আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

এসির গ্যাস কমে গেলে বুঝবেন যেভাবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

প্রচণ্ড গরমে ঘরে বাইরে সবখানেই জীবন অতিষ্ঠ। অনেকেই গরম থেকে বাঁচতে নতুন এসি কিনেছেন। আবার কেউ কেউ পুরোনো এসি সংস্কার করে নিয়েছেন বেশি ঠান্ডা বাতাস পেতে। তবে অনেকদিন পর ব্যবহার করতে গেলে পুরোনো এসিতে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এসির সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা হচ্ছে গ্যাস কমে যাওয়া। এসির যে কোনো সমস্যা হোক সার্ভিসিং করাতে গেলে প্রায়ই একটি কথা শুনবেন এসির গ্যাস কমে গেছে। যার জন্য খরচ হয়ে যায় বেশ কিছু অর্থ। তবে নিজেই খুব সহজে বুঝতে পারবেন আপনার এসির গ্যাস কমেছে কি না, জেনে নিন উপায়-

এয়ার কন্ডিশনারের ভেন্ট যদি ঠান্ডা বাতাস না দেয়, তাহলে বুঝতে হবে তাতে গ্যাস কম থাকতে পারে। আবার ভেন্ট থেকে যদি উষ্ণ বাতাস বেরোতে থাকে, তাহলেও তাতে গ্যাস কম থাকতে পারে।

আপনার ঘরের তাপমাত্রা এমন কিছু বেশি নয়, এদিকে এসি আপনাকে এক ঘর, এক ঘর করে কমিয়েই যেতে হচ্ছে। তখন আপনার এয়ার কন্ডিশনারটি পরীক্ষা করা উচিত। গ্যাস কম থাকার ফলে এই কাণ্ড ঘটতে পারে।

আপনার বিদ্যুৎ বিল স্বাভাবিকের থেকে বেশি এলে এয়ার কন্ডিশনার সার্ভিসিং করুন। গ্যাস লেভেল কমে যাওয়ার ফলেও এমনটা হতে পারে।

যদি রেফ্রিজারেন্ট লাইনারে বরফ জমা হতে শুরু করে, তাহলে আপনার এসিতে গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে। রেফ্রিজারেন্টের অভাবে তামার নলে বরফ জমে।

হিমায়িত বরফ যখন রেফ্রিজারেন্ট লাইনে গলতে শুরু করে, তখন জল আসতে শুরু করে। এ কারণে সামনের দিক থেকে পানি পড়তে শুরু করে মেঝেতে আসে। এমনটা এসির গ্যাসের সমস্যার কারণেও হতে পারে।

আপনার এসি যদি বুদবুদ বা হিসিং শব্দ করে, তাহলে তাতে রেফ্রিজারেন্ট কম আছে। এর মানে কোথাও একটি ফুটো আছে। সিস্টেমে ফুটো থাকলে আপনাকে তা দ্রুত মেরামত করতে হবে। তা না হলে সেখান থেকে গ্যাস লিক হতে পারে!


আরও খবর



হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর বাঁধে ভাঙন

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে শহরতলীর জালালাবাদে নদীর বাঁধে হঠাৎ ভাঙন দেখা দেয়। ফলে প্রবল বেগে নদীর পানি জালালাবাদসহ আশপাশের এলাকায় প্রবেশ করছে। এদিকে সকাল থেকেই খোয়াই, কুশিয়ারা, কালনী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, দুপুর ১টার দিকে খোয়াই নদীর বাল্লা পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করেছে। খুব দ্রুতই পানি নিচে নেমে যাবে।

