আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে গ্রাহকের ১৪৯ ভরি সোনা উধাও

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখার লকার থেকে এক গ্রাহকের ১৪৯ ভরি সোনা চুরি যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোনা চুরির ঘটনায় ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারাই জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন অভিযোগকারী।

ওই শাখার গ্রাহক রোকেয়া আক্তার বারী গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আমি ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় লকার ব্যবহার এবং অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করে আসছি। গত ২৯ মে দুপুর দেড়টায় ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় কিছু স্বর্ণালংকার আনার জন্য যাই। লকারের দায়িত্বে থাকা অফিসারকে আমার লকার খুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। তিনি চাবি দিয়ে লকার কক্ষের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ওই অফিসার আমার বরাদ্দকৃত লকারটি খোলা দেখতে পান। এমন ঘটনা দেখে আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি।’

রোকেয়া বলেন, লকারে চুড়ি, জড়োয়া সেট, গলার সেট, গলার চেইন, আংটি, কানের দুলসহ ১৪৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিল। লকার খোলার পর দেখা যায়, সেখানে মাত্র ১০ থেকে ১১ ভরি স্বর্ণ অবশিষ্ট আছে। খোয়া যাওয়া স্বর্ণালঙ্কারের দাম প্রায় দেড় কোটি টাকা।’

রোকেয়া বারী আরেও বলেন, ব্যাংক থেকে জানানো হয়, এই ঘটনায় তারা তদন্ত করবে। এ বিষয়ে এক সপ্তাহ পরে জানাবে।’

রোকেয়া বলেন, পরবর্তীতে তারা এই ঘটনায় চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।

চুরির বিষয়ে জানতে ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ব্যবস্থাপক শফিউল মাওলার ব্যক্তিগত মুঠোফোন এবং হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে একাধিকবার কল ও মেসেজ করার পরও তিনি সাড়া দেননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসলামী ব্যাংকের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, চকবাজার শাখার ঘটনাটি চুরি, মিসিং বা অন্য কোনো ঘটনা কি না, তা তদন্ত চলছে। ব্যংকের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা রোববার (২ জুন) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টির তদন্ত করবেন।’

এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী রোকেয়া বারীর ছেলে ডা. রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুকের দাবি, ব্যাংক কর্মকর্তারা তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন যে ঘটনা তদন্তে তারা একটি তদন্ত দল গঠন করেছেন এবং সাত দিনের মধ্যে সঠিক ঘটনা উদঘাটন করবেন। এ ছাড়া অভিযোগ দায়ের না করলেও ঘটনাটি পুলিশকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।

চিকিৎসক রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুক বলেন, তার মা ২০০৭ সাল থেকে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় তার স্বর্ণের গহনা রাখার জন্য লকার ব্যবহার করে আসছেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ব্যাংকে গিয়ে লকার রুমের ইনচার্জকে তার লকার দেখার অনুরোধ করেন। মায়ের কাছে লকারের মূল চাবি আছে এবং আরেকটি ডুপ্লিকেট চাবি ইনচার্জের কাছে থাকে।’

তিনি বলেন, তারা দুজন লকার রুমে প্রবেশ করেন। তখন ইনচার্জ প্রথমে দেখেন যে মায়ের লকারটি খোলা। পরে আমার মা লকারটি পরীক্ষা করে ব্যাংক কর্মকর্তাদেরকে স্বর্ণালঙ্কার বিষয়টি জানান।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) আকিজ উদ্দিন বলেন, আমরা বিষয়টি দেখছি। গ্রাহকের কাছে মূল চাবি আছে, কিন্তু আমাদের কাছে নেই। তিনি এক মাস আগে ব্যাংকে এসে লকারটি পরীক্ষা করেছিলেন। আমাদের কাছে কোনো গ্রাহকের লকারের সঞ্চয় সম্পর্কে তথ্য থাকে না। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।

চকবাজার থানার ওসি ওয়ালি উদ্দিন আকবর বলেন, লকার রুমে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। ভিকটিম ও তার ছেলে থানায় জিডি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা ঘটনাটির গুরুত্বের কারণে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে বলেছি।


আরও খবর



কাশ্মীরের বনাঞ্চলে দাবানল, বিস্ফোরিত হচ্ছে একের পর এক ল্যান্ডমাইন

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজৌরির বনাঞ্চলে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বিস্ফোরিত হচ্ছে একের পর এক ল্যান্ডমাইন বলে গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে।

