আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

‘হ্যালো টুরিস্ট’ অ্যাপে যে সেবা পাবেন আপনি

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সারা দেশের ছোট বড়-সব মিলিয়ে সাড়ে ৬০০ ওপরে পর্যটন স্থানে রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৫০টির ওপরে পর্যটন স্থানে পর্যটকদের যাতায়াতে সব থেকে বেশি। এসব টুরিস্ট স্পটে পর্যটকদের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা করে থাকে বাংলাদেশ পুলিশের টুরিস্ট পুলিশ। ভ্রমণপিয়াসুদের হাতের নাগালে সেবা পৌঁছাতে দিতে দীর্ঘদিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে টুরিস্ট পুলিশ। মাত্র ১ হাজার ৩০০ জন সদস্য নিয়ে পর্যটক স্পটগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পেট্রোলিংয়ের কাজ করছে পুলিশের এই ইউনিটটি। নিজেদের সেবার মান বাড়াতে বিভিন্ন সময় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে টুরিস্ট পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে টুরিস্ট পুলিশের হ্যালো টুরিস্ট অ্যাপ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেবার মান বাড়াতে অ্যাপটিকে প্রতিনিয়ত আপডেট করে যাচ্ছে।

টুরিস্ট পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মূলত পর্যটকদের হাতে হাতে পুলিশের এই ইউনিটটির ফোন নম্বর পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে অ্যাপটির মূল্য লক্ষ্য। এছাড়া 'হ্যালো টুরিস্ট' ব্যবহার করে একজন পর্যটক কীভাবে পর্যটন স্থানে যাবে, কোথায় থাকবেন, নির্দিষ্ট স্থানে কোনো পরিবহনে কত ভাড়া, সমস্যা হলে কীভাবে অভিযোগ দেবেন ইত্যাদি নানা সেবা নিতে পারবেন। এই সেবা নিতে হলে পর্যটকে প্রথমে তার স্মার্ট অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিতে হবে। এর পর অ্যাপের ভেতরে প্রবেশ করে অপশন মোতাবেক এসব সেবা নিতে পারবেন একজন পর্যটক। অ্যাপটিতে ১৫টি অপশনের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা নেওয়া যাবে। অ্যাপটির বাংলা ও ইংরেজি দুটি মাধ্যম রয়েছে ব্যবহারকারীদের জিন্য।

হ্যালো টুরিস্ট যে সেবা নেওয়া যায়: আমাদের খুঁজুন ও যোগাযোগ- হ্যালো টুরিস্ট অ্যাপে আমাদের খুঁজুন ও যোগাযোগ নামে দুটি অপশন পাবেন ব্যবহারকারী। এই দুটি অপশনে গিয়ে টুরিস্ট পুলিশের প্রধানসহ তাদের সব স্তরের কর্মকর্তা ও অফিসের ফোন নম্বর সহজেই পেয়ে যাবেন পর্যটক। এসব নম্বরে ফোনে করে পর্যটন সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা নেওয়া যাবে।

আমাদের সম্পর্কে- অ্যাপের তৃতীয় অপশনটির নাম হচ্ছে আমাদের সম্পর্কে। এই অপশনে গিয়ে ব্যবহারকারী টুরিস্ট পুলিশের ইতিহাস ও কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ভ্রমণের স্থান- অ্যাপের ভ্রমণের স্থান অপশনটি গিয়ে একজন পর্যটক দেশের ৮ বিভাগের ৬৪ জেলার কোথায় কোথায় দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক পর্যটন স্থানের নাম জানতে পারবেন। অপশনটিতে এক সঙ্গে ৬৪ জেলার সব দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক পর্যটনস্থানে নাম সহজে ব্যবহারকারী জেনে নিতে পারবেন।

হোটেল/মোটেল- অ্যাপের হোটেল/মোটেল অপশনে গিয়ে ভ্রমণপিয়াসুরা চট্টগ্রাম, কক্সবাজর ও কুয়াকাটাসহ ২০ জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক পর্যটন স্থানের আশপাশে কি কি হোটেল বা মোটেল রয়েছে সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন। এ অ্যাপে ২০টি জেলার পর্যটন স্থান সংলগ্ন বিভিন্ন হোটেলের নাম, ঠিকানা ও ম্যানেজার নম্বর দেওয়া রয়েছে পর্যটকদের জন্য। এখান থেকে নম্বর নিয়ে খুব সহজেই হোটেল বুকিং করতে পারবেন পর্যটকরা।

ভ্রমণ গাইড- অ্যাপের ভ্রমণ গাইড অপশনটিতে চমৎকার সব তথ্য পাবেন পর্যটক। এসব তথ্য ব্যবহার করে ভ্রমণের পরিকল্পনা ও বাজেট ঘরে বসে খুব সহজেই করে ফেলতে পারবেন একজন পর্যটক। অপশনটি বিভিন্ন পর্যটনস্থানে কিভাবে যাওয়া যাবে, কত টাকা যাতায়াতে ও হোটেল/মোটেল ভাড়া, কি খাবেন সেখানে গিয়ে কোথায় কোথায় ঘুরবেন, কিভাবে হোটেল বুকিং করাসহ বিস্তৃত তথ্য জানতে পারা যাবে। এই অপশন ব্যবহার করে পর্যটক সম্পূর্ণ গাইড লাইন পেয়ে যাবেন নির্দিষ্ট পর্যটনস্থানের।

নিখোঁজ ও প্রাপ্তি- অ্যাপের নিখোঁজ ও প্রাপ্তি অপশনটি একজন পর্যটকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী। বিভিন্ন পর্যটন স্থানে ঘুরতে গিয়ে অনেক পর্যটক নানা মূল্যবান জিনিসপত্র হারিয়ে ফেলন। বিশেষ করে হাতের মোবাইল ফোনটি। অ্যাপের এই অপশনে গিয়ে হারানো জিনিসপত্র টুরিস্ট পুলিশের পেলে তা সম্পর্কে তথ্য জানা যাবে। পরে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে হারানো জিনিসপত্র পেতে পারবেন পর্যটক।

নোটিস/সংবাদ- অ্যাপের এই অপশনটি একজন ভ্রমণপিয়াসুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ অপশনে গিয়ে ব্যবহারকারী পর্যটনস্থান সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও জরুরি সংবাদ জানতে পারবেন।

বুলেটিন- অ্যাপের বুলেটিন অপশনে গিয়ে পর্যটক নানা জরুরি সংবাদ ও বুলেটিন সম্পর্কে জানতে পারবেন। পর্যটন স্থানে যেতে কোনো নির্দেশনা বা জরুরি কোনো সংবাদ থাকলে এ অপশনে পেয়ে যাবেন ব্যবহারকারী।

সতর্কতা- অ্যাপের এ অপশনে পাহাড়ের কিংবা সমুদ্র সৈকতের থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যটন স্থানে বেড়াতে কি কি সতর্কতা মেনে চলতে হবে সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ গাইড লাইন দেওয়া রয়েছে।

আইন কানুন- অ্যাপের আইন কানুন নামে অপশনটিতে গিয়ে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব আইন জানতে পারবেন পর্যটক। একটি পর্যটন স্থানে বেড়াতে গিয়ে পর্যটক কে কি কি আইন মেনা চলা উচিৎ সেই সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়া হয়েছে অপশনটিতে। এছাড়া অ্যাপসটিতে 'জিজ্ঞাসা', 'ছবি গ্যালারি', 'আপনার মতামত' ও 'অভিযোগ' নামে আরও চারটি অপশন রয়েছে। এসব অপশন ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সেবা নিতে পারবেন পর্যটক। এছাড়া 'অভিযোগ' অপশনটি ব্যবহার করে একজন পর্যটক টুরিস্ট পুলিশকে অভিযোগ জানাতে পারবেন।

