আজঃ রবিবার ৩০ জুন ২০২৪
শিরোনাম

হাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে কাঁচা মরিচ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

খেতে বসে প্রতি লোকমার সঙ্গে এক কামড় কাঁচা মরিচ। ভাবলেই যেন জিভে পানি এসে যায়। এমনকি পুরি-সিঙারার মতো ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের সঙ্গেও কাঁচা মরিচ আর পেঁয়াজ ছাড়া অনেকের চলেই না।

অনেকে আবার ঝালের ভয়ে কাঁচা মরিচের ধারে কাছেও ঘেষেন না। তাদের ধারণা, ঝাল খেলে শরীরের ক্ষতি হয়। আসলেই কি তাই? পুষ্টিবিদরা কিন্তু বলছেন ঠিক উল্টোটা। তাদের মতে, কাঁচা মরিচ পুষ্টিগুণে ভরপুর। হাই কোলেস্টেরলসহ একাধিক জটিল সমস্যার সমাধান।

চলুন তবে আর দেরি না করে কাঁচা মরিচের চমকে দেওয়া কিছু গুণের কথা জেনে নিই। তারপর থেকে হয়তো আপনি প্রতি বেলার খাবারের সময় পাতে অন্তত একটি হলেও কাঁচা মরিচ রাখবেন। তাতেই ফিরবে আপনার স্বাস্থ্যের হাল।

হাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে

কাঁচা মরিচ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এই কোলেস্টেরলের কারণেই ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক, হাই প্রেসারসহ একাধিক জটিল রোগ পিছু নেয়। এসব রোগ হটাতে কাঁচা মরিচ খুবই কার্যকর। তাই উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলে ভুক্তভোগীরা নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেতে ভুলবেন না।

ভিটামিনের ভান্ডার

কাঁচা মরিচে বেশ অনেকটা পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। যার ফলে হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি-এর পরিমাণও কাঁচা মরিচে বেশি থাকে। তাই ত্বকের নানা সমস্যা নিরাময় করতে পারে সহজেই। মুখে বলিরেখাও পড়তে দেয় না।

অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর

কাঁচা মরিচ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের ভান্ডার। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সংক্রমণজনিত জ্বর, সর্দি-কাশি থেকে বাঁচায়। কাঁচা মরিচের মধ্যে রয়েছে ক্যাপসাইসিন, যা দেহের কোষ নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে।

বিপাকহার বাড়িয়ে তোলে

কাঁচা মরিচ খেলে দেহে এক ধরনের তাপ উৎপন্ন হয়, যা বিপাকহারের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে এবং ক্যালোরি বার্ন করতেও সাহায্য করে কাঁচা মরিচ। এর ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে শরীরের ওজন।

ব্যথা কমায়

কাঁচা মরিচে রয়েছে ক্যাপসাইসিন, যা প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে। মাইগ্রেন এবং আর্থ্রাইটিসের ব্যথাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে কাঁচা মরিচ।

হজমে সাহায্য করে

কাঁচা মরিচ খাবার হজমে মহৌষধের মতো কাজ করে। খুব তেল-মশলার রান্নায় গুঁড়া মরিচের পরিমাণ কমিয়ে দিন। কারণ, এই মরিচ খাবারের রং, স্বাদ বাড়ালেও হজমে সমস্যা করতে পারে। কিন্তু কাঁচা মরিচ হজমে সাহায্য করে। তাই ঝালের নিয়ন্ত্রণেই হজমের ক্ষমতা সক্রিয় রাখুন।

বন্ধ নাক খুলতে

ঠাণ্ডা লেগে সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে গেলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এই পরিস্থিতিতে গরম পানির ভাপ নেওয়ার সময় হাতে না থাকলে কাঁচা মরিচের ঘ্রাণ নেওয়া যেতে পারে। এতে চটজলদি বন্ধ হওয়া নাক খুলতে দারুণ সাহায্য করবে।

সে কারণে রান্নায় শুকনা গুড়া মরিচের পরিবর্তে কাঁচা মরিচ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। এছাড়া সালাত হিসেবেও কাঁচা মরিচ খাওয়াতে কোনো সমস্যা নেই, বরং এর পুষ্টিগুণ আরও ভালো ভাবে পাওয়া যায় বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।