জানা গেছে, পাহাড়ি অঞ্চলে ড্রোন ব্যবহার করে আগুনের সঠিক অবস্থান এবং গতিবিধি অনুমান করে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন ভারতীয় দমকল কর্মীরা।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গরমের কারণে নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন মানকোট জঙ্গলে প্রথমের আগুনের সূত্রপাত হয়। কয়েক দিনের ব্যবধানে সেই আগুন আরও মারাত্মক হয়ে উঠেছে। কারণ, এই সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে সেখানে প্রচুর সংখ্যক ল্যান্ডমাইন বিছানো ছিল। আগুনের কারণে সেই ল্যান্ডমাইনগুলোতে ক্রমাগত বিস্ফোরণ ঘটছে। কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে আগুন দেখা যাচ্ছে।

এদিকে গত তিন দিন ধরে উধমপুর জেলার ঘোর্ডি ব্লকের দয়া ধারের জঙ্গলে আগুন জ্বলছে। ক্রমাগত অগ্নিনির্বাপণের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বর্তমানে এই আগুন আরও তীব্র হয়েছে। দয়া ধর বন এলাকায় ময়ূরের আবাসস্থল, যা এই আগুনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। গাছপালা পুড়ে যাওয়ায় শুধুমাত্র ময়ূরই নয়, অন্যান্য বন্যপ্রাণী এবং সামগ্রিক বাস্তুতন্ত্রকেও প্রভাবিত করেছে।

ভারতজুড়ে তীব্র দাবদাহের মধ্যেই এ দাবানল যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাসিন্দাদের জন্য। আগুন নেভাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়রা।

মার্চের মাঝামাঝি থেকে জুন মাসে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ভারতে সাধারণত বনাঞ্চলে দাবানল বেড়ে যায়। চলতি মাসে মেনধর উপজেলার নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন বনাঞ্চলে এটি চতুর্থ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, পাকিস্তান অধিকৃত এলাকার বনাঞ্চলের আগুন ভারতীয় ভূখণ্ডে চলে এসেছে। পাকিস্তানি জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য ল্যান্ডমাইন অকার্যকর করতে এ ধরনের আগুন লাগিয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।


আরও খবর



গোয়েন্দা নজরদারিতে টিকিট কালোবাজারিরা: র‍্যাব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেছেন, টিকিট কালোবাজারি চক্রের বিরুদ্ধে র‍্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। এ বছরের পর কালোবাজারি আর থাকবে না। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে ঈদযাত্রা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, এ বছর দূরপাল্লার (আন্তঃনগর) ট্রেনের শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া যাত্রার দিন ২৫ ভাগ আসনবিহীন টিকিট বিক্রি চলছে।

তিনি বলেন, ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে প্রতিটি স্টেশনে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মোবাইল ট্র্যাকিং চালু রাখা হয়েছে। বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল ও রেলস্টেশনে কাজ করছে র‍্যাব।

র‍্যাব জনগণের পাশে আছে জানিয়ে এরপর তিনি বলেন, প্রতিটি বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল, রেলস্টেশনে আমাদের ওয়াচ টাওয়ার, কন্ট্রোল রুম রয়েছে, মোবাইল টিম রয়েছে। যেকোনো ধরনের অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যাত্রীদের অনুরোধ করবো আপনাদের যেকোনো অভিযোগ থাকলে জানান, র‌্যাব আপনার পাশেই আছে।

এ র‍্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে আছেন। যাত্রীদের হয়রানি বিশেষ করে নারী হয়রানি যেন না হয় সে বিষয়ে র‌্যাব কাজ করে যাবে। বিভিন্ন অজ্ঞানপার্টি, মলম পার্টির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। যাত্রাকালে আপনারা অপরিচিত কারও সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলবেন না।


আরও খবর



বাজেট: অধিকাংশ মোটরসাইকেলেরই দাম কমছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশে ইঞ্জিন সংযোগ করা মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানিতে ডিউটি ও সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ২৫০ সিসির নিচের সব মোটরসাইকেলের ওপর নীতি কার্যকর থাকবে। এর ফলে দেশে ব্যবহৃত অধিকাংশ মোটরসাইকেলেরই দাম কমবে।

বর্তমানে দেশে অনেক কোম্পানিই মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন সংযোজন করছে। মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী এসব প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহ দিতে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশসমূহকে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের উপকরণ আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। উল্লিখিত পণ্যসমূহের আমদানির বিপরীতে আরোপকৃত তিন শতাংশের অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক এবং সমুদয় রেগুলেটরি ডিউটি ও সম্পূরক শুল্ক থেকে অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে।

তবে, ২৫০ সিসির ঊর্ধ্বসীমার ইঞ্জিন ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেলের জন্য এসব যন্ত্রাংশগুলো আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ ধার্য করার সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ কাস্টমস ট্যারিফ এ সংশ্লিষ্ট পণ্যের বিপরীতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ ধার্য করার সুপারিশ করেছেন অর্থমন্ত্রী।


আরও খবর



সুপার এইট নিশ্চিত করল আফগানিস্তান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ম্যাচেও হেরে যাওয়ায় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা ছিল আফগানদের শেষ আটে পৌঁছানো, পাপুয়া নিউ গিনিকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সেই কাজ করে ফেলল রশিদ খান, রহমানুল্লাহ গুরবাজরা।

নবিন উল হক, ফজলহক ফারুখিদের বোলিংয়ের সামনে সেভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেনি পাপুয়া নিউ গিনি, জবাবে ব্যাট করতে নেমে যথেষ্ট ভালোভাবেই ম্যাচ পকেটে পুড়ে নিয়েছে আফগানরা। এই ম্যাচ জয়ের ফলে গ্রুপ সি থেকে তারা পৌঁছে গেল সুপার এইট স্টেজে। 

গত বছর ভারতের মাটিতে ওডিআই বিশ্বকাপের মঞ্চে একাধিক বড় দলকে টেক্কা দিয়েছিল আফগানিস্তান। এমনকি অস্ট্রেলিয়াকেও প্রায় হারিয়েই দিয়েছিলেন রশিদ খানরা। কিন্তু অভিজ্ঞতার কাছেই হারতে হয়েছিল তাঁদের। ওডিআই বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতার পুঁজি নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলতে এসেছিল তারা।  এবার অবশ্যই তারা সফল। কিউয়িদের বিশাল ৮৪ রানের ব্যবধানে হারানোর পরই পথ মসৃণ হয়ে গেছিল। শেষ পর্যন্ত পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই এক ম্যাচ বাকি থাকতে সুপার এইট স্টেজে পৌঁছে গেল মহম্মদ নবি, গুলবদিন নাইবদের আফগানিস্তান।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৯৫ রানেই গুটিয়ে যায় পাপুয়া নিউ গিনির ইনিংস। আফগানিস্তানের হয়ে ৩ উইকেট নেন পেসার ফজলহক ফারুকি। দুটি উইকেট নেন আরেক জোরে বোলার নবিন উল হক, একটি উইকেট পান নূর আহমেদ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের দুই ওপেনার তেমন নজর না কাড়লেও মহম্মদ নবি এবং গুলবদিন নাইব দলের জয় নিশ্চিত করেন।

৩৬ বলে ৪৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন আফগানিস্তানের গুলবাদিন নাইব। অলরাউন্ডার মহম্মদ নবি ১৬ রানে অপরাজিত থেকে পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। এই গ্রুপ থেকে নিউজিল্যান্ডকে টপকে যে আফগানিস্তান দল সুপার এইটে পৌঁছাতে পারে, সেকথা টুর্নামেন্ট শুরু আগে হয়ত স্বপ্নেও ভাবেননি অতি বড় আফগান সমর্থকও। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার দ্বারা অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়, সেটাই প্রমাণ করে দেখালেন রশিদ খান, মহম্মদ নবিরা।

গ্রুপ সি-তে তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। এক্ষেত্রে নেট রান রেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও ওপরে রয়েছে তারা। তিন ম্যাচ ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আন্দ্রে রাসেলরা রয়েছেন। তিন ম্যাচে ২ পয়েন্ট উগান্ডার। তিন ম্যাচে ০ পয়েন্ট পাপুয়া নিউ গিনির, দু ম্যাচে ০ পয়েন্ট নিউজিল্যান্ডের।  ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আফগানিস্তান পৌঁছে গেল সুপার এইটে।


আরও খবর



কোরবানির ঈদকে ঘিরে শেরপুরে মসলার বাজার অস্থির

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাজারে উৎসবের আমেজ আসতেই অস্থির হয়ে উঠেছে শেরপুরের মসলার বাজার।ঈদকে কেন্দ্র করে মসলা ব্যবসায়ীরা জিরা, এলাচ ও লবঙ্গের মতো মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অস্বাভাবিকভাবে। অথচ এসব মসলা আমদানি হয়েছে ৩-৪ মাস আগেই। ঈদের আগ মসলার দাম বড়ে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। মসলার আকাশচুম্বী দামে পুড়ছে তাদের পকেট। হঠাৎ করেই মসলার দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই পছন্দের খাবার তৈরি করতে অসুবিধায় পড়ছেন। এ পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

শেরপুরের নয়ানী বাজারে মসলা কিনতে আসা জাকির হোসেন বলেন, সব মসলার দাম বেশী, এভাবে সবকিছুর দাম বাড়লে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ কোথায় গিয়ে দাড়াবে?

এনজিও কর্মী ইমন জানান প্রতি কেজি মসলা ১০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চাল-ডাল-আটাসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা। অথচ ধানের মূল্য কম।

মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে এলাচ, জিরা, লবঙ্গ, পিয়াজ, রসুন, আদা, মরিচ, হলুদ, ধনিয়াসহ বিভিন্ন প্রকারের মসলা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরাতে ছোট এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকা, গতসপ্তাহে এলাচ কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। ভালো মানের বড় এলাজ প্রতি কেজি ৪ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৮০০ টাকায়। লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকায়, লবঙ্গের দাম বেড়েছে প্রায় ১ হাজার টাকা। প্রতি কেজি জিরা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০০/৯০০ টাকায়। গোলমরিচ প্রতি কেজি ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে কেজি ৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়াও দারচিনি ৭০০ টাকা, হলুদ ৩৫০ টাকা,কালিজিরা ৪০০ টাকা, কিসমিস ৮০০ টাকা, তেজপাতা ১২০ টাকা, সাদা সরিষা ৩০০ টাকা, এ সবের কেজি প্রতি ৮০- ১০০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি জয়ত্রী বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকট ও ডলারের দাম বাড়ায় মসলার দাম বেড়েছে। তাদের দাবি মসলার দাম বাড়ছে ২কারণে। প্রথমত. দেশে চলছে ডলার সংকট, ডলারের অভাবে এলসি করা যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত. আন্তর্জাতিক বাজারে মসলার দাম বেড়েছে। প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারেও। অথচ কোরবানির মসলা ২-৩ মাস আগে থেকেই মজুত করে রেখেছে ব্যবসায়ীরা বলছেন ভোক্তাগণ।

ঝিনাইগাতি মসলার বাজারের ক্রেতা আলহাজ শাহজাহান আকন্দ ও আলহাজ সরোয়ার্দী দুদু মন্ডল বলেন, প্রতিবছরই কোরবানির আগে ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা আয়ের জন্য মসলার দাম বাড়িয়ে দেয়। তারা জানেই কোরবানীর ঈদে মসলা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। কোরবানির গোশত খাওয়ার জন্য সবাইকে মসলা কিনতেই হবে। তারা সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসা করছে। সিজনাল সময়গুলোয় চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে কম রাখা উচিত। অথচ তারা করছে উল্টো।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মসলা ব্যবসায়ী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কিছু মসলার দাম বেড়েছে। মসলাকে বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ পণ্য আমদানিতে প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি শুল্ক দিতে হয় মহাজনদের। পাশাপাশি ডলারের দাম বাড়ায় মসলার বাজার চড়া। এ কারণে এলাচসহ সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। আমরা অল্প করে মসলা কিনে আনি। অল্প লাভেই বিক্রি করি। দাম বাড়ে পাইকারি কিনতে গিয়ে। মসলা বিক্রেতারা বলেন, এই মসলা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও মৌলভীবাজার থেকে নিয়ে আসা হয়। সেখানকার ব্যবসায়ীরা ডলারসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন। তাই বেশি দামে কিনে-বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। কোরবনীর ঈদে পর্যাপ্ত মসলার প্রয়োজন হয় ও আমদানি করা হয়। ভারত থেকে জিরা ও এলাচ এবং ইন্দোনেশিয়া, চীন, ভিয়েতনাম ও গুয়েতেমালা থেকে লবঙ্গ ও দারচিনি আমদানি করা হয়।

এব্যাপারে অনেক ক্রেতা বলেন, ঈদের চাহিদাকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

পূর্বে এসব দেশে উৎপাদন কম হওয়ার অজুহাত দেয়া হলেও বর্তমানে টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এ সমস্যায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কজন ক্রেতা বলেন, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।

নিউজ ট্যাগ: মসলা

আরও খবর