হ্যালো টুরিস্ট অ্যাপটির বিষয়ে টুরিস্ট পুলিশের (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিল বলেন, কোনো ব্যবহারকারী যদি টুরিস্ট পুলিশের 'হ্যালো টুরিস্ট' অ্যাপটি তার স্মার্টফোনে ইনস্টল করেন তাহলে এর মাধ্যমে আমাদের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নম্বর এখানে পেয়ে যাবেন। এসব নম্বর ব্যবহার করে পর্যটকরা যেকোনো অভিযোগ বা সহায়তা পাওয়ার জন্য টুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। অ্যাপটি ইনস্টলের পর ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াও ব্যবহার করতে পারবেন। অধিকাংশ পর্যটকের কাছে টুরিস্ট পুলিশের নাম্বার নেই। তবে এই অ্যাপটি ফোনে ইনস্টল করা থাকলে সারা দেশের টুরিস্ট পুলিশের নম্বর এক সঙ্গে পেয়ে যাবেন পর্যটকরা। যেমন কোনো পর্যটক যদি কোনো পর্যটন স্থানে গিয়ে সমস্যা পড়েন বা তার কোনো তথ্য জানার প্রয়োজন পড়ে তাহলে অ্যাপট ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট পর্যটন স্থানের টুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন ফোনে। ফোন পাওয়ার পর ওই পর্যটককে অবশ্যই সাহায্য করার জন্য টুরিস্ট পুলিশ এগিয়ে আসবে। এছাড়া কোনো পর্যটক এমন স্থানে গিয়েছেন যেখানে টুরিস্ট পুলিশের কোনো অফিস নেই, তার পরেও যদি অ্যাপটি থেকে নম্বর নিয়ে যোগাযোগ করা হয় তাহলে টুরিস্ট পুলিশ সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সঙ্গে ওই পর্যটকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেবে। এতে করে ওই পর্যটক স্থানীয় থানা পুলিশকে তার সমস্যার কথা জানাতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, অ্যাপে পর্যটন স্পটের ছবি ও লোকেশন দেওয়া হয়েছে। একজন পর্যটক নির্দিষ্ট পর্যটন স্থানে কিভাবে যাবেন, সেখানে যেতে কত টাকা খরচ হতে পারে তারও তথ্য এ অ্যাপে দেওয়া রয়েছে। হ্যালো টুরিস্ট অ্যাপে টুরিস্ট পুলিশের সব কার্যক্রমের তথ্য দেওয়া থাকে। এছাড়া কোনো পর্যটক যদি পর্যটন স্থানে মোবাইল, টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হারিয়ে ফেলেন সেগুলো যদি পাওয়া যায় সেসব তথ্যও অ্যাপে দেওয়া থাকে। পরে পর্যটক হারিয়ে যাওয়া জিনিসপত্রের বিষয়ে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে টুরিস্ট পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে নিতে পারবেন।


আরও খবর



কাল শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় গবেষণা মেলা, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণার কাজগুলোকে জাতির সামনে তুলে ধরা এবং নতুন গবেষকদের উদ্বুদ্ধ করতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে গবেষণা মেলা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়ধ্বনি মঞ্চের প্রাঙ্গনে আগামী ৮ ও ৯ মে অনুষ্ঠিত হবে এই মেলা, উদ্বোধন করবেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। মেলার সমাপনী দিনে অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। এদিন শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ক্লাস নিবেন তিনি।

গত বুধবার (১ মে) ২য় গবেষণা মেলা-২০২৪ এর আহ্বায়ক এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক ড. মার্জিয়া আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গবেষণার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণা মনস্কতা বাড়ানো এবং বিদেশের সাথে যোগাযোগ করে যাতে তারা আরো বেশি গবেষণায় উদ্ভুদ্ধ করতে পারে নিজেদের সেজন্য এই মেলার আয়োজন একটি অনবদ্য সিদ্ধান্ত।

জানা গেছে, এবারের গবেষণা মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫টি বিভাগ, গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তর, আইকিউসি ও ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ অংশগ্রহণ করবে। গত ৬ মে (সোমবার ) তাদেরকে ১টি করে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মোট ৩০টি স্টলের মধ্যে ২টি স্টলকে অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন স্টল হিসেবে রাখা হবে। মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণাকেন্দ্রের শিক্ষক ও গবেষকদের প্রকাশিত প্রবন্ধ, গ্রন্থ, জার্নাল, গবেষণা প্রকল্প, উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রকাশনা তুলে ধরা হবে। এছাড়াও গবেষণা মেলায় ২য় গবেষণা মেলা-২০২৪ নামে একটি প্রকাশনির মোড়ক উন্মোচন করা হবে যাতে ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে করা সকল গবেষণা প্রকল্পের শিরোনাম থাকবে। ৯ মে মেলার দ্বিতীয় দিন অংশগ্রহণকারী প্রতিটি বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউট তাদের কার্যক্রম নিয়ে ১০ মিনিট করে একটি ব্রিফিংয়ের সুযোগ পাবেন; যাতে করে মেলায় আসা দর্শনার্থীসহ অংশগ্রহণকারী অন্যরা সংশ্লিষ্ট ওই বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউটের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন। এছাড়া বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে।

ফোকলোর বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমি আসলে প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থী। এর আগে কখনো গবেষণা বিষয়ে কোন মেলায় অংশগ্রহণ করিনি, তাই অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি এই মেলার জন্য। এই মেলা হয়তো ভবিষ্যতে আমাকে গবেষণা করতে উদ্বুদ্ধ করবে। আসলে আমি মনে করি গবেষণা যত বেশি হবে শিক্ষার গভীরতা ততই বৃদ্ধি পাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞানসৃষ্টির আধার উল্লেখ করে ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, এটি আমাদের ২য় গবেষণা মেলা। শিক্ষকদের গবেষণার প্রতি আকৃষ্ট করতে এই মেলার আয়োজন। এই মেলায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে গবেষণা মনস্কতা বাড়াবে। এই মেলায় অংশগ্রহণ করে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গবেষণার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হবে। আমরা মনে করি জ্ঞানসৃষ্টির জন্য গবেষণার কোনো বিকল্প নেই।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকে সবার সামনে উপস্থাপনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের আয়োজনে এই গবেষণা মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




শ্যামবাজার ঘাটে লঞ্চে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তৃতীয় তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের প্রায় ৫০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।

এর আগে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তৃতীয় তলায় আগুন লাগে।

তালহা বিন জসিম বলেন, রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তিন তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সদরঘাট নদীর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ও পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিটসহ মোট পাঁচটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।


আরও খবর



আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল: বাইডেন প্রশাসন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়ে গাজায় হামলার ক্ষেত্রে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে বাইডেন প্রশাসন। স্থানীয় সময় শুক্রবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়। কংগ্রেসে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া পর এমন তথ্য সামনে এসেছে।

হোয়াইট হাউসের নির্দেশিত পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত অস্ত্র ইসরায়েল কীভাবে ব্যবহার করেছে। যদিও ওই প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানের তীরষ্কার করা হয়। তবে এটা স্পষ্ট করে বলা হয়নি যে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজায় হামলার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে কি-না।

এতে আরও বলা হয়, গাজায় হামলার ক্ষেত্রে ইসরায়েল সেনাবাহিনীকে হামাসের বিরুদ্ধে একটি কঠিন সামরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইসরায়েল যেভাবে আশস্ত করেছে এজন্য তাদের আরও অস্ত্র পাঠানো যেতে পারে।

আরও বলা হয়, সামরিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য হামাস যেভাবে বেসরকারি অবকাঠামোতে হামলা এবং মানব ঢলকে যেভাবে ব্যবহার করেছে তাতে বৈধ প্রক্রিয়ায় স্থলভাগে নির্দিষ্ট বস্তুকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো কঠিন ছিল।

এদিকে সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জো বাইডেন বলেছেন, ওই বোমার আঘাতে এবং অন্যভাবে গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন। ইসরাইলের প্রতিরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়বদ্ধ। তাই তারা আয়রন ডোম রকেট ইন্টারসেপটার দেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র একটা বিভাজনরেখাও তৈরি করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইসরাইল যদি রাফাতে আক্রমণ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেবে না।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই সময়ে তারা ১২০০ মানুষকে হত্যা এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।

এ হামলার প্রতিবাদে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। কিন্তু হামলায় দেশটি কোনো নিয়মের তোয়াক্কা করেনি। ফলে ৩৪ হাজারের বেশি নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।


আরও খবর



৫ ড্রিংকস নিষিদ্ধ চেয়ে মামলা, মালিকদের তলব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিককে তলব করেছেন আদালত।ড্রিংকগুলো হলো- এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো।

আজ মঙ্গলবার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে পাঁচটি কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ এবং ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো- এগুলো ওষুধ নাকি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দিবেন।

এর আগে সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। এ সময় নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বলেন, এগুলোর একটিরও অনুমোদন নেই।

তিনি আরও বলেন, ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারেনা এগুলো ওষুধ না ড্রিংকস। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামীম ইকবাল। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। আমরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছি, শোনেনি কোনো কোম্পানি। কাজেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।


আরও খবর



মিরপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে মিরপুর ১০ এর সড়ক অবরোধ করেছেন অটোরিকশার চালকরা। এ সময় কয়েকশো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালককে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

রবিবার (১৯ মে) সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করেন অটো চালকরা। গত কয়েকদিন ধরেই পুলিশ তাদের ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করছে।

জানা গেছে, অটোরিকশা চালকরা মিরপুর ১০, ১১ ও বাংলা কলেজ এলাকায় মিছিল করে ১০ নম্বর মোড়ে অবস্থান নেন। তবে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ওই এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে, সড়ক অবরোধ করার ফলে মিরপুর ১০ এলাকা দিয়ে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে আশপাশের এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) উপদেষ্টা পরিষদ ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। বৈঠক শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।


আরও খবর