আরও খবর



পাড়া-মহল্লায় চলছে পশু কোরবানি

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করছেন।

আজ সোমবার সকালে মহল্লায় মহল্লায় নামাজ শেষে নিজ-নিজ পশু কোরবানি করছেন মুসলমানরা। ঢাকার প্রতিটি অলিগলিতেই পশু কোরবানির দৃশ্য চোখে পড়ে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও বাসার নিচের গ্যারেজে, কোথাও বাসার সামনের রাস্তায়, আবার কোথাও এলাকার ফাঁকা মাঠের মধ্যে পশু কোরবানি চলছে।

এদিকে, চুক্তিতে পশুর মাংস কাটতে আসা কসাইরাও ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। একটার পর একটা পশুর চামড়া ছাড়িয়ে মাংস প্রস্তুত করে দিচ্ছেন তারা।

এদিকে, কোরবানির জন্য পশু কিনলেও সবাই আজকে কোরবানি করছেন না। কেউ কেউ ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনও পশু কোরবানি দেবেন। এরমধ্যে অধিকাংশই কসাই না পাওয়ায় প্রথম দিন পশু কোরবানি করছেন না।


আরও খবর



বিশ্ব পরিবেশ দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস। প্রতিবছর ৫ জুন বিশ্বের প্রতিটি দেশে পালিত হয় দিবসটি। দিবসটির মূল লক্ষ্য পরিবেশ দূষণের কারণ ও দূষণ থেকে বাঁচার উপায় খুঁজে বের করা। এ ছাড়া মানুষকে পরিবেশ রক্ষায় সচেতন করে তোলাও এ দিবসের অন্যতম একটি লক্ষ্য। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।

দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা।’

এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন উপলক্ষে সরকারিভাবে নেওয়া কর্মসূচি সর্ম্পকে জানাতে গতকাল দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে নেওয়া কর্মসূচি সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে পরিবেশ মেলা ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করবেন। পলাশ ও বেলগাছের দুটি চারা রোপণের মাধ্যমে জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন তিনি।

তিনি বলেন, শেরেবাংলা নগরের এই পরিবেশ মেলা চলবে ৫ থেকে ১১ জুন পর্যন্ত এবং বৃক্ষমেলা চলবে ৫ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

মন্ত্রী বলেন, অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড কনজারভেশন ২০২৩ ও ২০২৪, বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০২২ ও ২০২৩ এবং সামাজিক বনায়নে উপকারভোগীদের মধ্যে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয়, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃক্ষের চারা বিতরণ এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের মাধ্যমে খুদে বার্তা পাঠানো হবে।

সাবের চৌধুরী বলেন, দেশের সব জেলা ও উপজেলায় এবং ঢাকা মহানগরীর একশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, পরিবেশ দিবস উপলক্ষে শিশু চিত্রাঙ্কন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতর্ক ও স্লোগান প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হবে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হবে।

এ উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে পরিবেশ দিবসের তাৎপর্যভিত্তিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র এবং পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে স্মরণিকা ও বুকলেট প্রকাশ করা হবে।

এ ছাড়াও রোপণ করা বৃক্ষের যত্ন বৃদ্ধির জন্য এবারের জাতীয় বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ।’


আরও খবর



বিজেপিকে টপকে পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে মমতার তৃণমূল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। এতে বেশিরভাগ আসনে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের তথ্যানুসারে, পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনের ২৬টি আসনে এগিয়ে আছে তৃণমূল। আর ১১টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। কংগ্রেস দুটি আসনে এগিয়ে থাকলেও এখনও কোনও আসনে আশা দেখছে না সিপিএম।

পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনে এবার কোন দল জয়ী হবে সেদিকে তাকিয়ে আছে পুরো দেশ। ওই রাজ্যের প্রায় সবকটি বুথফেরত সমীক্ষাতেও বিজেপি এগিয়ে ছিল। তবে আজ ভোট গণনায় সে সমীক্ষা পাল্টে যেতে দেখা যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ৮টায় ভারতের ৫৪২টি কেন্দ্রে ভোটগণনা শুরু হয়েছে। সুরাট কেন্দ্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন বিজেপি প্রার্থী। ফলে গণনা শুরুর আগেই এক আসনে এগিয়ে গেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ।

এদিকে, কেরালার ওয়েনাড় এবং উত্তর প্রদেশের রায়বরেলি- দুটি আসনেই এগিয়ে আছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। অন্যদিকে, বারানসীতে এগিয়ে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

প্রাথমিক তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ভোট গণনায় এগিয়ে আছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির তথ্যানুসারে (এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) ৫৪৩ আসনের মধ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৯৯ আসনে এগিয়ে আছে, আর ইন্ডিয়া জোট ২১৩ আসনে।


আরও খবর



নারীর জীবনমাত্রার মান হ্রাস পায় এন্ডোমেট্রিওসিস রোগে

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণে সামাজিক, জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক অবস্থাও প্রভাবিত হয়। এ রোগের কারণে একজন নারীর গুরুতর ব্যথা, ক্লান্তি, বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও বন্ধ্যাত্বের কারণে জীবনযাত্রার মান হ্রাস হতে পারে। এন্ডোমেট্রিওসিসে আক্রান্ত কিছু নারী প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন যার কারণে তাদের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। অনেক ক্ষেত্রে তারা স্কুলেও যেতে পারে না। এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণে সহবাসের সময় অসহ্য ব্যথা অনুভূত হয়। যার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের সঙ্গীদের যৌন স্বাস্থ্যও প্রভাবিত হয়।

এখনো অনেক দেশের সাধারণ জনগণ এ রোগ সম্পর্কে অবগত নয়। সেসব দেশের সামনে সারিতে থাকা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরাও এ রোগ সম্পর্কে জানে না। মাসিকের সময় প্রচণ্ড ব্যথা হলেও তা নিয়ে সতর্ক থাকে না তারা । যার কারণে অনেকের সঠিক সময়ে ডায়াগনস্টিকের অভাবে এ রোগ ধরা পড়ে না।

প্রাথমিক অবস্থায় সচেতনতা তৈরি করলে অনেকেই এ ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে পারে। ডায়াগনস্টিক দেরিতে হওয়ার কারণে নন-স্টেরয়েডাল ব্যথানাশক (ব্যথানাশক), মৌখিক গর্ভনিরোধক এবং প্রজেস্টেরন-ভিত্তিক গর্ভনিরোধকসহ উপলব্ধ চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে আক্রান্তরা অবগত থাকে না। অনেক দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সীমিত ক্ষমতার কারণে, যাদের প্রয়োজন তাদের জন্য বিশেষ অস্ত্রোপচারের সুবিধাও থাকে না। এছাড়া বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় এন্ডোমেট্রিওসিসের প্রাথমিক অবস্থা নির্ণয় ও কার্যকর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও সরঞ্জামগুলোর অভাব রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এন্ডোমেট্রিওসিসের গুরুত্ব এবং মানুষের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, জীবনের মান এবং সামগ্রিক সুস্থতার ওপর এর প্রভাব নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে। ডব্লিউএইচওর মূল লক্ষ্য এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলোর সমাধান করা।

বিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয়, এন্ডোমেট্রিওসিস মোকাবেলায় কার্যকর নীতি ও হস্তক্ষেপের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে এবং সমর্থন করতে বেশকিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ডব্লিউএইচও। এ লক্ষ্য অর্জনে  ডব্লিউএইচওর একাধিক সংস্থার সঙ্গে অংশীদারত্ব করছে। যার মধ্যে রয়েছে একাডেমিক প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সংস্থা। জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো সক্রিয়ভাবে এন্ডোমেট্রিওসিস প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও যত্নের কার্যকর মডেল শনাক্ত করতে বিভিন্ন গবেষণায় জড়িত রয়েছে। ডব্লিউএইচও এন্ডোমেট্রিওসিসের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি, নীতি ও পরিষেবার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। এ বিষয়ে সুশীল সমাজ ও এন্ডোমেট্রিওসিস রোগীর সেবা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করে। ডব্লিউএইচও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য দেশ ও অঞ্চল-নির্দিষ্ট এন্ডোমেট্রিওসিস প্রাদুর্ভাব ডাটা সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের সুবিধার্থে এবং সমর্থন করার জন্য প্রাসঙ্গিক সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করছে।


আরও খবর



বন্যায় আক্রান্ত সিলেট: পানিবন্দি সাত লাখ মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

মাত্র ২০ দিনের মাথায় দ্বিতীয় দফা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে সিলেট। টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেটে চলমান দ্বিতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ফের বাড়ছে নদ-নদীর পানি। মহানগর ও জেলাজুড়ে প্রায় ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে মহানগরের ১৫টি এলাকার ১০ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত। বন্যায় ঝুঁকিতে পড়েছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার বিদ্যুতের সাবস্টেশন। সুরমা নদী ছাপিয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এটি প্লাবিত হলে দক্ষিণ সুরমার প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়তে পারেন।

মঙ্গলবার বিকাল থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষায় কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। তাদের সহায়তা করছে সিলেট সিটি করপোরেশন ও বিদ্যুৎ বিভাগ। নদীর পাড়ে বালির বস্তা ফেলে পানি আটকানোর চেষ্টা করছেন তারা।

