহকারী কর কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। তিনি থাকেন রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ফ্ল্যাটে। তার স্থায়ী ঠিকানা খুলনার খান এ সবুর রোডের মুজগলি এলাকায়।

ফয়সালের শ্বশুর আহম্মেদ আলী একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। তার শাশুড়ি মমতাজ বেগম পেশায় গৃহিণী। ফয়সাল ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ নিজের ও স্ত্রীর নামে রাখার পাশাপাশি স্বজনদের নামেও রেখেছেন। শ্বশুর ও শাশুড়ির নামের ব্যাংক হিসাবে যে অর্থ লেনদেন হয়েছে, তা ফয়সালেরই অপরাধলব্ধ আয়। আদালতে জমা দেওয়া দুদকের নথি বলছে, ফয়সাল ও তার ১১ স্বজনের নামে ১৯টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৮৭টি হিসাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে তার শ্বশুর-শাশুড়ির ব্যাংক হিসাবে। দুদক আদালতে জানিয়েছে, ফয়সাল তার অপরাধলব্ধ আয় লুকানোর জন্য স্বজনদের নামে ৭০০টির মতো ব্যাংক হিসাব খুলেছিলেন। এর মধ্যে দুদক ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে।

আদালতে জমা দেওয়া দুদকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের জুনে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় ফয়সালের নামে পাঁচ কাঠার একটি প্লট কেনা হয়। এ ছাড়া, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তার নামে আলাদা চারটি দলিলে জমি কেনা হয়। এসব সম্পদের দলিল মূল্য দেখানো হয় ৪০ লাখ টাকার বেশি।

গত বছর রাজধানীর ভাটারা এলাকায় ফয়সালের স্ত্রী আফসানা জেসমিনের নামে কেনা হয় পাঁচ কাঠার প্লট। প্লট কেনার অর্থ (৭৫ লাখ টাকা) পরিশোধ করা হয়েছে মাহমুদা হাসানের নামে থাকা একটি ব্যাংক হিসাব থেকে। এর চার বছর আগে স্ত্রীর নামে একই এলাকায় আরও পাঁচ কাঠার একটি প্লট কেনা হয়। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জেও স্ত্রীর নামে জমি রয়েছে। এসব সম্পদের দলিল মূল্য দেখানো হয়েছে ৪২ লাখ টাকা।

ফয়সালের শ্বশুর আহমেদ আলীর নামে রাজধানীর রমনা এলাকায় গত বছরের অক্টোবরে একটি ফ্ল্যাট কেনা হয়, যার মূল্য দেখানো হয় ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া, শাশুড়ি মমতাজ বেগমের নামে ২০২২ সালে খিলগাঁওয়ে ১০ কাঠার একটি প্লট কেনা হয়। দলিল মূল্য ৫২ লাখ টাকা।

ফয়সাল ও তার পরিবারের সদস্যের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব ও সঞ্চয়পত্রের বিবরণও আদালতে জমা দিয়েছে দুদক। এতে দেখা যায়, ফয়সাল, তার স্ত্রী ও শ্বশুরের নামে ৫০ লাখ টাকা করে সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এর বাইরে তার স্বজনদের নামেও সঞ্চয়পত্র রয়েছে। দুদক বলেছে, তাদের নামে থাকা সঞ্চয়পত্রের মোট অর্থের পরিমাণ দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

ফয়সাল, তার স্ত্রী, শ্বশুর ও তার স্বজনদের ১৯টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ ৬ কোটি ৯৬ লাখ ৫০ হাজার ৯০৮ টাকা।


আরও খবর



শিরোপা জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ১৭৭ রান

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন বিরাট কোহলি। গ্রুপপর্বের ৪ ম্যাচ, সুপার এইটের ৩ ম্যাচ ও সেমিফাইনাল খেলেও ফিফটির দেখা পাননি তিনি। তবে ফাইনালে হাসল কিং কোহলির ব্যাট। ধীরগতির হলেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের হাল ধরে ফাইনাল ম্যাচে খেললেন ৭৬ রানের ইনিংস। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানের বড় পুঁজি পেল ভারত। প্রথমবারের মতো শিরোপা জিততে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হবে ১৭৭ রান।

বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে আজ টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে আগের ম্যাচগুলোতে রানের ফুলঝুরি ছোটালেও ফাইনালে ব্যর্থ রোহিত। রান পাননি তিনে নামা ঋশাভ পান্ত ও চারে নামা সূর্যকুমার যাদবও। ৩৪ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ভারত। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখেছেন অফফর্মে থাকা কোহলি। চতুর্থ উইকেটে অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে ৫৪ বলে গড়েন ৭২ রানের জুটি।

এদিন ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি পেয়ে দারুণ ব্যাটিং করেন অক্ষর। তবে ভারতের সেমিফাইনালের নায়ক আউট হয়েছেন দুর্ভাগ্যজনকভাবে। নন-স্ট্রাইকে থেকে রান নিতে গিয়েও ফিরতে পারেননি। উইকেটের পেছন থেকে কুইন্টন ডি ককের দুর্দান্ত এক থ্রোতে বিদায় নেন অক্ষর। ততক্ষণে ৩১ বলে ৪৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ফেলেছেন তিনি।

অক্ষরের বিদায়ের পর শিভাম দুবেকে সঙ্গে নিয়ে দলের রান বাড়াতে থাকেন কোহলি। নিজের ফিফটি তুলতে ব্যয় করেন ৪৮ বল। ফিফটির পর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন এবারের বিশ্বকাপে পজিশন বদলে ওপেনিংয়ে নামা এই ব্যাটার। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ফেরার আগে করেন ৭৬ রান। ৫৯ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি চার ও ২ ছক্কায়।

ছয়ে নামা শিভাম ১৬ বলে ২৭ রান করে শেষ ওভারে আউট হন। আরেক পাশে হার্দিক পান্ডিয়া অপরাজিত ছিলেন ৫ রানে, খেলেছেন ২ বল। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৬ রানে থামে মেন ইন ব্লুরা।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এদিন নিজের প্রথম ওভারেই রোহিত ও পান্তকে ফেরান স্পিনার কেশাভ মহারাজ। ৩ ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল তিনিই। ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে রান খরচায় ১ উইকেট নেন এনরিখ নোর্কিয়া। একটি করে উইকেট নেন মার্কো জেনসেন ও কাগিসো রাবাদা।


আরও খবর



উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেছেন পুতিন

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতে থাকা ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে উত্তর কোরিয়া সফর শুরু করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করতে আজ বুধবার (১৯ জুন) প্রেসিডেন্ট পুতিন দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছেছেন। ক্রেমলিন এই তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।

আজ খুব ভোরে পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছানোর পর পুতিনকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয়। ভোরের আলো ফোটার আগেই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিমানবন্দরে শুভেচ্ছা জানান। দুই নেতা হাত মেলানোর পর একেঅন্যকে আলিঙ্গন করেন। এরপর দুপাশে রাশিয়ার পতাকা দিয়ে সাজানো রাস্তা ধরে পুতিনের মোটর শোভাযাত্রা এগিয়ে চলে।

গত ২৪ বছরের মধ্যে বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন দেশটিতে এটাই পুতিনের প্রথম সফর। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চলতে থাকা সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সফর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই পিয়ংইয়ং ও মস্কো ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং এই মিত্রতা আরও বেড়ে গেছে ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের সময় থেকে। এ সময়টাতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে পুতিন পশ্চিমা বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা অভিযোগ করে আসছে যে, উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য রাশিয়ায় প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করছে।

তবে উত্তর কোরিয়া সামরিক হার্ডওয়্যার সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করে আসলেও সম্প্রতি পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তার জন্য কিম সরকারকে ধন্যবাদ জানান। গতকাল মঙ্গলবার পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক নিবন্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট লেখেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়া যে দৃঢ় সমর্থন দিয়ে আসছে তার জন্য রাশিয়া দেশটির প্রশংসা করছে।

ভ্লাদিমির পুতিন আরও লেখেন, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া কার্যকরভাবে বিভিন্ন দিকে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা করছে।

দুটি দেশের বিরুদ্ধেই চলছে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা। এর মধ্যে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা চলছে ২০০৬ সাল থেকে দেশটির পারমাণবিক এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে। আর মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চলছে ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে।

পুতিন পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছানোর পর উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যমে বলা হয় এই সফরের মাধ্যমে মস্কো-পিয়ংইয়ং সম্পর্ক ব্যাপক উন্নতির এক নতুন ধারায় প্রবেশ করেছে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভসহ মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এই সফরে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে রয়েছেন।


আরও খবর



অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। রোববার (৩০ জুন) এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। সংগঠনটির দেওয়া তথ্যমতে আগামীকাল (১ জুলাই) থেকে এই কর্মবিরতি শুরু হবে। যা শিক্ষকদের সকল দাবি মেনে নেওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

সংগঠনটি বলছে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলন কর্মসূচি হিসেবে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা করছে। বৈষম্যমূলক প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন, প্রতিশ্রুত সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এর আগে রোববার (৩০ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার যৌথ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ঘোষিত এই সর্বাত্মক আন্দোলনে আপনারা সবাই আমাদের সারথি। আপনাদের বিপুল সমর্থন ও ম্যানডেট নিয়ে শিক্ষক সমিতি এই সর্বাত্মক আন্দোলনের রূপরেখা প্রণয়ন করেছে। আমাদের এই আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলন। বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন এবং প্রতিশ্রুত সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হবে।

বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা করেন-

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

২. অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ক্লাস, শুক্র ও শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস বন্ধ থাকবে।

৩. সব পরীক্ষা বর্জন করা হবে। মিডটার্ম, ফাইনাল ও ভর্তি পরীক্ষাসহ কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।

৪. বিভাগীয় চেয়ারম্যান, বিভাগীয় অফিস, সেমিনার, কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ থাকবে। অ্যাকাডেমিক কমিটি, সমন্বয় ও উন্নয়ন কমিটি এবং প্রশ্নপত্র সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে না।

৫. অনুষদের ডিনরা ডিন অফিস ও ভর্তি পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন। নবীনবরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি গ্রহণ করা যাবে না। কোনো সিলেকশন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে না।

৬. বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালকগণ ইনস্টিটিউটের অফিস, ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখবেন। সান্ধ্যকালীন, শুক্র ও শনিবারের ক্লাস বন্ধ থাকবে।

৭. বিভিন্ন গবেষণাধর্মী সেন্টারের পরিচালকগণ কোনও সেমিনার, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপের কর্মসূচি গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন।

৮. বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষগণ প্রাধ্যক্ষ অফিস বন্ধ রাখবেন।

৯. প্রধান গ্রন্থাগারিক কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বন্ধ রাখবেন।

এদিকে একই দাবিতে আগামীকাল সোমবার (১ জুলাই) থেকে সব ধরনের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম আমাদের দাবি না মানলে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাব। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। তাই আমরা কাল থেকে কোনো কাজ করব না, কোনো সাইন পর্যন্ত করব না। আগামীকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন-অফলাইন ক্লাস হবে না, শুক্রবারেও কোনো ক্লাস হবে না, প্রফেশনাল কোর্সেরও কোনো ক্লাস হবে না।

অপরদিকে একই কর্মসূচিতে আগামীকাল সোমবার (১ জুলাই) থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতি এনিয়ে আজ বিকেল ৪টার সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে। সেখান থেকে বিস্তারিত ঘোষণা আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ২০ মে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তার ধারাবাহিকতায় ২৬ জুন বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এরপর ২৮ মে দুই ঘণ্টা এবং ২৫-২৭ জুন তিনদিন সারাদেশে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। এছাড়া আজ ৩০ জুন পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।


আরও খবর



মিয়ানমার আগ্রাসনে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন সেন্টমার্টিন, দ্বীপে খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে তিনদিন ধরে সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। মিয়ানমারের ওপার থেকে বারবার গুলি ছোড়া হচ্ছে এ রুটের ট্রলার ও স্পিড বোট লক্ষ্য করে। ফলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মূল ভূখণ্ডের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটির। রবিবার (৯ জুন) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

এই জনপ্রতিনিধি বলেন, তিন দিন ধরে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্পিড-বোট চলাচলও বন্ধ। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো সংকট হয়নি। যাতায়াত নিয়ে সমস্যা হচ্ছে অনেক। অনেকেই সেন্টমার্টিনে আসতে পারছে না। আবার সেন্টমার্টিন থেকে যেতেও পারছে না। কিছুটা খাবার নিয়ে কষ্টে আছে। তবে এখনো খাবার সংকট তৈরি হয়নি। সংকট হতে পারে সবজি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের। আর কয়েকদিন বন্ধ থাকলে খাবার সংকটও তৈরি হতে পারে।’

এদিকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের ফলে সেন্টমার্টিনে দেখা দিচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্য সংকট। দ্বীপে বসবাসরত ১০ হাজারের অধিক বাসিন্দার মধ্যে যারা দিন এনে দিনে খায় আপাতত কষ্টে বেশি পড়েছেন তারাই। খাদ্য ও পণ্যবাহী বোট চলাচল করতে না পারায় সেন্টমার্টিনের দোকানগুলোতে যেমন মজুদ কৃত খাদ্য পণ্য শেষ হতে চলেছে তেমনি এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম দ্বিগুণ নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত সামাধান না হলে দ্বীপবাসীর খাদ্য, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সমস্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দু রশিদ জানান, বোটে প্রকাশ্যে গুলি করতে দেখে মানুষ ভয়ে যাচ্ছে না। তা ছাড়া ওই পথ ছাড়া সেন্টমার্টিনে আসার বিকল্প কোন ব্যবস্থা বা রুটও নাই। প্রতিদিন সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌ রুটে ৬/৭ টি বোটের মাধ্যমে শতাধিক মানুষ আসাযাওয়া করার পাশাপাশি খাদ্য ও নিত্য পণ্য বহন করতেন।

টেকনাফ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আদনান চৌধুরী জানান, এ বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে। তবে জরুরি ভিত্তিতে শাহপরীর দ্বীপ অংশ থেকে বিকল্প পদ্ধতিতে বঙ্গোপসাগর হয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখছি।

এদিকে বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে নাফ নদীর মোহনায় সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশি নির্বাচনি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ইয়ামিন হোসেন বলেন, সেন্টমার্টিনে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস। তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আনা-নেয়া এপার থেকে করতে হয়। যেহেতু মিয়ানমার থেকে বারবার গুলি করা হচ্ছে এ কারণে আমরা সেন্টমার্টিন যাওয়ার বিকল্প নিয়ে ভাবছি। নাফ নদীর মোহনায় যেহেতু এ ঘটনা ঘটছে তাই নাফকে এভয়েড করে আমরা বিকল্প কিভাবে তাদের খাদ্যসামগ্রী এবং যাতায়াতের ব্যবস্থা করা যায় এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

গুলি করা করছে সেটি বুঝা যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, গুলি ছোড়া হচ্ছে; কিন্তু কারা গুলি করছে আমরা বুঝতে পারছি না। যেহেতু ওপারে যুদ্ধ চলছে। আমরা এসব বিষয় নিয়ে সরকারকে জানিয়েছি। স্থানীয়ভাবেও সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।


আরও খবর



রাসেলস ভাইপার মারতে পারলেই ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার!

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে বেড়েছে রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব। বিষধর এ সাপটির দংশনে বিভিন্ন জেলায় মৃত্যুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে খেতের ফসল কাটতে গেলে এ সাপের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন চাষিরা। এই সাপের কামড়ে এ পর্যন্ত দেশে ১০ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ফরিদপুরের চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে এ সাপের আনাগোনা। তাই এই সাপ মারতে পারলেই ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ইশতিয়াক আরিফ।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে শহরের রাসেল স্কয়ারে সংগঠনটির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

শাহ্ মো. ইশতিয়াক আরিফ তার বক্তব্যের একপর্যায়ে রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে বলেন, ফরিদপুর কোতোয়ালি এলাকায় কেউ যদি রাসেলস ভাইপার সাপ মারতে পারেন তাহলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, প্রতিটি সাপ মারার জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হবে। যতজন যে কয়টি সাপ মারতে পারবে প্রত্যেক সাপ প্রতি ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। এ সাপ থেকে মানুষকে রক্ষা করার চেষ্টা করি আমরা। একারণেই এ ঘোষণা দেওয়া হলো।

সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য ঝর্ণা হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকসহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর