আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

জাগ্রত চৌরঙ্গী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ডান হাতে গ্রেনেড, বাঁ হাতে রাইফেল। লুঙ্গি পরা, খোলা শরীর, দৃপ্ত পায়ে পেশিবহুল মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তার সড়কদ্বীপে দাঁড়ানো। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্যের গল্প উঠলে চোখে ভাসবেই জাগ্রত চৌরঙ্গী। এটিই দেশে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ভাস্কর্য। মহান মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ১৯ মার্চের সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধে নিহত ও আহত বীরদের অসামান্য আত্মত্যাগ স্মরণে ১৯৭৩ সালে নির্মিত হয়েছিল জাগ্রত চৌরঙ্গী। ঢাকা আর্ট কলেজের সেই সময়ের অধ্যক্ষ দেশের খ্যাতিমান ভাস্কর আবদুর রাজ্জাকের হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হয়েছিল এই দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যকর্ম।

তৎকালীন গাজীপুরে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল আমীন আহম্মেদ চৌধুরী বীরবিক্রম ভাস্কর্যটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ২৪ ফুট ৫ ইঞ্চি বেদিসহ জাগ্রত চৌরঙ্গীর উচ্চতা ৪২ ফুট ২ ইঞ্চি। কংক্রিট, গ্রে ও হোয়াইট সিমেন্টের ঢালাইয়ে নির্মিত ভাস্কর্যটিতে ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৩ নম্বর সেক্টরের ১০০ জন এবং ১১ নম্বর সেক্টরের ১০৭ জন শহীদ সেনা ও মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে। ভাস্কর আবদুর রাজ্জাক সহযোগী হামিদুজ্জামান খানকে নিয়ে ১৯৭২ সালে ভাস্কর্যটির নির্মাণকাজ শুরু করেন। কাজ শেষ হয় ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরে। জাগ্রত চৌরঙ্গীর প্রকৌশলী ছিলেন আবদুর রশিদ, তাঁর দুই সহকারী ছিলেন এম আহমদ ও আবদুল হক। নির্মাণ তত্ত্বাবধানে ছিলেন মো. আসলুল হক ও আবদুল হক। ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সুবেদার খন্দকার মতিউর রহমান বীরবিক্রম। নির্মাণকাজে জড়িত সবাই ছিলেন ঢাকা আর্ট কলেজের। আলোকসজ্জার দায়িত্বে ছিল গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালে জয়দেবপুর (পরে গাজীপুর) সেনানিবাসের ভাওয়াল রাজবাড়িতে ছিল পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট কার্যালয়। ২৫-৩০ জন ছাড়া সবাই ছিলেন বাঙালি সেনা কর্মকর্তা। পাকিস্তানিরা বাঙালি দমনের নীলনকশা অনুযায়ী ১৫ মার্চের মধ্যে রাইফেল জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। বাঙালি সেনারা রাজি না হলে ১৯ মার্চ সকালে ঢাকা ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জাহান জেব অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিতে জয়দেবপুর সেনানিবাসে আসেন। এ খবর জানাজানি হলে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা লাঠি, তীর-ধনুক নিয়ে জয়দেবপুর বটতলায় জড়ো হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ওই যুদ্ধে মনু খলিফা, ফুটবলার হুরমত আলী ও কানু মিয়া এবং কিশোর নিয়ামত শহীদ হয়। জয়দেবপুরে পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে এই সম্মুখযুদ্ধের পর সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সারা দেশে স্লোগান ওঠে, জয়দেবপুরের পথ ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো

গাজীপুরের ইতিহাসবিদদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯ মার্চের সশস্ত্র যুদ্ধে শহীদ হুরমত-মনু খলিফাদের স্মৃতি অমর করতে গাজীপুর ক্যান্টনমেন্টের ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের তৎকালীন সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (পরে মেজর জেনারেল) আমীন আহম্মেদ চৌধুরী বীরবিক্রম গাজীপুরে ভাস্কর্য তৈরির উদ্যোগ নেন। ভাস্কর্য নির্মাণের জন্য তিনি দায়িত্ব দেন ভাস্কর আব্দুর রাজ্জাককে। ভাস্কর্যটি তৈরিতে ৩০ হাজার ইট, ইটের গুঁড়া, রড এবং প্রায় ৩০০ ব্যাগ সিমেন্ট লাগে। ভাস্কর্যটির নির্মাণকাজ চলে আর্ট কলেজে। কাজ শেষ হলে ক্রেনের সাহায্যে সেটি ট্রাকে তুলে ঢাকা থেকে গাজীপুরে আনা হয়।

ভাস্কর্যটি নির্মাণে সবচেয়ে বেশি শ্রম দিয়েছেন ভাস্কর আব্দুর রাজ্জাক। তিনি দিনরাত মেজর জেনারেল আমীন আহম্মেদের বাসায় থেকে কাজ করেছেন। আমীন আহম্মেদ চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে শহীদ হুরমত আলীর মা কদরজানকে দিয়ে ভাস্কর্যের উদ্বোধন করাতে। কিন্তু কদরজান মারা যাওয়ায় তা আর হয়নি। পরে ভাস্কর্যটি আর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়নি।

গাজীপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুস ছাত্তার জানান, অতীতে বাসে যাতায়াতের সময় বহুদূর থেকে জাগ্রত চৌরঙ্গী দেখা যেত। ভাস্কর্যটি দেখে যাত্রীরা চান্দনা বাসস্ট্যান্ডে নামত। ভাস্কর্যের হাতের গ্রেনেড ও রাইফেল দেখিয়ে মা-বাবা তাঁদের শিশুসন্তানদের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে জানাতেন।

গাজীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার আবদুর রউফ নয়ন বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখতে অনেক দেশ নানা উদ্যোগ নেয়। সবার ওপরে থাকে বীরদের ইতিহাস ও বীরত্ব নিয়ে ভাস্কর্য। জার্মানি, রাশিয়া, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে রাস্তা ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ ধরনের ভাস্কর্য বেশি দেখা যায়। এ ধরনের ভাস্কর্য স্থাপনে আমাদের দেশ এখনো পিছিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য আরো বেশি বেশি স্থাপন করা দরকার।

নিউজ ট্যাগ: জাগ্রত চৌরঙ্গী

আরও খবর
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪




ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ মামলার বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া।

এর আগে, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলা স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।

২০২১ সালে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র খামার ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নুর জাহান বেগম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শামসুদ দোহা, বোর্ড সদস্য ইমামুস সুলতান, রতন কুমার নাগ ও শাহ জাহান।

মামলার বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী শামীম আল মামুন জানান, মামলার বাদী অবসর গ্র্যাচুইটি ও অর্জিত ছুটি বাবদ নয় লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে ড. ইউনূসসহ আরও ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বাদী গোলাম মোস্তফা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন ইউনিট কার্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই সময়ে বাদীর অবসর গ্র্যাচুইটি এবং অর্জিত ছুটি নগদায়ন বাবদ পরিশোধ না করে তাকে অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়। এছাড়া, পাওনা পরিশোধ করতে প্রতিষ্ঠানটি টালবাহানা করে আসছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।


আরও খবর



বিএনপি দিনে দিনে আরও দুর্বল হচ্ছে: কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে গণরাজনীতিতে নতুন কোনো মাত্রা যোগ করতে পারছে না। তাই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমে একই গীত গেয়ে চলেছেন, প্রতিনিয়ত অত্যাচার-নির্যাতনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গল্পের অবতারণা করছেন।

তিনি বলেন, জনগণের জন্য রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি দেওয়ার ব্যর্থতা ঢাকার জন্য তারা এই অপকৌশল অবলম্বন করছে। সন্ত্রাসী দল বিএনপি নেতারা নিজেদের অত্যাচারিত-নির্যাতিত দেখিয়ে সিমপ্যাথি কার্ড খেলার অপচেষ্টা করছে। জনকল্যাণের রাজনীতি বাদ দিয়ে এ ধরনের অপকৌশল গ্রহণ করায় বিএনপি দিনে দিনে সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এবং তাদের নেতারা সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং তার সরকারকে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। এখন অস্তিত্ব সংকটে থাকা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া বিএনপি সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলছে!

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট একটি রাজনৈতিক দল। বিএনপির নেতারা টিকে থাকার জন্য সর্বদা মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে রাজনীতিতে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা চালান। বিএনপির নেতাদের বোঝা উচিত, বিরোধীদল নয় বরং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কাজ করতে হয়। সুতরাং নিজেদের নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত রাখাটাই বিএনপির জন্য শ্রেয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে। জনগণের সেবা করাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূলনীতি। আওয়ামী লীগ সবসময় শাসন-শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছে। আওয়ামী লীগের হাতেই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত।

অন্যদিকে বিএনপি শাসনমালের দুর্নীতি-লুটপাট ও দুঃশাসনের কথা জনগণ ভুলে যায়নি। কীভাবে সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারাদেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছিল, সেসব কাহিনী যারা প্রত্যক্ষ করেছে তারা স্মরণ করলে বা কেউ শুনলে এখনো শিউরে ওঠে। জনগণ সেই দুঃসহ সময়ের দিনগুলোতে ফিরে যেতে চায় না। আমরা জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। যোগ করেন সেতু মন্ত্রী।


আরও খবর



রাজধানীর যেসব স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবার পবিত্র ঈদুল আজহায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ২২টি স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সারুলিয়ায় স্থায়ী মার্কেটের পাশাপাশি ১১টি অস্থায়ী হাটের আয়োজন করবে। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) গাবতলীতে স্থায়ী হাট ব্যবহারের পাশাপাশি ৯টি অস্থায়ী হাট স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ১১টি হাটের ইজারা দেওয়া এবং অফিসিয়াল মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে সমন্বয় করার ক্ষমতা রাখে।

ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম জানান, প্রাথমিকভাবে ৯টি হাট স্থাপনের জন্য ইজারা নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও হাট বাতিল বা সংযোজনের অধিকার কর্তৃপক্ষের রয়েছে।

ডিএসসিসির যেসব জায়গায় হাট বসতে যাচ্ছে

যাত্রাবাড়ী দনিয়া কলেজ, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) ব্লক ই, এফ, জি, এইচ এবং সেকশন ১ ও ২ এর নিকটবর্তী খোলা জায়গা।

আমুলিয়া মডেল টাউন, রহমতগঞ্জ ক্লাব, শ্যামপুর কদমতলী ট্রাকস্ট্যান্ড, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার, ইনস্টিটিউট লেদার টেকনোলজি কলেজ, পোস্তগোলা খোলা মাঠ, মেরাদিয়া বাজার এবং কমলাপুর স্টেডিয়াম-সংলগ্ন স্থান। এ ছাড়াও বিশ্ব রোডের কাছে লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবের পাশের একটি অঞ্চলে হাট বসবে।

ডিএনসিসির আওতায় হাটের জন্য প্রস্তাবিত স্থানগুলো হলো

ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট-সংলগ্ন খোলা জায়গা, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচকুড়া ব্যাপারীপাড়া রহমান নগর আবাসিক প্রকল্প এলাকা এবং খিলক্ষেতের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্তুল চেকপোস্ট।

ভাটারার সুতিভোলা খালের কাছের খোলা জায়গা, উত্তরার ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের কাওলা শিয়ালডাঙ্গা, বউবাজার এলাকা এবং বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) ব্লক ই, এফ, জি, এইচ, এল, এম, এন।

এ ছাড়াও মিরপুর সেকশন-৬ (ইস্টার্ন হাউজিং ওপেন স্পেস) এবং মোহাম্মদপুরের বসিলায় ৪০ ফুট রাস্তার পাশের খোলা জায়গায়ও হাট বসানো হবে।