গত ২৭ মে সিলেটে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে জেলার সব উপজেলার সাড়ে ৭ লাখ মানুষ আক্রান্ত হন। সেই বন্যার পানি পুরোপুরি নামার আগেই গত শনিবার ফের কবলিত সিলেট।

সোমবার ঈদের দিন ভোর রাত থেকে সিলেটে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। সাথে নামে পাহাড়ি ঢল। সকাল হতে না হতেই তলিয়ে যায় মহানগরের অনেক এলাকা। জেলার বিভিন্ন স্থানেও অবনতি হয় বন্যা পরিস্থিতির। সোমবার বিকালে বৃষ্টি থামলে ধীরে ধীরে কিছুটা কমে পানি। কিন্তু মঙ্গলবার ভোররাত থেকে ফের শুরু হয় বৃষ্টি। উজানেও বৃষ্টিপাত হয় প্রচুর। ফলে হু হু করে বাড়তে থাকে সিলেটের সব নদ-নদীর পানি। ঈদের দিন দুটি নদীর পানি ২টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে থাকলেও মঙ্গলবার সকালে ৪টি নদীর পানি ৬ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বিকালে জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন জায়গায় পানি আরও বেড়েছে।

চৌকিদিঘির বাসিন্দা মতিন মিয়া জানান, ঘরে কোমর পানি, আমার পরিবার গাঙ্গের হপাড় রাইক্কা আইছি আশ্রয়কেন্দ্রত। একবারে নিরাশ অবস্থা, খাবারদাবার কিচ্ছুই নাই। এই অবস্থার মাঝে আছি। আমরা বারবার ভোগান্তির শিকার হইরাম। কেউ দেখেরও না। সরকারের পক্ষ থাকিও কুন্তা দেয়া ওর না।

এছাড়া সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানি বইছে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। আর সারি-গোয়াইন নদীর সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ০.২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেটজুড়ে ৮৬৪টি গ্রাম ও এলাকা প্লাবিত। এসব গ্রাম ও এলাকার ৬ লাখ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৭ জন বন্যা আক্রান্ত। এর মধ্যে সিলেট মহানগরের ৪টি ওয়ার্ডের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৬১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে মহানগরে ৮০টি।

সরেজমিনে দেখা যায়, মহানগরের সব নিচু এলাকা পানিতে নিমজ্জিত। বিশেষ করে শাহজালাল উপশহর প্রায় পুরোটাই পানির নিচে। অনেকের বাসার নিচতলায় গলা পর্যন্ত পানি। এছাড়া যতরপুর, মেন্দিবাগ, শিবগঞ্জ, রায়নগর, সোবহানীঘাট, কালিঘাট, কামালগড়, মাছিমপুর, তালতলা, জামতলা, কাজিরবাজার, মাদিনা মার্কেট, আখালিয়া ও মেজরটিলাসহ মহানগরের অধিকাংশ এলাকা বন্যাকবলিত।

এছাড়া মহানগরের মধ্যে অনেক প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পানি রয়েছে। এয়ারপোর্ট সড়ক, সিলেট-তামাবিল সড়ক, দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডসহ বিভিন্ন সড়কের বেশ কয়েকটি স্থান পানির নিচে। এদিকে মহানগর পুরোটা না হলেও জেলার সব উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাটসহ কয়েকটি উপজেলার গ্রামীণ অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক কৃষিজমির ফসল তলিয়ে গেছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পানিবন্দি লোকদের উদ্ধারের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তৎপরতা চালানো হচ্ছে। বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়গুলোতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ডেডিকেটেড অফিসার নিয়োগের পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়নভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। আগামী ৩ দিন সিলেট অঞ্চলে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। এ অবস্থা চলমান থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ সময় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বইছে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বইছে বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিলেটে ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার ৬টা পর্যন্ত) ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী তিন দিন সিলেটে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

এদিকে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান বুধবার দিনভর সিলেট নগরীর বিভিন্ন বন্যা কবলিত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করে মিরাবাজার কিশোরী মোহন বালক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করেন।

এসময় নগরীর বন্যা পরিস্থিতি দেখে তাৎক্ষণিক নগদ ১০ লক্ষ টাকা, ১ শ' মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেন প্রতিমন্ত্রী।

ত্রাণ সহায়তায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়ার পর থেকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যার খবর রাখছেন। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবারের পাশাপাশি রান্না করা খাবার বিতরণ করছে সিটি কর্পোরেশন। পানি না কমা পর্যন্ত আমাদের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

এসময় সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল ইসলাম, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি, সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর