আজঃ শনিবার ১৫ জুন ২০২৪
শিরোনাম

হ-য-ব-র-ল বাইডেনের নথি

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্ট থেকে গত আগস্টে সরকারি গোপন নথি উদ্ধার হওয়া নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ট্রাম্পকে সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে কড়া সমালোচনা করেছিলেন। ট্রাম্পের সেই নথি উদ্ধারের বিষয়টির এখনো সুরাহা হয়নি। এর মাঝে সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক পেন বাইডেন সেন্টার ফর ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড গ্লোবাল এনগেজমেন্ট যেটি বাইডেন ব্যক্তিগত অফিস হিসেবে ব্যবহার করতেন সেখান থেকে উদ্ধার হলো গোপন নথি। ট্রাম্পের গোপন নথি উদ্ধার নিয়ে তিরস্কার করা বাইডেনের নথি উদ্ধার নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে #বাইডেনগ্যারেজ চালু হয়ে গেছে। দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নিশ্চয়ই বাইডেনের গ্যারেজ থেকে সরকারি গোপন নথি উদ্ধারের বিষয়টি ভালো দেখায় না।

সম্প্রতি খবর ছড়িয়ে পড়ে, গত ২ নভেম্বর আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে, বাইডেনের ব্যক্তিগত আইনজীবীরা পেন বাইডেন সেন্টার পরিষ্কার করার সময় বেশ কয়েকটি স্পর্শকাতর নথি খুঁজে পায়। পরে সেগুলো জাতীয় আর্কাইভে জমা করা হয়। এ ঘটনার পর হোয়াইট হাউজের একজন আইনজীবী রিচার্ড সাউবের আরও জানান, দ্বিতীয় দফায় গোপন নথি ডেলাওয়্যারের উইলমিংটনে বাইডেনের বাড়ির গ্যারেজ ও একটি রুম থেকে পাওয়া গেছে।

ডেমোক্র্যাটদের জন্য, যারা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তার মার-এ-লাগোর রিসোর্ট থেকে পাওয়া গোপন নথি ভুলভাবে পরিচালনার জন্য ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হওয়া উচিত বলে জোর দিচ্ছিলেন, তাদের জন্য এটি ভয়ানক সংবাদ। অপরদিকে, রিপাবলিকানদের জন্য, এটি একটি অপ্রত্যাশিত উপহার, বিশেষ করে ট্রাম্প বিষয়টি উপভোগ করছেন।

এফবিআই কি এখন জো বাইডেনের বাড়িতে, এমনকি হোয়াইট হাউজেও অভিযান চালাবে? ট্রাম্প তার সোশ্যাল-মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ এমন প্রশ্ন রেখেছেন? অন্যান্য রিপাবলিকানরাও দাবি করছেন, বিচার বিভাগ বাইডেনের সঙ্গে ট্রাম্পের মতোই যেন একই আচরণ করে। নভেম্বরেই মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড ঘটনা তদন্তের তদারকি করার জন্য বিশেষ পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছেন। মেরিক গারল্যান্ড বাইডেনের কেস পর্যালোচনা করার জন্য বিশেষ পরামর্শক রবার্ট হুরকে নিযুক্ত করেছেন। শুধু তাই নয় তদন্ত থেকে উদ্ভূত যেকোনো ফেডারেল অপরাধের বিচার করার জন্য তাকে অনুমোদন দিয়েছেন। হুর একজন আইনজীবী যাকে ২০১৭ সালে ট্রাম্প মেরিল্যান্ডে অ্যাটর্নি হিসাবে কাজ করার জন্য মনোনীত করেছিলেন। ২০২১ সালে তার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত এ ভূমিকায় কাজ করছেন তিনি। তবে তিনি ভয়ভীতি বা পক্ষপাত ছাড়াই দ্রুত ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ঘটনা তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

স্পষ্টতই ট্রাম্প ও বাইডেন উভয়েই একই জায়গায় নেমে এলেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি গোপন নথি গ্যারেজ বা ক্লাবে নয়, সুরক্ষিত স্থানে সংরক্ষণ করার কথা। সমস্ত হোয়াইট হাউজ রেকর্ড সরাসরি জাতীয় আর্কাইভে যাওয়া উচিত যখন প্রেসিডেন্টের পদের দায়িত্ব শেষ হয়। যদিও বাইডেনের অফিস ও বাড়ি থেকে পাওয়া নথিগুলোর বিষয়বস্তু এখনো জানা যায়নি। তার আইনজীবীরা দাবি করেছেন তারা উদ্ধার হওয়া নথি হস্তান্তর করার আগে সেগুলোতে উঁকি মারেননি।

