আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ফেসবুকে ছড়ানো ভিডিও নতুন শিক্ষাক্রমের অংশ নয়: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষক প্রশিক্ষণের যেসব ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে, তা নতুন শিক্ষাক্রমের অংশ নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, ফেসবুকে শিক্ষকদের আগের বিভিন্ন সময়ের প্রশিক্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এসব বিষয় আমাদের শিক্ষাক্রমের অংশ নয়, আমাদের ক্লাসেরও অংশ নয়।

দীপু মনি বলেন, অতীতে আমাদের শিক্ষকদের দীর্ঘ প্রশিক্ষণের ফাঁকে বিনোদনের জন্য তাদের অংশগ্রহণে এসব ভিডিও তৈরি করা হয়েছিল। সেগুলো এখন ছড়িয়ে দিয়ে বিশেষ গোষ্ঠী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকে অপপ্রচার চালাতে নতুন করে এসব ভিডিও তৈরিও করছে।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি ও পাঠাভ্যস উন্নয়ন কর্মসূচির টিম লিডার অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ। সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী দিনের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের সন্তানদের গড়ে তুলতে হবে। তাদের প্রায়োগিক শিক্ষার উপযোগী করে গড়তে হবে। প্রযুক্তির জগতের জন্য প্রস্তুত করতে আমাদের সন্তানদের প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ করেও গড়ে তুলতে হবে। তারা যাতে উদ্ভাবন করতে পারে, তাদের মধ্যে সেই মনোভাব তৈরি করতে হবে। সে অনুযায়ী আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করা হচ্ছে।

নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা একদিনে তৈরি করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করেছি। আটশোর বেশি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করেছি। বিভিন্ন পর্যায়ে পাইলটিং করেছি। ২০১৭ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ১১ বছরের দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। আমাদের বইগুলো এখনো পরীক্ষামূলক সংস্করণ। এখানে পরিবর্তন-পরিমার্জনের সুযোগ রয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এমন একটা যুগ পার করে এসেছি, যেখানে পরীক্ষার হল থেকে বের হলেই অভিভাবকরা জিজ্ঞাসা করতেন কয়টা প্রশ্ন কমন পড়েছে?। যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বেশি কমন প্রশ্ন বলে দিতে পারতেন, সেই প্রতিষ্ঠানকে সেরা বলা হতো। আমরা সেই মুখস্তনির্ভর পড়া থেকে বের হতে চাই।

বই পড়ার অভ্যাস বাড়ানো প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, বই পড়ার অভ্যাসকে আমরা একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে চাই। আমরা প্রাথমিকভাবে ১৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাভ্যাস কার্যক্রম শুরু করছি। আগামী ১-২ বছরে ৩৩ হাজার প্রতিষ্ঠানে এ কার্যক্রম পৌঁছে দিতে চাই।

অনুষ্ঠানে সারাদেশে ৩১ লাখ বই বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। কর্মসূচির আওতায় দেশের ৩০০ উপজেলার ১৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসব বই বিতরণ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এ কর্মমসূচি বাস্তবায়ন করছে।


আরও খবর



হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের মক্কায় সমবেত সারা বিশ্বের লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান শুক্রবার মিনায় পৌঁছেছেন। এর মাধ্যমে পবিত্র হজ পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো। মিনায় অবস্থান করা হজের অংশ।

সেলাইবিহীন দুই টুকরা সাদা কাপড় পরে হজের নিয়ত করে রওনা হন হজযাত্রীরা। মিনামুখী পুরো রাস্তায় ছিল হজযাত্রীদের স্রোত। বাসে, গাড়িতে এমনকি হেঁটেও মক্কা থেকে ৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন মুসল্লিরা। খবর গালফ নিউজ।

শুক্রবার ৮ জিলহজ হজযাত্রীরা মিনায় অবস্থান করবেন। ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে যাবেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে থাকবেন। এরপর প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় গিয়ে রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে মিনায় ফিরবেন।

হাজিরা মিনায় বড় শয়তানকে পাথর মারবেন, কোরবানি দেবেন, মাথা মুণ্ডন করবেন। তারপর মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। তাওয়াফ, সাঈ শেষে আবার মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করবেন। সেখানে প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন তারা।

প্রত্যেক শয়তানকে ৭টি করে পাথর মারতে হয়। মসজিদে খায়েফের দিক থেকে মক্কার দিকে আসার সময় প্রথমে জামারায় সগির বা ছোট শয়তান, এরপর জামারায় ওস্তা বা মেজ শয়তান, এরপর জামারায় আকাবা বা বড় শয়তানকে পাথর মারতে হবে। মিনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে হজযাত্রীরা মক্কায় ফিরে যান এবং শেষবারের মতো কাবা তাওয়াফ করেন। যা বিদায়ী তাওয়াফ নামেও পরিচিত।


আরও খবর



নরেন্দ্র মোদি আর মাত্র ৭-৮ দিনের প্রধানমন্ত্রী: মমতা

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নরেন্দ্র মোদি আর ক্ষমতায় ফিরবেন না উল্লেখ করে তৃণমূল প্রধান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তাকে আর হয়ত ৭-৮ দিন প্রধানমন্ত্রী বলতে পারব। মঙ্গলবার (২৮ মে) এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।

মমতা বলেন, এবার আর কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসছে না বিজেপি। নরেন্দ্র মোদিকে হয়ত আর ৭-৮ দিন প্রধানমন্ত্রী বলতে পারব। তীব্র হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, বাংলার উন্নয়ন দেখতে পায় না হিংসুটেরা।

একইদিন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগরে এক সভা নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাতেই সবচেয়ে ভালো ফল করবে বিজেপি। তিনি বলেন, তুষ্ট করার রাজনীতি করতে সিএএর বিরোধিতা করছে তৃণমূল। সিএএ নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে তারা।

মোদি বলেন, ভারতে বহু মানুষ নাগরিকত্ব পেয়ে গেছেন। কারো কাছ থেকে কিছু ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি। নাগরিকত্ব দিয়ে তাদের ভারত মায়ের সন্তান বানানো হয়েছে। এই নাগরিকত্ব দিচ্ছে দেশের সংবিধান। পৃথিবীর কোনো শক্তি মোদির সংকল্পকে আটকাতে পারবে না।

সিএএর বিরোধিতা করে মমতা সম্প্রতি বলেছিলেন, আমি মোদিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যাচ্ছি, অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যাচ্ছি, চোর বিজেপিকে, সঙ্গে ওদের বন্ধু সিপিএমকে বলে যাচ্ছি এনআরসি হবে না, সিএএ করতে দেব না, ইউনিফর্ম সিভিল কোড করতে দেব না, ওবিসিদের রিজার্ভেশন কাড়তে দেব না। আমরা আইন অনুযায়ী করেছি, আইন অনুযায়ী চলব।


আরও খবর



আফতাবনগরে পশুরহাট বসানো যাবে না: আপিল বিভাগ

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আসন্ন কোরবানি ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর আফতাবনগরে পশুরহাট বসানোর সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে আসন্ন ঈদে আফতাবনগরে পশুরহাট বসানো যাবে না।

সোমবার (৩ জুন) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে, গত ৪ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আফতাবনগরে গরুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ওই এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন ঢালী।

এরপর গত ৮ মে আফতাবনগরে গরুর হাট বসানোর ইজারার বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেন হাইকোর্ট। আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় হওয়ায় আদালত এ আদেশ দেন।

রাজধানীর যেসব স্থানে বসবে পশুরহাট

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে গাবতলী গবাদিপশুর হাট (স্থায়ী হাট), ভাটারা সূতিভোলা খাল সংলগ্ন খালি জায়গা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা এলাকার খালি জায়গা, উত্তরা দিয়াবাড়ী ১৬ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড, মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, মোহাম্মদপুর বছিলা, ঢাকা পলিটেকনিক এলাকার খালি জায়গায় হাট বসার কথা রয়েছে।

এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) স্থায়ী পশুর হাট সারুলিয়ায়। এছাড়া উত্তর শাহজাহানপুর, লেদার টেকনলজি কলেজ সংলগ্ন খালি জায়গা, পোস্তগোলা শ্মশান সংলগ্ন খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজার এলাকা, কমলাপুর স্টেডিয়াম এলাকা, দনিয়া কলেজ মাঠ যাত্রাবাড়ী, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল এলাকা, আমুলিয়া মডেল টাউন, রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন এলাকা লালবাগ, শ্যামপুর কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ডে হাট বসার কথা রয়েছে।


আরও খবর



সিলেট নগরীতে বন্যা আক্রান্ত চার হাজার পরিবার, খোলা হচ্ছে আশ্রয় কেন্দ্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটের উত্তরাঞ্চলে বন্যার পর হঠাৎ করেই সিলেট নগরীতে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি। ইতিমধ্যে নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চার হাজার পরিবার বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত একটি আশ্রয় কেন্দ্রে ৪০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।

জানা যায়, শুক্রবার সকাল থেকেই হঠাৎ করে সুুরমা নদীর পানি ডুকতে শুরু করে। এর পর একে একে উপশহর সি-ব্লক, ডি-ব্লক ও ই-ব্লক একাংশ, যতরপুর, তোপখানা, মাছিমপুর, সোবহানীঘাট, তালতলা, শেখঘাট ও কাজিরবাজার সহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়।

বন্যার পানি বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও দোকানপাট, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদে পানি প্রবেশ করে। এতে বিপাকে পড়েন নগরের বাসিন্দারা। অনেকেই আত্মীয়-স্বজনের বাসায় আশ্রয় নেন।

শুক্রবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন সিসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরবৃন্দ।

এদিকে, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় নগরীর ১৫,২২,ও ২৪নং ওয়ার্ডের, সুবহানীঘাট, উপশহর, তেররতন এলাকা পরিদর্শন করেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো: মখলিছুর রহমান কামরান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, স্থানীয় কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানু, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলে রাব্বি চৌধুরী মাসুম, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির সুহিন, জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানান, বিভিন্ন কাউন্সিলরদের দেওয়া তথ্যমতে নগরীতে বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন ইতিমধ্যে ৪ হাজার পরিবার। তাদের পর্যাপ্ত পরিমান শুকনো খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সিসিক। আজ রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার বন্যা কবলিত এলাকার কাউন্সিলরদের কাছে পৌছে দেওয়া হবে।

সিসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মখলিছুর রহমান কামরান বলেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের নদ নদীর পানির বেড়ে ইতিমধ্যে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি শহরের দিকে ধেয়ে আসছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তত্ত্বাবধানে সংকট মোকাবেলা করতে পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, বেশ কয়েকটি উপজেলায় বন্যার পানি কিছুটা কমেছে। বিকাল ৩টা পর্যন্ত সিলেটের নদ নদীগুলির তিনটি পয়েন্টের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক দুর্গত এলাকাগুলোর খোঁজখবর নিচ্ছি। ভারতের মেঘালয় রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২শ মি.মি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের দিন যা ছিলো সাড়ে ৬শ মি.মি। ভারতে বৃষ্টির পরিমাণ কমে গেলে সপ্তাহখানেকের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



ঘুমের মধ্যে দম আটকে যাওয়া কীসের লক্ষণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে রাতে একটু ঘুমাতে গেলেন, কিন্তু দম আটকে যাওয়ার কারণে আচমকাই জেগে উঠতে হয়। এই সমস্যা অনেকের হয়ে থাকে। কিংবা রাতে লম্বা ঘুম দেয়ার পর বিকেল নামতেই ঝিমুনি। এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে হেলাফেলা করা যাবে না। এগুলো স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ। স্লিপ অ্যাপনিয়ার প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিস্তারিত বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে।

স্লিপ অ্যাপনিয়া: স্লিপ অ্যাপনিয়ায় হচ্ছে ঘুমানোর সময় শ্বাসনালি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া। শ্বাসনালি যতক্ষণ বন্ধ থাকে, রোগী নিশ্বাস নিতে পারেন না। এতে বাইরে থেকে বাতাসের মাধ্যমে অক্সিজেন শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। এতে মস্তিষ্ক, হার্ট বা অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিনের পর দিন কিছু সময়ের জন্য অক্সিজেনের ঘাটতির ফলে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। যার প্রভাবে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সচল রাখতে অক্সিজেন খাদ্যের মতো কাজ করে। যখন অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তখন মস্তিষ্ক সিগন্যাল দিয়ে রোগীকে জাগিয়ে তোলে, যেন তিনি নিশ্বাস নেন এবং তখন সংকুচিত শ্বাসনালি খুলে যায়। এভাবে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগী বার বার জেগে ওঠেন। বার বার ঘুম ভাঙার কারণে তারা ক্লান্ত থাকেন, ফলে দিনের বেলায় ঝিমুতে থাকেন।

লক্ষণ: জাতীয় নাক কান গলা ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ স্লিপ অ্যাপনিয়ার এমন কিছু লক্ষণের কথা জানিয়েছেন।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি অস্বাভাবিক নাক ডাকেন। দেখা যায়, তারা কখনো খুব জোড়ে ডাকছেন, আবার থেমে যাচ্ছে, তারপর আবার ভিন্ন স্বরে নাক ডাকছেন।

প্রায় সময় ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অনুভূতি হয়। বিশেষ করে চিত হয়ে ঘুমানোর সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। ঘুমের মধ্যে ঝাঁকুনি দিয়ে জেগে ওঠেন এবং কিছু সময়ের জন্য হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়।

অনেক সময় ঘুমানোর পরও ক্লান্ত লাগে, কাজ করতে গিয়ে বা গাড়ি চালাতে গিয়ে হুট করে ঘুমিয়ে পড়েন।

মেজাজ খিটখিটে থাকে। কারও সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না, অবসাদগ্রস্ত লাগে। কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না।

ওষুধ খেয়েও রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকছে না।

করণীয়: প্রাথমিক পর্যায়ের স্লিপ অ্যাপনিয়া ধরা পড়লে সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু দীর্ঘদিনেও চিকিৎসা না করলে সমস্যা জটিল আকার নিতে পারে। এতে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যাবে; যার প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা খুব বেশি হলে চিকিৎসক রোগীকে কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশার বা সি প্যাপ নামে একটি যন্ত্রের সাহায্য নিতে বলেন। এই যন্ত্রটি অনেকটা বক্সের মতো এবং এর সঙ্গে মোটা পাইপের সংযোগ দিয়ে একটি মাস্ক বসানো থাকে। রোগীকে প্রতিবার ঘুমের সময় এই মাস্কটি পরতে হয়। এই যন্ত্রটি মূলত ঘুমের মধ্যে রোগীর শ্বাসনালি খোলা রাখতে সাহায্য করে এবং অক্সিজেনের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখে। ফলে শরীরের অঙ্গগুলোকে আর অক্সিজেনের ঘাটতিতে ভুগতে হয় না। এতে অনেক জটিল রোগের নিরাময় সম্ভব হয়।

তবে যারা সি-প্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না, তাদেরকে বিকল্প চিকিৎসা নিতে হয়। যেমন, গলার টনসিল বা নাকের পেশি বড় হয়ে গেলে তা অপারেশন করা। ম্যান্ডিবুলার অ্যাডভান্সমেন্ট ডিভাইস-ম্যাড ব্যবহার। এটি মুখের নীচের চোয়ালকে সামনে এগিয়ে রাখতে দাঁতের চারপাশে বসানো এক ধরনের যন্ত্র, যা শ্বাসনালি খোলা রাখতে সাহায্য করে।

লেজার অপারেশনের মাধ্যমে শ্বাসনালীর পরিধি বড় করাও একটি প্রক্রিয়া। এছাড়া জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলেও স্লিপ অ্যাপনিয়া অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যেমন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, সুষম খাদ্যাভ্যাস, ডায়াবেটিস/রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান ও মদপান পরিহার, কাত হয়ে ঘুমানো।

নিউজ ট্যাগ: স্লিপ অ্যাপনিয়া

আরও খবর