ইজারা মূল্য নির্ধারণ এবং প্রবিধান

দুই সিটি করপোরেশনই ইজারার মাধ্যমে ভাড়ার দাম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এ বছর ডিএনসিসির আওতাধীন উত্তরার বউবাজার এলাকার হাটের জন্য সবচেয়ে বেশি ভাড়া এবং কাঁচকুড়া এলাকার জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে। সীমান্তবিষয়ক সমস্যা থাকায় একটি সমন্বিত কিন্তু স্বতন্ত্রভাবে আফতাবনগর হাটের জন্য পৃথক ইজারা নোটিশ জারি করেছে ডিএনসিসি এবং ডিএসসিসি।


আরও খবর



জিবুতি উপকূলে নৌকাডুবি, নিহত ৩৩

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লোহিত সাগরের জিবুতি উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহত অভিবাসীদের সবাই ইথিওপিয়ার বাসিন্দা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আট বছর বয়সী এক শিশুসহ অন্তত ৩৩ ইথিওপিয়ান অভিবাসী জিবুতির উপকূলে তাদের নৌকা ডুবে মারা গেছে।

জিবুতি কোস্টগার্ডের সিনিয়র কর্মকর্তা ইস ইইয়াহ বলেন, যারা ডুবে যাওয়া নৌকায় ছিলেন তারা ইয়েমেন ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন।

এদিকে জিবুতিতে নিযুক্ত ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূত বারহানু সেগায়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে অভিবাসীদের মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, জিবুতি থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অবৈধপন্থায় ভ্রমণ অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং এতে করে ক্রমাগত আমাদের নাগরিকরা তাদের জীবন হারাচ্ছেন।’

বিবিসি বলছে, স্থলবেষ্টিত ইথিওপিয়ায় গৃহযুদ্ধের পর পালিয়ে আসা লোকেরা প্রায়শই জিবুতি এবং ইয়েমেনের মধ্য দিয়ে সৌদি আরব এবং তার বাইরেও অন্য অনেক দেশে ভালো সুযোগের সন্ধানে গিয়ে থাকেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার আটকে যায় ইয়েমেনে। আরব উপদ্বীপের এই দেশটিও যুদ্ধের কবলে রয়েছে।


আরও খবর



কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে শোকজ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শ পরিপন্থী ও সংগঠনের রীতিনীতি পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ায় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খানকে শোকজ নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। শনিবার তাকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ কারণ দর্শানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত আপনার বক্তব্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে এবং তা সংগঠনের রীতিনীতি ও আদর্শ পরিপন্থি। এসব বক্তব্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- তার ব্যাখ্যাসহ লিখিত জবাব ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এমপির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জানাতে বলা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের গোসাইডাঙ্গি গ্রামে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আপন ছোট ভাইয়ের নির্বাচনী পথসভায় গিয়ে সদর উদ্দিন খান বলেন, আল্লাহ পাক উন্নয়ন করাবে আমাকে দিয়ে। আমার সঙ্গে যারা বিরোধিতা করবে তারা আল্লাহর সঙ্গে বিরোধিতা করবেন।

জেলা সভাপতি আরও বলেন, শয়তানরাও মসজিদে আসবে, শয়তানরাও গোরস্থানে শোবে। শয়তানরা মসজিদে এসে সুখে থাকতে পারবে না। আর গোরস্থানে গেলে শয়তানদের যেভাবে মাটি চাপা হবে আপনারা কল্পনাই করতে পারবেন না।

১ মে বুধবারের ওই পথসভায় তার বক্তব্যের ২ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এমন বক্তব্যর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরাসহ সাধারণ ভোটাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর প্রেক্ষিতে তাকে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হলো সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

এর আগে খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার ভাইয়ের পক্ষে নির্বাচন করার জন্য থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেনকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। সে সময় তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।


আরও খবর