আজঃ শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

গরমে চোখ ভালো রাখবে যে ৩ ভিটামিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

গরম রাতারাতি কমে যাবে না, বরং আরও কিছু মাস এরকম আবহাওয়াতেই আপনাকে থাকতে হবে। বাইরে রোদের ভয়, ঘরে ভ্যাপসা গরম। এমন অবস্থায় নিজের দিকে খেয়াল না দিলেই নয় যেন। গরমের নিজের স্বাস্থ্যের দিকে নজর তো রাখবেনই, বিশেষ নজর রাখবেন চোখের দিকেও। আমাদের চোখের যত্নে আমরা অনেকটাই উদাসীন থাকি। কিন্তু এই অভ্যাস আমাদের চোখকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই গরমে খেতে হবে প্রয়োজনীয় ভিটামিনযুক্ত সব খাবার। যাতে চোখ ভালো রাখা সহজ হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. ভিটামিন এ

ভিটামিন এ সম্ভবত চোখের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে পরিচিত পুষ্টি। এটি কর্নিয়া পরিষ্কার রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কর্নিয়া হলো চোখের বাইরের আবরণ। গবেষণা অনুসারে, ভিটামিন এ হলো রোডোপসিনের একটি উপাদান, এটি চোখের একটি প্রোটিন যা কম আলোতেও দেখতে সাহায্য করে। তাপপ্রবাহের সময়, পানিশূন্যতা এবং অতিরিক্ত রোদের কারণে শুষ্ক চোখের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভিটামিন এ চোখের টিস্যু বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি রেটিনার সঠিক কার্যকারিতার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পিগমেন্ট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়। আপনার খাবারের তালিকায় ভিটামিন এ-সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। এটি আপনার চোখকে লুব্রিকেটেড রাখতে এবং সামগ্রিক দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করবে।

২. ভিটামিন সি

এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, ভিটামিন সি-এর অক্সিডেন্ট সূর্যের ফ্রি র‌্যাডিক্যাল এবং অতিবেগুনী (UV) রশ্মির কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে চোখকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি ছানি এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকি কমাতেও ভূমিকা পালন করে। এই দুই সমস্যা অতিরিক্ত রোদে আরও বেড়ে যেতে পারে। তাপপ্রবাহের সময় বাইরে বের হলে ক্ষতিকারক UV রশ্মির সংস্পর্শ বৃদ্ধি পায়। ভিটামিন সি নিয়মিত গ্রহণ করলে তা আপনার চোখের রক্তনালীগুলোকে শক্তিশালী করতে এবং রেটিনাল কোষের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়তা করে। এটি রোদের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে।

৩. ভিটামিন ই

ভিটামিন ই আরেকটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার চোখকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। এটি স্বাস্থ্যকর কোষের ঝিল্লি বজায় রাখতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা তাপপ্রবাহের সময় বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে। এসময় চোখে শুষ্কতা এবং জ্বালাপোড়ার প্রবণতা বেশি থাকে। অতিরিক্ত গরমে অশ্রু উৎপাদন কমে যেতে পারে, যার ফলে চোখ শুকিয়ে যায়। ভিটামিন ই টিয়ার ফিল্মের লিপিড স্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে, যাতে চোখ আর্দ্র এবং আরামদায়ক থাকে। খাবারের তালিকায় ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। এ জাতীয় খাবার আপনার চোখকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং জ্বালা হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।


আরও খবর



দোহারে দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

না করলে দুর্নীতি, হবে দেশের উন্নতি এই প্রতিপাদ্যে ঢাকার দোহার উপজেলায় দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, দুর্নীতি বিরোধী র‌্যালি এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে দোহার উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় র‌্যালিটি উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় উপজেলা প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. অফিসার মো. জসিম উদ্দিন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার মো. শামীম হোসেন, দোহার উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অজয় কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম।

আরো উপস্থিত ছিলেন জয়পাড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এসএম খালেক, ইকরাশী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একলাল উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল হামেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নগেন্দ্র কুমার সিংহ, ইসলামাবাদ উচ্চ বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক নুরে আলম সিদ্দিকী, জয়পাড়া কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল তাপস কুমার নন্দী, কার্তিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুকী ই আযমসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারিবৃন্দ।