এ জাতীয় ঘটনার মিল পাওয়ায় বাইডেনের অধীনে নৈতিক উচ্চতায় ভাটা পড়েছে। যদিও দুটি কেস আলাদা হতেও পারে। তবে ডেমোক্র্যাটদের অভিপ্রায়, নথির ধরন ও পরিমাণের দিক থেকে কিছুটা হলেও বিচ্যুত হয়েছে। ডেমোক্র্যাটরা যে বিষয়টিতে চাপ দিচ্ছিলেন সেক্ষেত্রে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর সম্ভাবনা আরও কমে গেলো।

বাইডেন মিত্ররা জোর দিচ্ছে, দুটি কেস মৌলিকভাবে আলাদা। তারা দাবি করছে বাইডেনের জন্য এটি একটি সৎ ভুলের বিষয় ছিল, যেখানে ট্রাম্প তার বাড়িতে রাখা শত শত নথি উদ্ধার করার যে কোনো প্রচেষ্টাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন এবং এতে অনেক সময় লেগেছিল। বাইডেনের দল আরও দাবি করছে, তারা প্রথম দফার নথিগুলো পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো হস্তান্তর করেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নথিগুলো বাইডেনের সম্পত্তির অনুসন্ধানের অংশ হিসাবে পাওয়া গেছে যা এফবিআইয়ের ওয়ারেন্টে নয় বরং বাইডেনের নিজের ইচ্ছায়।

যদিও বাইডেনের জন্য বেশ কিছু অস্বস্তিকর প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। বারাক ওবামার প্রেসিডেন্সির নথিগুলো কীভাবে এসব স্থানে পৌঁছায়? কেন সেগুলো এখনো সেখানে ছিল? এসব নথি কি তথ্য ধারণ করে? প্রথম দফায় নভেম্বরের শুরুতে এবং দ্বিতীয় দফায় ২০ নভেম্বর উদ্ধার হলো, কেন এ সমস্ত কিছু প্রকাশ্যে আসতে সময় লাগলো? তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, কংগ্রেসে নতুন ক্ষমতাপ্রাপ্ত রিপাবলিকানরা এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করাকে তাদের লক্ষ্য হিসাবে নেবে।

নিউজ ট্যাগ: জো বাইডেন

আরও খবর



যাদবপুরে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর লোকসভা আসনে বিজেপির অনির্বান গাঙ্গুলির চেয়ে সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষ। এই আসনে সিপিআইএম দলের যুব নেতা সৃজন ভট্টাচার্যকে নিয়ে বেশ আলোচনা চলছিল।

এক সময়ের ছাত্রনেতা, বর্তমানে যুবনেতা সৃজন ভট্টাচার্য ভোটের প্রচারে বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত তিনি মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়েছেন।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রের বেশিরভাগ আসনে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। ওই রাজ্যের ৪২টি আসনে ৫০৭ জন প্রার্থী লড়াই করছেন।

৫৫টি কেন্দ্রে ভোটগণনা শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গের ১৮টি আসনে এগিয়ে আছে তৃণমূল। ওই রাজ্যে ১১টি আসনে বিজেপি এবং দুইটিতে এগিয়ে আছে কংগ্রেস। সেখানে এখনো একটি আসনেও জয়ী হতে পারেনি সিপিএম।

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় পুরো দেশের ৫৪২টি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ভোটগণনা। সুরাত কেন্দ্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন বিজেপি প্রার্থী। ফলে গণনা শুরুর আগেই এক আসনে এগিয়ে গেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ।

প্রাথমিক তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ভোট গণনায় এগিয়ে আছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। ভোট গণনার প্রথম এক ঘণ্টায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এগিয়ে আছে ২৫৭টি আসনে। ইন্ডিয়া’ জোট এগিয়ে ১৪৫টি আসনে এবং অন্যরা এগিয়ে ১৯টি আসনে।

বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রে প্রাথমিক তথ্যে এগিয়ে আছেন নরেন্দ্র মোদী। অমেঠী কেন্দ্রে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি। অপরদিকে গান্ধীনগরে এগিয়ে আছেন অমিত শাহ। হামিরপুরে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী অনুরাগ ঠাকুর, কনৌজ কেন্দ্রে এগিয়ে আছেন অখিলেশ যাদব। তবে রায়বরেলী এবং ওয়েনাড় দুই কেন্দ্রেই এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।


আরও খবর



ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে স্পেন আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন। ২৮ মে এ স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশ তিনটি।

স্পেন ও আয়ারল্যান্ড বলেছে, তাদের এ সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কিংবা হামাসের পক্ষে নয়। শান্তির সমর্থনে তাদের এ সিদ্ধান্ত। 

ইসরায়েল অবশ্য ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং সতর্ক করে বলেছে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপের অর্থ এ অঞ্চলে আরও অস্থিরতা।

ইসরায়েল তিন দেশে থাকা রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে আনছে। অন্যদিকে, দেশ তিনটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। বুধবার নরওয়ে প্রথম এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয়।

নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইউনাস গার স্তুরে এ নিয়ে বলেন, দুই রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র পাশাপাশি শান্তিতে থাকতে পারবে।

এরপরই আয়ারল্যান্ড ও স্পেন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল মার্টিন বলেন, আমরা ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলি জনগণের নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের সমান অধিকারের ক্ষেত্রে আমাদের দ্ব্যর্থহীন সমর্থন স্পষ্টভাবে প্রকাশ করছি।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস অবশ্য জোর দিয়ে বলেছেন, হামাস ফিলিস্তিনি নয়। তিনি বলেন, ফিলিস্তিকে স্বীকৃতি দেওয়ার আজকের সিদ্ধান্ত শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ তৈরিতে সহায়তার জন্য নেওয়া হয়েছে।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের কণ্ঠেও হ্যারিসের মন্তব্য প্রতিধ্বনিত হয়েছে। স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নয়, ইহুদিদের বিরুদ্ধে নয়। এটি হামাসের পক্ষেও নয়। এ স্বীকৃতি কারো বিরুদ্ধে নয়, এটি শান্তি ও সহাবস্থানের পক্ষে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইয়েল কাৎজ বলেন, তিনি পরামর্শের জন্য ওই তিন দেশে থাকা ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতদের ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল নীরব থাকবে না।


আরও খবর



মার্কিন সম্পদ বাজেয়াপ্তের ফরমানে স্বাক্ষর পুতিনের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার মার্কিন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে একটি ফরমানে স্বাক্ষর করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জবাবে তিনি এমন পদক্ষেপ নিলেন। খবর সিনহুয়ার।

ফরমানে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বেআইনিভাবে মস্কোর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করায় রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং বিভিন্ন সংস্থার আদালতে আইনি প্রতিকার চাওয়ার অধিকার থাকবে। রাশিয়ান সরকারের একটি বিশেষ কমিশন মার্কিন সম্পদ বা সম্পত্তি শনাক্ত করবে। এসবের মধ্যে রাশিয়ায় থাকা যুক্তরাষ্ট্রের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ, সিকিউরিটিজ, রাশিয়ান প্রতিষ্ঠানে থাকা শেয়ার এবং সম্পত্তির অধিকার রয়েছে। এসব মার্কিন সম্পদ রাশিয়ার ক্ষতিপূরণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

এ ফরমান বাস্তবায়নের সুবিধার্থে রাশিয়ার আইনে সংশোধনী আনার জন্য সরকারকে চার মাস সময় দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



সিলেটে বন্যার পদধ্বনি: বিপৎসীমার ওপরে নদীর পানি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দুইদিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে সিলেটে। টিানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের সুরমা কুশিয়ারাসহ প্রায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিলেট জেলার সবকটি নদীর পানি ইতোমধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১২টায় সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারাসহ তিন নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে। আরও কয়েকটি পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবো জানায়, বুধবার দুপুর ১২টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্ট ১৩ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশীদ পয়েন্টে ১৫ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারার অমলশীদ এলাকায় বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০। এছাড়া সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দমশিক ৩৫ সেন্টিমিটার। এ পয়েন্টে দুপুর ১২টায় ১২ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

গত দুইদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই উপজেলার সবচেয়ে বড় নদী সারীনদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। আকস্মিক বন্যায় উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল, মযনাহাটি, বন্দরহাটি, মেঘলী, তিলকৈপাড়া, ডিবিরহাওর, ফুলবাড়ী, টিপরাখরা, খলারবন্দ, মাঝেরবিল, হর্নি, নয়াবাড়ী, কালিঞ্জিাদবাড়ী, জৈন্তাপুর ইউনিয়নে লামনীগ্রাম, মোয়াখাই, বিরাইমারা, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, লক্ষীপুর, কেন্দ্রী, খারুবিল, নলজুরী, শেওলারটুক, বাওনহাওর, চারিকাটা ইউনিয়নের লাল, থুবাং, উত্তর বাউরভাগসহ বিভিন্ন গ্রাম পাহাড়ী ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। 

বৈরী আবহাওয়া ও বন্যার আশঙ্কা নিয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক নির্দেশনাসহ ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বাড়িতে পানি ঢুকার সম্ভাবনা দেখা দিলে বাড়িতে অবস্থান না করে অবশ্যই নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া।