তিনি বলেন, আসলে শহরের গরুর বাজারের পরের অংশটিকে আমরা বলি ফসলরক্ষা বাঁধ। যদি বর্ষা মৌসুমে এসব বাঁধ না ভাঙে, তাহলে শহররক্ষা বাঁধের দুর্বল অংশ ভেঙে পানি শহরে প্রবেশ করতে পারে। তাই শহরকে রক্ষার স্বার্থেই আসলে এসব অংশের ভাঙন দিয়ে পানি ছাড়তে হয়। আর তাছাড়া এখন আসলে হাওরে পানি প্রয়োজনও। নদীর পানি ভাটিতে হাওরে প্রবেশ করবে এটিই স্বাভাবিক। এসব ভাঙন আবার ফসল রক্ষার জন্য বর্ষার পর সংস্কার করা হবে। এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যে জানা গেছে, দুদিনের টানা বর্ষণ এবং উজানে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বুধবার সকাল থেকে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে চলে যায়। সকাল ১০টায় নদীর চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা সীমান্তে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩১ সেন্টিমিটার এবং শহরের মাছুলিয়া পয়েন্টে ৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

কুশিয়ারা নদীর পানি বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলী পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার এবং কালনী নদীর পানি আজমিরীগঞ্জ পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। দুপুর ১টার পর থেকে খোয়াই নদীর পানি বাল্লা পয়েন্টে কমতে শুরু করেছে।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ থেকে চলে যাওয়ার পর তারা নিভে গেছে: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আকাশে মিটি মিটি তারা জ্বলে, সূর্যের  আলোকে আলোকিত হয়। যারা আওয়ামী লীগকে ছেড়ে গেছে তারা নিজেরাই নিভে গেছে। দলের আলোতে তারাই আলোকিত হয়েছিল। এরপরও কেউ কেউ ফিরে এসেছে তাদের আমরা নিয়েছি। কিন্তু এখনো কেউ কেউ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, ক্ষমতা থেকে আওয়ামী লীগকে সরাতে চেষ্টা করছে।

আজ রোববার (২৩ জুন) বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জন্ম থেকে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ স্বাধীন করার পর মাত্র অল্প কিছুদিন সময় পেয়েছিল জাতির পিতা। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে হত্যা করে ফেলে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেশের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। দেশে অতিদারিদ্র্য বলে কেউ থাকবে না। দেশে কারিগরিসহ শিক্ষার উন্নয়ন ও স্মার্ট জনগণ তৈরি, খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছি। 

আওয়ামী লীগের নেত্রী বলেন, দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার জন্য আমরা সবকিছু করেছি। মাছ, মুরগি, ডিম উৎপাদন, মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি করে মানুষের চাহিদা মিটাতে সক্ষম হচ্ছে। 

এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশের মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হয়ে দলীয় সভাপতি জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর জাতীয় সংগীত বাজানো হয়৷ জাতীয় সংগীত শেষে আওয়ামী প্রধান বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং আসন গ্রহণ করেন। এরপর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রতিটি অর্জনে আওয়ামী লীগের অবদান রয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। আমরা আগামী ১০০ বছরের জন্য ডেল্টা প্লান তৈরি করেছি। দেশ এগিয়ে যাবে। বারবার আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করে তারা ব্যর্থ হয়েছে।

সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, আমন্ত্রিত অতিথিসহ দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার পর হত্যা, শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাঙ্গামাটিতে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার পর হত্যার দায়ে আসামি অংবাচিং মারমা প্রকাশ বামংকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন রাঙ্গামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এইএম ইসমাইল হোসেনের আদালত। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে রাঙ্গামাটি চিফ জুটিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ রায় প্রদান করা হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জেলার কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা থানার বড়খোলা পাড়ার নয় বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী আসামির বাসায় প্রাইভেট পড়তে যায়। তার সঙ্গে পড়তে যাওয়া অন্য সকল শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে ভিকটিমকে রেখে দেন আসামি। পরে ভিকটিম বাড়ি না ফেরায় তার বাবা ভিকটিমের খোঁজে যান। তখন আসামি তাকে পড়া শেষ করে ছুটি দিয়েছেন বলে জানালেও পরের দিন ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে আসামিকে বস্তাবন্দি মরদেহসহ আটক করে স্থানীয়রা।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামির বিরুদ্ধে সকল সাক্ষ্য প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড এবং দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

ভিকটিমের বাবা চাতুইঅং মারমা বলেন, যে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। তার এমন বিচারে আমি সন্তুষ্ট। এরা শিক্ষকের নামে কলঙ্ক।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ের দ্বারা সমাজে অপরাধীরা সংশোধন হবে বলে আশা রাখি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মামুনুর ইসলাম বলেন, এমন রায়ে সমাজের অপরাধ প্রবণতা বন্ধ হবে।


আরও খবর



বেনজীরের সাভানা ইকো পার্কের নিয়ন্ত্রণ নিল জেলা প্রশাসন

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

আদালতের নির্দেশে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে গোপালগঞ্জে নির্মিত সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক’র রিসিভার নিয়োগ করে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

শনিবার (৮ জুন) সকাল থেকেই জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী চলছে যাবতীয় কার্যক্রম। ফলে, এখন পার্কটিতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন না দর্শনার্থীরা।

এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুইটি দল পার্কে অবস্থান নেয়।

পরে পার্কের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বেনজীর ও তার পরিবারের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নেয় তারা।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে পার্কের প্রধান ফটকের পাশে মাইকিং করে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এর ফলে আজ থেকে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় চলবে।

এ অভিযানে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজ বাবলী শবনম, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গোপালগঞ্জের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান, সহকারী পরিচালক সোহরাব হোসেন সোহেল, দুদক মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান ও গোপালগঞ্জ জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মো. জিল্লুর রহমান রিগানসহ জেলা প্রশাসন ও দুদক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র‌্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইজিপি থাকাকালীন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা জমির উপর বেনজির গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। এ পার্কের জমির প্রায় সবই হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখিয়ে, জোর করে এবং নানা কৌশলে কেনা হলেও অনেক জমি দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।


আরও খবর



জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানকে বিভাগীয় পর্যায়ে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২৩-২৪ প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলামের কাছ থেকে এই সম্মাননা গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক।

জাতীয় শুদ্ধাচার সম্মাননা গ্রহণ শেষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, এই সম্মাননা আমার জন্য নিরন্তর অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আমি বরাবরের মতই সততা, নিষ্ঠা এবং নির্ভরযোগ্যতার সাথে আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম বলেন, শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদানে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, চট্টগ্রামের নৈতিকতা কমিটি ও বাছাই কমিটির সভায় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর কার্যাবলী পর্যালোচনা করা হয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর চট্টগ্রাম বিভাগের ১১জন জেলা প্রশাসকের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক। কর্মক্ষেত্রে তার পদচারণা নিঃসন্দেহে সকলের জন্য অনুসরণীয় এবং একই সাথে অনুপ্রেরণাদায়ক।

উল্লেখ্য, সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল শিরোনামে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ২০১২ সালে মন্ত্রীসভা বৈঠকে অনুমোদন করা হয় এবং ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা-২০১৭ সংক্রান্ত গেজেট জারি করা হয়।

শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য বিবেচ্য ১৮টি গুনণাবলি হচ্ছে- কর্মচারীর পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা, সততার নিদর্শন স্থাপন করা, নির্ভরযোগ্যতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা, শৃঙ্খলাবোধ, সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণ, সেবাগ্রহীতার সঙ্গে আচরণ, প্রতিষ্ঠানের বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, সমন্বয় ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক নিরাপত্তা সচেতনতা, ছুটি গ্রহণের প্রবণতা, উদ্ভাবনী চর্চার সক্ষমতা, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে তৎপরতা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশে আগ্রহ, উপস্থাপন দক্ষতা, ই-ফাইল ব্যবহারে আগ্রহ, অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগিতা করা। বিবেচিত কর্মচারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারী শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হন।


আরও খবর