আরও খবর



সুরমা নদী ড্রেজিং করা হবে : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেট নগরকে আগাম বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে সুরমা নদী ড্রেজিং করা হবে। নদীতে পলিমাটি থাকার ফলে এর আগেও ড্রেজিং কাজ ব্যহত হয়েছিল। উজান থেকে আসা পানির সাথে আসা পলিমাটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। প্রকৌশলীদের সাথে আলাপ করেছি দ্রুত সুরমা নদী ড্রেজিং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সিলেট নগরীর ৩৯ নং ওয়ার্ডের টুকেরবাজার এলাকার শাদীখাল পরিদর্শনকালে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, এমপি এসব বলেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের ৯টি স্থানে ড্রেজিং স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে। নদী ভাঙন, পলিমাটি অপসারণে নিয়মিত নদী খনন করা হবে। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিশোরগঞ্জের মিটামইন সড়ক দিয়ে পানি পারাপারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এসময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিলেট জেলা প্রশাসন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সাবেক আইজিপির অঢেল সম্পদে হতবাক হাইকোর্ট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

একজন আইজিপি কীভাবে এত অঢেল সম্পদের মালিক হলেন তা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন রাখেন হাইকোর্ট। এ সময় বিচারপতি কামরুল কাদের ও খিজির হায়াতের বেঞ্চ বলেন, আমাদের বিষয়টি হতবাক করেছে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) যশোরে স্থানীয় সরকার বিভাগের কয়েকটি সেতু নির্মাণে অনিয়মের শুনানিকালে বিচারপতি কামরুল কাদের ও খিজির হায়াতের বেঞ্চ সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন। রিটকারী আইনজীবী শামসুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শুনানিকালে আদালত বলেন, আপনাদের অনিয়মের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। দেশ-বিদেশে আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে একজন সরকারি কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতি। একজন আইজিপি কীভাবে এত অঢেল সম্পদের মালিক হলেন। এটি আমাদের বিস্মিত করেছে।

উল্লেখ্য, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেছেন, রাজধানীর গুলশানে মোট ৯ হাজার ১৯২ বর্গফুট আয়তনের চারটি ফ্ল্যাট মাত্র ২ কোটি ১৯ লাখ টাকায় কিনেছেন। সেই হিসেবে প্রতি বর্গফুটের দাম পড়েছে ২ হাজার ৩৮২ টাকা। তবে রাজধানীতে ফ্ল্যাট ও জমি ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, এই দামে গুলশানের মতো অভিজাত এলাকা তো দূরের কথা, ঢাকার আশপাশের এলাকায়ও ফ্ল্যাট পাওয়া যাবে না।

রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) একাধিক সদস্য জানান, জমির দামের সঙ্গে নির্মাণ ব্যয় সমন্বয় করে ফ্ল্যাটের দাম নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে গুলশান-বনানীতে নির্মাণাধীন ফ্ল্যাট প্রতি বর্গফুট ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নামী রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলোর ফ্ল্যাটের দাম আরও বেশি। সে হিসেবে ৯ হাজার বর্গফুট রিয়েল এস্টেটের মূল্য কমপক্ষে ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

তারা জানান, কর ফাঁকি দিতে অনেকে কম দাম দেখিয়ে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন করেন। আবার কিছু গ্রাহক অবৈধ আয় (আয়কর রিটার্নে দেখানো হয় না) দিয়ে ফ্ল্যাট কেনেন। তাই তারা কম দামে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন করেন।

দুদকের নথিপত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের পরিবার ২০২৩ সালের ৫ মার্চ গুলশান সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে চারটি দলিলে ৯ হাজার ১৯২ বর্গফুট (বর্গফুট) ফ্ল্যাট কেনেন।

আদালতে উপস্থাপিত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বেনজীর রহমান ও তার পরিবার গুলশান আবাসিক এলাকার সিইসি (জি) ব্লকের ১৩৪ নম্বর প্লটে (পুরাতন নম্বর ১৩০ নম্বর) দুটি বেজমেন্টসহ নির্মিত র‌্যাংকন আইকন টাওয়ারের চারটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। এর মধ্যে ১২/এ, ১২/বি এবং ১৩/এ এই তিনটি ফ্ল্যাট সাভানাহ ইকো রিসোর্ট প্রাইভেট লিমিটেডের নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে এবং এর চেয়ারম্যান জিশান মির্জা এই কোম্পানির পক্ষে দলিলে সই করেন।

র‌্যাংকন আইকন টাওয়ারের ১৩/বি ফ্ল্যাটটি কেনা হয়েছে বেনজীর আহমেদের নাবালিকা কন্যা জাহরা জেরিন বিনতে বেনজীরের নামে। জাহরা জেরিন বিনতে বেনজিরের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বেনজীর আহমেদ।

দলিল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সাভানা ইকো রিসোর্ট প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষে জিশান মির্জা যে ১২/এ ফ্ল্যাটটি কিনেছেন তার দাম দেখানো হয়েছে ৫৬ লাখ টাকা। ১২/বি ফ্ল্যাটের দাম দেখানো হয়েছে ৫৬ লাখ টাকা এবং ১৩/এ ফ্ল্যাটের দাম দেখানো হয়েছে সাড়ে ৫৩ লাখ টাকা। এছাড়া ১৩/বি ফ্ল্যাটের দামও সাড়ে ৫৩ লাভ টাকা দেখানো হয়েছে।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ মে ঢাকার একটি আদালত তার ৮৩টি দলিলে উল্লিখিত সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও, ২৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ আর্থিক লেনদেনকারী মোট ৩৩টি অ্যাকাউন্ট জব্দ করার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।

এদিকে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামী ৬ জুন বেনজীরকে এবং ৯ জুন স্ত্রী ও সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক।


আরও খবর



স্থগিত ১৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের স্থগিত ১৯টি উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার (৯ জুন) সকাল ৮টায় এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই ১৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হলো। এর আগে চার ধাপে ভোট সম্পন্ন করেছে ইসি।

এবারে নেত্রকোণার খালিয়াজুরী, বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা, খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া, বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালীর পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন এবং বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

তবে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার কেওতা কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষে দুজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া কাঠিপাড়া কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করায় প্রার্থীর এক এজেন্টকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাকি জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হলেও ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।

এই ১৯টি উপজেলায় তৃতীয় ধাপে ২৯ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবের কারণে তা স্থগিত করা হয়। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এগুলোতে চেয়ারম্যান পদে ১১৯, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩২ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৯ জনসহ মোট ৩৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। ইসি জানিয়েছে, ১৭৯টি কেন্দ্রে ভোটের আগের দিন এবং ১ হাজার দুইটি কেন্দ্রে ভোটের দিন অর্থাৎ আজ সকালে ব্যালট গেছে।

নিউজ ট্যাগ: নির্বাচন কমিশন

আরও খবর



বিশ্ব মরুময়তা দিবস আজ

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্ব মরুকরণ ও খরা প্রতিরোধ দিবস আজ। গত ২৭ বছর ধরে প্রতি বছর এই তারিখে দেশেও দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম বিশ্ব মরুময়তা দিবস পালিত হয়। উত্তরাঞ্চলের রাজশাহীকে কেন্দ্রবিন্দু ধরে নগর থেকে ৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে কাকনহাটে জাতীয়ভাবে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালিত হয়।

প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে পৃথিবী। এই পরিবর্তনের ধারায় কখনো সিডর, কখনো সুনামি, কখনো হ্যারিকেন, কখনো ভূমিকম্প, কখনো অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, বন্যা, বিভিন্ন রকমের রোগবালাই দুর্যোগ

আকারে দেখা দিচ্ছে। মারা যাচ্ছে মানুষ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মাঠের ফসল। বাড়ছে খাদ্য সংকট। ঘরবাড়ি মিশে যাচ্ছে মাটির সঙ্গে। ফলে মানুষ হারাচ্ছে তার মাথা গোঁজার ঠাঁই। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবে বিশ্বে মরুকরণ একটি অন্যতম সমস্যা।

১৯৭৫ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের পক্ষ থেকে খরা ও মরুকরণের প্রতি সোচ্চার হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। এই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৭ সালে নাইরোবিতে বিশ্ব মরুকরণ বিরোধী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯২ সালে রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলনের পরপরই মরুকরণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। রিও সম্মেলনের এজেন্ডা ২১ এর প্রস্তাবটি ১৯৯২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৪৭তম অধিবেশনে গৃহীত হয় এবং ইন্টারগভর্মেন্টাল নেগোশিয়েটিং কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটি মরুকরণ সংক্রান্ত খসড়া কনভেনশন চূড়ান্ত করে। ১৯৯৪ সালের জুন মাসে কনভেনশনের দলিল চূড়ান্ত হয়। এই কনভেনশনে ৫০টি দেশ কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর ১৯৯৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়। বাংলাদেশও এই কনভেনশন অনুমোদন করে। পরবর্তীতে খরা ও মরুকরণ সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করে তুলতে ১৭ জুন পালন করা হয় বিশ্ব খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস।


আরও খবর