পাহাড়ি, টিলা এলাকায় ও এর পাদদেশে বসবাসকারীদের কেও অতি সত্ত্বর পাহাড় ধস ও মাটি ধসজনিত দুর্ঘটনা এড়াতে উপজেলা প্রশাসনের নির্ধারিত নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত নৌকা প্রস্তুত রাখার কথা বলা হয়েছে।

জরুরী প্রয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসিয়াল মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, আমাদের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পায় মূলত উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাততো আমাদের দেশেও ছিল। তাছাড়া প্রাক বর্ষাকালে বৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। আর বৃষ্টি হলে নদনদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়াটাও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

অপরদিকে সিলেট আবহাওয়া অফিস বলছে, যেহেতু প্রাক বর্ষাকাল চলছে তাই এখন প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হবে। গত ২৪ ঘন্টায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ১৪৬.১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন  বলেন, আগামী তিনদিন সিলেটে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর



মিয়ানমার আগ্রাসনে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন সেন্টমার্টিন, দ্বীপে খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে তিনদিন ধরে সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। মিয়ানমারের ওপার থেকে বারবার গুলি ছোড়া হচ্ছে এ রুটের ট্রলার ও স্পিড বোট লক্ষ্য করে। ফলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মূল ভূখণ্ডের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটির। রবিবার (৯ জুন) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

এই জনপ্রতিনিধি বলেন, তিন দিন ধরে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্পিড-বোট চলাচলও বন্ধ। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো সংকট হয়নি। যাতায়াত নিয়ে সমস্যা হচ্ছে অনেক। অনেকেই সেন্টমার্টিনে আসতে পারছে না। আবার সেন্টমার্টিন থেকে যেতেও পারছে না। কিছুটা খাবার নিয়ে কষ্টে আছে। তবে এখনো খাবার সংকট তৈরি হয়নি। সংকট হতে পারে সবজি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের। আর কয়েকদিন বন্ধ থাকলে খাবার সংকটও তৈরি হতে পারে।’

এদিকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের ফলে সেন্টমার্টিনে দেখা দিচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্য সংকট। দ্বীপে বসবাসরত ১০ হাজারের অধিক বাসিন্দার মধ্যে যারা দিন এনে দিনে খায় আপাতত কষ্টে বেশি পড়েছেন তারাই। খাদ্য ও পণ্যবাহী বোট চলাচল করতে না পারায় সেন্টমার্টিনের দোকানগুলোতে যেমন মজুদ কৃত খাদ্য পণ্য শেষ হতে চলেছে তেমনি এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম দ্বিগুণ নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত সামাধান না হলে দ্বীপবাসীর খাদ্য, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সমস্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দু রশিদ জানান, বোটে প্রকাশ্যে গুলি করতে দেখে মানুষ ভয়ে যাচ্ছে না। তা ছাড়া ওই পথ ছাড়া সেন্টমার্টিনে আসার বিকল্প কোন ব্যবস্থা বা রুটও নাই। প্রতিদিন সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌ রুটে ৬/৭ টি বোটের মাধ্যমে শতাধিক মানুষ আসাযাওয়া করার পাশাপাশি খাদ্য ও নিত্য পণ্য বহন করতেন।

টেকনাফ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আদনান চৌধুরী জানান, এ বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে। তবে জরুরি ভিত্তিতে শাহপরীর দ্বীপ অংশ থেকে বিকল্প পদ্ধতিতে বঙ্গোপসাগর হয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখছি।

এদিকে বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে নাফ নদীর মোহনায় সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশি নির্বাচনি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ইয়ামিন হোসেন বলেন, সেন্টমার্টিনে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস। তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আনা-নেয়া এপার থেকে করতে হয়। যেহেতু মিয়ানমার থেকে বারবার গুলি করা হচ্ছে এ কারণে আমরা সেন্টমার্টিন যাওয়ার বিকল্প নিয়ে ভাবছি। নাফ নদীর মোহনায় যেহেতু এ ঘটনা ঘটছে তাই নাফকে এভয়েড করে আমরা বিকল্প কিভাবে তাদের খাদ্যসামগ্রী এবং যাতায়াতের ব্যবস্থা করা যায় এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

গুলি করা করছে সেটি বুঝা যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, গুলি ছোড়া হচ্ছে; কিন্তু কারা গুলি করছে আমরা বুঝতে পারছি না। যেহেতু ওপারে যুদ্ধ চলছে। আমরা এসব বিষয় নিয়ে সরকারকে জানিয়েছি। স্থানীয়ভাবেও সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।


আরও খবর